সবুর শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো অপেক্ষা বা ধৈর্য। ধৈর্য বলতে মানুষের সহনশীলতাকেই বুঝায়। সহনশীল মানুষ জীবনের কঠিন সময়েও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অন্যদিকে যে ব্যক্তি সবুর করতে পারে না সে জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ধৈর্যশীল মানুষ পরাজিত হলেও জয়ের জন্য ধৈর্য ধরতে পারে। ফলে সে কোনো একদিন জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিতে পারে। কিন্তু ধৈর্যহীনের পক্ষে তা সম্ভব নয়। ফলে ধৈর্যহীন মানুষের জীবনে ব্যর্থতা নেমে আসে। একজন সহনশীল, ধৈর্যশীল মানুষ সমাজের অন্যান্য মানুষের দৃষ্টিতে আদর্শস্বরূপ। আর একজন ধৈর্যহীন ব্যক্তির সান্নিধ্য কেউ কামনা করে না। ইসলাম ধর্মেও বলা হয়েছে- ‘ধৈর্যশীল ব্যক্তিই উত্তম।’ মানব ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই দেখা যায় যেসকল মহান ব্যক্তিরা সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন ধৈর্যশীল, সহনশীল। সবুর করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অধৈর্য ও তাড়াহুড়া করে কেউ কখনও ভালো কিছু অর্জন করতে পারে না। সবুর করার ফলাফল নিঃসন্দেহে ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনে কল্যাণ বয়ে আনে। ধৈর্যের ফলেই জগতের সকল দুঃসাধ্য কাজ মানুষের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। ধৈর্যশীল ব্যক্তিই সর্বোত্তম ফল ভোগ করতে সক্ষম হয়। শিক্ষা: যে সকল গুণ একজন মানুষকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়, তার মধ্যে ধৈর্য অন্যতম। সুতরাং, ব্যক্তিস্বার্থে তথা সমাজের স্বার্থে আমাদের প্রত্যেকেরই এই গুণের অধিকারী হওয়া উচিত।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ