মানুষ মরণশীল। একটি নির্দিষ্ট সময় পর প্রতিটি মানুষই মৃত্যুবরণ করে। অর্থাৎ খুব অল্প সময়ের জন্যই মানুষ পৃথিবীতে আসে। এই অল্প সময়েই তাকে করে যেতে হয় অনেক কাজ, অনেক সাধনা। কাজ ফুরাবার আগেই হয়তো বেজে ওঠে তার বেলা শেষের গান। দীর্ঘশ্বাস আর অতৃপ্তি বুকে নিয়ে তাকে চলে যেতে হয়, এটাই নিয়ম। এই নিঃশব্দে চলে যাওয়ার মাঝে বেদনা আছে, তবে সেই সাথে আছে সান্তনাও। কারণ মানুষ চলে যায় কিন্তু রেখে যায় তার কর্ম। প্রবাদ আছে- ‘মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।’ কিছু মানুষ আছে যারা আত্মসুখের চেয়ে মানবতার সেবাকে মহৎ বলে বিবেচনা করে। এ ধরণের পরোপকারী সজ্জনের অবদানে মানুষ উপকৃত হয়। শ্রদ্ধাভরে মানুষ স্মরণ করে তাদের উপকারের কথা। মহৎ গুণাবলী ও পরোপকার ব্রতের দ্বারা যিনি মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন, প্রতিনিয়তই মানুষ তাকে হৃদয়ের মধ্যে অনুভব করে। এ ধরণের মানুষই ধন্য। জীবন কেবল তখনই সার্থক হয় যখন মানুষের হৃদয়ে কেউ নিত্য পূজা লাভ করে। যারা নিজ সার্থকে বিসর্জন দিয়ে পরের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারে তারাই মৃত্যুঞ্জয়ী মহিমায় ভাস্বর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়- ‘নিঃশেষে প্রাণ, যে করিবে দান, ক্ষয় নাই, তার ক্ষয় নাই।’ অর্থাৎ পরার্থ কামনার এই ব্রতে যিনি আত্মসুখকে বিসর্জন দিয়ে বৃহৎ জগতের মাঝে ঠাঁই নিয়েছেন, জীবনের ভিড়ে যিনি জীবকে খুঁজে নিয়েছেন, মৃত্যুর পরও মানুষের ধ্যানলোকে তিনি অমর। শিক্ষা: জীবন একটাই। তাই এই জীবনে আমাদের সবার লক্ষ্য যেন হয় মানবের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করা। জীবন ও জগতের জন্য কল্যাণকর কর্মের মাধ্যমেই আমরা হয়ে উঠতে পারব স্মরনীয় ও বরণীয়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ