কতিপয় শব্দের নমুনা

কতিপয় শব্দের নমুনা

সমোচ্চারিত শব্দ অর্থ       বাক্যরচনা

অন্ন   (ভাত)          — দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতিতে মানুষের মুখে অন্ন ওঠা দায়।

অন্য (অপর)         — সংস্কার, সংস্কার বাদ দিয়ে দুটো অন্য কথা বল।

অনু   (পশ্চাৎ)         — এই দেশে এক সময় স্ত্রীলোকদের মৃত স্বামীর চিতায় অনুগমন করতে হতো।

অণু   (ক্ষুদ্রতম অংশ)     — এটুকু ভাতে আমার পেটের অণুটুকুও ভরবে না।

অনিষ্ট (ক্ষতি)          — অন্যের অনিষ্টের চিন্তা কখনো মনে এনো না।

অনিষ্ঠ (নিষ্ঠাহীন)       — লেখা পড়ায় অনিষ্ঠ হলে পাশ করতে পারবে না।

অংশ (ভাগ)          — বাপের জমির অংশ মেয়েরাও ছাড়বে না।

অংস (কাঁধ)          — বিপদে দূরে সরে না থেকে অংস মেলাও।

অর্ঘ   (মূল্য)          — তোমার একাজের অর্ঘ দেওয়ার সাধ্য আমার নাই।

অর্ঘ্য (পূজার উপকরণ)   — মানুষের জন্য কাজ করলে তারা তোমার পায়ের কাছে অর্ঘ্য সাজাবে।

অশ্ব   (ঘোড়া)         — শুয়ে পড়ো, অশ্বের মতো দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ো না।

অশ্ম (পাথর)         — অশ্মে মাথা ঠুকে লাভ নাই, চল বাড়ি যাই।

অশক্ত (দুর্বল)          — বিপদে অশক্ত হতে নাই।

অসক্ত (আসক্তিহীন)      — বইয়ে অসক্ত হলে ছাত্রজীবন বৃথা হবে।

 

অনিল (বাতাস)         — গুমোট গরমে অনিল এসে প্রাণ জুড়াল।

অনীল (যা নীল নয়)     — আকাশ কী কখনো অনীল হয়।

অভ্যাস      (বারবার চেষ্টা)— পরীক্ষা কাছে রাত জেগে পড়ার অভ্যাস করো।

অভ্যাশ      (নিকট)    — অংক অভ্যাস কর, পরীক্ষা অভ্যাশে।

১০

অবধ্য (বধের অযোগ্য)    — মানুষ মানুষের অবধ্য।

অবোধ্য (যা বোঝা যায় না) — অবোধ্য তত্ত্ব কথা সব জায়গায় বল না।

১১

অপরিণত (যা পরিণত হয়নি) — অপরিণত বয়সে এ বই পড়ে কিছুই বুঝবে না।

অপরিণীত (অবিবাহিত)    — বিধবার ঘরে অপরিণীত দুটো মেয়ে আছে।

১২

অন্ত   (শেষ)          — সংসারে কাজের অন্ত নাই।

অন্ত্য (যা অন্তে আছে)    — অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া শেষেই মানুষের শোক নিঃশেষ হয়ে যায়।

১৩

অন্যন্য      (অপরাপর) — অন্যন্যের সঙ্গেই তার ভাল সম্পর্ক আছে।

অন্যোন্য (পরস্পর)       — অন্যোন্যের প্রতি ভালোবাসায় মানুষের সুখ।

১৪

অন্নপুষ্ট (ভোজনপুষ্ট)      — এ আকালে অন্নপুষ্ট মানুষ নাই।

অন্যপুষ্ট (কোকিল)       — কাকের বাসায় কোকিলের ছা অন্যপুষ্ট হয়।

১৫

অবদান (সৎকর্ম)        — মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য।

অবধান (মনোযোগ)      — স্বাধীনদেশের মান বাড়াতে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তিতে অবদান দিতে হবে।

১৬

অবিরাম (অনবরত)      — অবিরাম চেষ্টা মানুষকে সফলতা এনে দেয়।

অভিরাম (সুন্দর)        — পোশাকে নয়নাভিরাম সেজো না, মনের দিকে অভিরাম হও।

১৭

অপচয়      (ক্ষতি)          — সময়ের অপচয় করলে জীবন নষ্ট হয়।

অবচয়      (চয়ন)          — সবকিছুতেই সৌন্দর্য অবচয়ন করতে হবে।

১৮

অবিনীত (উদ্ধত)   — অবিনীত সন্তান মা—বাবার মর্যাদা নষ্ট করে।

অভিনীত (অভিনয় করা হয়েছে)— অনেক সময় নাট্যদলের অভিনীত মঞ্চনাটক দর্শকের মনে আশা জাগায়।

১৯

অজগর (সাপ)     — অজগর অলস প্রকৃতির।

অজাগর (নিদ্রা)    — মা অজাগর ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে আছে।

২০

অপগত (দূরীভূত)   — অপরের দুঃখ অপগত করতে জীবন বিলিয়ে দাও।

অবগত (জানা)    — দেশসেবা করতে চাইলে দেশ সম্পর্কে অবগত হওয়া চাই।

২১

আদি (মূল)      — চর্যাপদ বিাংলার আদি ভাষা।

আধি (মনঃকষ্ট)   — আধি গোপন না করে খোলা মেলা আলোচনা করা ভালো।

২২

আশা (ভরসা)    — ছাত্রদের উপর দেশের মানুষের অনেক আশা।

আসা (আগমন)   — আজ তার বাড়িতে আসা হবে না।

২৩

আবাস      (বাসস্থান)   — ঢাকা শহরে অনেক মানুষের আবাস নাই, তারা ফুটপথে থাকে।

আভাস (ইঙ্গিত)    — পুলিশের আভাসেই চোরটা পালিয়ে গেল।

২৪

আবরণ (আচ্ছাদন) — ছাতার আবরণে রোদ— বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আভরণ (অলংকার) — আভরণের লোভ দেখিয়ে মেয়েদের ঘরে আটকিয়ে রাখা যাবে না।

২৫

আপন (নিজ)     — আপন কাজে কেউ ফাঁকি দেয় না।

আপন (দোকান)   — আপন থেকে লবণ কিনে আনো।

২৬

আষাঢ় (মাস বিশেষ) — বাংলাদেশে আষাঢ়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়।

আসার      (প্রবল বৃষ্টিপাত)— আসার বন্যার অন্যতম কারণ।

২৭

উপাদান (উপকরণ) — আমাদের দেশে কৃষি উপাদান সহজলভ্য।

উপাধান (বালিশ)   — উপাধানে মাথা রেখে ঘুমাও।

২৮

ওষধি (যে গাছ একবার ফল দিয়ে মারা যায়)— ধান ওষধি গাছ।

ওষধি (ভেষজ উদ্ভিদ) — ওষধির পর্যাপ্ত চাষ বাংলাদেশের জন্য জরুরি।

২৯

কূল   (তট)      — নদিকূলে বসে সূর্যাস্ত দেখতে ভালো লাগে।

কুল   (বংশ)     — উঁচুকুল জন্মালেই ভালো মানুষ হওয়া যায় না।

৩০

কাক  (পাখি বিশেষ) — কাক কালো হয়।

কাঁখ (কোমর)    — কাঁখে কলসি গ্রামীণ বধূর প্রাচীন ছবি।

৩১

কালি (লেখার রং)      — কালো কালিতে ভালো লেখা হয়।

কালী (সনাতন ধর্মের দেবী) — কালী শক্তির প্রতীক।

৩২

ক্রীত (কেনা হয়েছে যা)   — শ্রমিকেরা ক্রীতদাস নয়।

কৃত   (করা হয়েছে যা)   — প্রত্যেক মানুষ নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করে।

৩৩

কপাল  (ললাট)         —কপাল ভালোমন্দ বলে কিছু নাই কাজ করলে ফল লাভ করা যায়।

কপোল      (গণ্ডদেশ)        — জ্বর এলে কপোলে হাত দিয়ে তাপমাত্রা বোঝা যায়।

৩৪

খাট   (পালঙ্ক)         — খাটতো দূরের কথা আমাদের দেশে বহু মানুষের ঘরই নাই।

খাটো (বেঁটে)          — আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ খাটো প্রকৃতির।

৩৫

খুর   (পশুর পায়ের তলদেশ) — গরুর খুরের নিচে পা পড়লে মানুষের পা থেতলে যায়।

ক্ষুর   (চুল দাড়ি কামাবার অস্ত্রবিশেষ)—এখন ক্ষুরের চেয়ে বে¬ড দিয়েই বেশি মানুষ শেভ করে।

৩৬

গা    (শরীর)         — কৃষকের গা রোদে পুড়ে তামাটে হয়।

গাঁ    (গ্রাম)          — গাঁয়ের মানুষ সহজসরল হয়।

৩৭

গাদা (রাশি, স্তুপ)      — কৃষক ধান কেটে গাদা দিয়েরাখে।

গাধা (গর্ধভ)         — গাধার সামনে মূলা ঝুলিয়ে ভারটানা সহজ।

৩৮

গোকুল      (বৃন্দাবন)   — কৃষ্ণ গোকুলে বাঁশি বাজায়।

গোকুল      (গরুজাতি) — গোকুল আমাদের গৃহপালিত পশু।

৩৯

ঘোড়া (অশ্ব)          — ঘোড়ার গায়ে শক্তি বেশি।

ঘোরা (বিচরণ)        — রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

৪০

চাখড়ি (খড়িমাটি)       — চাখড়ি দিয়ে কাপড়ে দাগকাটা যায়।

চাকরি (বেতনের বিনিময়ে কাজ)— চাকরিতে স্বাধীনতা নাই।

৪১

চাল   (ঘরের চালা)      — গ্রামেও এখন আর খড়ের চালের প্রচলন নাই।

চাল   (চাউল)         — চালের বাজারে এখন সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই।

৪২

চির   (দীর্ঘকাল)        — চিরদিন কেউ বেঁচে থাকে না।

চীর   (ছেঁড়া কাপড়)     — চীর হলেও পরিষ্কার করে পরতে হয়।

৪৩

ছার   (অধম)         — সে আবার কোন ছার, তাকে কুর্নিশ করতে হবে।

ছাড় (অনুমতি)        — অশালীন সিনেমা প্রদর্শণীয় ছাড়পত্র বাতিল করতে হবে।

৪৪

ছাদ   (আচ্ছাদন)       — ছাদে উঠলেই চাঁদে যাওয়া যায় না।

ছাঁদ   (আকৃতি, গঠন)    — পৃথিবীতে নানা ছাঁদের মানুষ দেখা যায়।

৪৫

জল   (পানি)          — জলের কোন রং নেই।

জ্বল   (দীপ্তি)          — রাতে ঝোপে ঝোপে জোনাকির আলো জ্বলজ্বল করে।

৪৬

জাম (ফলবিশেষ)      — পাকা জামের রস মধুর।

যাম   (অংশ)          — দিবসের দ্বিতীয় যামে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।

৪৭

জিব (জিহ্বা)          — কুকুরের জিব দিয়ে লালা পড়ে।

জীব (প্রাণী)          — বুদ্ধির জোরেই জীব জগতে মানুষ শ্রেষ্ঠ।

৪৮

জ্যোতি (আলো)         — চাঁদের নিজের কোন জ্যোতি নাই।

যতি (ছেদ)          — কাজে যতি দেওয়া মানে কাজবন্ধ করা নয়।

৪৯

টিকা (রোগের প্রতিষেধক) — টিকা দিলে অনেক রোগের আক্রমন থেকেরক্ষা পাওয়া যায়।

টীকা (ব্যাখ্যা)         — অবোধ্য লেখায় টীকা টিপ্পনি জুড়ে স্পস্ট করতে হয়।

৫০

টেকা (সয়ে থাকা)      — দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গরিব মানুষের টেকা দায়।

টেক্কা (প্রতিযোগিতা)     — হস্তশিল্প যন্ত্রশিল্পের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে টিকতে পারে না।

৫১

ঠক   (ধ্বনিবিশেষ)      — ঠকঠক শব্দ করে সে অন্ধকার রাস্তায় হেঁটে চলে।

ঠক   (প্রতারক)        — ঠক মানুষকে কেউ শ্রদ্ধা করে না।

৫২

ডোল (ভাণ্ড)               — ডোলে ধান চাল রাখা হয়।

ঢোল (বাদ্যযন্ত্র)        — ঢাক ঢোল বাজিয়ে আসর জমিয়ে নিলো।

৫৩

ডাল (শাখা)          — ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে।

ডাল (খাদ্যবিশেষ)      — গরিবের ডালভাত খেয়ে দিন কাটে।

৫৪

ঢাল   (আঘাত প্রতিরোধ করার অস্ত্র)—ঢাল দিয়ে সে তীরের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করল।

ঢাল   (ঢালু জমিবিশেষ)   — পাহাড়ের ঢালে ঢালে জুম চাষ হয়।

৫৫

দিন   (দিবস)         — দিন যেয়ে রাত আসে।

দীন   (দরিদ্র)         — দীনে দয়া করা মানুষের ধর্ম।

৫৬

দেশ   (ভূখণ্ড)         — অনেক শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে।

দ্বেষ   (হিংসা)         — দ্বেষ মানুষকে ধবংস করে।

৫৭

দীপ   (আলো)         — মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে শুভ কামনা করা হয়।

দ্বীপ   (জলবেষ্টিত স্থলভাগ) — ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম বদ্বীপ।

৫৮

ধনী   (বিত্তশালী)       — ধনী মানুষের ধনের লোভ অপরিসীম।

ধ্বনি (আওয়াজ)       —১৯৭১ সালে ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি রাজাকারদের আতঙ্কিত করে তুলত।

৫৯

ধরা   (পৃথিবী)         — ধনে ধান্যে ভরা আমাদের এই ধরা।

ধড়া (কটি বস্ত্র)      — ধড়া পরে তাকে অসহায় মনে হচ্ছে।

৬০

ধাতৃ (বিধাতা)        — মানুষের মাঝেই ধাতৃ নিজেকে লুকিয়ে রাখেন।

ধাত্রী (দাই)          — ধাত্রী মা শিশুটিকে লালনপালন করেন।

৬১

নীর   (পানি)          — বানের নীর মানুষের দুঃখের কারণ।

নীড় (পাখির বাসা)     — কোকিল নীড় বানাতে পারে না।

৬২

নিতি (রোজ)         — নিতি দিন তোমার কাছে আমার প্রার্থনা।

নীতি (নিয়ম)         — দেশ পরিচালনার নীতিই রাজনীতি।

৬৩

নিত্য (প্রতিদিন)        — সে নিত্য এখানে আসা যাওয়া করে।

নৃত্য (নাচ)          — ছোট শিশুটির নৃত্য সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

৬৪

নিরাশ (আশাহীন)       — নিরাশ মানুষকে সফল হতে দেয় না।

নিরাস (প্রত্যাখ্যান)       — দুর্নীতিকে মানুষ নিরাস করেছে।

৬৫

নিরস্ত্র (অস্ত্রহীন)— ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সৈন্য।

নিরস্ত (ক্ষান্ত)     — শহিদ হয়েছে তবু যুদ্ধে বাঙালি নিরস্ত হয়নি।

৬৬

প্রদান (দেওয়া)    — ভিয়েতনাম সরকার দুজন বাংলাদেশিকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করেছে।

প্রধান (বড়, শ্রেষ্ঠ) — ভাত বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য।

৬৭

পরা   (পরিধান)        — আদিম মানুষ কাপড় পরত না।

পড়া (পাঠ করা)       — বই পড়া মজার কাজ।

৬৮

পান   (পাতা বিশেষ)     — পাহাড়ে পানের চাষ ভালো হয়।

পান   (পান করা)       — ধূমপান বদ অভ্যাস।

৬৯

প্রসাদ (অনুগ্রহ)        — প্রসাদ নয়, গরিবকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে।

প্রাসাদ (বড় দালান)      — ঢাকা শহরে প্রাসাদের অভাব নাই।

৭০

পালক (পাখির ডানার অংশ) — পালক পাখিকে শীত ও তাপ থেকে রক্ষা করে।

পলক  (মুহূর্ত, অল্প সময়)      — পারমাণবিক বোমা এক পলকে আমাদের পৃথিবীকে ধবংস করে দিতে পারে।

৭১

পরভৃত      (কোকিল)   — বসন্তে পরভৃত ডাকে।

পরভৃৎ      (কাক)     — পরভৃৎ কাকা করে।

৭২

ফি   (প্রত্যেক)        — ফিবছর আমরা নববর্ষ উদযাপন করি।

ফি   (বেতন)         — ফি বৃদ্ধি করে শিক্ষাকে পণ্য বানানো হচ্ছে।

৭৩

বর্ষা   (ঋতুবিশেষ)      — বর্ষাকালে মাঠঘাট পানিতে ভরে যায়।

বর্শা   (অস্ত্রবিশেষ)      — বর্শার আঘাতে মানুষের মৃত্যু হয়।

৭৪

বান   (বন্যা)          — বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াও।

বাণ   (শর)          — বানবিদ্ধ হরিণ শাবক ছটফট করতে করতে মারা গেল।

৭৫

বল   (শক্তি)          — খাদ্য শরীরের বল বৃদ্ধি করে।

বল   (খেলার বল)      — চার বছর পরপর বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

৭৬

বিনা (ব্যতীত)        — বিনা কারণে কার্য হয় না।

বীণা (বাদ্যযন্ত্র)        — বীণার সুরে মানুষ আনন্দ পায়।

৭৭

বিষ   (গরল)          — আর্সেনিক এক প্রকার বিষ।

বিশ   (কুড়ি)          — বিশ টাকায় এখন এক কেজি আলুও কিনতে পাওয়া যায় না।

৭৮

ভাষণ (উক্তি, কথন, বক্তব্য) — মিথ্যা ভাষণে মানুষকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।

ভাসন (দীপ্তি)          — সূর্যের আলয় সোনা ভাসন ছড়ায়।

৭৯

ভারা (স্তূপাকার)        — ধান কাটা শেষে চাষিরা ভারা করে রাখে।

ভাড়া (মাশুল)         — এখন বাসের ভাড়াও মানুষের অসহনীয়।

৮০

মন   (অন্তর, হৃদয়)     — মনই মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

মণ   (চল্লিশ সের)      — পরিমাপের জন্য এখন আর মণ ব্যবহার করা হয় না।

৮১

মাস   (ত্রিশ দিন)      — বারমাস সে এখানে থাকে।

মাষ   (কলাই)         — মাষকলাই ডাল খেতে ভালো।

৮২

মুখ   (বদন)     — পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতে ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

মুক   (বোবা)         — মুক মানুষ কথা বলতে পারে না।

৮৩

মরা   (মৃত)          — মরা মানুষ পানিতে ভেসে ওঠে।

মড়া (শবদেহ)        — মড়াকে তাড়াতাড়ি সৎকার করাই ভালো।

৮৪

মূর্খ   (জ্ঞানহীন)       — মূর্খ মানুষের কান্ডজ্ঞান থাকে না।

মুখ্য   (প্রধান)         — মেধা নয়, টাকাই শিক্ষা গ্রহনের জন্য মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এখন।

৮৫

মোড়ক      (আচ্ছাদন)   — বিজ্ঞাপনের মোড়কে পন্যের গুণ বোঝা যায় না।

মড়ক (মহামারি)        — আগে মড়ক লেগে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত।

৮৬

যোগ্য (উপযুক্ত)        — মন্ত্রীর ছেলে চোর যোগ্য বাপের যোগ্য পুত্র বটে।

যজ্ঞ   (যাগ, উৎসব)     — বিজয় দিবস বাঙালিদের মিলনযজ্ঞ।

৮৭

রচক (রচয়িতা)        — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের রচক।

রোচক (উপভোগ্য)      — মুখরোচক হলেই খাদ্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয় না।

৮৮

রাধা (রাধিকা)        — রাধা কৃষ্ণের লীলা বৈষ্ণব মতে ভগবত লীলা।

রাঁধা (রন্ধন করা)      — যে ভাতরাঁধে সে চুলও বাধে।

৮৯

লক্ষ   (সংখ্যা বিশেষ)     — লক্ষ লক্ষ মানুষ মাঠে নেমেছে।

লক্ষ্য (দৃষ্টি, উদ্দেশ্য, গন্তব্যস্থল) — স্বাধীনতা পরবর্তী সংবিধানই আমাদের লক্ষ।

৯০

লব্ধ   (লাভ করা)      — জ্ঞানলব্ধ মানুষ পথ চিনতে ভুল করে না।

লুব্ধ   (আকৃষ্ট)         — মানুষের পোশাক দেখে অনেকেই লুব্ধ হয়।

৯১

লক্ষণ (চিহ্ন)          — নিয়মিত লেখাপড়া করা ভালো ছাত্রের লক্ষণ।

লক্ষ্মণ (রামের ভাই)     — রাম লক্ষ্মণ সহোদয়।

৯২

শক্ত   (কঠিন)         — কাদা মাটি নরম হলেও গুড়িয়ে ইট শক্ত হয়।

সক্ত   (আসক্ত)         — মাদকাসক্ত সন্তান মা— বাবার কষ্টের কারণ।

৯৩

শয্যা (বিছানা)        — শয্যা বিছিয়ে সে ঘুমিয়ে গেলো।

সজ্জা (সাজ)          — বর সজ্জায় তাকে বেশ মানিয়েছে।

৯৪

শীত (শীতল)         — উত্তরবঙ্গে শীত বেশি পড়ে।

সিত (সাদা)          — সিত কাগজে ইচ্ছামত লেখা হয় না।

৯৫

শব   (মৃতদেহ)        — সব ধর্মেই শব সৎকারের কথা আছে।

সব   (সকল)         — সব মানুষের মুখে ভাত যোগানোর দায়িত্ব সরকারের।

৯৬

শিকার      (মৃগয়া)         — শিকার করা অনেক মানুষের শখ।

স্বীকার      (মেনে নেওয়া)     — ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্য পরাজয় স্বীকার করে।

৯৭

সর্গ   (অধ্যায়)        — বইটি পাঠ সর্গে সাজানো।

স্বর্গ   (বেহেশত)        — মাতৃভূমি মানুষের কাছে স্বর্গের সমান।

৯৮

সহিত (সঙ্গে)          — পণ্যের সহিত ফ্রি দেওয়া বিক্রয় কৌশল।

স্ব—হিত (নিজ কল্যাণ)    — পাগলেও স্ব-হিত বোঝে।

৯৯

সাড়া (সংকেত)        — বিড়ালের সাড়া পেয়ে ইঁদুরটি পালিয়ে গেল।

সারা (সমাপ্ত)         — কাজ সারা হলেই ঘরে ফিরব।

১০০

সাক্ষর (শিক্ষিত, অবদান) — আমাদের দেশে সাক্ষর মানুষ কম।

                      /সাহিত্যে তিনি সাক্ষর রেখেছেন।

স্বাক্ষর (নামসই)        — আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই স্বাক্ষর করতে জানে না।

১০১

হুতি (হোম)          — পুরোহিত অগ্নিতে সৃতাহুতি দিয়ে মন্ত্র পাঠ শুরু করলেন।

হূতি   (আহবান)        — শ্রমিক অহূতিতে আগামিকাল ধর্মঘট।

১০২

হাড়   (অস্তি)     — হাড়ই সম্বল, তার শরীরে মাংস নাই বললেই চলে।

হার   (পরাজয়)   — প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কাউকে না কাউকে হার মানতেই হয়।

১০৩

হাঁস   (হংস)     — হাঁস পানিতে সাতাঁর কাটে।

হাস   (হাসি)     — হাসতে পারলে মন ভালো থাকে।

 

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]