কারক কত প্রকার ও কী কী তা বর্ণনা করতে পারবে প্রত্যেক কারকের সংজ্ঞার্থ ও বিবরণ লিখ

কারকের শ্রেণিবিভাগ
বাক্যের ক্রিয়া পদের সঙ্গে নাম পদের অর্থাৎ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সম্পর্ক বা অন্বয়কে কারক বলে। বাংলা
বাক্যগুলোতে দেখা যায় এই সম্পর্ক ছয় প্রকারের হতে পারে। সেজন্য কারক ছয় প্রকার। যেমন−
১. কর্তৃকারক
২. কর্মকারক
৩. করণ কারক
৪. সম্প্রদান কারক
৫. অপাদান কারক
৬. অধিকরণ কারক
নিচের ছোট ছোট প্রশ্ন ব্যবহার করে সহজেই কারক নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্নসমূহ কারকের নাম
কে, কার? কর্তৃকারক
কী করে? কর্মকারক
কাকে? / কার জন্যে? সম্প্রদান কারক
কোথা থেকে? অপাদান কারক
কী দিয়ে? করণ কারক
কোথায় করে? কখন? অধিকরণ কারক
যেমন : বেগম সাহেবা প্রতিদিন ভাঁড়ার থেকে নিজ হাতে গরিবদের চাল দিতেন।
প্রশ্নসমূহ কারকের নাম
কে দেয়? বেগম সাহেবা (কর্তৃকারক)
কী দেয়? চাল (কর্মকারক)
কী দিয়ে দেয়? হাত (করণকারক)
কোথা থেকে দেয়? ভাঁড়ার (অপাদান কারক)
কাকে দেয়? গরিবকে (সম্প্রদান কারক)
কখন দেয়? প্রতিদিন (অধিকরণ কারক)
কর্তৃকারক
বাক্যে যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলা হয় কর্তা এবং এই কর্তার সঙ্গে ক্রিয়ার যে সম্পর্ক তাকে বলা হয় কর্তৃকারক।
‘উপমা পড়ছে’ এই বাক্যে উপমা হল কর্তা।
ক্রিয়াকে ‘কে’ বা ‘কারা’ প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই কর্তৃকারক। সাগর দৌড়াচ্ছে − কে দৌড়াচ্ছে? সাগর।
সুতরাং ‘সাগর’ কর্তৃকারক। তারা হাঁটছে − কারা হাঁটছে? তারা। ‘তারা’ কর্তৃ কারক।
নানা রকম কর্তৃকারক
বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের রীতি ও বৈশিষ্ট্য বিচারে দেখা যায় বাক্যের কর্তা কয়েক রকম।
ক) মুখ্য কর্তা ঃ যে বা যারা নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বা তাদের বলা হয় মুখ্য কর্তা। যেমনÑ শৈলী রান্না করছে।
কৃষকেরা ফসল কাটছে।
এখানে ‘শৈলী ও ‘কৃষকেরা’ মুখ্য কর্তা
খ) প্রযোজক কর্তা ঃ মুখ্য কর্তা যখন অন্যকে দিয়ে ক্রিয়া সম্পাদন করায় তখন মুখ্য কর্তাকে বলা হয় প্রযোজক কর্তা।
যেমন,
কৃষক গরু দিয়ে চাষ করায়।
এই বাক্যে ‘কৃষক’ প্রযোজক কর্তা।
গ) প্রযোজ্য কর্তা ঃ যাকে দিয়ে মুখ্য কর্তার কাজ সম্পাদিত হয় তাকে বলা হয় প্রযোজ্য কর্তা।
মিতা ছোট বাচ্চাটিকে হাঁটাচ্ছে।
এখানে ‘বাচ্চাটি’ হল প্রযোজ্য কর্তা।
বাক্যের বাচ্য বা প্রকাশভঙ্গি অনুসারে আরো কয়েক রকম কর্তার রূপ বোঝা যায়। যেমনকর্মবাচ্যের কর্তা − আমাকে যেতে হবে।
ভাববাচ্যের কর্তা − তার বোধ হয় খাওয়া হয়নি।
কর্মকর্তৃবাচ্যের কর্তা− ঝড় আসছে। বাড়িগুলো ভেঙে পড়বে।
কর্তৃকারকে বিভক্তির ব্যবহার ঃ কর্তৃকারকে সাধারণত শূন্য (০) বা অ-বিভক্তি ব্যবহৃত হয়। তবে অন্যান্য বিভক্তির ব্যবহারও রীতিসিদ্ধ। যেমন−
কর্তৃকারকে শূন্য (০)
বা অ-বিভক্তি ঃ মিতা খেলছে।
এ-বিভক্তি ঃ শাড়িটি চোরে নিয়ে গেছে।
য়-বিভক্তি ঃ ঘোড়ায় গাড়ি টানে।
তে-বিভক্তি ঃ পাখিতে ধান খেয়েছে।
কে-বিভক্তি ঃ আমাকে যেতেই হবে।
র-বিভক্তি ঃ শেষ পর্যন্ত আমার যাওয়া হল না।
দ্বারা (অনুসর্গ) ঃ তোমা দ্বারা এ কাজ হবে না।
কর্তৃক (অনুসর্গ) ঃ নজরুল কর্তৃক অগ্নি-বীণা রচিত হয়েছে।
কর্মকারক
কর্তা যাকে অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্মকারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কি’ বা ‘কাকে’ জিজ্ঞেস করে যে উত্তর পাওয়া যায় তা কর্ম এবং ক্রিয়া পদের সঙ্গে কর্মের সম্বন্ধই কর্মকারক।
ঐঝঈ-২৮৫১ ব্যাকরণ-১০৫
সে ফল কিনছে − সে কী কিনছে? ফল। সুতরাং ফল কর্মকারক।
সায়েমা অর্ককে মারছে − সায়েমা কাকে মারছে? অর্ককে। ‘অর্ক’, কর্মকারক।
কোনো কোনো ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে। এর একটিকে বলা হয় মুখ্য কর্ম অন্যটি গৌণ কর্ম। বোঝাই যায়, গৌণ কর্মের
চেয়ে মুখ্য কর্মের গুরুত্ব বেশি। মুখ কর্ম দিয়েই ক্রিয়ার কাজ পূর্ণ হয়। সাধারণত মুখ্য কর্ম বস্তুবাচক এবং গৌণ কর্ম
ব্যক্তিবাচক বা প্রাণিবাচক হয়ে থাকে। যেমনÑ
শিক্ষক ছাত্রকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন।
এই বাক্যে ‘প্রশ্ন’ মুখ্য কর্ম, ছাত্র গৌণ কর্ম।
কর্মকারকে বিভক্তির ব্যবহার ঃ
সাধারণত কর্মকারকে কে, রে দ্বিতীয়া বিভক্তির প্রয়োগ হয়ে থাকে। তবে অন্য বিভক্তিগুলোরও প্রয়োগ হয়।
কর্মকারকে শূন্য (০) বা অ বিভক্তি− সে বই পড়ে।
কর্মকারকে কে-বিভক্তি − আমার ছেলেকে বকবে না।
কর্মকারকে রে-বিভক্তি − তারে ডেকে আন।
কর্মকারকে য়-বিভক্তি − তোমায় আমি চাই।
কর্মকারকে এ-বিভক্তি − বৃথা গঞ্জ দশাননে
কর্মকারকে র-বিভক্তি − আমার দেখা পাবে না।
করণ কারক
যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।
‘করণ’ শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়। বাক্যের ক্রিয়াপদকে ‘কার দ্বারা’ বা কী উপায়ে জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায়
তা-ই করণ কারক।
নীলু ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। − নীলু কী দিয়ে ঘর সাজায়? ফুল দিয়ে সুতরাং ‘ফুল’ করণ কারক।
কাঠুরে কুড়াল দ্বারা গাছ কাটে। − কাঠুরে কী দ্বারা গাছ কাটে? কুড়াল দ্বারা। ‘কুড়াল’ করণ কারক।
করণ কারকে বিভক্তির ব্যবহার ঃ − করণ কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি তৃতীয়া বিভক্তির (অনুসর্গের)
ব্যবহার হয়। তবে অন্য বিভক্তিগুলোরও প্রয়োগ রয়েছে।
করণ কারকে ‘দ্বারা বিভক্তি (অনুসর্গ) − তোমাদের দ্বারা দেশের ক্ষতি হবে।
করণ কারকে ‘দিয়া’ বিভক্তি (অনুসর্গ) − তোমার লোক দিয়ে কাজটা করাবে।
করণ কারকে শূন্য (০) বা অ-বিভক্তি − রফিক তাস খেলে।
করণ কারকে এ-বিভক্তি − গ্যাসে গাড়ি চলে।
করণ কারকে য়-বিভক্তি − টাকায় টাকা হয়।
করণ কারকে তে-বিভক্তি − তার কথা যেন মধুতে মাখা
সম্প্রদান কারক
যার জন্য বা যার উদ্দেশে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দেওয়া যায় তাকে সম্প্রদান কারক বলে।
গরীবের মেয়েটিকে ভাত দাও। − এই বাক্যে গরীবের মেয়েটিকে সম্প্রদান কারক।
আধুনিক ব্যাকরণবিদেরা সম্প্রদান কারক স্বীকার করতে চান না। তাঁদের মতে এটি কর্মকারকের অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। তবু
প্রথাগত বাংলা ব্যাকরণে সম্প্রদান কারক আছে।
সম্প্রদান কারকে কে, রে চতুর্থী বিভক্তির ব্যবহার হয়। অন্য দু’একটি বিভক্তিরও প্রয়োগ রয়েছে।
সম্প্রদান কারকে কে-বিভক্তি - তাঁকে আমার সালাম জানাবে।
সম্প্রদান কারকে রে-বিভক্তি - হে দেবতা, তোমারে করব না পূজা।
সম্প্রদান কারকে এ-বিভক্তি - ঘরহীনে ঘর দাও।
সম্প্রদান কারকে য়-বিভক্তি - তোমায় কেন দিইনি আমি, সকল শূন্য করে।
সম্প্রদান কারকে তে-বিভক্তি - সমিতিতে চাঁদা দিয়েছি।
সম্প্রদান কারকে র-বিভক্তি - আল্লাহর এবাদত কর।
অপাদান কারক
যা থেকে বা যা হতে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় এবং ক্রিয়ার বিচিত্র ভাবের প্রকাশ ঘটে তাকে অপাদান কারক বলে।
লাবলু সেদিন ঢাকা থেকে চাঁটগা গিয়েছিল। - এ বাক্যে ‘যাওয়া’ ক্রিয়া সম্পাদিত হয়েছিল ঢাকা থেকে।
আখ হতে গুড় হয়। - এই বাক্যে গুড় হওয়ার কাজটি সম্পন্ন হয় ‘আখ’ হতে।
সুতরাং ‘ঢাকা’ ও ‘আখ’ অপাদান কারক।
অপাদান কারকে ক্রিয়া সম্পাদনের আরও কিছু নমুনা
স্থান − বাসের ছাদ থেকে সে পড়ে গেল।
কাল − পরশু থেকে বিছানায় পড়ে রয়েছি, খুব জ্বর।
অবস্থা − কোথাও হতে আশ্বাস পাব বলে মনে হয় না।
দূরত্ব − ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব একশ কিলোমিটারের মতো।
তারতম্য − সুখের চেয়ে স্বস্তি ভালো।
অপাদান কারকে বিভক্তির ব্যবহার ঃ
অপাদান কারকে সাধারণত ‘হতে’, থেকে, চেয়ে’ ইত্যাদি বিভক্তি স্থানীয় অনুসর্গের ব্যবহার হয়। অপরাপর বিভক্তিগুলোর
প্রয়োগও অপাদান কারকে রয়েছে।
অপাদান কারকে ‘হতে’ বিভক্তি (অনুসর্গ) - সরষে হতে তেল হয়।
অপাদান কারকে ‘থেকে’ বিভক্তি (অনুসর্গ) - কোথা থেকে এসেছে
অপাদান কারকে ‘চেয়ে’ বিভক্তি (অনুসর্গ) - ফরিদের চেয়ে মুরিদ বয়সে বড়
অপাদান কারকে শূন্য (০) বা অ-বিভক্তি - সে একজন জেল পলাতক আসামি।
অপাদান কারকে এ-বিভক্তি - বিপদে মোরে রক্ষা কর।
অপাদান কারকে য়-বিভক্তি - পড়ায় বিরত হয়ো না।
অপাদান কারকে তে-বিভক্তি - জমিতে বেশ ধান পেয়েছি।
অপাদান কারকে কে-বিভক্তি - ছোট মামাকে বড় ভয় পাই।
অপাদান কারকে র-বিভক্তি - জঙ্গলে সাপের ভয় আছে।
বিভিন্ন অর্থে অপাদানের ব্যবহার
ক. স্থানবাচক : তিনি গাজীপুর থেকে এসেছেন।
খ. দূরত্বজ্ঞাপক : ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম দুশো কিলোমিটারেরও বেশি।
গ. নিক্ষেপ : বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে।
অধিকরণ কারক : যে ‘সময়’ বা ‘স্থান’ কে আশ্রয় করে কর্তা তার কর্ম সম্পাদন করে সেই সময় বা স্থানকে অধিকরণ
কারক বলে।
অধিকরণ কারকে সর্বদা সপ্তমী বিভক্তি ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ১. দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রার্থী, ভিক্ষা দেও তারে।
২. নদীতে নৌকা বাঁধা।
৩. বসন্তে কোকিল ডাকে।
এখানে যদি প্রশ্ন করা যায় প্রার্থী কোথায় দাঁড়িয়ে তাহলে উত্তর আসেÑদুয়ারে। আর দুয়ারে একটি স্থান।
আবার যদি বলা যায় কোকিল কখন ডাকে তাহলে উত্তর পাওয়া যায় বসন্তে। আর ‘বসন্ত’ সময় নির্দেশ করে।
শ্রেণিবিভাগ : অধিকরণ কারক তিন প্রকার।
যেমন: ১. আধারাধিকরণ,
২. কালাধিকরণ ও
৩. ভাবাধিকরণ।
১. আধারাধিকরণ : ‘আধার’ অর্থ ‘স্থান’। অর্থাৎ, কর্তা কর্ম সম্পাদনে যে স্থানটি ব্যবহার করে, তাকে আধারাধিকরণ বলে।
যেমন: ১. আকাশে চাঁদ আছে।
২. ছেলেরা মাঠে খেলা করে।
২. কালাধিকরণ : ‘কাল’ অর্থ সময়। বাক্যের কর্তা যে সময়ে কাজ করে, সেই সময়কে কালাধিকরণ বলে।
যেমন: ১. তারা সকালে ঘুম থেকে ওঠে।
২. বৈশাখ মাসে নবান্ন উৎসব হয়।
৩. ভাবাধিকরণ : কোনো ক্রিয়া সম্পাদন যদি অন্য কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যের ওপর নির্ভর করে, তাকে ভাবাধিকরণ
বলে। যেমন: ১. সূর্যোদয়ে চারদিক আলোকিত হয়।
২. আহারে পেট ভরে।
অধিকরণ কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার :
১. প্রথমা বিভক্তি - শফিক সিলেট থাকে।
২. দ্বিতীয় বিভক্তি - হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে।
৩. তৃতীয়া বিভক্তি - বড় রাস্তা দিয়ে যেও।
৪. পঞ্চমী বিভক্তি - এমন দিনে কি বলা যায় তারে।
কারক নির্ণয়ের সহজ নিয়মাবলি :
১. কর্তৃকারক : বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে কর্তৃকারক পাওয়া যায়। যেমন: সবিতা গান গায়। কে গান গায়?
উত্তর হবে ‘সবিতা’। এখানে সবিতা কর্তৃকারকের উদাহরণ।
২. কর্মকারক : বাক্যে অবস্থিত ক্রিয়াপদকে ‘কী’ বা ‘কাকে’ দ্বারা প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়। যেমন:
১. সে ভাত খায়। এখানে ‘ভাত’ কর্মকারকের উদাহরণ। কারণ ‘কী’ দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর ‘ভাত’ পাওয়া যায়।
আবার,
২. বাবা আমাকে একটি কলম দিয়ে দিলো। এখানে, যদি প্রশ্ন করি, ‘কাকে’ দিলো। তাহলে উত্তরে ‘আমাকে’ পাওয়া
যায়। সুতরাং এখানে ‘আমাকে’ কর্মকারক।
৩. করণকারক : ‘কীসের দ্বারা’ কর্তা কাজ করে প্রশ্ন করলে করণকারক পাওয়া যায়। যেমন: টাকায় টাকা হয়। এখানে
যদি প্রশ্ন করি কীসের দ্বারা টাকা হয়, তাহলে উত্তর হবে টাকার দ্বারা। সুতরাং, ‘টাকা’ এখানে করণকারকের উদাহরণ।
৪. সম্প্রদান কারক : স্বত্বত্যাগ করে কর্তা যদি কারোর জন্য কিছু করে তবে যার জন্য করে, তাকে সম্প্রদান কারক বলে।
অর্থাৎ, “কার জন্য করে” প্রশ্ন করলে সম্প্রদান কারক পাওয়া যায়। যেমন: ভিখারিকে ভিক্ষা দাও। এখানে, ভিক্ষা
দেওয়ার কাজটি করা হয়েছে ভিখারির জন্য। সুতরাং ভিখারি এখানে সম্প্রদান কারক।
৫. অপাদান কারক : “কোথা থেকে” কাজটি হচ্ছে প্রশ্ন করলে অপাদান কারক পাওয়া যায়। যেমন: ছাদ থেকে পানি
পড়ে। যদি বলি “কোথা থেকে” পানি পড়ে, তাহলে ‘ছাদ’ উত্তর পাওয়া যায়। সুতরাং ‘ছাদ’ এখানে অপাদান কারক।
৬. অধিকরণ কারক : কোথায় বা কখন হচ্ছে” প্রশ্ন দ্বারা অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। যেমন: বনে বাঘ আছে। যদি বলি
বাঘ কোথায় আছে, তাহলে ‘বনে’ উত্তর পাওয়া যায়।
আবার, মাঘ মাসে প্রচÐ শীত হয়।
এখানে, যদি বলি কখন প্রচÐ শীত হয়, তাহলে “মাঘ মাস” উত্তর পাওয়া যায়। সুতরাং ‘বনে’ ও ‘মাঘ মাস’ এখানে
অধিকরণ কারক।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
১. কারক কয় প্রকার ও কী কী?
২. কর্তৃকারকের সংজ্ঞা লিখুন এবং কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিন।
৩. কতো রকম কর্তৃকারক হতে পারে তার দৃষ্টান্ত দিন।
৪. কর্মকারক কাকে বলে? কোনটি মুখ্য কর্ম আর কোনটি গৌণ কর্ম?
৫. করণ কারকের সংজ্ঞা দিন এবং কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিন।
৬. একই রকম মনে হলেও কর্ম কারক ও সম্প্রদান কারকের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে লিখুন।
৭. উদাহরণসহ অপাদান কারকের সংজ্ঞা দিন এবং অপাদান কারকের প্রয়োগ বৈচিত্র্য দেখান।
৮. অধিকরণ কারকের সংজ্ঞা দিন। অধিকরণ কারক কয় প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকার অধিকরণের দুটি করে উদাহরণ
দিন।
৯. সকল কারকে শূন্য (০) বিভক্তির প্রয়োগ দেখান।
১০. সকল কারকে ‘এ’ বিভক্তির (৭মী বিভক্তির) প্রয়োগ দেখান১১. সকল কারকে ‘তে’ বিভক্তির প্রয়োগ দেখান
১২. নি¤œরেখ শব্দগুলোর কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করুন ঃ
নিজের সাধনায় বড় হও।
সে কানে শোনে না।
ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া কেন?
গরিবকে সাহায্য কর।
আমাকে ভিন গাঁয়ে যেতে হবে।
জোর হাওয়ায় বাড়িটি নড়ছে।
পÐিতে পÐিতে তর্ক বেঁধেছে।
তুমি কখন এসেছ?
অনেকেই আমেরিকা যায়।
আল্লাহকে ডাক।
শুনেছি লোকটি বিলেত ফেরত।
ভোরে বাড়ি থেকে বের হলাম।
লোকে কী বলবে।
লেখাপাড়ায় মনোযোগী হও।
চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
ফাগুনের শুরুতে কোকিল ডাকে।
সারাটা দিন কলেজ পালিয়ে কোথায় ছিলে ?
লীলা রোগে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সে বাগানে ফুল তুলছে।
বশির চমৎকার ফুটবল খেলে।
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
চোরকে বেত মারা হল।
চÐীদাসে কয় শুন পরিচয়।
ব্রাহ্মণকে দক্ষিণা দাও।
তুমি বই পড়।
চোরের ভয়ে এ ব্যবস্থা নিয়েছি।
তোমার খাওয়া হল না ।
পাগলেতে কী না বলে।
ঘরেতে ভ্রমর এল গুনগুনিয়ে।
খোকা মাকে জিজ্ঞাসা করে।
এ কলমে ভাল লেখা হয় না।
গগনে গরজে মেঘ।
গাধায় পানি ঘোলা করে খায়।
বোঁটা খসা ফল গাছে থাকবে কী করে?
ছুরি দিয়ে ফল কাট।
পাঁচ দিন ঘুমাতে পারিনি।
যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়।
রাতভর বৃষ্টি হল।
সে জ্বরে কাহিল হয়ে পড়েছে।
একবার চোখের দেখা দেখতে চাই।
সৎপাত্রে কন্যা দান কর।
তিমি মাছ সাগরে থাকে।
মিথ্যারে কোরো না উপাসনা।
আজকাল অনেক গাড়ি গ্যাসে চলে।
তর্কে বিরত হও।
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি।
তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত।
সাগরতীরে বসে আছি।
কাঁচের জিনিস সহজে ভাঙে।
পূজার ফুল কে তুলবে?
ছাগলেতে কী না খায়।
আমি জানি কত ধানে কত চাল হয়।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]