প্রত্যয় ও প্রত্যয় যোগে শব্দ গঠন
বাংলা ভাষায় ধাতু কিংবা প্রাতিপদিকের পরে বিভিন্ন বদ্ধরূপমূল যুক্ত হয়। এই বদ্ধরূপমূলগুলোকে প্রত্যয় নামে অভিহিত
করা হয়। গঠন অনুসারে দুই রকমের প্রত্যয় বাংলা ভাষায় রয়েছে। এগুলো হলো : কৃৎ প্রত্যয় এবং তদ্ধিত প্রত্যয়। কৃৎ
প্রত্যয় যুক্ত হয় ধাতুর সঙ্গে এবং তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত হয় প্রাতিপদিকের সঙ্গে। উল্লেখ্য যে, ক্রিয়াশব্দের মূল অংশকে বলা
হয় ধাতু বা ক্রিয়ামূল বা ক্রিয়াপ্রকৃতি। অপরদিকে, বিভক্তিবিহীন নামশব্দকে বলা হয় প্রাতিপদিক বা নামপ্রকৃতি। অর্থাৎ,
ক্রিয়া কিংবা নামশব্দের মূল অংশকে সাধারণভাবে প্রকৃতি বলা হয়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যে, এই সকল মূল অংশের
সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার শর্তেই এদের প্রকৃতি হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার সামর্থ্য রয়েছে এমন
প্রকৃতি তথা ধাতু এবং প্রাতিপদিক উভয়ই অবিভাজ্য রূপমূল হয় এবং এদের সঙ্গে নির্দিষ্ট প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে
নতুন শব্দ গঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, মুক্তরূপমূল ‘শোন’ একটি ধাতু এবং এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে
বদ্ধরূপমূল তথা প্রত্যয় ‘আ’। এর ফলে, নতুন শব্দ গঠিত হবে ‘শোনা’। আবার মুক্তরূপমূল ‘ঘর’ একটি প্রাতিপদিক এবং
এর সঙ্গে ‘আমি’ প্রত্যয় তথা বদ্ধরূপমূল যুক্ত হয়ে তৈরি হতে পারে নতুন শব্দ ‘ঘরামি’। এভাবে প্রকৃতি এবং প্রত্যয় যোগে
বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ গঠিত হয়। বাংলা ব্যাকরণে ধাতু চিহ্নিত করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যাকরণিক চিহ্ন (√) ব্যবহৃত হয়।
অর্থাৎ √বল্ মানে ‘বল্’ ধাতু।
অর্থাৎ, বাংলা ভাষায় প্রকৃতি দুই প্রকার : নামপ্রকৃতি ও ক্রিয়াপ্রকৃতি। নামপ্রকৃতির কয়েকটি উদাহরণ হলো : লাজ, বড়, ঘর
প্রভৃতি। অপরদিকে, ক্রিয়াপ্রকৃতির কয়েকটি উদাহরণ হলোÑ √পড়্, √নাচ্, √জিত্ প্রভৃতি। একইভাবে, গঠন অনুসারে
বাংলা ভাষায় প্রত্যয় দুই প্রকার : কৃৎ প্রত্যয় এবং তদ্ধিত প্রত্যয়। কৃৎ প্রত্যয়ের কয়েকটি উদাহরণ হলো : -উক, -আই, -
আমি এবং তদ্ধিত প্রত্যয়ের কয়েকটি উদাহরণ হলো : -উয়া, -উনে এবং -আ।
কৃদন্ত শব্দ: কৃৎ প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় কৃদন্ত শব্দ। অর্থাৎ ক্রিয়া প্রকৃতি এবং কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে নতুন শব্দ
গঠিত হয় তাকে বলা হয় কৃদন্ত শব্দ। ওপরের উদাহরণে ব্যবহৃত ক্রিয়া প্রকৃতি এবং কৃৎ প্রত্যয় যোগে গঠিত কৃদন্ত
শব্দগুলো হলো যথাক্রমে : পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা।
তদ্ধিতান্ত শব্দ: তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় তদ্ধিতান্ত শব্দ। ওপরের উদাহরণে ব্যবহৃত নাম প্রকৃতি এবং তদ্ধিত
প্রত্যয়যোগে গঠিত তদ্ধিতান্ত শব্দগুলো হলো: ওপরের লাজুক, বড়াই, ঘরামি।
প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দের গুণ ও বৃদ্ধি : প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের ধারণা রূপতত্তে¡র বিষয় হলেও কখনও কখনও তা শব্দ গঠনে
ধ্বনিতত্ত¡কে সংশ্লিষ্ট করে। মূলত, সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত শব্দের ক্ষেত্রেই এরূপ দেখা যায়। কখনও কখনও লক্ষ করা
যায় যে, নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতি অংশের আদিস্বরের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন নির্দিষ্ট
নিয়ম মেনে চলে। এই নিয়মদ্বয়কেই যথাক্রমে গুণ ও বৃদ্ধি নামে অভিহিত করা হয়। নিচে গুণ ও বৃদ্ধি ঘটার সূত্র উল্লেখ
করা হলো :
গুণ
ই/ঈ-স্থলে এ √চিন্+আ= চেনা, √নী+আ= নেওয়া
উ/ঊ-স্থলে ও √ধু+আ= ধোয়া
ঋ-স্থলে অর √কৃ+তা = র্কতা > কর্তা >ক্রেতা
বৃদ্ধি
অ-স্থলে আ √পচ্+ণক(অক) = পাচক
ই/ঈ-স্থলে ঐ √শিশু+ষ্ণ = শৈশব
উ/ঊ-স্থলে ঔ √যুব্+অন= যৌবন
ঋ-স্থলে আর √কৃ+ঘ্যণ(য-ফলা)= কার্য
এছাড়া, সংস্কৃত নিয়ম অনুসারে কখনও কখনও প্রকৃতির সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার কালে প্রত্যয়ের অংশবিশেষ লোপ পায়।
এই লোপ পাওয়া অংশটিকে ‘ইৎ’ নামে অভিহিত করা হয়। এছাড়া, প্রকৃতির অন্ত্যধ্বনির আগের ধ্বনিকে ‘উপধা’ বলা
হয়ে থাকে এবং প্রকৃতির আদ্যধ্বনির পরবর্তী সকল ধ্বনিকে ‘টি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, ‘ইৎ’ প্রত্যয়ের সঙ্গে
সম্পর্কিত এবং ‘উপধা’ ও ‘টি’ প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, ‘পাঠক’ শব্দটির গঠন হলো :
√পঠ্ (প্+অ+ঠ্) + ণক (ণ্+অ+ক্)। এখানে প্রকৃতি অংশের উপধা হলো ‘প্+অ’, টি হলো ‘অ+ক্’ এবং চ‚ড়ান্তভাবে
শব্দ গঠনের কালে প্রকৃতি অংশে নির্দেশিত ‘অ’-এর বৃদ্ধি ঘটে ‘আ’ হয়েছে। অপরদিকে, প্রত্যয় অংশে ‘ণ্’-এর ইৎ
ঘটেছে।
কৃৎ প্রত্যয়: উৎস অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কৃৎ প্রত্যয়সমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো : বাংলা কৃৎ
প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়। নিচে বিভিন্ন ধরনের কৃৎ প্রত্যয়ের উদাহরণ দেওয়া হলো।
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
অ √র্ধ+অ= ধর
√র্মা+অ = মার
অন (ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনে ব্যবহৃত হয়)
√কাঁদ্+অন = কাঁদন
√নাচ্+অন = নাচন
√বাড়্+অন= বাড়ন
√ঝুল্+অন = ঝুলন
√দুল্+অন = দোলন ধাতুর শেষে ‘আ-কার’ থাকলে ‘ওন’ হয়। যেমন-
√খা+অন = খাওন
অনা
√খেল্+অনা = খেলনা
অনি/উনি
√র্চি+অনি = চিরনি
> চিরুনি
√বাঁধ্+অনি = বাঁধুনি √আঁট্+অনি = আঁটুনি
অন্ত (বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয়) √উড়্+অন্ত = উড়ন্ত √ডুব্+অন্ত = ডুবন্ত
অক
√মুড়্+অক = মোড়ক √ঝল্+অক = ঝলক
আ
√পড়্+আ = পড়া √রাঁধ্+আ = রাঁধা √কাচ্+আ = কাচা
আই (ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ব্যবহৃত হয়) √চড়্+আই = চড়াই √সিল্+আই = সিলাই
আও (ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ব্যবহৃত হয়) √পাকড়্+আও = পাকড়াও √চড়্+আও = চড়াও
আন (আনো) (প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে বসে) √জানা+আন = জানানো √শোনা+আন = শোনানো √মান+আন = মানান/মানানো
আনি
√শুন+আনি = শুনানি √উড়্+আনি = উড়ানি (√উড়্+উনি = উড়ুনি)
আরি/রি/উরি √ডুব্+আরি/উরি = ডুবুরি √ধুন্+আরি = ধুনারি √পূজ্+আরি = পূজারি
আল
√মাত্+আল = মাতাল √মিশ্+আল = মিশাল
ই
√ভাজ্+ই = ভাজি
√বেড়্+ই = বেড়ি
ইয়া/ইয়ে
√র্ম+ইয়া = মরিয়া
√নাচ্+ইয়ে = নাচিয়ে
√গা+ইয়ে = গাইয়ে
√লিখ্+ইয়ে = লিখিয়ে
উ
√ডাক্+উ = ডাকু
√ঝাড়্+উ = ঝাড়ু দ্বিত্বপ্রয়োগ : √উড়+উ = উড়ুউড়ু
উয়া/ও
√পড়্+উয়া = পড়ুয়া
√উড়্+উয়া = উড়ুয়া > উড়ো
√উড়্+ও = উড়ো
তা (বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয়)
√র্ফি+তা = ফিরতা > ফেরতা
√পড়্+তা = পড়তা
√বহ্+তা = বহতা
তি (বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয়)
√ঘাট্+তি = ঘাটতি
√বাড়্+তি = বাড়তি
√কাট্+তি = কাটতি
√উঠ্+তি = উঠতি
না (বিশেষ্য গঠনে ব্যবহৃত হয়)
√কাঁদ্+না = কাঁদনা > কান্না
√রাঁধ্+না = রাঁধনা > রান্না
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
অন (ট্)
√নী+অনট্ > নে+অন = নয়ন
√স্থা+অনট্ = স্থান
√দৃশ+অন্ = দর্শন
√নন্দি+অনট্ = নন্দন
ক্ত
√জ্ঞা+ক্ত = জ্ঞাত
√খ্যা+ক্ত = খ্যাত
√পঠ্+ক্ত = পঠিত কিছু কিছু ধাতুর শেষে ‘ই-কার’ যুক্ত হয়।
√লিখ্+ক্ত = লিখিত
√বেষ্ট্+ক্ত = বেষ্টিত
√চল্+ক্ত = চলিত
√লুণ্ঠ্+ক্ত = লুণ্ঠিত
√শিক্ষ্+ক্ত = শিক্ষিত
√মুচ্+ক্ত = মুক্ত ধাতুর শেষে ‘চ/জ’ থাকলে তা ‘ক’ হয়। যেমন-
√ভুজ্+ক্ত = ভুক্ত
√গম্+ক্ত = গত নিপাতনে সিদ্ধ
√গ্রন্থ+ক্ত = গ্রথিত
√ছিদ্+ক্ত = ছিন্ন
√জন্+ক্ত = জাত
√হন্+ক্ত = হত
√মুহ্+ক্ত = মুগ্ধ
√যুধ্+ক্ত = যুদ্ধ
√লভ্+ক্ত = লব্ধ
√বচ্+ক্ত = উক্ত
√বপ্+ক্ত = উপ্ত
√স্বপ্+ক্ত = সুপ্ত
√সৃজ্+ক্ত = সৃষ্ট
ক্তি কিছু ধাতুর শেষের ব্যঞ্জন লোপ পায়।
√গম্+ক্তি = গতি
√মন্+ক্তি = মতি
কিছু ধাতুর প্রথম ব্যঞ্জনে আ-কার যুক্ত হয়।
√শম্+ক্তি = শান্তি
√বচ্+ক্তি = উক্তি
√মুচ্+ক্তি = মুক্তি
√ভজ্+ক্তি = ভক্তি
নিপাতনে সিদ্ধ
√বচ্+ক্তি = উক্তি
√গৈ+ক্তি = গীতি
√বুধ্+ক্তি = বুদ্ধি
তব্য
√কৃ+তব্য = কর্তব্য
√দা+তব্য = দাতব্য
√পঠ্+তব্য = পঠিতব্য
অনীয়
√কৃ+অনীয় = করণীয়
√রক্ষ্+অনীয় = রক্ষণীয়
√দৃশ্+অনীয় = দর্শনীয়
√শ্রæ+অনীয় = শ্রবণীয়
তৃচ
√দা+তৃচ্ = দাতা
ঐঝঈ-২৮৫১ ব্যাকরণ-৬৬
√ক্রী+তৃচ্ = ক্রেতা
√যুধ+তৃচ্ = যোদ্ধা
ণক
√পঠ্+ণক = পাঠক
√নী+ণক > নৈ+অক = নায়ক
√গৈ+ণক = গায়ক
প্রযোজক ধাতুর শেষে ‘ই-কার’ থাকলে খ্ লোপ পায়।
√লিখ্+ণক = লেখক
√পূঁজি+ণক = পূজক
√স্তাবি+ণক = স্তাবক
ধাতুর শেষে ‘আ-কার’ থাকলে অতিরিক্ত ‘য়’ যুক্ত হয়।
বি+√ধা+ণক = বিধায়ক
ঘ্যণ
√কৃ+ঘ্যণ = কার্য্য > কার্য
√বাচ্+ঘ্যণ = বাচ্য
√ভোজ্+ঘ্যণ = ভোজ্য
√যোগ+ঘ্যণ = যোগ্য
পরি+√হার+ঘ্যণ = পরিহার্য
য
√দা+য >√দে+য = দেয়
√হা+য >√হে+য = হেয়
বি+√ধা+য = বিধেয়
অ+√জি+য = অজেয়
√গম্+য = গম্য শেষে ব্যঞ্জন থাকলে য-ফলা হয়।
ণিন
√গ্রহ্+ণিন = গ্রাহী
√পা+ণিন = পায়ী
√দ্রোহ্+ণিন = দ্রোহী
সত্য+√বদ+ণিন = সত্যবাদী
√স্থা+ণিন = স্থায়ী
‘হন’ ধাতুর ক্ষেত্রে
আত্ম+√হন্+ণিন = আত্মঘাতী
ইন
√শ্রম+ইন = শ্রমী
অল
√জি+অল = জয়
√ক্ষি+অল = ক্ষয়
√বিন্+অল = বিনয়
ঐঝঈ-২৮৫১ ব্যাকরণ-৬৭ √হন্+অল = বধ
ইষ্ণু
√চল্+ইষ্ণু = চলিষ্ণু √ক্ষয়্+ইষ্ণু = ক্ষয়িষ্ণু
বর
√ঈশ্+বর = ঈশ্বর √নশ্+বর = নশ্বর
র
√হিন্+স+র = হিং¯্র √নম্+র = ন¤্র
উক/ঊক
√ভু+উক
> ভৌ+উক = ভাবুক
√জাগৃ+ঊক = জাগরূক
শানচ
√দীপ্+শানচ্ = দীপ্যমান √চল্+শানচ্ = চলমান √বৃধ্+শানচ্ = বর্ধমান
ঘঞ
√বস্+ঘঞ = বাস √ক্রুধ্+ঘঞ = ক্রোধ √ভিদ্+ঘঞ = ভেদ √ত্যজ্+ঘঞ = ত্যাগ √শুচ্+ঘঞ = শোক
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
আ
চোর+আ = চোরা
কেষ্ট+আ = কেষ্টা
ডিঙি+আ = ডিঙা
বাঘ+আ = বাঘা
কাল+আ = কালা,
জল+আ = জলা
রোগ+আ = রোগা
লুন+আ = লুনা
> লোনা
আই
বড়+আই = বড়াই
কানু+আই = কানাই
নিম+আই = নিমাই
বোন+আই = বোনাই
মিঠা+আই = মিঠাই
ঢাকা+আই = ঢাকাই
ঐঝঈ-২৮৫১ ব্যাকরণ-৬৮
চোর+আই = চোরাই
মোগল+আই = মোগলাই
আমি/আম/
আমো/মি
ইতর+আমি = ইতরামি
পাগল+আমি = পাগলামি
বাঁদর+আমি = বাঁদরামি
ফাজিল+আমো = ফাজলামো
ঠক+আমো = ঠকামো
ঘর+আমি = ঘরামি
ছেলে+মি = ছেলেমি
ই
বাহাদুর+ই = বাহাদুরি
ডাক্তার+ই = ডাক্তারি
মোক্তার+ই = মোক্তারি
পোদ্দার+ই = পোদ্দারি
চাষ+ই = চাষি
জমিদার+ই = জমিদারি
দোকান+ই = দোকানি
রেশম+ই = রেশমি
সরকার+ই = সরকারি
ইয়া
> এ
সেকাল+এ = সেকেলে
ভাদর+ইয়া = ভাদরিয়া
> ভাদুরে
পাথর+ইয়া = পাথুরিয়া
> পাথুরে
মাটি+ইয়া = মেটে
বালি+ইয়া = বেলে
জাল+ইয়া = জালিয়া
> জেলে
খুন+ইয়া = খুনিয়া
> খুনে
না+ইয়া = নাইয়া
> নেয়ে
টনটন+এ = টনটনে
কনকন+এ = কনকনে
চকচক+এ = চকচকে
উয়া
> ও
বাত+উয়া = বাতুয়া
> বেতো
টাক+উয়া = টাকুয়া
> টেকো
ধান+উয়া = ধেনো
মাঠ+উয়া = মেঠো
গাঁ+উয়া = গাঁইয়া
> গেঁয়ো
মাছ+উয়া = মাছুয়া
> মেছো
তেল+উয়া = তেলো
> তেলা
কুঁজ+উয়া = কুঁজো
উ
ঢাল+উ = ঢালু
কল+উ = কলু
উক
লাজ+উক = লাজুক
মিশ+উক = মিশুক
মিথ্যা+উক = মিথ্যুক
আরি/আরু
ভিখ+আরি = ভিখারি
শাঁখ+আরি = শাঁখারি
বোমা+আরু = বোমারু
আলি/আলো/আল>এল
দাঁত+আল = দাঁতাল
লাঠি+আল = লাঠিয়াল
> লেঠেল
ধার+আল = ধারাল
শাঁস+আল = শাঁসাল
দুধ+আল = দুধাল
> দুধেল
হিম+আল = হিমাল
> হিমেল
চতুর+আলি = চতুরালি
ঘটক+আলি = ঘটকালি
সিঁদ+আল>এল = সিঁদেল
উরিয়া>উড়িয়া/উড়ে/রে
হাট+উরিয়া = হাটুরিয়া
> হাটুরে
সাপ+উড়িয়া = সাপুড়িয়া
> সাপুড়ে
কাঠ+উরিয়া = কাঠুরিয়া
> কাঠুরে
উড়
লেজ+উড় = লেজুড়
উয়া/ওয়া>ও
ঘর+ওয়া = ঘরোয়া
জল+উয়া = জলুয়া
> জলো
আটিয়া/টে
তামা+আটিয়া = তামাটিয়া
> তামাটে
ভাড়া+আটিয়া = ভাড়াটে
রোগা+আটিয়া = রোগাটে
অট>ট
ভরা+ট = ভরাট
জমা+ট = জমাট
লা
মেঘ+লা = মেঘলা
এক+লা = একলা
ঐঝঈ-২৮৫১ ব্যাকরণ-৭০
আধ+লা = আধলা
সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়
ইত
কুসুম+ইত = কুসুমিত
তরঙ্গ+ইত = তরঙ্গিত
কণ্টক+ইত = কণ্টকিত
ইমন/ইমা
নীল+ইমন = নীলিমা
মহৎ+ইমন = মহিমা
ইল
পঙ্ক+ইল = পঙ্কিল
ফেনা+ইল = ফেনিল
ইষ্ঠ
গুরু+ইষ্ঠ = গরিষ্ঠ
লঘু+ইষ্ঠ = লঘিষ্ঠ
ইন/ঈ/ইনী
জ্ঞান+ইন = জ্ঞানিন
সুখ+ইন = সুখিন
গুণ+ইন = গুণীন
মান+ইন = মানিন
জ্ঞান+ইন(ঈ)= জ্ঞানী
তা/ত্ব
শত্রু+তা = শত্রুতা
বন্ধু+ত্ব = বন্ধুত্ব
গুরু+ত্ব = গুরুত্ব
ঘন+ত্ব = ঘনত্ব
মহৎ+ত্ব = মহত্ত¡
তর/তম
মধুর+তর = মধুরতর
প্রিয়+তর = প্রিয়তর
প্রিয়+তম = প্রিয়তম
নীন/ঈন(ন ইৎ)
সর্বজন+নীন = সর্বজনীন
কুল+নীন = কুলীন
নব+নীন = নবীন
নীয়/ঈয়(ন ইৎ)
জল+নীয় = জলীয়
বায়ু+নীয় = বায়বীয়
বর্ষ+নীয় = বর্ষীয়
রাজা+নীয় = রাজকীয়
বতুপ/মতুপ
বান/মান
গুণ+বতুপ = গুণবান
দয়া+বতুপ = দয়াবান
শ্রী+মতুপ = শ্রীমান
বুদ্ধি+মতুপ = বুদ্ধিমান
বিন/বী
মেধা+বিন = মেধাবী
মায়া+বিন = মায়াবী
তেজঃ+বিন = তেজস্বী
যশঃ+বিন = যশস্বী
র
মধু+র = মধুর
মুখ+র = মুখর
ল
শীত+ল = শীতল
বৎস+ল = বৎসল
ষ্ণ(অ)
মনু+ষ্ণ = মানব
যদু+ষ্ণ = যাদব
শিব+ষ্ণ = শৈব
শক্তি+ষ্ণ = শাক্ত
বুদ্ধ+ষ্ণ = বৌদ্ধ
শিশু+ষ্ণ = শৈশব
গুরু+ষ্ণ = গৌরব
কিশোর+ষ্ণ = কৈশোর
পৃথিবী+ষ্ণ = পার্থিব
চিত্র+ষ্ণ = চৈত্র
সূর্য+ষ্ণ = সৌর নিপাতনে সিদ্ধ। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী সুর+ষ্ণ = সৌর।
ষ্ণ্য(য)
মনুঃ+ষ্ণ্য = মনুষ্য
সুন্দর+ষ্ণ্য = সৌন্দর্য
শূর+ষ্ণ্য = শৌর্য
ধীর+ষ্ণ্য = ধৈর্য
পর্বত+ষ্ণ্য = পার্বত্য
ষ্ণি(ই)
রাবণ+ষ্ণি = রাবণি
দশরথ+ষ্ণ্যি = দাশরথি
ষ্ণিক(ইক)
সাহিত্য+ষ্ণিক = সাহিত্যিক
বেদ+ষ্ণিক = বৈদিক
বিজ্ঞান+ষ্ণিক = বৈজ্ঞানিক
নগর+ষ্ণিক = নাগরিক
মাস+ষ্ণিক = মাসিক
ধর্ম+ষ্ণিক = ধার্মিক
সমাজ+ষ্ণিক = সামাজিক
অকস্মাৎ+ষ্ণিক = আকস্মিক
ষ্ণেয় (এয়)
ভগিনী+ষ্ণেয় = ভাগিনেয়
অগ্নি+ষ্ণেয় = আগ্নেয়
বিমাতৃ+ষ্ণেয় = বৈমাত্রেয়
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়
হিন্দি
ওয়ালা>আলা
বাড়ি+ওয়ালা = বাড়িওয়ালা
মাছ+ওয়ালা = মাছওয়ালা
দুধ+ওয়ালা = দুধওয়ালা
ওয়ান>আন
গাড়ি+ওয়ান = গাড়োয়ান
দার+ওয়ান = দারোয়ান
আনা>আনি
মুনশি+আনা = মুনশিআনা/মুন্সিয়ানা
হিন্দু+আনি = হিন্দুআনি/হিন্দয়ানি
পনা
ছেলে+পনা = ছেলেপনা
গিন্নি+পনা = গিন্নিপনা
বেহায়া+পনা = বেহায়াপনা
সা>সে
পানি+সা = পানিসা
> পানসে
কাল+সা = কালসা
> কালসে
ফারসি
গর>কর
কারি+গর = কারিগর
বাজি+গর = বাজিগর
> বাজিকর
দার
খবর+দার = খবরদার
তাঁবে+দার = তাঁবেদার
দেনা+দার = দেনাদার
চৌকি+দার = চৌকিদার
পাহারা+দার = পাহারাদার
বাজ
কলম+বাজ = কলমবাজ
ধোঁকা+বাজ = ধোঁকাবাজ
ঐঝঈ-২৮৫১ ব্যাকরণ-৭৩
গলা+বাজ = গলাবাজ
বন্দি/বন্দ
জবান+বন্দি = জবানবন্দি
নজর+বন্দি = নজরবন্দি
সই (মত অর্থে)
মানান+সই = মানানসই
চলন+সই = চলনসই
টেক+সই = টেকসই
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ