ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বলা বর্ণ/ Letter। বর্ণ দুই প্রকার। যেমন :
স্বরবর্ণ : স্বরধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন : অ, আ, ই, ঈ, উ, উ ইত্যাদি।
ব্যঞ্জনবর্ণ : ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমন : ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি।
বর্ণমালা : যে কোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত সকল বর্ণকে সেই ভাষার বর্ণমালা/Alphabet বলা হয়। বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে। তার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
স্বরবর্ণ
অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ =১১টি
ব্যঞ্জনবর্ণ
ক খ গ ঘ ঙ (ক-বর্গ) ৫টি
চ ছ জ ঝ ঞ (চ-বর্গ) ৫টি
ট ঠ ড ঢ ণ (ট-বর্গ) ৫টি
ত থ দ ধ ন (ত-বর্গ) ৫টি
প ফ ব ভ ম (প-বর্গ) ৫টি
য র ল ৩টি
শ ষ স হ ৪টি
ড় ঢ় য় ৎ ৪টি
ং ঃ ঁ ৩টি = ৩৯টি
‘ঐ ঔ’ দুটি দ্বিস্তর বা যুগ্ম স্বরধ্বনির প্রতীক। যেমন: অই (অ+ই/ও+ই), ঔ (অ+উ/ও +উ)
বর্ণমালার সংখ্যা
১. বর্ণমালা (৫০টি) : অ-ঐ, ক-ঁ পর্যন্ত
২. স্বরবর্ণ (১১টি) : অ-ঔ পর্যন্ত
৩. ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯টি) : ক-ঁ পর্যন্ত
৪. বর্গীয় বর্ণ (২৫টি) : ক খ গ ঘ ঙ/চ ছ জ ঝ ঞ/ট ঠ ড ঢ ণ/ত থ দ ধ ন/প ফ ব ভ ম
৫. কার (৯টি) : আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ,ঐ, ও, ঔ
৬. ফলা (৬টি) : ন-ফলা, ম-ফলা, ব-ফলা, য-ফলা, র-ফলা, ল-ফলা
৭. অল্পপ্রাণ স্বরবর্ণ (৫টি) : অ ই উ এ ও
৮. মহাপ্রাণ স্বরবর্ণ (৫টি) : আ ঈ ঊ ঐ ঔ
৯. অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনবর্ণ (২৪টি) : ক গ ঙ/চ জ ঞ/ট ড ণ/ত দ ন/প ব ম/য র ল শ/ষ স ড় য়/ঃ
১০. মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনবর্ণ (১১টি) : খ ঘ/ছ ঝ/ঠ ঢ/থ ধ/ফ ভ ঢ়
১১. পূর্ণমাত্রা স্বরবর্ণ (৬টি) : অ আ /ই ঈ /উ ঊ
১২. মাত্রাহীন স্বরবর্ণ (৪টি) : এ ঐ ও ঔ
১৩. মৌলিক স্বরবর্ণ (৮টি) : অ আ /ই ঈ /উ ঊ /এ ও
১৪. মৌলিক স্বরবর্ণ (২টি) : ঐ (অ/ও+ই), ঔ (অ/ও+উ)
১৫. পূর্ণমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ (২৬টি) : ক ঘ/চ ছ জ ঝ /ট ঠ ড ঢ/ত দ ন/ফ ব ভ ম/য র ল ষ/স হ ড় ঢ় য়
১৬. অর্ধমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ (৭টি) : খ গ ণ থ ধ প শ
১৭. মাত্রাহীন ব্যঞ্জনবর্ণ (৬টি) : ঙ ঞ ঃ ঁ ৎ ং
১৮. আশ্রিত বর্ণ (৩টি) : ং, ঃ, ঁ
১৯. নাসিক্য বর্ণ/অনুনাসিক (৭টি) : ঙ, ঞ, ণ, ন, ম, ঃ ঁ
২০. দ্বিস্বর/যৌগিক স্বর (২৫টি) : অই, অউ, অয়, অও, আই, আউ, আয়, আও, ইই, ইউ, ইয়ে, ইও, উই, উয়া, এয়া, এই, এও, ওও
২১. যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ (২টি) : ঐ ঔ
২২. স্পর্শ ব্যঞ্জন (২৫টি) : ক-ম পর্যন্ত
২৩. উষ্মধ্বনি/শিশধ্বনি (৪টি) : শ, ষ, স, হ
কার (স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ)
স্বরবর্ণের এবং কতগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের দুটি রূপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্ণরূপ। যেমন : অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
এই রূপ বা form শব্দের আদি, মধ্য, অন্ত-যে কোনো অবস্থানে বসতে পারে। স্বরধ্বনি যখন ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয় তখন সে স্বরধ্বনিটির বর্ণ সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। স্বরবর্ণের এই সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় সংক্ষিপ্ত স্বর বা ‘কার’। নামানুসারে এদের নামকরণ করা হয়। যেমন :
অ-এর সংক্ষিপ্ত রূপ/ ‘কার’ নাই। আ-কার-া ই-কার-ি ঈ-কার-ী উ-কার-ু ঊ-কার-ূ |
ঋ-কার-ৃ এ-কার-ে ঐ-কার-ৈ ও-কার-ো ঔ-কার-ৌ |
ফলা (স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ)
স্বরবর্ণ যেমন ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয়, তেমনি কোনো কোনো ব্যঞ্জনবর্ণও কোনো কোনো স্বর কিংবা অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয় এবং কখনো কখনো সংক্ষিপ্তও হয়। যেমন : মা, ম্র ইত্যাদি। স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে যেমন ‘কার’ বলা হয় তেমনি ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ‘ফলা’। এভাবে যে ব্যঞ্জনটি যুক্ত হয় তার নাম অনুসারে ফলার নামকরণ করা হয়। যেমন : ম-এ য-ফলা=ম্য, ম-এ র-ফলা=ম্র, ম-এ ল-ফলা=ম্ল, ম-এ ব-ফলা=স্ব র-ফলা ব্যঞ্জনবর্ণের পরে হলে লিখতে হয় নিচে। ‘ম্র’, আবার ‘র’ যদি ম-এর আগে উচ্চারিত হয়। যেমন : ম-এ রেফ ‘র্ম’ তবে লেখা হয় ওপরে ব্যঞ্জনটিতে মাথায় রেফ (র্) দিয়ে। ‘ফলা’ যুক্ত হলে যেমন তেমনি ‘কার’ যুক্ত হলেও বর্ণের আকৃতি পরিবর্তন ঘটে। যেমন : হ-এ উ-কার-হু, গ-এ উ-কার=গু, শ-এ উ-কার=শু, স-এ উ-কার-সু, র-এ উ-কার= রু, র-এ ঊ-কার=রূ, হ-এ ঋ-কার=হৃ।
পরাশ্রয়ী বর্ণ
ং ঃ ঁ-তিনটি বর্ণ স্বাধীনভাবে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। এ বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি অন্য ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্রে উচ্চারিত হয়। তাই এদের বলা হয় পরাশ্রয়ী বর্ণ।
যুক্তবর্ণ
দুই বা ততোধিক ব্যঞ্জনবর্ণ অথবা ব্যঞ্জনচিহ্ন একত্রে যুক্ত হয়ে অর্থবোধক ধ্বনি সৃষ্টি করলে যুক্তবর্র্ণ হয়। অ-এর হসোচ্চারণ নিতেই ব্যঞ্জন ও ব্যঞ্জনের অর্থপূর্ণ যুক্ত অবস্থানকে যুক্তবর্ণ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, মুক্ত উচ্চারণ হতে মুক্তি পেতে বর্ণের যুক্ত অবস্থাকে যুক্তবর্ণ বলে। উচ্চারণ বিভ্রাট থেকে মুক্তি পেতেও বর্ণকে যুক্ত করা হয়। যেমন:
অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ
যেসব যুক্তবর্ণ না ভাংলে বুঝা যায় না যে তারা কোন বর্ণ তাদের অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ বলে। দুটি বা তিনটি বর্ণ যুক্ত হতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে এনসিটিবি যেরূপে যুক্তবর্ণ ব্যবহার করছে সেরূপ রাখা হয়েছে।
১. ক্ষ/খিও (ক+ষ): ক্ষত, লক্ষ, বক্ষ, শিক্ষিত, পরীক্ষা।
২. ঙ্ক্ষ (ঙ+ক+ষ): আকাঙ্ক্ষা, কাঙ্ক্ষিত।
৩. ক্ষ্ণ (ক+ষ+ণ): তীক্ষ্ণ, সুতীক্ষ্ণ।
৪. ক্ষ্ম (ক+ষ+ম): যক্ষ্মা, সূক্ষ্ম, লক্ষ্মী, লক্ষ্মণ।
৫. হ্ম (হ+ম): ব্রহ্ম, ব্রাহ্ম, ব্রাহ্মবাড়িয়া।
৬. ত্ত /ত্ত্ব (ত+ত/ত+ত+ব): উত্তর, সত্তর, মহত্ত্ব, তত্ত্ব।
৭. ত্থ (ত+থ): উত্থান, উত্থাপন।
৮. হ্ন (হ+ন): মধ্যাহ্ন, আহ্নিক।
৯. হ্ণ (হ+ণ): অপরাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ।
১০. ট্ট (ট+ট): অট্টহাসি, চট্টগ্রাম
১১. জ্ঞ (জ+ঞ): জ্ঞান, বিজ্ঞ, বিজ্ঞান, অজ্ঞ, অজ্ঞান, অভিজ্ঞতা, প্রতিজ্ঞা।
১২. ঞ্জ (ঞ+জ): ব্যঞ্জন, অঞ্জন, গুঞ্জন, গঞ্জ, সরঞ্জাম, খঞ্জন, আশুগঞ্জ, অঞ্জন।
১৩. ঞ্চ (ঞ্চ+চ): পঞ্চম, সঞ্চয়, অঞ্চল, বঞ্চনা, চঞ্চু, সঞ্চিত।
১৪. ষ্ণ (ষ+ণ): তৃষ্ণা, সহিষ্ণু, কৃষ্ণ, বিষ্ণু।
১৫. ত্র /ত্র (ত+র-ফলা): ছাত্র, ছাত্রী, ছত্রাক, বেত্রাঘাত।
১৬. ভ্র /ভ্র (ভ+র-ফলা): ভ্রমন, ভ্রমণ।
স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ বা ফলাবর্ণ
যেসব যুক্তবর্ণ না ভাংলেও বুঝা যায় যে তারা কোন বর্ণ তাদের স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ বা ফলাবর্ণ বলে। আ-কারযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ সবমসয় ও-কারন্ত হয়।
১. ক্ক—অক্কা, ধাক্কা, মক্কা
২. ক্ত—ওক্ত, ভক্ত, শক্ত
৩. ক্ট—অক্টোবর, অক্টপাস
৪. ক্ব—ক্বচিৎ, পক্ব
৫. ক্স—বক্স, কক্সবাজার, অক্সিজেন
৬. ক্ল—অক্লান্ত, ক্লান্ত
৭. গ্ন—অগ্নি, মগ্ন, ভগ্ন
৮. গ্ধ—দগ্ধ, মুগ্ধ, স্নিগ্ধ
৯. গ্ল— গ্লানি, গ্লাস,
১০. ঘ্ন—কৃতঘ্ন, বিঘ্ন
১১. ঙ্ক—অঙ্ক, অঙ্কুর, অঙ্কন। বিদেশি শব্দে ঙ না বসে ং বসে।
১২. ঙ্খ—শঙ্খ, শৃঙ্খলা
১৩. ঙ্গ—অঙ্গ, সঙ্গ, বঙ্গ, মঙ্গল
১৪. ঙ্ঘ—সঙ্ঘ, লঙ্ঘন
১৫. চ্চ—উচ্চ, উচ্চারণ, উচ্চারিত
১৬. চ্ছ—কচ্ছপ, সচ্ছল স্বচ্ছ।
১৭. চ্ছ্ব—উচ্ছ্বল, জলোচ্ছ্বাস।
১৮. জ্জ—সজ্জা, মজ্জা, লজ্জা
১৯. জ্ব —জ্বর, জ্বলন্ত, জ্বালা
২০. জ্জ্ব—উজ্জ্বল, সমুজ্জ্বল
২১. জ্ঝ—কুজ্ঝটিকা
২২. ঞ্ছ—লাঞ্ছনা, বাঞ্ছা
২৩. ঞ্ঝ—ঝঞ্ঝাট
২৪. ড্ড—আড্ডা, বাড্ডা, উড্ডীন
২৫. ণ্ট—কণ্টক, ঘণ্টা, বণ্টন। বিদেশি শব্দে ণ্ট না বসে ন্ট বসে।
২৬. ণ্ন—অক্ষুণ্ন, ক্ষুণ্ন, বিষণ্ন। বিদেশি শব্দে ণ না বসে ন বসে।
২৭. ণ্ঠ—আকুণ্ঠ, কণ্ঠ
২৮. ণ্ড—দণ্ড, খণ্ড, পণ্ড। প্রাদেশিক ও বিদেশি শব্দে ন্ড বসে। যেমন: ঠান্ডা, ঝান্ডা, জন্ডিস
২৯. ত্ন—রত্ন, যত্ন
৩০. ত্ব—ত্বড়িৎ, চত্বর, দ্বিত্ব
৩১. ত্ম—আত্মা, মহাত্মা, আত্মীয়
৩২. থ্ব—পৃথ্বী
৩৩. দ্দ—উদ্দাম, সাদ্দাম, উদ্দীপনা
৩৪. দ্ভ—অদ্ভুত, উদ্ভাবন, উদ্ভিদ
৩৫. দ্ব—দ্বিত্ব, দ্বাদশ, দ্বিপ
৩৬. দ্ম—পদ্ম, ছদ্ম
৩৭. ন্ন—অন্ন, নবান্ন, কান্না, রান্না
৩৮. ন্ত—অনন্ত, দন্ত, শান্ত
৩৯. ন্থ—গ্রন্থ, মন্থর, গ্রন্থাগার
৪০. ন্দ—সুন্দর, ছন্দ, বিন্দু, মন্দ
৪১. ন্দ্ব—দ্বন্দ্ব
৪২. ন্ড—এন্ড, বন্ড, ঝান্ডা, ঠান্ডা, জন্ডিস (প্রদেশি ও বিদেশি শব্দ)
৪৩. ন্ঠ—লন্ঠন (বিদেশি শব্দ)
৪৪. ন্ধ—অন্ধ, ^ন্ধ, বন্ধু
৪৫. ন্ব—অন্বয়, সমন্বয়
৪৬. ন্ম—জন্ম, জন্মান্ধ
৪৭. ন্স—মুন্সি, চান্স
৪৮. প্প—পাপ্পু, থাপ্পর, খপ্পর
৪৯. প্ট—চ্যাপ্টা, কিপ্টা
৫০. প্ন—স্বপ্ন, স্বপ্নময়
৫১. প্ল—প্লট, প্লেট, প্লেটো
৫২. প্স—অপ্সরা, অপ্সরী
৫৩. ফ্ল—ফ্লাই, ফ্লাস, ফ্লাইওভার
৫৪. ব্জ—কব্জা, কব্জি, শব্জি
৫৫. ব্দ—অব্দ, জব্দ, শব্দ
৫৬. ব্ধ—আনব্ধ
৫৭. ব্ব—আব্বা, জব্বার
৫৮. ব্ল—ব্লক, ব্ল্যাক
৫৯. ম্ম—আম্মা, সম্মান
৬০. ম্প—বাম্পার, সম্পাদক
৬১. ম্ফ—লম্ফ, ঝম্ফ
৬২. ম্ব—কম্বল, সম্বল, জাম্বু, লম্বা
৬৩. ম্ভ—সম্ভব, অসম্ভব
৬৪. ম্ন—নিম্ন, চিম্নি
৬৫. ম্ল—অম্ল, ম্লান
৬৬. ম্প্র—সম্প্রসারণ
৬.৭. ম্ভ্র—সম্ভ্রম, সম্ভ্রান্ত
৬৮. ল্ক—উল্কা, মিল্ক, শুল্ক
৬৯. ল্গ—বল্গা
৭০. ল্প—অল্প, স্বল্প, গল্প
৭১. ল্ট—উল্টা, মাল্টা, পাল্টাপাল্টি
৭২. ল্ব—বাল্ব
৭৩. ল্ম—গুল্ম, বাল্মীকি
৭৪. ল্ল—মাল্লা, হল্লা, পল্লব, পল্লি
৭৫. শ্চ——নিশ্চয়, পশ্চাৎ
৭৬. শ্ন—প্রশ্ন, প্রশ্নমালা
৭৭. শ্ম—অশ্ম, রশ্মি, শ্মশান
৭৮. শ্ল—শ্লথ, শ্লোক, শ্লোগান
৭৯. শ্ব—শ্বশুর, শ্বসন, বিশ্ব
৮১. ষ্ট—চেষ্টা, পুষ্টি, মিষ্টি। বিদেশি শব্দে ষ্ট না বসে স্ট বসে।
৮২. ষ্ঠ—মুষ্ঠি, গুষ্ঠি, নিষ্ঠা, পৃষ্ঠা
৮৩. ষ্প—পুষ্প, বাষ্প, নিষ্পাপ
৮৪. ষ্ফ—নিষ্ফল, নিষ্ফলা
৮০. ষ্ক—শুষ্ক, আবিষ্কার, পরিষ্কার
৮৫. ষ্ম—উষ্ম, ভষ্ম, গ্রীষ্ম
৮৬. স্ক—পুরস্কার, স্কুল, বয়স্ক
৮৭. স্খ—স্খলন
৮৮. স্ট—স্টক, স্টেশন, স্টোর, স্টার (বিদেশি শব্দ)
৮৯. স্ত—অস্ত, বাস্তব, রাস্তা
৯০. স্থ—স্থান, সংস্থান, সংস্থাপন
৯১. স্ন—স্নান, স্নাতক, স্নেহ
৯২. স্প—স্পর্শ, স্পষ্ট, ইস্পাত
৯৩. স্ফ—বিস্ফোরণ, অস্ফুটন, স্ফুরণ
৯৪. স্ম—স্মরণ, স্মৃতি, বিস্মৃতি, বিস্ময়
৯৫. স্ব—স্বাধীন, স্বজন, স্বয়ং
৯৬. হ্ব—আহ্বান (আওভান), জিহ্বা (জিউভা)
৯৭. হ্ল—আহ্লাদ, আহ্লাদি
স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের প্রকরণ
স্বররচিহ্ন বা স্বরকারগত প্রকরণ
১. আ-কার : আম, জাম
২. ই-কার : ইট, চিনি, কবি
৩. ঈ-কার : ঈগল, ছাত্রী, জননী
৪. উ-কার : উট, কুকুর, কুসুম
৫. ঊ-কার : ঊষা, সূর্য, কূজন
৬.. এ-কার : একুশ, ছেলে, মেয়ে
৭. ঐ-কার : ঐরাবত, কৈ, খৈ
৮.. ও-কার : ওজন, চোখ, ঢোল
৯. ঔ-কার : ঔষধ, নৌকা, মৌ/মউ
১০. ঋ-কার : কৃষক, গৃহ, মৃত, ঘৃণা
ব্যঞ্জনচিহ্ন বা ফলা ও রেফগত প্রকরণ
১. ন-ফলা : চিহ্ন, অপরাহ্ণ, রত্ন, কৃষ্ণ
২. ব-ফলা : বিশ্ব, নিঃস্ব, নিতম্ব
৩. ম-ফলা : পদ্ম, আত্মা
৪. র-ফলা : ক্রয়, ভ্রমণ, গৃহ, কৃষক। র-রেফ : কর্ম, ধর্ম
৫. য-ফলা : সহ্য, পদ্য
৬. ল-ফলা : ক্লান্ত, অম্লান, উল্লাস
স্ববর্ণের স্বরগত প্রকরণ
১. অল্পপ্রাণ (৫টি) : অ ই উ এ ও
২. মহাপ্রাণ (৫টি) : আ ঈ ঊ ঐ ঔ
ব্যঞ্জনবর্ণের স্বরগত প্রকরণ
১. অল্পপ্রাণ (২৪টি): ক গ ঙ/চ জ ঞ /ট ড ণ/ত দ ন/প ব ম/য র ল শ/ষ স ড় য় ঃ।
২. মহাপ্রাণ (১১টি): খ ঘ/ছ ঝ/ঠ ঢ/থ ধ/ফ ভ ঢ়।
মাত্রা
বর্ণ বর্ণসংখ্যা স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ
পূর্ণমাত্রা ৩২ ৬ ২৬
অর্ধমাত্র ৮ ১ ৭
মাত্রাহীন ১০ ৪ ৬
স্ববর্ণের মাত্রাগত প্রকরণ
১. পূর্ণমাত্রা (৬টি) : অ আ /ই ঈ /উ ঊ
২. মাত্রাহীন (৪টি): এ ঐ ও ঔ
ব্যঞ্জনবর্ণের মাত্রাগত প্রকরণ
১. পূর্ণমাত্রা (২৬টি): ক ঘ/চ ছ জ ঝ/ট ঠ ড ঢ/ত দ ন/ফ ব ভ ম/য র ল ষ/স হ ড় ঢ় য়
২. অর্ধমাত্র (৮টি): খ গ ণ থ ধ প ঋ শ
৩. মাত্রাহিন (৪টি): ঙ ঞ ঃ ঁ
স্ববর্ণের গঠনগত স্বরবর্ণের প্রকরণ
১. মৌলিক (৭টি) : অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা
২. যৌলিক (২ট) : ঐ (অ+ই/ও+ই), ঔ (অ+উ/ও+উ)
ব্যঞ্জনবর্ণের নাসিক্যবর্ণ (৩টি)
ন/ণ/ঞ, ঙ/ং, ম
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ