যতি ব্যবহারের নিয়ম

যতি ব্যবহারের নিয়ম

ক) সমাপ্তিনির্দেশক যতি

দাঁড়ি, প্রশ্নচিহ্ন, আবেগচিহ্ন ইত্যাদিকে সমাপ্তি নির্দেশক যতি বলে। এরা পুরো বিরতিতে বাক্যের শেষে বসে। যেমন :

 

১. দাঁড়ি/পূর্ণযতি (। ॥)

প্রাচীন কবিতায় এক লাইনে একদাঁড়ি আর জোড় লাইনে জোড়দাঁড়ি ব্যবহার করা হত। বর্তমানে গানের চরণে জোড়দাঁড়ি ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ বাক্যের শেষে যে যতি ব্যবহার করা হয় তাকে দাঁড়ি বলে। বাক্যের সমাপ্তিতে দাঁড়ি বসে। বিশেষ্য দিয়ে বাক্য শুরু হলে আরেকটি সর্বনাম শুরুর আগে দাঁড়ি বসে। বিবৃতিবাচক বাক্যের শেষে বসে। যেমন: রহিম খুব ভালো ছাত্র। সে নিয়মিত লেখাপড়া করে।

দাঁড়ি বসে না : কবিতার বাক্য আর গদ্যের বাক্য একরকম নয় তাই কবিতার প্রতিটি পংক্তি বা চরণে দাঁড়ি বসে না।

 

২. প্রশ্নযতি (?)

প্রশ্ন করতে যে যতি ব্যবহার করা হয় তাকে প্রশ্নযতি বলে। ১৬ ক অর্থাৎ কে, কাকে, কার, কারা, কাদের, কি/কী /কী কী, কিসের, কেন /কিজন্য, কিভাবে, কেমন, কত, কোথায়, কোথা থেকে, কখন /কবে— প্রশ্ন করতে প্রশ্নযতি বসে। সন্দেহ বা সংশয়যুক্ত বাক্যেও প্রশ্নযতি বসে। তুমি কি পড়বে? তোমার নাম কী? কেনো পড়ালেখায় মন বসে না? তুমি কী যে বলো?

প্রশ্নযতি বসে না : বাক্যে প্রশ্ন শব্দটি উল্লেখ থাকলে প্রশ্নযতি বসে না। যেমন: আমি তাকে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দিতে পারে নাই। তাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে সে লজ্জা পায়।

 

৩. আবেগযতি (!)

আবেগ জাতীয় শব্দ বা বাক্যে যে যতি ব্যবহার করা হয় তাকে আবেগযতি বলে। বিস্ময়, হর্ষ/আনন্দ, বিবাদ, লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, দুঃখ, আনন্দ ইত্যাদি বুঝাতে শব্দের শেষে বা বাক্যের শেষে আবেগযতি বসে। আবেগ জাতীয় বাক্যে আবেগযতি বসে। যেমন: দৃশ্যটি কত সুন্দর! আবেগ জাতীয় শব্দের পরে আবেগযতি বসে। বাক্যের শেষে দাঁড়ি বসে। যেমন: আহ! তার বাবা আর নাই।

আবেগযতি বসে না : আবেগ জাতীয় শব্দটি বাক্যে উল্লেখ থাকলে বাক্যের শেষে আবেগযতি না বসে দাঁড়ি বসে। যেমন: সে আবেগের সঙ্গে কথাটি বলল। সে বিস্ময়ে লাফিয়ে উঠল। তাকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নাই। সে আনন্দের সঙ্গে লেখাপড়া করে।

 

খ) শব্দ, বাক্য ও খণ্ডবাক্য পৃথকিকরণ যতি

‘শব্দযতি, শব্দযোজক যতি, বাক্যযতি/অর্ধযতি, নমুনাযতি, নমুনাযোজক যতি, উর্ধ্বযতি/উদ্ধৃতি, বর্ণলোপ যতি, বিকল্পযতি, বিন্দুযতি, বন্ধনি এরা শব্দ, বাক্যর খণ্ডবাক্য পৃথকি করে বলে এদের শব্দ, বাক্য ও খণ্ডবাক্য পৃথকিকরণ যতি বলে। যেমন:

 

৪. শব্দযতি (, ) /কমা

এক জাতীয় বহুশব্দ, খণ্ডবাক্যকে যুক্ত করতে যে যতি ব্যবহার করা হয় তাকে শব্দযতি বলে। স্বল্প সময় শ্বাস বা বিরতি নিতে শব্দযতি বসে। বিভিন্নভাবে শব্দযতি বসতে পারে। যেমন:

i. একই জাতীয় বহু বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়ার মাঝে শব্দযতি বসে। যেমন: করিম, রহিম, রাজু। সে, আমি, তুমি। ভালো, মন্দ। তার কাজ খাওয়া, পড়া, ঘুমানো।

ii. খণ্ডবাক্য/বাক্যাংশ যুক্ত করতে শব্দযতি বসে। যেমন: ভালো চাও, মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করো। আমাদের আছে শহিদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, রবীন্দ্র-জয়ন্তী, নজরুল জয়ন্তী।

iii. সম্বোধনের পরে শব্দযতি বসে। যেমন: মঈন, তুমি একটি কবিতা লিখে দিও।

iv. বাক্যের শুরুতে কবির কবিতার নাম, হ্যাঁ, না, আচ্ছা, বেশ, সাপেক্ষ সর্বনাম (যে যা) ইত্যাদির পরে শব্দযতি বসে। যেমন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চৌদ্দতম সন্তান। হ্যাঁ, তাকে আমি চিনি।

v. প্রত্যক্ষ উক্তি ‘বলে/বলেন/বলল’ পরে শব্দযতি বসে। যেমন: সে বলল, আমি কলেজে ভর্তি হয়েছি।

vi. তারিখ ও মাস এরপর বার থাকলে মাসের পরে শব্দযতি বসে। যেমন: ২২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ১৯৭০ সালে তার জন্ম হয়েছে। পাশাপাশি তারিখ ও বছর উল্লেখ থাকলে তারিখের পরে শব্দযতি বসে। যেমন: জানুয়ারি ১০, ২০১২।

vii. ঠিকানার ক্ষেত্রে সংখ্যার পরে শব্দযতি না বসে স্থানের নামের আগে বসে। আবার সংখ্যার আগে শব্দযোজক না দিলেও হয়। যেমন: ১৬ বেইলি রোড, ঢাকা ১০০০।

viii. কারো নাম এরপরে ডিগ্রি থাকলে নামের পরে শব্দযতি বসে। যেমন: ড. হুমায়ুন আজাদ, বাংলায় এমএ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

ix. অংক জাতীয় সংখ্যায় কোটি, লক্ষ ও হাজার লিখতে শব্দযতি বসে। যেমন: বাংলাদেশের আয়তন ১, ৪৭, ৫৭০ কি. মি.।

শব্দযতি বসে না

i. কবিতার চরণ গদ্যের চরণের মতো না তাই প্রতিটি লাইনের শেষে শব্দযতি বসে না। হেডলাইন জাতীয় বাক্যে ‘কমা’ বসবে না। ‘যে’ উহ্য জাতীয় বাক্যে শব্দযতি হিসেবে। যেমন: সে বাসায় এসে দেখল, (যে) আমি বাসায় নাই।

ii. একই বাক্যে প্রথমে কর্তার মাঝে সেই কর্তার সর্বনাম ব্যবহৃত হলে সর্বনামের আগে কমা বসে না। যেমন: রহিম খুব জ্ঞানী, তাঁর কথা মতো কাজ করা ঠিক হবে।

iii. তারিখের বেলায় সংখ্যা পাশাপাশি বসলে শব্দযতি বসে কিন্তু তারিখের মাঝে মাসের নাম থাকলে শব্দযতি বসে না। যেমন: ১০/০১/২০১২ অথবা ১০-০১-২০১২ লেখা গেলেও লেখা যাবে না—১০, ১০, ২০১২ অথবা ১০.১০.২০১২ অথবা ১০ জানুয়ারি, ২০১২।

iv. ঠিকানার ক্ষেত্রে সংখ্যার পরে শব্দযতি বসে না। যেমন: ১৬, বেইলি রোড, ঢাকা ১০০০।

v. একাধিক বিশেষ্য, বিশেষণ বা সমাপিকা ক্রিয়া আলাদা করতে ‘ও’ বসে। অনেকগুলো নামের শেষে ‘ইত্যাদি’ থাকলে ‘কমা’ বসে আর ‘ইত্যাদি’ না থাকলে শেষটার আগে ‘ও’ বসে।

vi. অসমাপিকাক্রিয়ার পরে কমা বসে না। যেমন: সে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেয়ে স্কুলে যাবে।

 

৫. শব্দযোজক যতি /হাইফেন (-)

যে যতি দুই বা অধিক শব্দকে সংযুক্ত করে তাকে শব্দযোজক যতি বা হাইফেন বলে। প্রধানত সমাসবদ্ধ শব্দ ও দ্বৈতশব্দের মাঝে বসে। সাধারণত দ্বন্দ্ব সমাসে বসে। ভিন্নার্থক বা বিপরীত শব্দেও বসে। যে বা যা’র আগে বসে। নামশব্দ, পদমর্যাদা, দিক, সংখ্যার ব্যবধান, বিভক্তিকে নাম বা সংখ্যা থেকে পৃথক করতে বসে। দুই সমাস জাতীয় শব্দের মাঝে বসে। অন্যলাইনে লেখার প্রয়োজন হলে ভাঙাশব্দের মাঝে বসে। এর আগে শব্দযোজক বসে। যেমন: মা-বাবা, প্রীতি-ভালোবাসা, ত-প্রত্যয়, ণ-ধ্বনি। এটি রহিম-এর (অ-বর্ণের উচ্চারণ জাতীয়) বাড়ি।

শব্দযোজক যতি বসে না : উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি, নির্দেশক, বচন ইত্যাদির পরে শব্দযোজক বসে না। যেমন: উপ-সচিব, তাই-তো, সেলিনা-কে, লোক-টি, মানুষ-গুলো, বে-আইনি, লা-শরিক, উদ-দিন, আল-মামুন ইত্যাদি।

 

৬. বাক্যযতি/অর্ধযতি /সেমিকোলন (;)

বাক্যযতি শুধু অর্থবোধক বহুবাক্যেই বসে। বহুবাক্য বা একাধিক স্বাধীন বাক্যের মধ্যে অর্থের ঘনিষ্ট সংযোজন করতে যে যতি বসে তাকে বাক্যযতি বলে।

বাক্যযতি বসে না : বাক্যযতি শব্দে বা নমুনাশব্দে বসে না। বাক্যযতি কবিতায় আবশ্যক নয় কারণ কবিতার বাক্য আর গদ্যের বাক্য একরকম নয়। যেমন: আকাশ; আসমান; গগন।

 

৭. নমুনাযতি /কোলন (:)

নমুনাযোজক যতি ও কোলনড্যাশ-এর বিকল্প হিসেবে বর্তমানে বেশি ব্যবহার হয়। নমুনা (যথা, যেমন), বিপরীত অর্থ প্রকাশ, ব্যাখ্যা, হিন্টস, তালিকা, বিশদ মন্তব্য, সংলাপ, শিরোনাম, কার্যবিবরণী, বক্তৃতা, উদ্ধৃতি, বিবৃতি, ঘোষণা, সময়, ধারাবাহিকতা, উপস্থাপনা ইত্যাদিতে নমুনাযতি বসে। প্রতি, বিষয়, প্রসঙ্গ, তারিখ, নাম, ঠিকানা, জন্ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অনুপাত, আদেশ বা প্রশ্ন জাতীয় রচনাতেও বসে। সংলাপের পরে বসে। যেমন: রহিম: কী ব্যাপার তুমি কাল স্কুলে আসনি কেনো?

অনুপাত বুঝাতেও নমুনাযতি বসে। যেমন: দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০: ৬।

নমুনাযতি বসে না : কোলনের স্থলে বিসর্গ আবার বিসর্গের স্থলে কোলন ব্যবহৃত হয় না। যেমন: পুন:প্রচার না হয়ে হবে পুঃপ্রচার।

 

৮. নমুনাযোজক যতি /ড্যাশ (— )

হাইফেন থেকে বড় যতিকে নমুনাযোজক যতি বলে। নমুনা, শূন্যস্থান ও অসম্পূর্ণ বাক্যে বসে। শব্দ ও তার অর্থ বুঝাতে বসে, ইতস্তত ভাব বা দ্বিধা বুঝাতে বসে, উদ্ধৃতিচিহ্নের পরিবর্তে বসে, উক্তি, প্রত্যক্তি ও কথার বিস্তার বুঝাতে বসে। সংলাপ প্রকাশের তালিকাবদ্ধ শব্দের পরে বসে। শব্দ টেনে লিখতে গেলে বসে। সংলাপের পরে বসে। যেমন: রহিম— কী ব্যাপার তুমি কাল স্কুলে আসনি কেনো?

উপসর্গকে পৃথক করে দেখাতে শব্দযোজক বসে। যেমন: আ—অকাজ, অভাব, অচেনা।

নমুনাযোজক যতি বসে না : কোলনের স্থলে বিসর্গ আবার বিসর্গের স্থলে কোলন ব্যবহৃত হয় না। বর্তমানে কোলনড্যাশ (:—)-এর ব্যবহার নাই বললেই চলে। কারণ কোলন কোলনড্যাশের স্থান দখল করেছে। অবলুপ্ত— যা লোপ পেয়েছে।

 

৯. ঊর্র্ধ্বযতি/উদ্ধৃতি /কোটেশন/ইনভারটেট কমা (‘ ’ “ ”)

একক উদ্ধৃতি: দ্বৈত উক্তির ভেতরটায় বসে। তবে বর্তমানে সবক্ষেত্রে জোড়ার পরিবর্তে একক উদ্ধৃতি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। বই, পত্রিকা, চলচ্চিত্র, গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ-উপন্যাস-এর নাম, কারো রচনার অংশ তুললে বসে।

জোড়া উদ্ধৃতি: উক্তির ক্ষেত্রে বসে। তবে বাংলায় এর ব্যবহার খুব কম।

 

১০. বর্ণলোপ যতি /ইলেক মার্ক /এ্যাপস্ট্রফি (’)

বর্ণের প্রথমে বা মাঝে বর্ণ বাদ দিতে যে যতি বসানো হয় তাকে বর্ণলোপ যতি বলে। ক্রিয়াবাদে অন্যান্য পদকে সংক্ষিপ্ত করার জন্য। যেমন: উপর>’পর ইত্যাদি।

বর্ণলোপ যতি বসে না : পূর্বে সাধু ক্রিয়াকে সংক্ষিপ্ত করার জন্য বর্ণলোপ যতি বসানো হত কিন্তু এখন বসানো হয় না। যেমন: করিয়া>ক’রে। আবার দুই জন>দু’জন, পৌউষ>পো’ষ>পোষ লেখার ক্ষেত্রেও বসানো হয় না।

 

১১. বিকল্পযতি /অবলিগ (/)

দাঁড়ির চেয়ে বড়, ডানে মাথা হেলানো যতিকে বিকল্পযতি বলে। এরা শব্দের বিকল্প হিসেবে বসে। আবার ছন্দের পর্ববিভাজক চিহ্ন হিসেবেও বসে। অথবা, বিকল্প, তারিখ, ভগ্নাংশ, নাম্বার ইত্যাদির ক্ষেত্রেও বিকল্পযতি বসে।

 

১২. বিন্দুযতি /ডট (. ...)

শব্দ সংক্ষেপের জন্য একবিন্দু আর কথা সংক্ষেপের জন্য ত্রিবিন্দু বসে।

একবিন্দু: ইংরেজির দাঁড়িচিহ্ন। সংক্ষিপ্ত বর্ণ, ডিগ্রি, পদবি, দশমিক, তারিখ/সময়, টাকা-পয়সার পর্যায়ক্রম সংখ্যার পরে বসে। যেমন: ড. হুমায়ুন আজাদ ব্যাকরণবিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন। ১. তার সঙ্গে তার দেখা হবে।

ত্রিবিন্দু: কথা গোপন রাখতে, শব্দ-বাক্য-পংক্তি-চরণ-স্তবক অথবা অনুচ্ছেদ উহ্য রাখতে ত্রিবিন্দু বসে। অনেকেই না জেনে ত্রিবিন্দুর বেশি ব্যবহার করেন।

বিন্দুযতি বসে না : পরিচিত শব্দ বা সংক্ষিপ্ত বর্ণের পরে একবিন্দু বসে না। যেমন: বি.এ/বিএ, এম.এ/এমএ, পি.এইচ.ডি/পিএইচডি, ডি.লিট/ডিলিট।

 

১৩. বন্ধনি /ব্রাকেট ( ) { } [ ]

ব্যাখ্যার জন্য বন্ধনি ব্যবহৃত হয়। সাধারণত অংকের ক্ষেত্রে বেশি বসে। যেমন: তিনি চাটগাঁয় (চট্টগ্রাম) বাস করতেন। যদি দৈর্ঘ্য ৩০৫ সে.মি. (১০ ফুট) হয়; প্রস্থ ১৮৩ সে.মি. (৬ ফুট) হবে।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]