বাংলা ভাষার পরিচয়
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের প্রাচ্য শাখার অন্তর্গত একটি ভাষা হলো বাংলা। এই ভাষাবংশ খ্রিষ্টপূর্ব প্রায়
আড়াই হাজার বছর আগে ইউরোপ, এশিয়ার ইরান ও ভারতের বিস্তৃত অঞ্চলে বিকাশ লাভ করে। এই
ভাষাগোষ্ঠীর মূল আবাসভূমি ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কৃষ্ণসাগরের নিকটবর্তী উত্তরে দানিয়ুব নদীর মুখ থেকে
কাস্পিয়ান সাগরের অঞ্চলবর্তী ভূখÐে। পরবর্তীকালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মূল অঞ্চল থেকে ভাষাব্যবহারকারীরা
ইউরোপের পশ্চিম অঞ্চলে ক্রমশ অগ্রসর হয়ে একটি দল প্রথমে ইরানে প্রবেশের পর সেখান থেকে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত
দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করে। তারা ভারতের উত্তরাঞ্চলে বসবাসের পর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন সময়ে ভারতের
অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এরাই ভারতবর্ষে আর্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এদের ব্যবহৃত ভাষার প্রভাবেই
নব্যভারতীয় আর্যভাষার অন্তর্গত একটি ভাষারূপে খ্রিস্টীয় ৭ম থেকে ৯ম শতকে বাংলা উদ্ভ‚ত ও বিকশিত হয়। বাংলা
ভাষার শব্দভাÐারে সংস্কৃত ভাষার ব্যাপক প্রভাব থাকলেও এর ব্যাকরণ এবং প্রয়োগবিধি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজস্ব পথ
অনুসারী। আধুনিক কালের প্রেক্ষাপটে বলা চলে যে, বিভিন্ন শব্দের ব্যুৎপত্তিগত কারণে এবং এদের বানানরীতি অনুসরণের
ক্ষেত্রে সংস্কৃত ভাষার নির্দেশনা বাংলা ভাষায় অনুসৃত হলেও বাংলা ভাষার উদ্ভবে সংস্কৃত ভাষার প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা
যেমন নেই তেমনি সরাসরি কোনো প্রভাবও নেই। লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, ভাষার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য অনুসরণের ক্ষেত্রে
অন্যান্য নব্য ভারতীয় আর্যভাষা যেমন হিন্দি, মারাঠি কিংবা গুজরাটি যে মাত্রায় সংস্কৃত ভাষার রূপরীতি মেনে চলে তার
তুলনায় বাংলা ভাষা অনেক বেশি স্বাধীনতা নিয়েই তার আদি-মধ্য স্তর অতিক্রম করে আধুনিক স্তরে উপনীত হয়েছে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
১. বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ