ক্রিয়ার কাল কী তা বলতে পারবেন।
ক্স ক্রিয়ার কালের শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা করতে পারবেন।
ক্স পুরুষ ভেদে ক্রিয়ার রূপের পরিবর্তন সম্পর্কে লিখতে

ক্রিয়া অর্থ কাজ। ‘কাল’ কথাটির অর্থ সময়। ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার সময়কে ক্রিয়ার কাল বলে। যেমনÑ
মায়া ছবি আঁকেÑ ক্রিয়াটি বর্তমানে সংঘটিত হচ্ছে।
মায়া ছবি এঁকেছিলÑ ক্রিয়াটি অতীতে সম্পন্ন হয়েছে।
মায়া ছবি আঁকবেÑ ক্রিয়াটি ভবিষ্যতে সম্পন্ন হবে।
তাই বলা যায়, কোনো ক্রিয়া বর্তমান, অতীত এবং ভবিষ্যতে সম্পন্ন হওয়ার সময় নির্দেশই ক্রিয়ার কাল। ক্রিয়ার কাল
প্রধানত তিন প্রকার। যথা- ১. বর্তমান কাল ২. অতীত কাল ও ৩. ভবিষ্যৎ কাল।
ক্রিয়াপদ: ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সাথে কাল (সময়) ও পুরুষবাচক ক্রিয়া বিভক্তি যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। ‘সে খেলে’এখানে ‘সে’ এই নাম পুরুষের জন্য ‘খেলে’ ধাতুর সাথে ‘এ’ ক্রিয়া বিভক্তি যুক্ত হয়ে ‘খেলে’ ক্রিয়াপদ গঠিত হয়েছে।
ক্রিয়াপদ গঠনের ক্ষেত্রে কতগুলো বিষয় লক্ষণীয়Ñ
ক. পুরুষভেদে ক্রিয়ার রূপের পার্থক্য দেখা যায়। তবে, বচনভেদে ক্রিয়ার রূপের কোনো পার্থক্য হয় না। যেমনÑ
পুরুষ একবচন বহুবচন
উত্তম আমি যাই আমরা যাই
মধ্যম তুমি যাও তোমরা যাও
নাম সে যায় তারা যায়
দেখা যায় যে, খাওয়া ক্রিয়া উত্তম পুরুষে যাই, মধ্যম পুরুষে যাও, নাম পুরুষে যায় অর্থাৎ ক্রিয়ার রূপান্তর হয়েছে;
কিন্তু বচনভেদে কোনো রূপান্তর ঘটেনি। একবচনে যাই, বহুবচনেও যাই।
খ. সাধু ও চলিত রীতিভেদে ক্রিয়া বিভক্তির ভিন্ন ভিন্ন রূপ হয়। যেমন-
বর্তমান অতীত ভবিষ্যৎ
সাধুÑ পড়ি পড়িয়াছিলাম পড়িব
চলিত- পড়ি পড়েছিলাম পড়ব
গ. সাধারণ ভবিষ্যৎকালে মধ্যম পুরুষ ও নাম পুরুষের ক্রিয়ার রূপ একই। যেমনÑ
মধ্যম পুরুষ : তুমি খেলবে। নাম পুরুষ: সে খেলবে।
ঘ. উত্তম পুরুষ ব্যতীত মধ্যম ও নাম পুরুষ সাধারণ, সম্ভ্রমাত্মক ও তুচ্ছার্থ- এই তিনটি ক্রিয়ারূপ রয়েছে।
সাধারণ সম্ভ্রমাত্মক তুচ্ছার্থক
মধ্যম পুরুষ তুমি খাও
তোমরা খাও
আপনি খান
আপনারা খান
তুই খা
তোরা খা
নাম পুরুষÑ সে খায়
তারা খায়
তিনি খান
তারা খান
এটা খায়
এগুলো খায়
ক্রিয়ার কালের প্রকারভেদ:
ক্রিয়া সংগঠনের প্রধান তিনটি কালকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা:
১. বর্তমান কালÑ
ক. সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল।
খ. ঘটমান বর্তমান কাল।
গ. পুরাঘটিত বর্তমান কাল।
ঘ. বর্তমান কালের অনুজ্ঞা।
২. অতীত কাল-
ক. সাধারণ অতীত কাল।
খ. ঘটমান অতীত কাল।
গ. পুরাঘটিত অতীত কাল।
ঘ. নিত্যবৃত্ত অতীত কাল।
৩. ভবিষ্যৎ কাল-
ক. সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।
খ. ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল।
গ. পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল।
ঘ. ভবিষ্যৎ কালের অনুজ্ঞা।
বর্তমান কাল
যে ক্রিয়ার কাজ বর্তমানে ঘটেছে বা স্বভাবত ঘটে তাকে বর্তমান কাল বলে। বর্তমান ক্রিয়ার কাল চার প্রকার। এক্ষেত্রে
সাথে ই, অ, এ, এন বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনÑ আমি বই পড়ি।
ক. সাধারণ বর্তমান কাল: যে ক্রিয়া বর্তমানে সাধারণভাবে ঘটে, তার কালকে সাধারণ বর্তমান কাল বলে। যেমনÑ আমি
পড়ি।
নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল: স্বাভাবিক বা অভ্যাস বোঝালে সাধারণ বর্তমান কালের ক্রিয়াকে নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল বলে।
যেমন- সকালে সূর্য ওঠে।- স্বাভাবিকতা, আমি রোজ সকালে চা খাই।Ñ অভ্যাস।
নিত্যবৃত্ত বর্তমান কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ:
১. ঐতিহাসিক বর্তমান কাল: অতীতের কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনায় যদি নিত্য বর্তমান কালের প্রয়োগ হয়, তাহলে
তাকে ঐতিহাসিক বর্তমান কাল বলে। যেমনÑ
১৯৭১ সালে আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
২. স্থায়ী সত্য বা চিরসত্য প্রকাশে: দুই আর তিন পাঁচ হয়।
৩. অনিশ্চয়তা প্রকাশে: কে জানে আজ ফেরি পার হতে পারব কিনা।
৪. কাব্যের ভণিতায়: ‘মহাভারতের কথা অমৃত সমান।
কাশীরাম দাস ভণে শুনে পুণ্যবান।’
৫. যদি, যখন, যেন প্রভৃতি শব্দের প্রয়োগে: অতীত ও ভবিষ্যৎ কাল জ্ঞাপনের জন্য সাধারণ বর্তমান কালের ব্যবহার হয়।
যেমনÑ বিপদ যখন আসে, তখন এমনি করেই আসে।

সাধারণ বর্তমান কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ:
১. প্রাচীন লেখকের উদ্ধৃতি দিতে : চÐীদাস বলেন, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
২. অনুমতি প্রার্থনায় (ভবিষ্যৎ কালের অর্থে): আজ তাহলে উঠি। এখন তবে আসি।
৩. নেই, নাই, নি, শব্দ যোগে অতীত কালের ক্রিয়ায়:
আমি কখনো এরূপ দৃশ্য দেখি নাই।
তিনি গতকাল কলেজে যাননি।
৪. অতীতের কোনো ঘটনাকে বর্ণনার মাধ্যমে প্রকাশ করতে:
আমি দেখতে পেলাম, কে যেন কাঁদে।
খ. ঘটমান বর্তমান কাল: যে ক্রিয়ার কাজ বর্তমানে চলছে, এখন শেষ হয়নি, তাকে ঘটমান বর্তমান কাল বলে। এক্ষেত্রে
ক্রিয়ার সাথে ছি, ছেন, বা ইতেছি, এতেছে, ইতেছো, এতেছেন যুক্ত হয়। যেমনÑ
পাখিরা আকাশে উড়ছে।
বৃষ্টি পড়িতেছে।
ঘটমান বর্তমান কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ:
১. বর্ণনার বিবৃতি প্রকাশ করার জন্যে: দুটো অতীত কালের ক্রিয়ার বর্ণনায় সঙ্গতি রক্ষার জন্য শেষেরটিতে ঘটমান
বর্তমান কালের ব্যবহার হয়। যেমনÑ আমি দেখলাম চোর পালাচ্ছে।
২. ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অর্থে: ভয় পেয়ো না, কালই আসছি।
৩. অতীত ক্রিয়া বর্ণনার সঙ্গতি রক্ষার্থে: বক্তার বিবৃতির বর্ণনীয় বিষয়কে প্রকাশ করার জন্য কালের ক্রিয়ায় ঘটমান
বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ তিনি বললেন, “পাকিস্তানি শোষকদের অত্যাচারে দেশ আজ বিপন্ন, ধন সম্পদ
লুণ্ঠিত হচ্ছে, দিকে দিকে আগুন জ্বলছে।”
গ. পুরাঘটিত বর্তমান: যে ক্রিয়ার কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু কাজের ফল এখনও বর্তমান, তার কালকে পুরাঘটিত বর্তমান
কাল বলে। এক্ষেত্রে ক্রিয়ার সাথে এছি, এছে, এছো, এছেন বা ইয়াছে, ইয়াছো, ইয়াছেন যুক্ত হয়। যেমনÑ তিনি বইটি
পড়িয়াছেন।
ঘ. বর্তমান অনুজ্ঞা : আদেশ, অনুমতি, অনুরোধ, উপদেশ, প্রার্থনা ইত্যাদির ভাব বোঝাতে ক্রিয়াপদের যে রূপ হয় তাকে
বলে অনুজ্ঞা। আর যে ক্রিয়াপদে বর্তমান কালের অনুজ্ঞা প্রকাশ পায় তাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলে। এক্ষেত্রে ক্রিয়ার শেষে অ,
ও, উন, এন যুক্ত হয়। যেমন-
আদেশÑ তোমরা এখনি চলে যাও।
অনুমতিÑ আপনি ভেতরে আসুন।
অনুরোধÑ আমাকে এক গøাস পানি দেবেন।
উপদেশÑ কখনও মিথ্যা বলবে না।
প্রার্থনাÑ বেঁচে থাক বাবা।
অতীত কাল
যে সমস্ত সমাপিকা ক্রিয়া দ্বারা পূর্বে শেষ হয়েছে এমন কোনো কাজকে বোঝায়, তাকে অতীত কাল বলে। যেমন- রহমান
কাল এসেছিলেন। অতীত কাল ৪ প্রকার। যথাÑ
ক. সাধারণ অতীত কাল: বর্তমান কালের আগে যে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, তার সংঘটন কালকেই বলে সাধারণ অতীত
কাল। এক্ষেত্রে ক্রিয়ার শেষে লাম, ল, লে, লেন ইত্যাদি যুক্ত হয়। যেমন- আমি ছবিটি দেখলাম।
খ. ঘটমান অতীত কাল: যে কাজ অতীতে চলছিল এবং যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, সে সময়ও কাজটি শেষ হয়নিÑ
ক্রিয়া সম্পাদিত হবার এরূপ ভাব বোঝালে তার কালকে ঘটমান অতীত কাল বলে। এক্ষেত্রে ল, লে, লাম, লেন যুক্ত হয়।
যেমনÑ সেদিন বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছিল।
গ. পুরাঘটিত অতীত কাল: যে ক্রিয়ার কাজ অতীতে বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে এবং যার পরে আরো কিছু ঘটনা ঘটে
গেছে, তার কালকে পুরাঘটিত অতীত কাল বলে। এক্ষেত্রে ক্রিয়ার শেষে ইয়াছিলাম, ইয়াছিলেন, ইয়াছিল ইত্যাদি যুক্ত হয়
যেমনÑ গত বছর আমি কলকাতা গিয়েছিলাম।
ঘ. নিত্যবৃত্ত অতীত কাল: অতীতে প্রায়ই ঘটতো এরূপ অর্থে ক্রিয়ার যে, কাল হয়, তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত কাল বলে।
এক্ষেত্রে ক্রিয়ার শেষে ইতাম, ইত, ইতেন, ইতে যুক্ত হয়। যেমনÑ প্রতিদিন সকালে সে গান গাইত।
নিত্যবৃত্ত অতীতের বিশিষ্ট ব্যবহার:
১. কামনা প্রকাশে: আজ যদি মারিয়া আসতো, কেমন মজা হতো।
২. সম্ভাবনা প্রকাশে: তুমি যদি আসতে, তবে ভালোই হতো।
৩. অসম্ভব কল্পনায়: এই বাড়ি হতো যদি রাজার বাড়ি।
ভবিষ্যৎ কাল
যে ক্রিয়ার কাজটি এখনো ঘটেনি অর্থাৎ অনাগতকালে সংঘটিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে তাকে ভবিষ্যৎ কাল বলে।
যেমনÑমা আগামীকাল আসবেন।
ক. সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল: যে ক্রিয়ার কাজ এখনও ঘটেনি, পরে কিংবা অনাগত কালে ঘটবে, তার কালকে সাধারণ
ভবিষ্যৎ কাল বলে। এক্ষেত্রে ক্রিয়ার শেষে ইব, ইবে, ইবেন হয়। যেমনÑ শীঘ্রই বৃষ্টি আসবে।
খ. ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল: ভবিষ্যতে ঘটতে থাকবে- এরকম বোঝাতে ক্রিয়ার যে কাল হয়, তাকে ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল
বলে। যেমনÑ যতক্ষণ সে পড়তে থাকবে, ততক্ষণ আমি তাকে বিরক্ত করব না।
নামপুরুষ সাধারণ: -ইতে থাকিবে/-তে থাকবে। (করিতে থাকিবে/ করতে থাকবে)।
নামপুরুষ ও মধ্যম পুরুষ: -ইতে থাকিবেন/-তে থাকবেন। (করিতে থাকিবেন/করতে থাকবেন) (সম্ম্রমাত্মক)
মধ্যম পুরুষ সাধারণ: -ইতে থাকিবে/তে থাকবে। (করিতে থাকিবে/করতে থাকবে)।
মধ্যম পুরুষ তুচ্ছার্থক: -ইতে থাকিবে/-তে থাকবি। (করিতে থাকিবি/করতে থাকবি)।
উত্তম পুরুষ: -ইতে থাকিব/-তে থাকব। (করিতে থাকিব/করতে থাকব)।
যে কাজ ভবিষ্যৎ কালে চলতে থাকবে তার কালকে ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল বলে। এখানে মূল ক্রিয়ার সঙ্গে অসমাপিকা
ক্রিয়ারÑ ইতে/-তে বিভক্তি যুক্ত হয় এবং সেই সঙ্গে থাক্ ধাতুর, সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের ক্রিয়াবিভক্তি যুক্ত হয়।
জ্ঞাতব্য: মূল ধাতুর সঙ্গে- ইতে- তে বিভক্তি যোগে যে অসমাপিকা ক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তা অপরিবর্তনীয় এবং কোনো
কালবাচক নয়। মূল ধাতুর সঙ্গে ভবিষ্যৎ কালের কোনোরূপ ক্রিয়া বিভক্তিই যুক্ত হয় না। অর্থের দিক থেকে ঘটমান
ঐঝঈ-২৮৫১ ব্যাকরণ-৯৯
ভবিষ্যতের ক্রিয়াপদ সৃষ্টি হয়েছে মনে করা যেতে পারে। রূপের দিক থেকে এগুলো সাধারণ ভবিষ্যতের ক্রিয়ার রূপ মাত্র।
তাই অনেকে ঘটমান ভবিষ্যতের ক্রিয়াপদের রূপ আছে বলে স্বীকার করেন না।
গ. পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল: কোনো ক্রিয়ার কাজ ভবিষ্যতে সম্পন্ন হয়ে থাকবে, এরকম বোঝালেÑ সেই ক্রিয়ার কালকে
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল বলে। যেমনÑ আমার কথা হয়তো মনে পড়ে থাকবে। যে ক্রিয়া সম্ভবত ঘটে গিয়েছে, সাধারণ
ভবিষ্যৎ কালবোধক শব্দ ব্যবহার করে তা বোঝাতে পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল হয়।
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কালের অর্থ প্রকাশের জন্য মূল ধাতুর সঙ্গে অসমাপিকা ক্রিয়া বিভক্তি-ইয়া/এ যোগ করে এবং যাক ও
গম ধাতুর সঙ্গে সাধারণ ভবিষ্যতের ক্রিয়াবিভক্তি যুক্ত করে যৌগিক ক্রিয়াপদ তৈরি হয়। যথাÑ গিয়ে থাকব/যাইয়া থাকিব।
ঘ. ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা : ভবিষ্যতে কোনো কাজ করার আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, প্রার্থনা প্রভৃতি বোঝালে ভবিষ্যৎ কালের
ক্রিয়াপদের যে রূপ হয়, তাকে ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা বলে। যেমনÑ
আদেশÑ এই লেখাটি তুমিই লিখবে।
অনুরোধÑ আমার জন্য একটি বই আনবেন।
উপদেশÑ মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে।
প্রার্থনাÑ ‘রেখো মা, দাসেরে মনে এ মিনতি করি পদে।’
সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ
১. আক্ষেপ প্রকাশে অতীতের স্থলে ভবিষ্যৎ কাল ব্যবহার হয়। যেমন- কে জানত, আমার ভাগ্য এমন হবে?
২. অতীত কালের ঘটনা সম্পর্কিত যে ক্রিয়াপদে সন্দেহের ভাব বর্তমান থাকে, তার বর্ণনায় সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের
ব্যবহার হয়। যেমন- ভাবলাম, তিনি এখন বাড়ি গিয়ে থাকবেন। তোমরা হয়তো ‘বিশ্বনবী’ পড়ে থাকবে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
১. ক্রিয়ার কাল কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী উদাহরণসহ লিখুন।
২. ‘পুরুষ ভেদে ক্রিয়ার প্রয়োগে ভিন্নতা দেখা যায়, কিন্তু বচনভেদে কোনো পার্থক্য দেখা যায় না।’- উদাহরণের
সাহায্যে উক্তিটির বিশ্লেষণ করুন।
৩. নিত্যবৃত্ত অতীত কালের ক্রিয়ার বিশিষ্ট ব্যবহার দেখিয়ে পাঁচটি বাক্য লিখুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]