বাক্যের শ্রেণিবিভাগ

বাক্যের শ্রেণিবিভাগ

গঠন ও অর্থের দিক দিয়ে বাক্যকে  তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

কবিতার বাক্যগুলো সবসময় সরল হয়ে থাকে তবে গদ্যের বাক্য জটিল বা যৌগিক হয়ে থাকে। অনেক লেখক তার গদ্য সরল এবং ছোট ছোট বাক্যে গড়ে তোলেন। তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য হুমায়ূন আহমেদ। একাধিক বাক্যকে একবাক্যে পরিণত করতে গেলে দুটি ক্রিয়ার মধ্যে একটি অসমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত হয়। বিভিন্নভাবে বাক্য গঠন বা যোজন বা বিযোজন করা যায়। গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যেমন:

১. সরল বাক্য / Simple Sentence

একটি সমাপিকা ক্রিয়াযুক্ত বাক্যই সরল বাক্য । এখানে একটি বাক্যই থাকবে তাই পরস্পর সম্পর্কিত কোন খণ্ডবাক্য থাকে না। তবে অনেকগুলো অসমাপিকা ক্রিয়াযুক্ত বাক্য থাকতে পারে। এখানে একটি বা একাধিক অসমাপিকা ক্রিয়া থাকতে পারে। যে বাক্যে একটিমাত্র উদ্দেশ্য (কর্তা) এবং একটিমাত্র বিধেয় (কর্ম + ক্রিয়া) থাকে তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন: সে ভাত খায়। তিনি কাছে এসে ভালবেসে মায়া লাগিয়ে চলে গেলেন।

সরল বাক্য  চেনার উপায়গুলো হলো। একটি বাক্য, ক্রিয়া+এ, ক্রিয়া+য়, ক্রিয়া+নি বসে, অসমাপিকা ক্রিয়া ও সমাপিকা ক্রিয়া, না চাইলে, অত ইত্যাদি।

২. যৌগিকবাক্য/ Compound Sentence

পরস্পর নির্ভরহীন অর্থাৎ সম্পূর্ণ বা নিরপেক্ষ একাধিক খণ্ডবাক্য মিলে যে বাক্য গঠিত হয় সেই বাক্যই যৌগিকবাক্য। এইখানে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকতে হবে, বাক্যগুলো পরস্পর নির্ভরহীন অর্থাৎ সম্পূর্ণ বা নিরপেক্ষ একাধিক খণ্ডবাক্য হতে হবে এবং বাক্যগুলো যুক্ত করার জন্য যৌগিকচিহ্ন/যৌগিক যোজক থাকতে হবে। দুই বা এর অধিক সরল বাক্য  বা জটিলবাক্য মিলিত হয়ে যে বাক্য তৈরি করে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। অথবা দুটি বাক্যকে এবং, ও, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিম্বা যোজক দ্বারা যুক্ত করলে যৌগিক বাক্য হয়। যেমন: সে ঠিক মতো স্কুলে যায় এবং পড়া শেষ করে। সে গরিব কিন্তু সৎ।

যৌগিকচিহ্ন: এবং, আর, ও, কিন্তু, তাই, তাহলে, সেহেতু, কারণে, ফলে, তবে, তবু, তবুও, পর, নইলে, আগে, তখনই, ফল/ ক্রিয়া+ও, কেবল, বটে— তবে, শুধু—আরও/ও, জন্য, উদ্দেশ্যে, বলে, সুতরাং, অন্যথায়, অথবা ইত্যাদি।

৩. জটিলবাক্য/মিশ্রবাক্য/ Complex Sentence

পরস্পর নির্ভরশীল একাধিক খণ্ডবাক্য মিলে যে বাক্য গঠিত হয় সেই বাক্যই জটিলবাক্য। এইখানে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকতে হবে, বাক্যগুলো পরস্পর নির্ভরশীল হতে হবে এবং বাক্যগুলো যুক্ত করার জন্য জটিলচিহ্ন/জটিল যোজক থাকতে হবে। যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয় তাকে জটিল বা মিশ্রবাক্য বলে। দুটি বাক্য জটিলচিহ্ন দ্বারা গঠিত হলে জটিল বাক্য হবে। যেমন: যে পরিশ্রম করে, সে সুখ লাভ করে। আমি দেখলাম, খেলা শেষ। যেমন: যে সবসময় এখানে আসে সে আমার ছোট ভাই।

জটিলচিহ্ন: যে/যা/ যে— তাকে, যে—সে/সেই, যত—তত, /যতদিন—ততদিন, যেহেতু—সেহেতু, যেই— অমনি, সে—কারণ, সে—বলে, যখন— তখন, যদি, যদিও, যদিও—তবুও, তবুও ইত্যাদি। এসব চিহ্নের আগে বা পরে কোন যতি বসে না।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]