৩. রূঢ়িশব্দ
যেসব শব্দ ব্যুৎপত্তিগত অর্থ অগ্রাহ্য করে বিশেষ কোন অর্থ প্রকাশ করে তাদের রূঢ়িশব্দ বলে। যেমন:
শব্দ |
ব্যুৎপত্তি অর্থ |
ব্যবহারিক অর্থ |
শব্দ |
ব্যুৎপত্তি অর্থ |
ব্যবহারিক অর্থ |
বাঁশি |
বাঁশের তৈরি বস্তু |
যে কোন বাদ্যযন্ত্র |
তৈল |
তিলজাত |
যে কোন স্নেহ পদার্থ |
শুশ্রূষা |
শোনার ইচ্ছা |
সেবা |
সন্দেশ |
খবর |
মিষ্টান্ন বিশেষ |
মিছরি |
মিশরের জিনিস |
মিষ্টি দ্রব্য |
গবেষণা |
গরু খোঁজা |
ব্যাপক অধ্যয়ন |
চিনি |
চীন দেশে তৈরি মিষ্টি |
দ্রব্য |
গোধূলি |
গরুর পায়ের ধূলি |
সন্ধ্যাবেলা |
মণ্ডপ |
যে মণ্ড পান করে |
ছাউনি |
সম্ভ্রম |
ভয় |
সম্মান |
পাষণ্ড |
ধর্ম সম্প্রদায় |
নির্দয় ব্যক্তি |
হরিণ |
যে হরণ করে |
এক জাতীয় পশু |
ব্যাঘ্র |
যে বিশেষভাবে ঘ্রাণ নেয় |
বাঘ |
গোষ্ঠী |
গরুর পাল |
সমষ্টি |
হস্তী |
যার হস্ত আছে |
হাতি |
পানজাবি |
পানজাবের অধিবাসি |
জামা বিশেষ |
প্রবীণ |
প্রকৃষ্ট বীণা বাদক |
প্রবীণ ব্যক্তি |
আনাজ |
শস্য |
কলা বিশেষ |
খ) তির্যক ব্যঞ্জনার্থ
সরলভাবে না বুঝিয়ে অন্য অর্থ প্রকাশক শব্দ বা বাক্যকে তির্যক ব্যঞ্জনার্থ বলে। অর্থাৎ কথার উত্তরটা সোজা না হয়ে বাঁকা বা একাধিক বার হয়। যেমন: তুমি খেয়েছ? এখানে বক্তা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ উত্তর দিতে পারে। আবার এমনও হতে পারে তাকে খাবার খাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এখানে একের অধিক বুঝ আসতে পারে। একই বাক্যের মাধ্যমে বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনা প্রকাশ পেতে পারে। অর্থপ্রকাশ বা বাগর্থ প্রকাশ অনেকটাই আক্ষরিক কাজ। সহজ অর্থপ্রকাশ হলো যা বলা বা বোঝানো হচ্ছে মোটামুটি তাই। এটি যদি আক্ষরিকভাবে না বোঝায় তাহলে তির্যক ব্যঞ্জনার্থ হয়।
‘দরজাটা বাইরে থেকে বন্ধ করে দাও’ কখন নির্দোষ অনুরোধ আর কখন অপমানমূলক ঘাড়ধাক্কার বাক্যরূপ তা বোঝাবার জন্য যে যুক্তিবিচার এবং নৈয়ায়িক জিজ্ঞাসা দরকার তা বিদেশি কেনো ভাষার বক্তাও সঙ্গে সঙ্গে বুঝে উঠতে পারেন না।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ