পাঠ-পরিচিতি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী রচনার সংকলন ‘কমলাকান্তের দপ্তর’। তিন অংশে বিভক্ত এই গ্রন্থটিতে যে কয়টি প্রবন্ধ আছে, তার মধ্যে বিশেষভাবে উলেখযোগ্য রচনা ‘বিড়াল’। একদিন কমলাকান্ত নেশায় বুঁদ হয়ে ওয়াটারলু যুদ্ধ নিয়ে ভাবছিলেন। এমন সময় একটা বিড়াল এসে কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধটুকু খেয়ে ফেলে। ঘটনাটা বোঝার পর তিনি লাঠি দিয়ে বিড়ালটিকে মারতে উদ্যত হন। তখন কমলাকান্ত ও বিড়ালটির মধ্যে কাল্পনিক কথোপকথন চলতে থাকে। এর প্রথম অংশ নিখাদ হাস্যরসাত্মক, পরের অংশ গূঢ়ার্থে সন্নিহিত।
লেখক পরিচিতি
নাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : মুরারিপুর (মাতুলালয়), চব্বিশ পরগনা।
পৈতৃক নিবাস : ব্যারাকপুর, চব্বিশ পরগনা।
পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাতার নাম : মৃণালিনী দেবী।
শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : এন্ট্রান্স (১৯১৪), বনগ্রাম স্কুল।
উচ্চ মাধ্যমিক : আর.এ. (১৯১৬), বনগ্রাম স্কুল।
উচ্চতর : বি.এ.(ডিস্টিংশনসহ), ১৯১৮, কলকাতা রিপন কলেজ।
কর্মজীবন শিক্ষকতা : হুগলি জেলার জাঙ্গীপাড়া স্কুল, সোনারপুর হরিনাভি স্কুল, কলকাতা খেলাৎচন্দ্র মেমোরিয়াল স্কুল, ব্যারাকপুরের নিকটবর্তী গোপালনগর স্কুল।
সাহিত্য সাধনা উপন্যাস : পথের পাঁচালী, অপরাজিতা, আরণ্যক, ইছামতি, দৃষ্টি প্রদীপ, আদর্শ হিন্দু হোটেল, দেবযান, অশনিসংকেত ইত্যাদি।
ছোটগল্প : মেঘমলার, মৌরিফুল, যাত্রাবদল, কিন্নর দল ইত্যাদি।
আত্মজীবনীমূলক রচনা : তৃণাঙ্কুর।
পুরস্কার ও সম্মাননা ‘ইছামতি’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ।
মৃত্যু মৃত্যু তারিখ : ১ নভেম্বর, ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ।
উৎস পরিচিতি
‘আহŸান’ গল্পটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাবলি থেকে সংকলিত হয়েছে।
বস্তুসংক্ষেপ
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা কথাসাহিত্যে একটি অনন্য নাম। তিনি এই পৃথিবীর প্রাত্যহিকতার ধূলিমলিন জীবনের বাইরে অনেক উপরে শিল্পকে স্থাপন করার কীর্তি স্থাপন করে গেছেন। তাঁর অনন্য কালজয়ী সৃষ্টির মধ্যে ‘আহŸান’ গল্পটি অন্যতম। গল্পটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাবলি থেকে সংকলিত হয়েছে।
‘আহŸান’ গল্পটি একটি উদার মানবিক সম্পর্কের গল্প। গল্পের কথক লেখক নিজেই। তিনি কোনো এক ছুটিতে গ্রামে গেলে সেখানে এক দরিদ্র বৃদ্ধার সাথে পরিচিত হন। গ্রামে পিতৃপুরুষের ভিটায় ঘর তুলে মাঝে মাঝে গ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। বৃদ্ধ তাকে সন্তানের মতো ভালোবাসেন এবং তার জন্য কোনোদিন গোটাকতক আম, কোনোদিন এক ঘটি দুধ, কোনোদিন বা দুটি কচি শসা নিয়ে হাজির হন। লেখক ও তাঁর মাঝে মাতৃছায়া দেখতে পান, যখন বৃদ্ধা তাঁকে সম্বোধন করেন ‘অ মোর গোপাল।’ বৃদ্ধা তার কাছে আব্দার করেন ‘আমি মরে গেলে আমার কাফনের কাপড় তুই কিনে দিস বাবা।’ বৃদ্ধার এ আহŸানকে লেখক উপেক্ষা করতে পারেন না। তিনি বৃদ্ধার মৃত্যুর পরদিনই গ্রামে এসে হাজির হন এবং মাতৃস্থানীয়া বৃদ্ধার দাবি পূরণ করেন তার অন্তিম শয্যার কাফনের কাপড় কিনে দিয়ে। মানুষের স্নেহ-মমতা-প্রীতির যে বাঁধন তা যে কোনো ধন-সম্পদে অর্জিত হয় না ‘আহŸান’ গল্পে সেটিই অসামান্য শিল্পমণ্ডিত হয়ে ধরা দিয়েছে। গল্পের উপজীব্য হলো দারিদ্র্যপীড়িত গ্রামের মানুষের মাঝে সরল জীবনধারা। সামাজিক অসঙ্গতি, জাতিভেদ। কোনো কিছুই যে স্নেহ-ভালোবাসার উপরে যেতে পারে না এ গল্পটিতে সেটাই প্রকাশিত হয়েছে। লেখক দুটি ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও আর্থিক অবস্থানে বেড়ে-ওঠা চরিত্রের মধ্যে সংকীর্ণতা ও সংস্কার মনোভঙ্গির প্রকাশ ঘটিয়েছেন। গ্রামীণ লোকায়ত প্রান্তিক জীবনধারা শাস্ত্রীয় কঠোরতা থেকে যে অনেকটা মুক্ত সে সত্যও এ গল্পে উন্মোচিত হয়েছে।
নামকরণের সার্থকতা যাচাই
নির্জন পথের নির্জন পথিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আহŸান’ গল্পটি একটি উদার মানবিক সম্পর্কের গল্প। এ গল্পের নামকরণ করা হয়েছে গল্পের কথকের মনোজাগতিক চেতনার প্রকাশের উপর ভিত্তি করে। লেখক নিজেই গল্পের কথক। হৃদয়ের নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে ওঠেছে লেখক এবং বৃদ্ধার স্নেহ-প্রীতির সম্পর্কে। মাতৃস্নেহের মাধ্যমে লেখকের মনে জায়গা করে নেয় বৃদ্ধা। মায়ের মতো একদিন আম, একদিন শসা, কোনোদিন বা দুধ এনে হাজির করেন। ধীরে ধীরে লেখকের মনে মায়ের আসন করে নেন। তাঁর মাতৃসুলভ সম্বোধন, অ-গোপাল আমার। লেখক ও স্নেহের বাঁধন অনুভব করেন বুড়ির আচরণে। বুড়ি যখন বলেন, আমি মরে গেলে আমার কাফনের কাপড় তুই কিনে দিস বাবা। লেখক বৃদ্ধার এই অন্তরের ডাক তার উদার মানবীয় দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা উপলব্ধি করেন। দীর্ঘ সময়ের পর লেখক গ্রামে গিয়ে শোনেন গত রাতে বুড়ি মারা গেছেন এবং মারা যাওয়ার সময় তার নাম অর্থাৎ ‘গোপাল’-এর নাম করেছেন বহুবার। তখন তার মনে পড়ে তার মাতৃসুলভ দাবির কথা। তিনি অনুভব করেন বুড়ির স্নেহাতুর আত্মা বহুদূর থেকে তাকে আহŸান করে নিয়ে এসেছে। সে আহŸান তার মন উপেক্ষা করতে পারেনি। তবে অলক্ষের আহŸানে সাড়া দিয়েই লেখক গ্রামে ফিরে এসেছেন। যেন তাঁর দায়িত্ব বুড়ির আবদার বা স্নেহের দাবিকে পূরণ করা। লেখকের এই চেতনার প্রকাশ ঘটাতে গল্পের নাম ‘আহŸান’ এর কোনো বিকল্প আমরা কল্পনা করতে পারি না। তাই বলা যায়, গল্পের নাম ‘আহŸান’ রাখা সার্থক ও সুন্দর হয়েছে।
বানান সতর্কতা
দীর্ঘজীবী, গোয়ালিনী, øেহাতুর, সলজ্জভাবে, আহ্লাদ, দিগম্বরী, তাচ্ছিল্য, কটুতিক্ত, স্ত্রী, আজ্ঞে, পৈতৃক, জ্যৈষ্ঠ, জিজ্ঞাসা, আদৌ।
অনুশীলন অংশ (চৎধপঃরপব)
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন দিন মজুর কেরামত। হঠাৎ দেখতে পান মৃতপ্রায় একটি শিশু পথের ধারে পড়ে আছে। পরম যতেœ তিনি শিশুটিকে ঘরে তুলে আনেন। নিজের ছেলেমেয়ে নিয়ে অভাবের সংসারে স্ত্রী প্রথমে খানিকটা আপত্তি করলেও শিশুটির অবস্থা দেখে তিনিও বুকে জড়িয়ে ধরেনবড় করতে থাকেন নিজের সন্তান পরিচয়ে।
ক. বুড়িকে মা বলে ডাকত কে?
খ. ‘স্নেহের দান এমন করা ঠিক হয়নি’-কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. কেরামত দম্পতির মধ্য দিয়ে “আহŸান” গল্পের কোন বিশেষ দিকটির ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মানুষের স্নেহ-মমতা-প্রীতির যে বাঁধন তা ধন-সম্পদে নয়, নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে ওঠে।’-উদ্দীপক ও “আহŸান” গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
বুড়িকে মা বলে ডাকত হাজরা ব্যাটার বউ।
লেখক খাঁটি দুধ খেতে পায় না শুনে বৃদ্ধা তাঁর জন্য দুধ নিয়ে এলে লেখক তাকে রূঢ় স্বরে দুধের দাম জিজ্ঞাসা করে টাকা দিলে বুড়ি বিব্রত হয়ে টাকা নিয়ে চলে যায়। তখন অনুশোচনায় লেখক উক্ত উক্তিটি করেন।
বুড়ি জানতে পারেন যে, ঘুঁটি গোয়ালিনীর জল মেশানো দুধ লেখক খান। তখন সন্তান স্নেহে লেখকের জন্য বুড়ি এক ঘটি দুধ হাজরা ব্যাটার বৌয়ের কাছ থেকে চেয়ে আনেন। লেখক তার দাম দিয়ে দিলে বুড়ি মনঃক্ষুণœ হয়ে চলে যান। লেখক তখন ভাবেন স্নেহের দানের আর্থিক প্রতিদান দেয়া ঠিক হয়নি। এটা ভেবে লেখক উক্ত উক্তিটি করেন।
কেরামত দম্পতির মধ্যে ‘আহŸান’ গল্পের সন্তানের প্রতি স্নেহ এবং মানবিক চেতনার দিকটির প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে।
মানুষের মন অত্যন্ত সংবেদনশীল। সন্তানের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা মানুষের একটা সহজাত ধর্ম। কিন্তু সন্তানতুল্য অপরের সন্তানের প্রতি অপরিসীম স্নেহ-ভালোবাসা মানুষের এই সংবেদনশীল মনের পরিচায়ক।
উদ্দীপকের কেরামত দম্পতির মধ্যে এমনই মনের পরিচয় পাওয়া যায়। যা ‘আহŸান’ গল্পের স্নেহ-ভালোবাসা ও উদার মানবিকতার প্রতি ইঙ্গিত করে। কেরামত দম্পতি একটা পথে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুর প্রতি যে স্নেহ-ভালোবাসা প্রকাশ করেন তা সত্যিই বিরল। শিশুটির প্রতি তাঁদের এই মায়া বা স্নেহ-মমতা উদার মানবিকতার পরিচয় দেয়। যা ‘আহŸান’ গল্পেও লক্ষ করা যায়। গল্পে দেখা যায়, লেখক ও দরিদ্র মুসলমান বৃদ্ধার মাঝে স্নেহ-ভালোবাসার উদার মানবিক সম্পর্ক। যেখানে শ্রেণি-বৈষম্য, জাতপাত বা ধর্মভেদ কোনো বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানবিকতাকে স্থান দেওয়া হয়েছে গল্পটিতে। সংকীর্ণতা ও সংস্কারমুক্ত এই ভাবের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে উদ্দীপকটিতে।
মানুষের স্নেহ-মমতা-প্রীতির যে বাঁধন তা ধন-সম্পদে নয়, নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে ওঠে। উদ্দীপক এবং ‘আহŸান’ গল্প অনুসারে মন্তব্যটি যথার্থ। মানুষ মানুষের জন্য সংবেদনশীলতার হাত বাড়িয়ে দেবে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। অথচ এটা এখন শুধুই একটা মানবিক বুলিমাত্র। সর্বত্রই মানুষের মাঝে স্বার্থান্বেষী চিন্তার প্রতিফলন দেখা যায়। সেখানে স্নেহ-মায়া-মমতা একটা বোকামিপূর্ণ আচরণ মনে হয়।
উদ্দীপকে রহমান দম্পত্তির মাঝে যে মানবিক আচরণ লক্ষ করা যায় তা সত্যিই বিরল। রহমান দিনমজুর হলেও পথের এক মৃত-প্রায় শিশুকে বুকে তুলে নিয়ে আসে। সন্তানদের ভরণ-পোষণ না দিতে পারলেও তার স্ত্রী তাকে সন্তান স্নেহে বুকে জড়িয়ে ধরে। এখানে যে স্নেহ-মমতা-প্রীতির বাঁধন তা কোনো ধন-সম্পদের নয়, নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে উঠেছে। ‘আহŸান’ গল্পেও এমন ভাবের পরিচয় পাওয়া যায় লেখক এবং বৃদ্ধার স্নেহ-ভালোবাসা আদান-প্রদানের সাথে।
‘আহŸান’ গল্পে এক উদার মানবিক সম্পর্কের পরিচয় পাওয়া যায়। লেখক এবং বৃদ্ধার মাঝে যে মা-সন্তানের স্নেহের সম্পর্ক, তাতে কোনো ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য, ধর্মের প্রভেদ কিংবা, জাতিভেদ বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। লেখকের প্রতি বুড়ির স্নেহের দাবি সকল বাধাকে অতিক্রম করে মানবতার জয় ঘোষণা করেছে। লেখকও তার হৃদয়ে মুসলমান বৃদ্ধার মাঝে মায়ের বা পিসিমার ছায়া দেখতে পেয়েছেন। তাঁকে মাতৃজ্ঞানে ভালোবেসেছেন। তাঁর শেষ আহŸানে মনের অজান্তে তাঁর অন্তিম যাত্রায় উপস্থিত হয়েছেন। এই যে আত্মিক বন্ধন এটা স্নেহ-মায়ামমতা প্রীতির বাঁধন, এটা শুধু নিবিড় আন্তরিকতায় গড়ে ওঠে। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।
অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
কাঙালির মা ছোটজাত, দুলের মেয়ে বলিয়া কাছে যাইতে সাহস পাইল না, তফাতে একটা উঁচু ঢিপির মধ্যে দাঁড়াইয়া সমস্ত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত উৎসুক আগ্রহে চোখ মেলিয়া দেখিতে লাগিল। প্রশস্ত ও পর্যাপ্ত চিতার পরে যখন শব স্থাপিত করা হইল তখন তাহার রাঙ্গা পা-দুখানি দেখিয়া তাহার দু’চক্ষু জুড়াইয়া গেল, ইচ্ছা হইল ছুটিয়া গিয়া একবিন্দু আলতা মুছাইয়া লইয়া মাথায় দেয়। বহুকণ্ঠের হরিধ্বনির সহিত পুত্রহস্তের মন্ত্রপুত অগ্নি যখন সংযোজিত হইল তখন তাহার চোখ দিয়া ঝরঝর করিয়া জল পড়িতে লাগিল, মনে মনে বারংবার বলিতে লাগিল, ভাগ্যিমানী মা, তুমি সগ্যে যাচ্চোÑআমাকেও আশীর্বাদ করে যাও, আমিও যেন এমনি কাঙালির হাতের আগুনটুকু পাই। ছেলের হাতের আগুন! সে ত সোজা কথা নয়!
[তথ্যসূত্র : অভাগীর স্বর্গ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস কোন গ্রামে?
খ. বুড়ি কেন দমে গেলেন?
গ. উদ্দীপকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সাথে ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ি অন্তিম শয়নের বিষয়ের বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের কাঙালির মা এবং ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার প্রত্যাশার ধরন এক।”মন্তব্যটি যাচাই কর। ১
২
৩
৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
বিভূতিভূষণের পৈতৃক নিবাস ব্যারাকপুর গ্রামে।
লেখক রুক্ষ স্বরে দুধের দাম জিজ্ঞাসা করায় বুড়ি প্রথমে খুব দমে গেলেন।
লেখকের দুধের জোগান দেয় ঘুঁটি গোয়ালিনী। একথা শুনে বুড়ি বলেন ‘এর তো অর্ধেক জল’। এজন্য তিনি তাঁর পাতানো মেয়ের কাছ থেকে খাঁটি দুধ চেয়ে লেখকের জন্য নিয়ে আসেন। তখন লেখক বুড়িকে দাম দিয়ে তাড়াতাড়ি বিদায় করার জন্য বেশ রুক্ষ স্বরে তার দাম জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু স্নেহের দানের আর্থিক প্রতিদান দিতে গেলে বুড়ি অপ্রস্তুত হন এবং লেখকের রুক্ষ স্বরে তিনি দমে যান।
উদ্দীপকের সাথে ‘আহŸান’ গল্পের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বা অন্তিম শয়ানের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
এ পৃথিবী থেকে সকলেরই এক সময় বিদায় নিতে হয় । কারো আগে, কারো পরে। কেউ বা রাজকীয়ভাবে অন্তিম যাত্রা করে, কেউ বা দীনহীনভাবে অন্তিম শয়ানে শায়িত হয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, কর্তা গিন্নি বা ভাগ্যিমানী মার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। প্রশস্ত ও পর্যাপ্ত চিতার পরে বা তার শব বা মৃতদেহ শায়িত। তার রাঙা দুখানি গায়ে আলতা মাখা। সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহিণী হওয়ায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও আড়ম্বরের সাথে সম্পন্ন হচ্ছে। কিন্তু ‘আহŸান’ গল্পে বুড়ির শব যাত্রা বা কবর দেওয়ার বিষয়টি নিতান্ত সাদামাটা। প্রাচীন একটা বৃক্ষের নিচে বৃদ্ধাকে কবর দেওয়া হবে। দুজন লোক তার কবর খুঁড়ছে। সেখানেই বৃদ্ধাকে চিরদিনের মতো শোয়ানো হবে। বিষয়ের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
“উদ্দীপকের কাঙালির মা এবং ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার প্রত্যাশার ধরন এক।”মন্তব্যটি যথার্থ।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মানুষের কিছু অন্তিম ব্যবস্থা থাকে। তারা মনে করে সেটা পেলে মরেও শান্তি পাবে। যেমন কাঙালির মা মৃত্যুর পর তাঁর ছেলের হাতের মুখাগ্নির প্রত্যাশা করে স্বর্গে যাওয়ার জন্য এবং ‘আহŸান’ গল্পে বৃদ্ধা লেখকের কাছে কাফনের কাপড় প্রত্যাশা করে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, ছোট জাতের মেয়ে কাঙালির মা ও বাড়ির কর্তা গিন্নির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখে ভাবে তার মৃত্যুর পর যদি তার ছেলে কাঙালির হাতের আগুন পায় তবে তিনি স্বর্গে যেতে পারেন। কাঙালির মায়ের এই প্রত্যাশার চিত্র দেখা যায় ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার মাঝে। তিনিও লেখকের কাছে কাফনের কাপড় প্রত্যাশা করেছেন।
‘আহŸান’ গল্পে দেখা যায় বৃদ্ধ লেখককে সন্তানের মতো ভালোবাসেন। তিনি আম, শসা, দুধ ইত্যাদি দিয়ে তাঁর মাতৃস্নেহের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। লেখক প্রথমে সংকোচ বোধ করলেও পরে এটাকে স্বাভাবিকভাবে ও শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করেন। তখন
নিঃসন্তান বৃদ্ধা লেখকের কাছে বলেন, ‘আমার কাফনের কাপড় তুই কিনে দিস বাবা।’ বুড়ির এই প্রত্যাশার মাঝে প্রকাশিত হয়েছে সন্তানের কাছে বৃদ্ধা মায়ের দাবি বা আবদার। যা কাঙালির মায়ের প্রত্যাশায় প্রকাশিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
“হোক, তবু বসন্তের প্রতি কেন এই তব তীব্র বিমুখতা?”
কহিলাম, “উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন কবি দাও তুমি ব্যথা?”
কহিল সে কাছে সরে আসিÑ
“কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী-
গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে
রিক্ত হস্তে! তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোনো মতে।”
ক. বুড়ি কী কেনার জন্য বাজারে যাচ্ছিল?
খ. বুড়ির আগে এ পাড়া ও পাড়া আসা-যাওয়া করতে হতো না কেন?
গ. উদ্দীপকের কবি ‘আহŸান’ গল্পের কোন চরিত্রকে নির্দেশ করে?Ñব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোনো মতে।’ ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের চেতনার ক্ষেত্রে চরণটির মর্মার্থ সম্পূর্ণভাবে যথার্থ নয়।মন্তব্যটি বিচার কর। ১
২
৩
৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
বুড়ি নুন কেনার জন্য বাজারে যাচ্ছিল।
বৃদ্ধার স্বামী বেঁচে থাকতে তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ সচ্ছল ছিল তাই ভিক্ষা করার জন্য তাঁর এপাড়া ওপাড়া যাতায়াত করতে হতো না।
বৃদ্ধার স্বামী জমির করাতির বেশ সচ্ছল অবস্থা ছিল। গোলাভরা ধান। আর গোয়ালভরা গরু নিয়ে ছিল বুড়ির সোনার সংসার। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর সংসারের দায়িত্ব নেয়ার মতো কেউ ছিল না, তাই তিনি এখন পথের ভিখারিনি। এজন্য তাঁকে এপাড়া ওপাড়া করতে হয়, যা স্বামী বেঁচে থাকতে করতে হতো না।
উদ্দীপকের কবি ‘আহŸান’ গল্পের লেখক চরিত্রকে নির্দেশ করে।
প্রিয় হারানোর বেদনায় সবাই আহত হয়। কেউ চায় না তার প্রিয় কেউ চিরদিনের মতো পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাক। কিন্তু নিয়তির বিধানে সবাইকেই চলে যেতে হয়। কেউ আগে যায়, কেউ বা পরে। যারা আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় তাদের কাছের মানুষের কাছে সে শূন্যতার বেদনা অসহনীয়।
উদ্দীপকে কবির অন্তরে দেখা যায় প্রিয় জনকে হারানোর বেদনা। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে কবি শোকে মুহ্যমান। তার প্রিয় যে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে হারিয়ে গেছে এ কথা তিনি কোনোমতেই ভুলতে পারছেন না। বার বার তাকে মনে পড়ছে। এমনই প্রিয় হারানোর বেদনা অনুভব করেছেন ‘আহŸান’ গল্পের লেখক মাতৃস্থানীয়া বৃদ্ধার মৃত্যুতে। বৃদ্ধা তাঁকে মায়ের মতোই স্নেহ করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর লেখক সেখানে উপস্থিত হন অজানা আহŸানে সাড়া দিয়ে। লেখকের হৃদয়ও শোকে মুহ্যমান। এক্ষেত্রে উভয় চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।
‘তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোনো মতে।’ এ চরণটির ভাব ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের চেতনার ক্ষেত্রে পুরোপুরি যথার্থ নয়।
বিচ্ছেদ ব্যথায় সকলেই কাতর হন। উদ্দীপকের কবিও বিচ্ছেদ ব্যথায় কাতর। প্রিয়জন তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে বহুদূরে। সেই শোকে তিনি মুহ্যমান। তাইতো তিনি ঋতুরাজকেও উপেক্ষা করেন। কিন্তু সকলের বিচ্ছেদ-ব্যথা এই রকম গভীর নাও হতে পারে।
উদ্দীপকের কবি প্রিয়জন হারানোর শোকে কাতর। পৃথিবীর কোনোকিছুই তার ভালো লাগে না। তাইতো এ পৃথিবীতে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন তিনি টের পান না। যে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে চলে গেছে শূন্য হাতে, তাকে তিনি কোনোভাবেই ভুলতে পারেন না। উদ্দীপকের এই চরণটির মর্মার্থ ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের চেতনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে যথার্থ নয়।
‘আহŸান’ গল্পের লেখকের বিচ্ছেদ-ব্যথা বা প্রিয় হারানোর ব্যথা সম্পূর্ণ ভিন্ন। গল্পে দেখি মাতৃস্থানীয়া এক বৃদ্ধা লেখককে
সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। স্নেহ করতেন। লেখককে তিনি নানারকম খাদ্যদ্রব্য খাইয়ে শান্তি পেতেন। তাঁর আপত্য øেহে লেখক সিক্ত হয়েছিলেন এবং বৃদ্ধাকে মায়ের মতো ভালোও বেসেছিলেন। সেই বৃদ্ধার মৃত্যুতে তিনিও মর্মাহত। কিন্তু উদ্দীপকের কবির মতো তীব্র নয় তাঁর বেদনার রং। তাকে যে কোনো মতে ভুলতে পারেন না, এমনটি নয়। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মানুষের লোভ ও ধর্মান্ধতার যূপকাষ্ঠে সৌদামিনীর মাতৃহৃদয় বলিপ্রাপ্ত হলেও তার মাতৃহৃদয়ের হাহাকারের মধ্যেও ধ্বনিত হতে থাকে মানবতার জয়গান; তার মাতৃত্বের কাছে ধর্ম, অর্থ ও অপর সকলের পরাভব ঘটে।
ক. লেখকের বাবার বন্ধু কে?
খ. লেখক বুড়িকে কেন পয়সা দিলেন?
গ. উদ্দীপকে সৌদামিনী ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ির কোন বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপক এবং ‘আহŸান’ গল্পে গাওয়া হয়েছে মানবতার জয়গান।”ব্যাখ্যা কর। ১
২
৩
৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
লেখকের বাবার বন্ধু হলেন চক্কোত্তি মশায়।
বৃদ্ধার কষ্ট ও অসহায়ত্ব দেখে লেখকের মায়া হওয়ায় তিনি পয়সা দিলেন।
গ্রামে ফিরে একদিন লেখকের সাথে এক বৃদ্ধার দেখা হয়। তিনি তখন বাজারে চলছিলেন তিন পয়সার লবণ কিনতে। তখন বৃদ্ধার মুখে তার অসহায়ত্ব ও দারিদ্র্যের কথা শুনে লেখকের মায়া হয়। তখন তিনি পকেট থেকে কিছু পয়সা বের করে বৃদ্ধাকে দেন।
উদ্দীপকের সৌদামিনী ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ির মাতৃস্নেহের বা মাতৃত্বের বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করেছে।
প্রতিটি মায়ের কাছে øেহের ধন হলো তার সন্তান। নিজের চেয়েও তিনি সন্তানকে বেশি ভালোবাসেন। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা একেবারে অকৃত্রিম। সেখানে কোনো ব্যক্তিস্বার্থ থাকতে পারে না।
উদ্দীপকে সৌদামিনীর মাতৃহৃদয়ের কথা বলা হয়েছে। সন্তানের জন্য তাঁর মাতৃহৃদয়ের হাহাকার ধ্বনিত হয়েছে। তবু তার ভিতরে লক্ষ করা যায় মানবিকতার জয়গান। তার মাতৃত্বের কাছে ধর্ম, অর্থ স্থান পায়নি। ‘আহŸান’ গল্পেও এ ভাবটি লক্ষ করা যায় বৃদ্ধার মাঝে। তিনি মুসলমান হয়েও হিন্দুর ছেলে লেখকের প্রতি মাতৃøেহে বিগলিত হন। মায়ের মতো স্নেহের সম্বোধন, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য খাইয়ে প্রশান্তি অনুভব-এ সবই মানবিকতার জয়গান ঘোষণা করে। উভয় চরিত্রে এখানেই সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
“উদ্দীপক এবং ‘আহŸান’ গল্পের গাওয়া হয়েছে মানবতার জয়গান।”মন্তব্যটি যথার্থ।
মানবিকতার কাছে সবকিছু হার মানে। শত বাধা-বিপত্তি প্রতিক‚লতা ধুয়ে-মুছে যায় এর মহাশক্তির কাছে। ধর্ম-জাতি-শ্রেণি সকল ভেদ এখানে এসে একাকার হয়ে যায়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, মানবিকতার জয়গান গাওয়া হয়েছে। মানুষের লোভ ও ধর্মান্ধতার যূপকাষ্ঠে সৌদামিনীর মাতৃহৃদয় বলি প্রাপ্ত হয়েছে। তবু তা অকৃত্রিম অম্লান রয়েছে। তার মাতৃহৃদয়ের হাহাকারের মধ্যেও ধ্বনিত হয়েছে মানবতার জয়গান। তার মাতৃত্বের কাছে ধর্ম, অর্থ সকল কিছুর পরাভব ঘটেছে। এমনই মানবতার জয়গান গাওয়া হয়েছে ‘আহŸান’ গল্পে।
‘আহŸান’ গল্পটি একটি উদার মানবিক সম্পর্কের গল্প। মানুষের স্নেহ-মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যা পাওয়া যায় তা ধন-সম্পদের মাধ্যমে পাওয়া যায় না। হৃদয়ের নিবিড় আন্তরিকতার মাধ্যমে সে বাঁধন পোক্ত হয়। ধনী-দরিদ্র, ধর্ম-জাতি সবকিছুর ব্যবধান ঘুচে যায় উদার হৃদয়ের আন্তরিকতা ও মানবীয় দৃষ্টিভঙ্গির ফলে। এ গল্পে লেখক দুটি ভিন্ন ধর্ম ও আর্থিক অবস্থানে থাকা চরিত্রের মধ্যে সংকীর্ণতা ও সংস্কারমুক্ত মনোভঙ্গির প্রকাশ ঘটিয়েছেন। যা মানবিক, তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
জরিনা যৌবনে বিধবা হয়। তার স্বামী আফজাল মিয়া মারা যায় এক দুর্ঘটনায়। তার সম্বল একমাত্র ছেলে রহিমকে অনেক কষ্ট করে লালন পালন করে সৌদি আরবে পাঠায় টাকা কামাইয়ের জন্য। ছয় মাসের মাথায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মরার সময় সে তার একমাত্র ছেলেকে দেখার আকুলতা প্রকাশ করে। মৃত্যুশয্যায় শায়িত হয়ে সে বলে আমার রহিমকে বলিও আমার কবরে পাশে যেন একটি মসজিদ বানায়।
ক. জরিনার স্বামীর নাম কী?
খ. ‘দুধ খেতি পাচ্ছ না ভালো সে বুঝেচি’-কে, কেন কথাটি বলেছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের কোন বিষয়টি তুলে ধরেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের শেষের দুই বাক্যে ‘আহŸান’ গল্পের মর্মার্থ লুকিয়ে আছে।” মন্তব্যটি যাচাই কর। ১
২
৩
৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
জরিনার স্বামীর নাম আফজাল মিয়া।
ঘুঁটি গোয়ালিনী লেখককে দুধের জোগান দেয় শুনতে পেয়ে বুড়ি কথাটি বলেছেন।
বুড়ি লেখককে জিজ্ঞাসা করেন কোথায় তার খাওয়া-দাওয়া হয়। লেখক বলেন, তার জ্ঞাতি খুড়োর বাড়ি। তখন বুড়ি জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন যে, ঘুঁটি গোয়ালিনীর কাছ থেকে দুধ রাখা হয়। তখন বুড়ি বলেন, ওর দুধ! অর্ধেক জল। তাই বুড়ি উক্ত কথাটি বলেন।
উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরেছে।
দীর্ঘদিন রোগে ভোগার পর বৃদ্ধার মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর আগে তিনি অনেকবার গোপালের কথা অর্থাৎ লেখকের কথা বলেছিলেন গোপালকে দেখতে চেয়েছিলেন মাতৃহৃদয়ের দাবি থেকে। অবশেষে বাসনাকে অপূর্ণ রেখে পরপারে পাড়ি জমালেন।
উদ্দীপকে সেই খবরই লেখককে দেয় পরশু সরদারের স্ত্রী দিগম্বরী। সে লেখককে জানায় যে, বুড়ি কাল রাতে মারা গিয়েছে। মৃত্যুর আগে তার নাম করেছেন কিন্তু আলাহ বা ঈশ্বর তার ডাক শোনেনি। গোপালকে দেখার বাসনা নিয়েই তাঁর পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে। এটি ‘আহŸান’ গল্পের শেষ দিকের চিত্র। সেখানে লেখক তার নাত-জামাইয়ের হাতে বুড়ির শেষ অনুরোধ অনুযায়ী কাফনের কাপড় কেনার জন্য টাকা তুলে দেন। উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি গল্পের বৃদ্ধার মৃত্যু ও তার পরবর্তী দৃশ্যগুলো আমাদের চোখের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়।
“উদ্দীপকের শেষ দুই বাক্যে ‘আহŸান’ গল্পের মর্মার্থ লুকিয়ে আছে”-মন্তব্যটি যথার্থ।
‘আহŸান’ গল্পটি একটি উদার মানবিক সম্পর্কের গল্প। মানুষের স্নেহ-মমতা-প্রীতির যে বাঁধন তা ধন-সম্পদে নয়, হৃদয়ের নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে ওঠে। এ কথাটিই গল্পের মাঝে বিশেষভাবে প্রতিধ্বনিত হয়।
উদ্দীপকের শেষ দুই বাক্যে গল্পের মর্মার্থ লুকিয়ে আছে। এখানে বলা হয়েছে, “ওর স্নেহাতুর আত্মা বহুদূর থেকে আমায় আহŸান করে এনেছে। আমার মন হয়তো ওর ডাক এবার তাচ্ছিল্য করতে পারেনি” উক্ত বাক্য দুটিতে ‘আহŸান’ গল্পের মর্মার্থ পরিলক্ষিত হয়।
‘আহŸান’ গল্পটি একটি উদার মানবিক সম্পর্কের গল্প। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ঘুচিয়ে কুসংস্কার আর ধর্মীয় গোঁড়ামি দূর করে উদার হৃদয়ের আন্তরিকতা ও মানবীয় গুণাবলির বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। গল্পের লেখক হিন্দু জেনেও মুসলমান বৃদ্ধার মাতৃøেহের প্রকাশ গল্পটিকে আরও মানবিক করে তুলেছে। লেখকও তাকে মায়ের আসনে বসিয়েছেন। শ্রদ্ধার সাথে তার সকল দান গ্রহণ করেছেন এবং তাঁর ‘অ-মোর গোপাল আমার, কাফনের কাপড় তুই কিনে দিসি বাবা’ অনুরোধকে অনিবার্য আহŸান হিসেবে উপলব্ধি করেছেন, যা সংকীর্ণতা ও সংস্কারমুক্ত উদার হৃদয়ের পরিচায়ক। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
আজিজ সৌদি আরব থেকে ফিরে এসে দেখে তার পৈতৃক ভিটা জঙ্গলে ভরে গেছে। শেয়াল বাসা বেঁধেছে। সে অনেকক্ষণ উজাড় বাড়িটির দিকে চেয়ে রইল। মনের আয়নায় ভেসে উঠল মা-বাবার স্মৃতিÑ তার ছেলেবেলার অনেক কথা, অনেক ব্যথা। দুচোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল কয়েক ফোঁটা তপ্ত অশ্র“। আজিজ সিদ্ধান্ত নেয়, সে এখন থেকে পিতার ভিটায় বাস করবে।
ক. লেখক কার কাছ থেকে দুধ রাখতেন?
খ. ‘অ-গোপাল আমার’ সম্বোধনটি লেখকের কেন ভালো লাগল?
গ. উদ্দীপকের আজিজের সাথে ‘আহŸান’ গল্পে কার সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করেনি”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
4-Jan-00
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
লেখক ঘুঁটি গোয়ালিনীর কাছ থেকে দুধ রাখতেন।
উক্ত সম্বোধনের মধ্যে মা-পিসিমার স্নেহের সম্বোধন প্রকাশ পাওয়ায় লেখকের ভালো লাগল।
গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে লেখক গ্রামের এক বুড়ির সাথে পরিচিত হওয়ার পর লেখক তাকে কিছু টাকা দেন। পরদিন সকালে বুড়ি লেখকের খোঁজে আসেন। তখন বুড়ি লেখককে ‘গোপাল’ বলে সম্বোধন করে। লেখক প্রথমে অবাক হলেও পরে তাঁর ভালো লাগে। কারণ উক্ত সম্বোধনের মধ্যে তিনি অনুভব করেছিলেন মা-পিসিমার øেহের পরশ।
উদ্দীপকের আজিজের সাথে ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রত্যেকেই তাঁর জন্মভূমির মাটির প্রতি টান অনুভব করে। জন্মভূমির শীতলতায় এসে সবারই তৃপ্ত আত্মা শীতল হয়। উদ্দীপকের আজিজ এবং ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের মাঝে এমন প্রশান্তি লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, আজিজ অনেকদিন পর গ্রামে ফিরে আসে। এসে দেখে তার পৈতৃক বাড়িটা জঙ্গলে পরিপূর্ণ। তার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর অনেকদিন গ্রামে না আসার জন্য এই অবস্থা। অনেকদিন পর গ্রামে এসে তার খুব ভালো লাগে। ফেলে আসা অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। সে সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামে ঘর তুলে এখন থেকে মাঝে মাঝে এসে থাকবে। আজিজের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের সাথে। লেখকও অনেকদিন পর গ্রামে এসে দেখেন তার বাড়ি জঙ্গলে পরিপূর্ণ। কিন্তু তিনিও সিদ্ধান্ত নেন গ্রামে ঘর তুলে মাঝে মাঝে এসে থাকবেন। উভয় চরিত্রে জন্মভূমির প্রতি মমতা ও ভালোবাসার সাদৃশ্য রয়েছে।
“উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করেনি।”মন্তব্যটি যথার্থ।
যে দেশের মাটিকে ভালোবাসে না, অবহেলা করে সে নরাধম। দেশকে ভালোবাসা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। উদ্দীপকের আজিজ এবং ‘আহŸান’ গল্পের লেখক দেশের মাটিকে ভালোবেসে সেখানে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছে।
উদ্দীপকের চিত্রে জন্মভূমির মাটিকে ভালোবাসা ও তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের পরিচয় পাই। কিন্তু এ বিষয়টি ‘আহŸান’ গল্পের অনেক বিষয়ের মধ্যে একটি মাত্র বিষয়। তারেকের নিজ গ্রামে প্রত্যাবর্তন এবং সেখানে বসবাসের সিদ্ধান্ত ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের জন্মভূমির মাটিতে ফিরে আশার বিষয়টি তুলে ধরেছে। কিন্তু ‘আহŸান’ গল্পে এর সাথে আরও বিভিন্ন ভাবের অবতারণা ঘটেছে।
‘আহŸান’ গল্পটি একটি উদার মানবিক সম্পর্কের গল্প। গ্রামে ফিরে এসে বসবাস করাটি এখানে একটি অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে। গল্পে প্রকাশিত দিকগুলোতে বলা হয়েছে, মানুষের স্নেহ-মমতা-প্রীতির যে বাঁধন তা ধন-সম্পদে নয়, হৃদয়ের নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে ওঠে। শ্রেণি-বৈষম্য, জাতিভেদ, ধর্মীয় গোঁড়ামি একসময় ঘুচে যেতে পারে নিবিড় স্নেহ ও উদার হৃদয়ের মানবীয় দৃষ্টির ফলে। লেখক যে সংকীর্ণতা ও সংস্কারমুক্ত মনোভঙ্গির প্রকাশ ঘটিয়েছেন তা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থই হয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বললামÑএসো বুধের মা, কি মনে করে? অনেকদিন পরে দেখলাম।
Ñআর বাবা! গাঁয়ে ঘরে থাক না, তা কি করে দেখবা? বাত হয়েছে বাবা। এখন একটু সামলেছি। তাই উঠে হেঁটে বেড়াচ্ছি।
Ñহাতে কি?
Ñগোটাকতক কাগজি লেবু। বলি, দিয়ে আসি যাই। তুমি আর আমার পঞ্চা দুমাসের ছোটবড়। তুমি হলে ভাদ্র মাসে, পঞ্চা হয়েছে আষাঢ় মাসে। তা আমায় ফেলে চলে গেল।
[তথ্যসূত্র : বুধোর মায়ের মৃত্যু-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]
ক. কে লেখককে ঘর তোলার জন্য অনুরোধ করলেন?
খ. ‘নারী রূপের অপূর্ব পরিণতি’ বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটির সাথে আহŸান গল্পের কোন বিষয়ের সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. “উদ্দীপকের বুধোর মা ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ি চরিত্রের প্রতিরূপ।”মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
চক্কোত্তি মশায় লেখককে ঘর তোলার জন্য অনুরোধ করলেন।
উক্ত বাক্যটি দ্বারা লেখক শ্রদ্ধার সাথে নারীর মাতৃরূপের প্রশস্তি গেয়েছেন।
কালের পরিক্রমায় মানুষের সবকিছু একটি পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। এ রকম নারী রূপেরও ক্রমশ পরিণতি পায়। মা, বোন, স্ত্রী, সবাইকে এক সময় সময়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়। সেখানে তারা পূর্ণতার স্বাদ অনুভব করে। তাদের সেই পরিণতি অবস্থায় দেখলে আবহমান মাতৃরূপ বারবার মনে পড়ে। এমন ভাবেই প্রকাশ ঘটেছে উক্ত বাক্যে।
উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের মাতৃøেহের বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রতিটি নারীর মাঝেই লুকিয়ে থাকে মাতৃহৃদয়। উপযুক্ত পরিবেশে তার এই হৃদয়ের আকুতি প্রকাশিত হয়। যার সন্তান নেই সেও অন্যের সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহ প্রকাশ করতে চায়। ‘আহŸান’ গল্পে এবং উদ্দীপকে এই বিষয়টি লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকে দেখা যায় বুধোর মার হৃদয়ে মাতৃøেহ জেগে উঠেছে। তাই তিনি বাতের ব্যথা নিয়েও লেখককে দেখতে এসেছেন। লেখকের জন্য তিনি গোটাকতক কাগজিলেবু এনেছেন। কারণ লেখকের মধ্যে তিনি তার মৃত ছেলে পঞ্চার ছায়া দেখতে পেয়েছেন। এ বিষয়টি লক্ষ করা যায় ‘আহŸান’ গল্পে। এখানে দেখা যায় বুড়ির নিজের কোনো সন্তান নেই। লেখককে তিনি সন্তানের মতো স্নেহ করেন। তাইতো তিনি লেখকের জন্য আম, শসা, দুধ নিয়ে আসেন। বসতে দেয়ার জন্য খেজুরের চাটাই বুনে রাখেন। গল্পের এই ভাবটিই উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে।
“উদ্দীপকের বুধোর মা ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধা চরিত্রের প্রতিরূপ।”মন্তব্যটি যথার্থ।
মানুষের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা সেটি চিরন্তন ও স্বাভাবিক। আর এই ভালোবাসা আছে বলেই সমাজ এখনো টিকে আছে। আপনজনহীন মানুষও ভালোবাসার ছোঁয়া পেলে হাত বাড়িয়ে দিতে চায়।
উদ্দীপকে বুধোর মা লেখকের প্রতি যে-ভালোবাসা ও মাতৃøেহের পরিচয় দিয়েছেন তাতে ঐ বিষয়টিই প্রমাণিত হয়। তিনি বাতের ব্যথাকে তুচ্ছ করে লেখকের জন্য গোটাকতক লেবু নিয়ে চলে আসেন। তার মনে হারানো ছেলের স্মৃতি জেগে ওঠে। মাতৃত্বের চরম নিদর্শন লক্ষ করা যায় এখানে। এই বুধোর মা যেন ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধা চরিত্রের প্রতিরূপ।
‘আহŸান’ গল্পে বুড়ি মাতৃøেহের বাস্তব নিদর্শন। সন্তানহীনা বৃদ্ধা লেখককে সন্তানের øেহে ভালোবেসেছেন। তার জন্য কখনো আম, কখনো গাছের দুটি কচি শসা, কখনো বা এক ঘটি দুধ এনে হাজির করে। যাতে মাতৃøেহের চরম নিদর্শন প্রকাশিত হয়। বৃদ্ধাকে বারণ করা সত্তে¡ও কোনো না কোনো সময় কিছু নিয়ে হাজির হবেই। লেখককে তিনি ‘গোপাল’ নামে সম্বোধন করে মাতৃস্নেহের চরম প্রকাশ ঘটান। এই বৃদ্ধা চরিত্রের প্রতিরূপই উদ্দীপকের বুধোর মা। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
নদীর চরে গর্ত খুঁড়িয়া অভাগীকে শোয়ান হইল। রাখালের মা কাঙালির হাতে একটা খড়ের আঁটি দিয়া তাহারই হাত ধরিয়া মায়ের মুখে স্পর্শ করাইয়া ফেলিয়া দিল। তারপরে সকলে মিলিয়া মাটি চাপা দিয়া কাঙালির মায়ের শেষ চিহ্ন বিলুপ্ত করিয়া দিল।
সবাই সকল কাজে ব্যস্ত, শুধু সেই পোড়া খড়ের আঁটি হইতে যে স্বল্প ধুঁয়াটুকু ঘুরিয়া ঘুরিয়া আকাশে উঠিতেছিল, তাহারই প্রতি পলকহীন চক্ষু পাতিয়া কাঙালি ঊর্ধ্বদৃষ্টে স্তব্ধ হইয়া চাহিয়া রহিল।
[তথ্যসূত্র : অভাগীর স্বর্গ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]
ক. কতজন লোক বুড়ির জন্য কবর খুঁড়ছিল?
খ. ‘দ্যাও বাবা-তুমি দ্যাও’-কে, কেন এ কথা বলেছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের কোন বিষয়টি তুলে ধরেছে?-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ঘটনার সাথে সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের কাঙালি আর ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের অনুভূতির ভিন্নতা রয়েছে।” মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১
২
৩
৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
দুজন লোক বুড়ির জন্য কবর খুঁড়ছিল।
শুকুর মিঞা বৃদ্ধার কবরে মাটি দেয়ার প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে।
প্রাচীন একটা গাছের নিচে বৃদ্ধাকে কবর দেওয়া হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন লেখক বৃদ্ধার অনিবার্য আহŸানে। সেখানে শুকুর মিঞাসহ আরও অনেকে উপস্থিত। একে একে সবার মাটি দেওয়া হলে শুকুর মিঞা বললেন, এই যে বাবা, এসো। তোমায় যে বড্ড ভালোবাসত বুড়ি। দ্যাও বাবা-তুমি দ্যাও। লেখক দিলেন এক কোদাল মাটি। এতে তিনি অনুভব করলেন, বৃদ্ধা বেঁচে থাকলে বলে উতোÑঅ-মোর গোপাল।
উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার মৃত্যু ও কবর দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
সন্তানের প্রতি প্রতিটি মায়েরই অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকে। তাই মৃত্যুর মুহূর্তেও একজন মা তার সন্তানের স্পর্শ পেতে চায়। ‘আহŸান’ গল্প ও উদ্দীপকে এ বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, নদীর চরে গর্ত খুঁড়ে অভাগীকে শোয়ান হলো। কাঙালির মা ছেলের হাতে একটা খড়ের আঁটি জ্বেলে মায়ের মুখাগ্নি করে। যা তার মা প্রত্যাশা করেছিল। তারপর কাঙালির মাকে শেষ সয্যায় শোয়ানো হলো। এমন একটি চিত্র দেখা যায় ‘আহŸান’ গল্পে। সেখানে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁকে কবর দেওয়ার জন্য প্রাচীন গাছের নিচে কবর দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এ বিষয়ে উভয় জায়গায় সাদৃশ্য রয়েছে।
“ঘটনার সাথে সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের কাঙালি আর ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের অনুভূতির ভিন্নতা রয়েছে।”মন্তব্যটি যথার্থ।
সভ্যতা একদিকে যেমন ক্ষয়িষ্ণু। মরণশীল ব্যক্তিমানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই এক মায়ের মৃত্যুর পর তাকে অন্তিম শয়ানে শোয়ানোর জন্য কবর খোঁড়া হয়। তাকে শোয়ানো হয়। মায়ের শেষ ইচ্ছা ছেলে কাঙালি সাধ্যানুযায়ী সম্পন্ন করে। তার ভাবজগতের কোনো তল সে খুঁজে পায় না। কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ার সাথে তার শোকস্তব্ধ চিন্তাজগৎ ঘুরতে থাকে। তার এই চেতনার সাথে, অনুভূতির সাথে ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের অনুভূতির ভিন্নতা রয়েছে, যদিও উভয় ক্ষেত্রে মৃত্যুর কথা আলোচিত হয়েছে।
‘আহŸান’ গল্পের লেখকের অনুভূতি শুধু বৃদ্ধার শেষ দাবিটুকু এবং তার মাতৃøেহের স্মৃতিতে সীমাবদ্ধ। তার শোকের সাথে কাঙালীর শোকের তুলনা চলে না। মাকে হারিয়ে কাঙালি দিশেহারা। জগৎ মাঝে একমাত্র øেহের ভরসার আশ্রয় আজ অনন্তে হারিয়ে গেছে। অন্যদিকে লেখককে কিছুদিনের স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছিলেন বৃদ্ধা। তাঁর মৃত্যুতে তিনিও শোকাহত কিন্তু কাঙালির মতো তিনি অসহায়ত্ব বোধ করেননি। তাই বলা যায় প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
জাতের নামে বজ্জাতি সব
জাত জালিয়াত খেলছে জুয়া,
ছুঁলেই তোদের জাত যাবে
জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।
ক. ‘পথের পাঁচালী’ কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
খ. বুড়ি কেন আহ্লাদে আটখানা হলেন?
গ. উদ্দীপকে ‘আহŸান’ গল্পের কোন ভাবটি উঠে এসেছে?Ñব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১
২
৩
৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
‘পথের পাঁচালী’ বিভূতিভূষণের কালজয়ী উপন্যাস।
বুড়ির অনুরোধে লেখক অসুস্থ বুড়িকে তার বাড়িতে দেখতে গেলে বুড়ি আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেলেন।
বুড়ির পাতানো মেয়ের কাছে লেখক শুনলেন বুড়ি অসুস্থ। তখন লেখক একদিন বিকেলে গেলেন বুড়িকে দেখতে। গিয়ে দেখেন বুড়ি শুয়ে আছে মাদুরের উপর। তিনি কাছে দাঁড়াতেই বুড়ি চোখ মেলে চাইলেন। পরে লেখককে চিনে ধড়ফড় করে বিছানা ছেড়ে উটে আহ্লাদে আটখানা হয়ে বলল, ‘ভালো আছ অ মোর গোপাল?’
উদ্দীপকে ‘আহŸান’ গল্পের জাতি-ধর্মের বিভেদের অসারতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
এ পৃথিবীতে সকল মানুষই সমান। এ ধরণীর স্নেহ ছায়াতেই সকলে বেঁচে থাকে, বেড়ে ওঠে। অথচ মানুষ মিথ্যা জাতপাতের বড়াই করে একে-অন্যের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। এমনই জাতপাতের অসারতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে উদ্দীপকে ও ‘আহŸান’ গল্পে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, সমাজের কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ জাতের নামে জুয়া খেলতে বসেছে। তাদের কাছে জাত ধর্মই যেন সব। অন্য জাতের কেউ যদি ছুঁয়ে দেয় তখন যেন তাদের জাতি-ধর্ম সব ধুয়ে-মুছে যায়। এ যেন ছেলের হাতের মোয়া। কিন্তু কবি এ সবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। এমন ভাব পরিলক্ষিত হয় ‘আহŸান’ গল্পে। এখানে লেখক কোনো জাতিভেদ মানেন না। এজন্য বৃদ্ধাকে তিনি মায়ের মতো ভালোবাসতেন। তার অপাত্য øেহের দান অকুণ্ঠচিত্তে গ্রহণ করেছেন। বৃদ্ধার শেষ চাওয়াটুকুও তিনি মিটিয়েছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ ইত্যাদির পার্থক্যকে ধুলায় মিশিয়ে মানব ধর্মের জয়গানে মুখর করে তুলেছেন।
“উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”মন্তব্যটি যথার্থ।
মানুষ আজ জাতিভেদ, গোত্রভেদ, বর্ণভেদের কৃত্রিম পরিচয়ে নিজের পরিচয়কে সংকীর্ণ করেছে। কিন্তু এ মহাবিশ্বের সকল কিছু একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। তাই মানুষের আসল পরিচয় মানুষ হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, এ সমাজ জাতের নামে বজ্জাতিই করে চলেছে। জাত ছেলের হাতের মোয়া নয় যে, কারো ছোঁয়ায় জাত যাবে। সকল মানুষের একটাই পরিচয় হওয়া উচিত, সেটা হলো মানুষ জাতি। এ বিষয়টি ‘আহŸান’ গল্পের অন্যতম মুখ্য বিষয় হলেও একমাত্র বিষয় নয়।
‘আহŸান’ গল্পটি একটি উদার মানবিক সম্পর্কের গল্প। এখানে জাতপাতের বৈষম্যের অসারতার বিষয়টির সাথে সাথে আরও অনেক বিষয় উঠে এসেছে। মানুষের মধ্যে জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা গল্পের অন্যতম একটি বিষয়। আরও রয়েছে মানুষের স্নেহ-মায়া-মমতার যে বাঁধন সেটাকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। লেখক মুসলমান বৃদ্ধাকে মাতৃজ্ঞানে ভালোবেসে তাঁর মাতৃøেহকে অকপটে গ্রহণ করেছেন। মাতৃহৃদয়ের অতৃপ্ত অনুভূতি গল্পের অন্যতম প্রধান দিক, যা বৃদ্ধার মৃত্যুর মাঝে আরও মহিমাময় হয়ে উঠেছে। এসব বিষয় উদ্দীপকে আলোচিত হয়নি। তাই বলা যায় প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
দেশ ছেড়ে চলে গেলাম ম্যাট্রিক পাস করে। পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে চাকরি করে বোমার তাড়ায় সেবার আবার এসে গ্রামে ঘর-বাড়ি সারিয়ে বাস করতে শুরু করলাম।
কাকে জিজ্ঞেস করলামÑবলি, সেই বুধোর মা বেঁচে আছে।
Ñখুব। কাল ঘাটে দেখলে না?
Ñনা।
Ñআজ দেখো এখন। তার মাথায় চুল পেকে গিয়েছে বলে চিনতে পারনি।
দু-একদিনের মধ্যে বুধোর মাকে দেখলাম। চেহারা ঠিক তেমনই আছে, যেমন দেখেছিলা বাল্যে। মুখশ্রী বিশেষ বদলায়নি। শুধু মাথার চুলগুলো সাদা হয়ে গিয়েছে মাত্র। অনেকে হয়তো ভাববেন, সত্তর-বাহাত্তর বছর বয়সে মুখের চেহারা বদলায়নি তাঁরা বুধোর মাকে দেখেননি। নিজের চোখে না দেখলে আমিও বিশ্বাস করতাম না।
[তথ্যসূত্র : বুধোর মায়ের মৃত্যুÑবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়]
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কত সালে?
খ. ‘আজ্ঞে সামান্য মাইনে পাই’Ñলেখকের এই বক্তব্যে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের বুধোর মায়ের সাথে ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ির অমিল কোথায়?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের লেখকের এবং ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের গ্রামে ফেরার উদ্দেশ্য এক নয়।”মন্তব্যটি আলোচনা কর। ১
২
৩
৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৪ সালে।
প্রশ্নোক্ত বক্তব্যে লেখকের আর্থিক দীনতা প্রকাশিত হয়েছে।
অনেকদিন পরে লেখক গ্রামে এসেছেন পৈতৃক ভিটায়। এসে দেখেন ঘরবাড়ি যা ছিল ভেঙেচুড়ে ভিটিতে জঙ্গল গজিয়েছে। তাঁর সাথে দেখা হয় বাবার পুরাতন বন্ধু চক্কোত্তি মশায়ের। তিনি লেখককে দেখে খুশি হলেন এবং বললেন কতদিন পর গ্রামে আসলে এখন বাড়িঘর কর। জবাবে লেখক উক্ত উক্তিটি করেন। যাতে তাঁর আর্থিক দৈন্যকে প্রকাশ করে।
উদ্দীপকের বুধোর মায়ের সাথে ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার বয়সের ভারসাম্য এবং আর্থিক সচ্ছলতার সাথে অমিল রয়েছে।
দারিদ্র্য সমাজের একটি অভিশাপ। এর কশাঘাতে অনেক সম্ভাবনাময় জীবন তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। এর তীব্র ছোবলে মানুষ মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি নৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির মুখে পড়ে।
উদ্দীপকের বুধোর মায়ের সাথে ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ির বয়সের সাথে স্বার্থগত ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক সচ্ছলতার অমিল রয়েছে। বুধোর মায়ের বয়স ৭০ বছর হলেও তার মুখের চেহারা বদলায়নি। কিন্তু ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার শরীর-মন সবই বিধ্বস্ত হয়েছে অভাব নামক দানবের ছোবলে। বৃদ্ধা চোখেও ঠিকমতো দেখতে পায় না। গল্পের বৃদ্ধার মতো বুধোর মায়ের স্বাস্থ্যগত ভাঙন অতটা ধরেনি । দুজনের মধ্যে অস্তিত্বের বিষয়ের মিল থাকলেও আলোকিত বিষয়ের অমিল রয়েছে।
“উদ্দীপকের লেখকের এবং ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের গ্রামে ফেরার উদ্দেশ্য এক নয়।”মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রতিটি মানুষই তার জন্মভূমিকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে, জন্মভূমি প্রতি হৃদয়ের টান অনুভব করে। এজন্য যত দীনহীন পরিবেশই জন্মভূমি থাক না কেন তাকে কেউ ভালো না বেসে পারে না। এর প্রতি কেমন যেন নাড়ির টান অনুভূত হয়।
উদ্দীপকের লেখককে ভূমিতে মাটিতে ফিরে আসতে দেখা যায়। কিন্তু তিনি যতটা না গ্রামকে ভালোবেসে ফিরে এসেছেন তার চেয়ে বাধ্য হয়েছেন বেশি। উদ্দীপকে লেখক বলেছেন, পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে চাকরি করতে গিয়েছিলেন। অবশেষে বোমার তাড়া খেয়ে তিনি গ্রামে এসে ঘরবাড়ি সারিয়ে বাস করতে শুরু করলেন। কিন্তু এই একই উদ্দেশ্যে ‘আহŸান’ গল্পের লেখক গ্রামে প্রত্যাবর্তন করেননি।
‘আহŸান’ গল্পে দেখা যায়Ñলেখক একদিন একটা ছুটিতে গ্রামে প্রত্যাবর্তন করেন। গ্রামে এসে তাঁর বাবার পুরাতন বন্ধু চক্কোত্তি মশায়ের সাথে দেখা হলে তিনি অনুরোধ করেন বাবার ভিটায় বাড়িঘর তোলার জন্য। এক পর্যায়ে লেখক গ্রামে বাড়িঘর তুলে ছুটিতে এসে বসবাস শুরু করেন। গ্রামের লোকজনের সাথে হৃদ্যতা গড়ে তোলেন। পুরাতন বন্ধুদের খোঁজখবর নেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের লেখক যে, উদ্দেশ্যে গ্রামে প্রত্যাবর্তন করেন ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের গ্রামে প্রত্যাবর্তনের কারণ বা উদ্দেশ্য এক নয়। তাই বলা যায় প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সভ্যতা একদিকে যেমন ক্ষয়িষ্ণু অন্যদিকে চলে তার বিনির্মাণ। মরণশীল ব্যক্তিমানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা। মাঠে থাকে চঞ্চলতা, চালতাফুলে পড়ে শীতের শিশির, ল²ীপেঁচার কণ্ঠে ধ্বনিত হয় মঙ্গলবার্তা, খেয়া নৌকা চলে নালানদীতে অর্থাৎ কোথাও থাকে না সেই মৃত্যুর রেশ। ফলে মৃত্যুতেই সব শেষ নয়, পৃথিবীর বহমানতা মানুষের সাধারণ মৃত্যু রহিত করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে মানুষের মৃত্যু আছে কিন্তু এ জগৎ সৌন্দর্যের মৃত্যু নেই, মানুষের স্বপ্নেও মরণ নেই।
ক. বিভূতিভূষণ কত সালে বিএ পাস করেন?
খ. বুড়ি লেখককে বসার জন্য কেন খেজুরের চটখানা পেতে দিতে বললেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের কোন দিকটি তুলে ধরেছে?-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মৃত্যুর কথা উলেখ থাকলেও উদ্দীপকের ভাবটি ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করতে পারেনি।”মন্তব্যটি বিচার কর। ১
২
৩
৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
বিভূতিভূষণ ১৯১৮ সালে বিএ পাস করেন।
বৃদ্ধার গোপাল লেখক আসবে বলে বৃদ্ধা নিজের হাতে খেজুরের চাটাই বুনেছিলেন লেখকের বসতে দেয়ার জন্য।
বৃদ্ধার অসুস্থতার খবর শুনে লেখক গেলেন তাকে দেখতে। গিয়ে দেখলেন বুড়ি শুয়ে আছে একটা মাদুরের উপর। বুড়ি লেখককে চিনতে পেরে আহ্লাদে আটখানা হয়ে তার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। বুড়ি বলেন, ভালো আছ অ-মোর গোপাল। বসতে দে গোপালকে বসতে দে। গোপালেরে ঐ খাজুরের চটখানা পেতে দে। বুড়ি অনুরোধের সুরে লেখককে বলেন, তোর জন্যি খাজুরের চাটাই বুনে রেখেছিলাম। ওখানা পুরনো হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। তুই একদিনও এলি না গোপাল?’ এখানে লেখকের প্রতি বৃদ্ধার মাতৃস্নেহের প্রকাশ ঘটেছে।
উদ্দীপকটি ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার মৃত্যুর দিকটি তুলে ধরেছে।
মানুষ মরণশীল, কথাটি চিরন্তন সত্য। কিন্তু এ সত্যকে সহজে কেউ মেনে নিতে পারে না, এ পৃথিবী ছেড়ে কেউই বিদায় নিতে চায় না। তারপরও মরণশীল মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই অনিবার্য মৃত্যু থেকে কেউ রেহাই পায় না।
উদ্দীপকে ক্ষয়িষ্ণু সভ্যতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, মরণশীল ব্যক্তিমানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা। ফলে মৃত্যুতেই সব শেষ হয়ে যায় না। পৃথিবীর বহমানতা মানুষের সাধারণ মৃত্যু রহিত করতে পারে না। ‘আহŸান’ গল্পও এই মৃত্যুর মাঝে শেষ হলেও সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। লেখকের অনুভূতিতে বেদনার আভাস থাকলেও তার স্বাভাবিক জীবন থেমে থাকেনি। তার বেদনাজড়িত স্মৃতির উলেখ করেছেন একটি কথায়- বেঁচে থাকলে হয়তো বলে উঠতো-অ মোর গোপাল। এতে আমাদের মনে বেদনাজড়িত স্মৃতি মনে পড়লেও জগৎ ঠিকই সামনে এগিয়ে চলে। উদ্দীপকটি গল্পের এ বিষটিকেই তুলে ধরেছে।
“মৃত্যুর কথা উলেখ থাকলেও উদ্দীপকের ভাবটি ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করতে পারেনি।” মন্তব্যটি যথার্থ।
পৃথিবীতে জন্ম-মৃত্যুর খেলাটি চিরন্তন। জন্ম যেমন এখানে নতুন কিছু সৃষ্টি করে তেমনি মৃত্যু ঘটায় শূন্যতা। তারপরও পৃথিবী এগিয়ে চলে তার আপন নিয়মেই। প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা। উদ্দীপকে এই জন্ম-মৃত্যুর বিষয়টি অর্থাৎ পৃথিবীর ভাঙা-গড়ার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, সভ্যতার একদিকে যেমন ক্ষয় হচ্ছে অন্যদিকে চলছে তার বিনির্মাণ। মরণশীল ব্যক্তি-মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা, থাকে চঞ্চলতা। ফলে এখানে মৃত্যুই সব শেষ নয়। পৃথিবীর বহমানতা মানুষের সাধারণ মৃত্যু রহিত করতে পারে না। উদ্দীপকের এ ভাবটি ‘আহŸান’ গল্পের লেখকের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করতে পারেনি।
‘আহŸান’ গল্পে বৃদ্ধার মৃত্যু নিতান্ত স্বাভাবিক একটা ঘটনা। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলে উদ্দীপকের ভাবের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যাবে। কিন্তু বৃদ্ধার মৃত্যুতে লেখকের মনোজাগতিক যে পরিবর্তন ঘটেছে, সেটাকে সম্পূর্ণভাবে উদ্দীপকের ভাবটি তুলে ধরতে পারেনি। বৃদ্ধার সাথে লেখকের সম্পর্ক ছিল উদার মানবিক øেহের সম্পর্ক। বৃদ্ধাকে তিনি মায়ের মতো মনে করতেন। তার মৃত্যুতে লেখকের মনে মা-হারানোর বেদনা অনুভূত হয়েছে।
একটা অসহায়, সহায়-সম্বলহীন মানুষ পৃথিবী থেকে চলে গেলে কারো কোনো ক্ষতি হবে না, এমনকি পৃথিবীর এতটুকু পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে না তবু বৃদ্ধার মৃত্যুতে লেখকের হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ, আবেগের গভীরতা, সেটা কোনো নীতি বা জ্ঞানের দ্বারা বিচার করা যাবে না। তাই বলা যায়, মৃত্যুর কথা উলেখ থাকলেও উদ্দীপকের ভাবটি লেখকের সম্পূর্ণ চেতনাকে ধারণ করতে পারেনি।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
১ ‘আহŸান’ গল্পে লেখকের সহপাঠী কে ছিলেন?
ক আবদুল ছ আবেদালি গ শুকুর মিঞা ঘ নসর
২ বুড়ি কেন বারবার গোপালের কাছে যেতেন?
ক পয়সা পাওয়ার লোভে
ছ স্নেহ ভালোবাসার টানে
গ নি:সঙ্গতা দূর করতে
ঘ অতিথিপরায়ণ বলে
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
অকালে বিধবা হয়ে প্রতিমা আজ থেকে ৩০ বছর আগে এসেছিলেন সুদীপ্তদের বাড়িতে, সুদীপ্তর বয়স তখন তিন মাস। ব্যস্ত চিকিৎসক বাবা-মার অনুপস্থিতিতে প্রতিমার কাছেই সুদীপ্ত বেড়ে ওঠে। আজ সুদীপ্তও একজন চিকিৎসক। উচ্চশিক্ষার জন্য সে আমেরিকা চলে যাবে শুনে প্রতিমা তাকে বলেনÑ বাবা, যেখানে থাকিস আমার মৃত্যুর পর তুই মুখাগ্নি করতে আসিস।
৩ সুদীপ্ত ‘আহŸান’ গল্পের কোন চরিত্রটির প্রতিনিধিত্ব করে?
ক আব্দুলের খ জমির করাতির
গ আবেদালির ঝ কথকের
৪ প্রতিমা ও গল্পের বুড়ি চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছে-
র. স্নেহ
রর. দায়িত্ববোধ
ররর. নির্ভরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র খ রর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক যাচাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ক লেখক পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
৫ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১৮৪৯ সালে ছ ১৮৯৪ সালে
গ ১৯৫০ সালে ঘ ১৯৯৪ সালে
৬ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের কত তারিখে জন্ম নেন?
চ ১২ সেপ্টেম্বর খ ১৩ জুন
গ ১২ অক্টোবর ঘ ১২ নভেম্বর
৭ লেখক চব্বিশ পরগণা জেলার কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
ক কেতুপুর খ কল্যাণপুর গ মুবারিনগর ঝ মুরারিপুর
৮ লেখকের পৈতৃক নিবাস কোন গ্রামে?
ক মেদিনীপুর খ মুরারিপুর জ ব্যারাকপুর ঘ তারাপুর
৯ বিভূতিভূষণ কত সালে ম্যাট্রিক পাস করেন?
ক ১৮১৪ সালে ছ ১৯১৪ সালে
গ ১৯২৪ সালে ঘ ১৯২৫ সালে
১০ তিনি কত সালে আইন পাস করেন?
ক ১৯১৪ সালে খ ১৯১৫ সালে
জ ১৯১৬ সালে ঘ ১৯৭০ সালে
১১ তিনি কত সালে বিএ পাস করেন?
ক ১৯১৪ সালে খ ১৯১৫ সালে
গ ১৯১৭ সালে ঝ ১৯১৮ সালে
১২ ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের লেখক কে?
চ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় খ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ বিভূতিভীষণ চট্টোপাধ্যায় ঘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩ ‘অপরাজিতা’ কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
ক কাব্য খ গল্প গ নাটক ঝ উপন্যাস
১৪ নিচের কোনটি বিভূতিভূষণের উপন্যাস নয়?
ক পথের পাঁচালী খ দৃষ্টি প্রদীপ
গ আরণ্যক ঝ ঘরে বাইরে
১৫ ‘মেঘমলার’ লেখকের কোন ধরনের রচনা?
ক কাব্যগ্রন্থ খ প্রবন্ধ গ গানের বই ঝ গল্পগ্রন্থ
১৬ ‘দেবযান’ নিচের কোন লেখকের রচনা?
ক তারাপদ খ কাজী নজরুল ইসলাম
জ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৭ কোন স্কুল থেকে বিভূতিভূষণ এন্ট্রাস পাস করেন?
চ বনগ্রাম খ চৌদ্দগ্রাম গ বনপাড়া ঘ মুরারিপুর
১৮ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন কত তারিখে?
ক ১ আগস্ট ছ ১ সেপ্টেম্বরগ ১ অক্টোবর ঘ ১ নভেম্বর
১৯ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
চ ১৯৫০ খ ১৯৫১ গ ১৯৬০ ঘ ১৯৬২
২০ প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনের অভিন্ন সম্পর্কের চিরায়ত তাৎপর্যে মহিমান্বিত বিভূতিভূষণেরÑ
ক নাট্যসাহিত্য খ কবিতা জ কথাসাহিত্য ঘ গান
২১ আঙ্গিকের দিক থেকে ‘দৃষ্টিপ্রদীপ’ গ্রন্থের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কোন গ্রন্থের?
ক মৌরীফুল খ যাত্রাবদল গ মেঘমলার ঝ আরণ্যক
২২ ‘মৌরিফুল’ হলো বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়েরÑ
ক উপন্যাস খ নাটক জ গল্পগ্রন্থ ঘ প্রবন্ধ
২৩ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কোন প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন?
ক মধ্য প্রদেশে খ হিমাচলে
গ উত্তর প্রদেশে ঝ পশ্চিমবঙ্গে
২৪ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
চ চব্বিশ পরগনা খ উত্তর দিনাজপুর
গ দক্ষিণ দিনাজপুর ঘ পূর্ব মেদিনীপুর
২৫ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর আবেগ ও নিবিড় ভালোবাসা দিয়ে কী দেখেছেন?
চ মানুষের জীবনকে খ মানুষের চিন্তাকে
গ মানুষের প্রেমকে ঘ মানুষের ধর্মকে
২৬ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গদ্যের প্রকৃতি কেমন?
ক রূপকময় ছ কাব্যময়
গ বর্ণনাময় ঘ বিশ্লেষণাত্মক
২৭ কোনটি বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস?
চ পথের পাঁচালী খ মেঘমলার গ মৌরিফুল ঘ যাত্রাবদল
২৮ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাল্য ও কৈশোরকাল কীভাবে কেটেছিল?
ক অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে খ অত্যন্ত সাধারণভাবে
গ অত্যন্ত আনন্দে ঝ অত্যন্ত দারিদ্র্যে
২৯ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক ও আইএ কোন বিভাগে পাস করেন?
চ প্রথম বিভাগে খ দ্বিতীয় বিভাগে
গ তৃতীয় বিভাগে ঘ বিশেষ বিভাগে
৩০ বিভ‚তিভ‚ষণ কোন পরীক্ষায় ডিস্টিংশনসহ পাস করেন?
ক এমএ ছ বিএ গ আইএ ঘ ম্যাট্রিক
৩১ বিভ‚তিভ‚ষণের পেশা কী ছিল?
ক চাকরি খ ব্যবসা জ শিক্ষকতা ঘ ওকালতি
৩২ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় শিক্ষকতা করতেন?
ক বাড়িতে খ পাড়ায় জ স্কুলে ঘ কলেজে
৩৩ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দোপ্যাধ্যায় তাঁর সাহিত্যে নিচের কোন বিষয়টি তুলে ধরেছেন?
ক বিশ্বপ্রকৃতি ও মানুষের জীবন
খ কল্পলোক ও মানুষের জীবন
জ বাংলার প্রকৃতি ও মানুষের জীবন
ঘ শহরের স্বার্থপরতা ও মানুষের জীবন
৩৪ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যে ভাষার বৈশিষ্ট্য কোন প্রকৃতির?
ক গুরুগম্ভীর খ আলংকারিক
গ আবেগময় ঝ শিল্পসুষমাময়
খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে)
৩৫ “দেশের ঘরবাড়ি নেই অনেকদিন থেকেই।”Ñবাক্যটিতে কী ফুটে উঠেছে?
ক লেখকের আর্থিক দুরবস্থা খ লেখকের উদ্বাস্তু অবস্থা
জ লেখকের দীর্ঘদিন গ্রামে না থাকা
ঘ লেখকের কোনো ঘরবাড়ি না থাকা
৩৬ লেখকের মতে বুড়ি বেঁচে থাকলে লেখককে দেখে কী বলে উঠতো?
ক বাবা গোপাল খ আমার গোপাল
জ অ মোর গোপাল ঘ মোর গোপাল
৩৭ জল গড়িয়ে পড়া চোখে বুড়ি লেখককে উদ্দেশ্য করে কী বলল?
ক ভালো আছ অ মোর গোপাল
খ অসুখ হয়েছে তাও দেখতে আস না
জ গোপাল, যদি মরি আমার কাফনের কাপড় তুই কিনে দিস
ঘ অ গোপাল, তুই বিয়ে করলি নে কেন
৩৮ ‘এসো, এসো বেঁচে থাকো, দীর্ঘজীবী হও’Ñ“আহŸান” গল্পে এ উক্তিটি কে করেছিলেন?
ক খুড়ো মশায় খ জমির করাতি
জ চক্কোত্তি মশায় ঘ ঘুঁটি গোয়ালিনী
৩৯ ‘পথ্য’ বলতে কী বোঝ?
ক রোগীর জন্য চিকিৎসাসেবা
ছ রোগীর জন্য উপযুক্ত আহার্য
গ পথের উপযোগী খাদ্য-পানীয়
ঘ ফলমূল ইত্যাদি দামি খাবার
৪০ ‘অসুখ হয়েছে, তাও দেখতে আস না’-এ বাক্যটিতে কী ফুটে উঠেছে?
ক লেখকের প্রতি বুড়ির অভিযোগ
খ অসুস্থ বুড়িকে লেখকের দেখতে না আসার কথা
গ বুড়ির অসহায় অবস্থার দুঃখবোধ
ঝ মা-পিসিমার অনুযোগ
৪১ বুড়ি কী রকম দৃষ্টিতে লেখকের দিকে চেয়েছিল?
ক অবাক ছ জিজ্ঞাসু গ উৎসুক ঘ বেদনাহত
৪২ ‘জ্যৈষ্ঠ মাসে গরমের ছুটিতে আমার সেই নতুন-তৈরি খড়ের ঘর খানাতে এসে উঠলাম।”-এ চিত্রকল্পে ফুটে ওঠা কালের দিক থেকে নিচের কোনটি সমর্থনযোগ্য?
ক বসন্তকাল ছ গ্রীষ্মকাল গ গরম কাল ঘ শুষ্ককাল
৪৩ “কতকাল পরে বাবা মনে পড়ল দেশের কথা”Ñ“আহŸান” গল্পে এ উক্তিটি কে করেছিলেন?
চ চক্কোত্তি মশায়ের খ গল্পকথক
গ জমিরের বউ ঘ পরশু সর্দার
৪৪ বুড়ি কীসের ওপর শুয়ে ছিল?
চ একটা মাদুর খ একটা ছেঁড়া কাঁথা
গ লেখকের দেয়া কাপড় ঘ একটা খেজুর পাতার পাটি
৪৫ লেখকের গলার স্বর একটু রুক্ষ হয়ে উঠেছিল কখন?
চ দুধের দাম জিজ্ঞাসাকালে
খ বুড়িকে দাওয়ায় বসে থাকতে দেখে
গ খুব ভোরে বুড়ির আগমনে
ঘ জ্ঞাতি খুড়োর উপস্থিতিতে
৪৬ হাজরা ব্যাটার বউ কীভাবে জীবনযাপন করে?
ক কৃষিকাজ করে খ মানুষের বাড়ি কাজ করে
গ এটা ওটা বেচাকেনা করে ঝ ধান ভেনে
৪৭ বৃদ্ধার স্বামী কীসের কাজ করতেন?
চ করাতের খ হাতুড়ের গ শাবলের ঘ ছেনির
৪৮ ‘আহŸান’ গল্পের লেখক বুড়িকে কী কেনার টাকা দিলেন?
চ দুধ খ শাড়ি গ ধুতি ঘ কাপড়
৪৯ বুড়ি একটু ঘাবড়ে গেল কেন?
ক লেখকের খুড়োকে দেখে
খ বুড়ি টাকার জিনিস পয়সায় বেঁচে না
জ লেখক দুধ কিনে টাকা দিলেন ব’লে
ঘ লেখকের প্রতি বুড়ির øেহ ও সৌজন্য
৫০ বুড়ির কথাবার্তায় লেখক কী বুঝতে পারলেন?
চ বুড়ি বেশ দমে গিয়েছে খ বুড়ি খুব সহজ-সরল
গ বুড়ির বাস্তব জ্ঞান অপ্রতুল
ঘ বুড়ি আসলেই মা-পিসিদের মতো
৫১ লেখকের বাবার পুরাতন বন্ধু কে?
ক তারিনী খ শ্যাম্যাচরণ
জ চক্কোত্তি মশাই ঘ ভট্টাচায্যি মশায়
৫২ কে লেখককে দেখে খুশি হলেন?
ক লেখকের মা খ বাবা
গ কাকা ঝ চক্কোত্তি মশায়
৫৩ ‘তোমাকে তো চিনতে পারলাম না, বুড়ি?’Ñ“আহŸান” গল্পের এ উক্তিটি কার?
ক গণির খ নসরের গ ঘুঁটির ঝ লেখকের
৫৪ আম গাছের ছায়ায় লেখক কার ছায়া দেখেন?
ক মায়ের ছ বৃদ্ধার গ বাবার ঘ বন্ধুর
৫৫ কে লেখককে বাঁশ, খড় দিতে চাইলেন?
চ চক্কোত্তি মশাই খ লেখকের বন্ধু
গ শুকুর আলী ঘ বুড়ি মা
৫৬ বুড়ি লেখকের জন্য কী ফল এনেছিল?
ক কলা খ লেবু গ আতা ঝ আম
৫৭ লেখক কোন মাসে নতুন ঘরে এসে উঠলেন?
ক বৈশাখ খ জ্যৈষ্ঠ গ আষাঢ় ঝ শ্রাবণ
৫৮ ‘তোমায় যে বড্ড ভালোবাসত বুড়ি’Ñকে বলেছে?
ক নসর খ আবদুল গ হাজের ঝ শুকুর
৫৯ ‘কে বাবা তুমি? চেনলাম না তো?’Ñকথাটি লেখককে কে বলেছে?
চ বৃদ্ধা খ চক্কোত্তি মশায়
গ জমির করাতি ঘ গ্রামের বৃদ্ধ
৬০ ‘আমি আগে তো এপাড়া-ওপাড়া যাতাম আসতাম না’Ñ“আহŸান” গল্পের এ উক্তিটি কার?
ক গণির খ নসরের জ বৃদ্ধার ঘ ঘুঁটির
৬১ কোন গাছের তলায় বসে বুড়ি আপন মনে বকে গেল?
ক আম ছ কাঁঠাল গ লিচু ঘ বাদাম
৬২ লেখকের পরিচয় বুড়িকে কে বুঝিয়ে দিলেন?
চ খুড়ো মশায় খ চক্কোত্তি মশায়
গ শুকুর আলী ঘ লেখকের বন্ধু
৬৩ লেখক কোন মাসে নতুন ঘরে এসে উঠলেন?
ক বৈশাখ ছ জ্যৈষ্ঠ গ আষাঢ় ঘ শ্রাবণ
৬৪ লেখক বুড়িকে কী দিলেন?
চ টাকা খ পান গ দুধ ঘ মিষ্টি
৬৫ বুড়ি কোন্ দৃষ্টিতে লেখককে দেখছিলেন?
চ জিজ্ঞাসু খ ব্যথ্যাহত গ øেহের ঘ কৌতূহল
৬৬ ‘আহŸান’ গল্পকথকের পৈতৃকবাড়িতে কী গজিয়েছিল?
চ জঙ্গল খ ঘাস গ বিচুটি ঘ কাঁটাগাছ
৬৭ বুড়ির স্বামীর নাম কী?
চ জমির খ বশির গ ছগির ঘ নাসির
৬৮ ‘আজ্ঞে সামান্য মাইনে পাই’-কথাটি কে বলেছেন?
ক শুকুর আলী খ চক্কোত্তি মশাই
জ লেখক ঘ লেখকের জেঠা
৬৯ আম গাছের ছায়ায় লেখক কার ছায়া দেখেন?
ক মায়ের ছ বৃদ্ধার গ বাবার ঘ বন্ধুর
৭০ কবর দেবার জন্য লেখককে কটা আন্দাজ যেতে বলা হলো?
চ বারোটা খ একটা গ দুইটা ঘ তিনটা
৭১ কে লেখককে বাঁশ, খড় দিতে চাইলেন?
চ চক্কোত্তি মশাই খ লেখকের বন্ধু
গ শুকুর আলী ঘ বুড়ি মা
৭২ কাকে দেখে লেখক দাঁড়িয়ে গেলেন?
ক বন্ধুকে খ চক্কোত্তি মশাইকে
জ বুড়িকে ঘ শুকুর আলীকে
৭৩ বুড়ি কোথায় চলেছেন?
ক মেয়ে বাড়ি খ ভিক্ষা করতে
জ বাজারে ঘ নাত-জামাই বাড়ি
৭৪ ‘কী বুড়ি ভালো আছ?’Ñকে বলেছিলেন?
চ লেখক খ খুড়ো গ গণি ঘ জমির
৭৫ বুড়ির বগলে কী ছিল?
চ থলে খ চাটাই গ কাঁথা ঘ লাঠি
৭৬ কে বুড়িকে ভাত দেয় না?
ক ছেলে খ মেয়ে গ পড়শী ঝ নাত-জামাই
৭৭ ‘এই যে বাবা, এসো’Ñকথাটি কে বলেছিল?
ক শুকুর মিয়া খ আব্দুল গ জ্ঞাতি খুড়ো ঝ বুড়ি
৭৮ ঘুঁটি গোয়ালিনী লেখককে কী দেয়?
ক দই ছ দুধ গ ঘি ঘ মাখন
৭৯ বুড়ি লেখকের জন্য কীসের চাটাই বুনে রেখেছিল?
ক তালপাতার খ বেতের
গ নারকেল পাতার ঝ খেজুর পাতার
৮০ বাল্যকালে গল্প লেখকের কে মারা গিয়েছে?
ক মা-বাবা খ মা-মাসি গ মা-মামা ঝ মা-পিসি
৮১ পরশু সর্দারের বউয়ের নাম কী?
ক কাদম্বরী ছ দিগম্বরী গ হেমা ঘ অড়াম্বরী
৮২ বুড়ি লেখকের কাছে কী দাবী করেছিল?
ক টাকা খ পরার কাপড়
গ আশ্রয় ঝ কাফনের কাপড়
৮৩ লেখক কোন মাসে পুনরায় গ্রামে আসলেন?
ক ভাদ্র ছ আশ্বিন গ পৌষ ঘ মাঘ
৮৪ আবদুল, শুকুর, নসর এরা লেখকের সম্পর্কে কী হয়?
ক প্রতিবেশী ছ সহপাঠী গ চাচা ঘ মামা
৮৫ বুড়ি কোন ঋতুতে মারা যায়?
ক বর্ষা ছ শরৎ গ শীত ঘ বসন্ত
৮৬ বুড়ি নিজে না এসে কেন তাকে পাঠালো?
চ অসুস্থতার জন্য খ অভিমানে
গ হাঁটতে পারে না তাই ঘ চোখে দেখে না তাই
৮৭ বুড়িকে কে খেতে দেয়?
চ হাজরার বউ খ নাতজামাই
গ জ্ঞাতি খুড়ো ঘ লেখক
৮৮ ‘গ্রামের ছেলে গ্রামে বাস করবে’Ñএ উক্তিতে কী বোঝানো হয়েছে?
চ গ্রামের প্রতি অধিকার খ গ্রামের প্রতি ভালোবাসা
গ গ্রামের প্রতি দায়িত্ব ঘ গ্রামের প্রতি কাতরতা
৮৯ লেখকের মনে কেন কষ্ট হলো?
ক স্নেহের দান অমর্যাদা করায় খ বুড়িকে বকা দেয়ায়
গ বুড়িকে তাড়িয়ে দেওয়ায় ঝ বুড়ি কষ্ট পেয়েছিল বলে
৯০ বুড়ি কেন ঘাবড়ে গেল?
ক দাম বলার জন্য ছ লেখকের রূঢ়তায়
গ লেখকের ভয়ে ঘ টাকা দিতে চাওয়ায়
৯১ “আহŸান” গল্পে কয়জন জোয়ান ছেলে কবর খুঁড়ছে?
চ দুজন খ তিনজন গ চারজন ঘ পাঁচজন
৯২ বুড়ি লেখকের জন্য এক ঘটি দুধ আনল কেন?
চ গোয়ালিনীর দুধে জল থাকায় খ বিক্রি করতে
গ লেখককে খুশি করতে ঘ লেখক চেয়েছিলেন বলে
৯৩ পরদিন লেখক কেন কলকাতায় চলে গেলেন?
ক টিকতে না পেরে খ শরীর খারাপ হলে
জ ছুটি ফুরিয়ে যাওয়ায় ঘ আত্মীয়দের ডাকে
৯৪ “আহŸান” গল্পের বক্তব্য অনুযায়ী ‘চালাঘর' তৈরির মূল উপাদান কী?
ক ইট, সিমেন্ট ছ খড়, বাঁশ
গ কাঠ, টিন ঘ পাট কাঠি, খড়
৯৫ এসো, এসো, বেঁচে থাকো-এটি কোন ধরনের বাক্য?
ক বিবৃতিমূলক ছ অনুজ্ঞাসূচক
গ জ্ঞানমূলক ঘ আবেগসূচক
৯৬ ‘আমার তো তেনার নাম করতে নেই বাবা’-কেন নাম করতে নেই?
চ স্বামী বলে খ ভয়ে
গ মারা গেছে তাই ঘ স্মরণ নেই বলে
৯৭ ‘আহŸান’ গল্পের কথক কে?
চ লেখক নিজেই খ জমির করাতি
গ লেখকের বন্ধু ঘ লেখকের পিতা
৯৮ অনেকদিন পর লেখকের কেন ভালো লাগছে?
চ গ্রামে এসে খ লোকজন দেখে
গ বন্ধুদের দেখে ঘ বুড়িকে দেখে
৯৯ তিনি কেন শহরের দূরে অবস্থান করতেন?
ক স্বাস্থ্যগত কারণে ছ সাহিত্য সাধনার জন্য
গ সংগীত সাধনার জন্য ঘ শহরকে ঘৃণা করতেন
১০০ বুড়ি কেন ডান হাত উঠিয়ে চোখের উপর ধরলেন?
ক চিনতে পেরে খ রোদ ঠেকাতে
জ ভালো দেখতে না পেয়ে ঘ অভ্যাসবসত
১০১ লেখক দুধের দাম দিতে চাইল কেন?
ক বৃদ্ধা দাম চেয়েছিল তাই খ দুধ আনা কষ্ট ছিল তাই
গ দুধ খুব ভালো ছিল তাই ঝ বৃদ্ধা খুব দরিদ্র ছিল তাই
১০২ চক্রবর্তী উপাধির সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে?
ক বাটুজ্যে খ চড়–য্যে জ চক্কোত্তি ঘ চক্কাত্তি
১০৩ ‘দেশে ঘরবাড়ি নেই অনেকদিন থেকেইবাক্যটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক আর্থিক অনটন খ ভবঘুরে অবস্থা
জ দীর্ঘদিন গ্রামে না থাকা ঘ সংসারে অভিজ্ঞ না থাকা
১০৪ বুড়ির বাড়িতে লেখকের যাওয়া হলো না কেন?
ক লেখক অসুস্থ ছিল তাই ছ লেখক ব্যস্ত ছিল তাই
গ লেখক গ্রামে ছিল না তাই ঘ লেখক যেতে চায় নি তাই
১০৫ “কেন বাবা, পয়সা কেন?”-বুড়ির এ বক্তব্যে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?
ক অল্প পয়সা দেখে খ বিক্রয় করবে না তাই
জ লেখকের প্রতি স্নেহ ঘ আতিথেয়তা
১০৬ লেখক বুড়িকে কিছু পয়সা দিয়েছিল কেন?
ক দাম মেটানোর জন্য খ ভালোবাসার জন্য
জ অভাব মেটানোর জন্য ঘ ঋণশোধ করার জন্য
১০৭ “আহŸান” গল্পলেখক বড় আমবাগানের মধ্য দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন?
ক নদীর দিকে খ ডাক্তারের কাছে
গ খুড়োর কাছে ঝ বাজারের দিকে
১০৮ “গোলাপোরা ধান, গোয়ালপোরা গরু’ বলতে কোন সময়ের কথা বোঝানো হয়েছে?
ক যখন দেশে মানুষ কম ছিল
খ যখন অনেক অভাব ছিল
গ যখন দেশে কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামি ছিল
ঝ যখন দেশে কোনো অভাব ছিল না
১০৯ “গাছের আম বেশ কড়া মিষ্টি” বলতে কী বোঝায়?
ক গাছে ধরলে আম মিষ্টি হয়
ছ নিজের এবং চেনাজানা গাছের ভালো জাতের আম মিষ্টি হয়
গ গাছে না ধরলে আম মিষ্টি হয় না
ঘ বাজার থেকে কেনা আম, গাছের নয় বলে মিষ্টি হয় না
১১০ ‘আহŸান করে এনেছে’ বলতে কী বোঝায়?
ক লেখকের বাবার বন্ধু কর্তৃক লেখককে পৈতৃক বাড়িতে আনা
খ নিমন্ত্রণ দিয়ে বাড়িঘর দেখাতে নিয়ে আসা
জ বুড়ির আত্মার অদৃশ্য ডাকে লেখকের গ্রামে ফিরে আসা
ঘ বুড়ির অসুস্থতার পর মধ্যবয়সী স্ত্রীলোক কর্তৃক লেখককে ডেকে আনা
১১১ ‘মলিন বালিশ’ বলতে কী বোঝায়?
ক মরা মানুষের বালিশ ছ পুরনো বালিশ
গ দুঃখী বালিশ ঘ ছেঁড়া বালিশ
১১২ ‘আহŸান’ গল্পের আলোকে মানুষের প্রকৃত সুখ কীসে আসে?
ক ধন-দৌলতের প্রাচুর্য খ সংগীতচর্চায়
গ জ্ঞানে-গুণে ঝ আন্তরিকতায়
১১৩ ‘মন পুড়ে যাওয়া বলতে ‘আহŸান’ গল্পে কোনটি বোঝানো হয়েছে?
ক খুশি হওয়া ছ কষ্ট পাওয়া
গ মায়া লেগে যাওয়া ঘ স্নেহ করা
১১৪ ‘দিলাম এক কোদাল মাটি।’ উক্তিটি কার?
ক বুড়ির খ বুড়ির পাতানো মেয়ের
গ চক্কোত্তি মশায়ের ঝ লেখকের
গ শব্দার্থ ও টীকা : (বোর্ড বই থেকে)
১১৫ ‘ফুকড়ো’ শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
ক তৎসম ছ তদ্ভব গ দেশি ঘ বিদেশি
১১৬ ‘ঘটকালি’ শব্দটি ব্যাকরণের কোন নিয়মে পড়ে?
চ প্রত্যয় খ বাগধারা গ সন্ধি ঘ সমাস
১১৭ ‘আহŸান’ গল্পটির উৎস কী?
ক গল্পগ্রন্থ খ গল্পগুচ্ছ
জ বিভূতিভূষণের রচনাবলি ঘ বিভূতিভূষণের গল্পসমগ্র
১১৮ ‘আহŸান’ গল্পে ব্যবহৃত কোন শব্দটি পূজারি ব্রাহ্মণের উপাধি নির্দেশ করে?
ক বাড়–য্যে খ ঘুঁটি জ চক্কোত্তি ঘ মুখুজ্যে
১১৯ ‘নড়ি’ শব্দের অর্থ কী?
ক নাড়– খ বাশ জ লাঠি ঘ নড়বড়ে
১২০ ‘আহŸান’ গল্পে ব্যবহৃত দ্বিরুক্তি শব্দ কোনটি?
ক ঘচ্ঘচ্ খ খচ্খচ্ গ টিপ্টিপ্ ঝ ঠক্ঠক্
১২১ ‘লাঠি’ শব্দটির কোন প্রতিশব্দ ‘আহŸান’ গল্পে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক দণ্ড ছ নড়ি গ চিকন কাঠ ঘ বাঁশ
১২২ ‘অন্ধের নড়ি’ বাগধারাটির সঠিক অর্থ কী?
ক অন্ধ লোকের নড়ি খ যে নড়ি অন্ধ
জ অসহায়ের একমাত্র অবলম্বন ঘ সহায়ক লাঠি
১২৩ ‘গোয়ালপোরা গরু’ বলতে কী বোঝায়?
ক গোয়াল পালানো গরু ছ গোয়াল ভরা গরু
গ গোয়ালশূন্য গরু ঘ গোয়ালে পুড়েছে যে
১২৪ ‘গোলাপোরা ধান’Ñএখানে ‘পোরা’ অর্থ কী?
ক পুড়ে যাওয়া খ থেকে জ ভরা ঘ রাখা
১২৫ করাত দিয়ে কাঠ কেটে যারা জীবিকা নির্বাহ করে, তাদের এককথায় কী বলে?
ক কাঠুরে ছ করাতি গ কাঠমিস্ত্রী ঘ কাঠিয়াল
১২৬ নিচের কোনটি ভিন্নার্থক শব্দ?
চ দরজা খ দাওয়া গ রোয়াক ঘ বারান্দা
১২৭ ‘চুকে যাওয়া’ বলতে কী বোঝায়?
ক চুপি চুপি যাওয়া খ চুলকানি হওয়া
জ মিটে যাওয়া বা শেষ হওয়া ঘ চলে যাওয়া
১২৮ “ও আম কিসের?” এ বাক্যের অর্থ কী?
ক আম কার কাছ থেকে আনা ছ আম কেন দেওয়া হচ্ছে
গ আম বিশুদ্ধ কিনা ঘ আম কোথায় পেয়েছে
১২৯ ‘ধড়মড়’ কোন ধরনের শব্দ?
ক যৌগিক শব্দ ছ দ্বিরুক্তি শব্দ
গ বাগধারা জাতীয় শব্দ ঘ বিশেষণবাচক শব্দ
১৩০ উঠো না, ও কী?-বাক্যে কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক শাসন খ ভালোবাসা জ উৎকণ্ঠা ঘ শ্রদ্ধা
১৩১ “কনে থেকে এলে” বলতে কোনটি বোঝায়?
ক কোথায় রাত কাটিয়ে এলে
ছ হঠাৎ আবির্ভাব হলে কেমন করে
গ কীভাবে এলে ঘ কতদিন পর এলে
১৩২ ‘অনুযোগ’ শব্দের অর্থ কী?
ক উপযোগ খ বিরক্তি জ নালিশ ঘ স্বীকারোক্তি
১৩৩ ‘চক্কোত্তি’ মূলত কোন উপাধির সংক্ষিপ্ত রূপ?
ক গঙ্গোপাধ্যায় খ বন্দ্যোপাধ্যায়
জ চক্রবর্তী ঘ মুখোপাধ্যায়
১৩৪ ‘গোলাপোরা’ শব্দের অর্থ কী?
ক মাঠ ভরা খ উঠোন ভরা
জ গোলা ভরা ঘ চালা ভরা
১৩৫ ‘অন্ধের নড়ি’Ñএ বিষয়টির সমার্থক বাগধারা কোনটি?
ক গোবর গনেশ ছ অন্ধের ষষ্ঠী
গ ধর্মপুত্র যুধিষ্টির ঘ আলালের ঘরের দুলাল
১৩৬ ‘দাওয়া’ শব্দের অর্থ কী?
ক দরজা খ চৌকাঠ গ জানালা ঝ বারান্দা
ঘ পাঠ পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে)
১৩৭ ‘আহŸান’ গল্পটির রচয়িতা কে?
ক শরৎ সমগ্র
ছ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাবলি
গ বঙ্কিম মানস ঘ রোকেয়া রচনাবলি
১৩৮ “ময়লা ছেঁড়া কাপড়ের প্রান্ত” শব্দগুচ্ছে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?
ক ভিখিরির বেশ খ ময়লা-নোংরা বেশভূষা
ছ দারিদ্র্যের চরম দশা ঘ ভিখিরির জীবনযাপন
১৩৯ “আহŸান” গল্পে বৃদ্ধার সব দিন কী জুটতো না?
ক ভিক্ষা খ চাল গ টাকা ঝ ভাত
১৪০ বেলা বারোটার দিকে বুড়ির নাতজামাই কেন যেতে বলেছে?
ক বুড়িকে দেখতে যাওয়ার জন্য
খ কাফনের কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য
জ বুড়িকে মাটি দেয়ার জন্য
ঘ বুড়ির জন্য কবর খুঁড়তে
১৪১ “আহŸান” গল্পে ‘আমার বড্ড কষ্ট’Ñ“আহŸান” গল্পের এ উক্তিটি কার?
ক গণির খ নসরের জ বৃদ্ধার ঘ খুঁটির
১৪২ ‘মন পুড়ে যাওয়া’ বলতে আহŸান গল্পে কোনটি বোঝানো হয়েছে?
ক খুশি হওয়া ছ কষ্ট পাওয়া
গ মায়া লেগে যাওয়া ঘ øেহ করা
১৪৩ “আহŸান” গল্পে খুড়ো মশায় বুড়িকে কী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন?
ক চক্কোত্তির পরিচয় ছ লেখকের পরিচয়
গ আবদুলের পরিচয় ঘ নসরের পরিচয়
১৪৪ ‘আহŸান’ গল্পে কোন বিষয়টি নেই?
ক ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য খ অসহায় দরিদ্র জীবন
গ কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামি
ঝ সামাজিক রীতিনীতির সংকীর্ণতা
১৪৫ অসুস্থ বুড়িকে দেখতে গিয়ে লেখক কোন কাজটি করেন?
ক বুড়ির জন্য কমলা নিয়ে যান
খ বুড়ির জন্য ডাক্তার ডেকে আনেন
জ ফল ও পথ্য কেনার জন্য কিছু টাকা দিয়ে আসেন
ঘ কাফনের কাপড় কিনে দেন
১৪৬ “আহŸান” গল্পে বুড়ির নাতজামাই বুড়িকে কী দেয় না?
ক কাপড় ছ ভাত গ জমি ঘ ঘর
১৪৭ “আহŸান” গল্পে চোখে একটু কম দেখত কে?
চ বৃদ্ধা খ লেখক গ খুড়ো ঘ গণি
১৪৮ ‘আহŸান’ গল্পটি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত?
ক বুড়ি চরিত্রের দৃষ্টিকোণ খ সর্বজ্ঞ দৃষ্টিকোণ
জ উত্তম চরিত্রের দৃষ্টিকোণ ঘ মধ্যম চরিত্রের দৃষ্টিকোণ
১৪৯ ‘আহŸান’ গল্পের মূল বিষয় কী?
ক সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা খ মানবিকতার অবক্ষয়
জ উদার মানবিকতা ঘ গ্রামীণ জীবনের প্রতি আকর্ষণ
ঙ বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নোত্তর :
১৫০ ‘এ বাড়ি সে বাড়ি করে’-বাক্যে প্রকাশ পেয়েছে
র. জীবিকার উপায় রর. দরিদ্রতা
ররর. অসহায়ত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর ঝ র, রর ও ররর
১৫১ ‘কী লোকের পরিবার আমি’-বাক্যটিতে প্রকাশ পেয়েছে বুড়িরÑ
র. আত্মসম্মান
রর. স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা
ররর. অহংকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর জ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১৫২ মানুষের প্রীতির বাঁধন গড়ে ওঠেÑ
র. স্নেহ-মমতায় রর. হৃদয়ের বন্ধনে
ররর. আন্তরিকতায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৫৩ ‘অ গোপাল আমার’-বাক্যটিতে ফুটে উঠেছেÑ
র. মমতা রর. মাতৃøেহ
ররর. ভালোবাসা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর ঝ র, রর ও ররর
১৫৪ সেবার বুড়ির বাড়িতে লেখকের যে কারণে যাওয়া হলো নাÑ
র. নানা ব্যস্ততা
রর. আগ্রহের ঘাটতি
ররর. বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর জ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১৫৫ হাজরা ব্যাটার বৌয়ের সাথে বুড়ির সাদৃশ্য রয়েছেÑ
র. অসহায়ত্বে রর. দরিদ্রতায়
ররর. সামাজিক পীড়নে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর জ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১৫৬ বুড়িকে দেখে লেখকের দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণÑ
র. অন্নপূর্ণার মতো মনে হয়
রর. নারী রূপের অপূর্ব পরিণতি দেখে
ররর. মায়া হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ ররর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১৫৭ “আহŸান” গল্পের উপজীব্যÑ
র. নাগরিক জীবন
রর. মানুষের সরলতা
ররর. সহজ জীবনধারা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৮ “আহŸান” গল্পে উলিখিত বুড়ির স্বামী বেঁচে থাকাকালেÑ
র. তাদের অভাব ছিল না
রর. পুকুরভরা মাছ ছিল
ররর. তাদের গোলাভরা ধান ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৯ বুড়ির ঘাবড়ে যাওয়ার কারণ লেখকের কণ্ঠস্বরেরÑ
র. রুক্ষ হয়ে ওঠা
রর. অপ্রত্যাশিত রূঢ়তা
ররর. বিরক্তিপূর্ণ কথাবার্তায়
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬০ বুড়ি লেখকের জন্য নিয়ে আসতÑ
র. আম ও পাতি লেবু
রর. কাঁচাকলা ও কুমড়ো
ররর. কুমড়ো ও পাকা কলা
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬১ উদার হৃদয়ের আন্তরিকতায় ঘুচে যেতে পারেÑ
র. ধনী-দরিদ্রের শ্রেণিবিভাগ
রর. ধনী-দরিদ্রের ভেতরে বৈষম্য
ররর. মানুষের ভেতরের গোঁড়ামি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৬২ ‘তা একদিন মোর ঘরখানা না হয় দেখতে গেলে’Ñএ উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. বৃদ্ধার প্রত্যাশা
রর. বৃদ্ধার আন্তরিকতা
ররর. বৃদ্ধার অপেক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৬৩ বুড়ির দুধ গ্রহণে লেখকের সংকোচের- কারণ হলোÑ
র. বুড়ি অসচ্ছল, দরিদ্র বলে
রর. মুসলমান বাড়ির দুধ লেখকের গ্রামে চলে না
ররর. কোনো দিক থেকে কেউ দেখে ফেলবে
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র খ র ও রর
গ রর ও ররর ঘ ররর
১৬৪ বুড়ির আÍা লেখককে বহুদূর থেকে আহŸান করে এনেছে, কারণÑ
র. বুড়ি লেখককে স্নেহ করতো
রর. বুড়ি লেখককে আপন করে নিয়েছিল
ররর. বুড়ি লেখককে সমীহ করত
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৫ বুড়ির বেশ দমে যাওয়ার পরিচয় ফুটে ওঠেÑ
র. ভয়ে ভয়ে বলায়, কেন বাবা, পয়সা কেন
রর. পরদিন পসার জালি নিয়ে আসায়
ররর. কথাবার্তার ধরনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৬ লেখকের আত্মঅনুশোচনা হয়েছিল কারণÑ
র. সে টাকা দিতে চেয়েছিল
রর. সে বুড়িকে দরিদ্র বলেছিল
ররর. সে স্নেহ বুঝতে পারেনি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৭ ‘পৈতৃক’ শব্দটি দ্বারা যা বোঝায়Ñ
র. পিতা বা পিতামহ
রর. পিতা বা পিতৃপুরুষ সম্বন্ধীয়
ররর. পিতা বা পিতৃপুরুষ বিষয়ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৮ গ্রামের চক্কোত্তি মশায়ের আচরণে ফুটে উঠেছেÑ
র. বাল্যবন্ধুর স্মরণ
রর. বন্ধুপুত্রের প্রতি স্নেহ
ররর. গ্রাম ও গ্রামের মানুষের প্রতি ভালোবাসা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও রর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৬৯ অনেকদিন পর গ্রামে এসে লেখক যেসব পরিবর্তন লক্ষ করলেন তা হলোÑ
র. বাল্যে যাদের ছোট দেখেছেন তাদের আর চেনা যায় না
রর. পলির শ্রী বিবর্ণ হয়ে গেছে
ররর. যাদের যুবক দেখেছিলেন তারা এখন বৃদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭০ ছুটির পর বুড়িকে লেখকের মনে পড়েনি, কারণÑ
র. বুড়িকে ভালো লাগেনি
রর. বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি বলে
ররর. শহরে কর্মব্যস্ত ছিল বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭১ অনেকদিন পর লেখক গ্রামে এসেছেন, কারণÑ
র. কর্মব্যস্ত ছিলেন
রর. কলকাতায় ছিলেন ররর. খুব অসুস্থ ছিলেন
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭২ বুড়ির ঘাবড়ে যাওয়ার কারণ লেখকের
র. রুক্ষ হয়ে ওঠা
রর. অপ্রত্যাশিত রূঢ়তা
ররর. বিরক্তিপূর্ণ কথাবার্তা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ছ র ও রর গ রর ও ররর ঘ ররর
১৭৩ বুড়ি আহ্লাদে আটখানা হয়েছিল, কারণÑ
র. গোপাল তাকে দেখতে গিয়েছিল
রর. গোপাল তাকে সাহায্য করেছিল
ররর. গোপাল তার খোঁজ নিয়েছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৪ ‘আমার বড্ড কষ্ট’Ñবৃদ্ধার এ কষ্টের কারণ হলোÑ
র. গ্রামে তার কেউ নেই
রর. নাতজামাইয়ের অবহেলা
ররর. তার মুখের ভাত জোটে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
১৭৫ লেখকের জন্য বুড়ির দুধ আনার কারণÑ
র. বিক্রির চিন্তা থেকে
রর. আন্তরিকতা থেকে
ররর. স্নেহকাতরতা থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৬ ‘বেঁচে থাকো, দীর্ঘজীবী হও’Ñচক্কোত্তি মশায়ের এ উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. আশীর্বাদ ও স্নেহ
রর. আশীর্বাদ ও অধিকার
ররর. আশীর্বাদ ও ভালোবাসা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৭ ‘আমার কি মরণ আছে রে বাবা’Ñএ কথার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. বৃদ্ধার মৃত্যুর ইচ্ছা
রর. বৃদ্ধার মনের হতাশা
ররর. বৃদ্ধার নিয়তি নির্ভরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৮ ‘আজ্ঞে সামান্য মাইনে পাই’Ñএ উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. অহংকার
রর. অর্থনৈতিক দুরবস্থা
ররর. অসহায়ত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৯ গ্রামে এসে লেখকের ভালো লাগল, কারণÑ
র. গ্রামের মানুষের সরলতা
রর. গ্রামের মানুষের আন্তরিকতা
ররর. শহরের একঘেয়ে পরিবেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮০ বৃদ্ধা স্বামীর নাম মুখে আনল না, কারণÑ
র. এটি একটি প্রথা
রর. এটি একটি সংস্কার
ররর. এটি একটি বিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
চ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৮১ ও ১৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
হাটের অদূরে চৌরাস্তার মাথায় তেমাথা ওয়ালায় লাঠি ধরে দাঁড়িয়েছিল। তার কাছে যেতেই শূন্যে হাত বাড়িয়ে বুড়ি বলে ও বাজান। আমাকে একটা দাও। ভাত থাব। পেটে বড় ক্ষুধা।
১৮১ উদ্দীপকের বুড়ির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র কোনটি?
চ জমির করাতির বউ খ হাজরা ব্যাটার বউ
গ মুখুয্যে বাড়ির বউ ঘ পরশু সর্দারের বউ
১৮২ উদ্দীপকের বৃদ্ধার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে ‘আহŸান’ গল্পের বুড়িরÑ
র. দারিদ্র্যদীর্ণ অবস্থা
রর. সব হারানোর হাহাকার
ররর. এ পাড়া-ওপাড়া যাতায়াত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
জ র ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৮৩ থেকে ১৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
কয়েক বছর আগে মায়ের অসুখের কথা শুনে বাড়ি গিয়েছিলাম। প্রতিবেশী রেখা খালা রাত-দিন মায়ের সেবা করেন মা ভালো হন। আমি রেখা খালাকে কিছু টাকা দিতে চাইলাম। এতে খালা রাগ করে বলেন একী করো বাবা!
১৮৩ উদ্দীপকের ভিখারিনি কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?
ক পরশু সর্দারের বউ খ হাজরা ব্যাটার বউ
গ মুখুর্য্যে বাড়ির বউ ঝ জমির করাতির বউ
১৮৪ উদ্দীপকের কথক যে চরিত্রের প্রতিনিধি
র. লেখকের
রর. আচরণে
ররর. গোপালের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
গ ররর ঝ র ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৮৫ ও ১৮৬ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
লক্ষণ গোয়ালা যে দুধ বিক্রি করে তা ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ। দুধে সে কখনও জল মেশায় না।
১৮৫ ‘আহŸান’ গল্পের কোন চরিত্রটি উদ্দীপকের প্রসন্ন গোয়ালার বিপরীত?
চ ঘুঁটি খ বৃদ্ধা গ দিগম্বরী ঘ সিদ্ধেশ্বরী
১৮৬ ‘আহŸান’ গল্পের ঐ চরিত্রটি সম্পর্কে বলা যায়Ñ
র. সে দুধে অর্ধেক জল মেশায়
রর. সে দুধে অল্প জল মেশায়
ররর. ব্যবসার ক্ষেত্রে সে অসৎ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ছ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৮৭ ও ১৮৮ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
হাবিব মরার সময় অরিনার হাতে হাত রেখে বলেছিল, পরঘাটে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। প্রতিদিন তুমি আমার কবর জিয়ারত করবে।
১৮৭ উদ্দীপকের ঘটনাটির সঙ্গে ‘আহŸান’ গল্পের কোন বিষয়টির মিল রয়েছে?
ক বৃদ্ধার অর্থ প্রাপ্তির ঘটনার
খ বৃদ্ধার স্নেহ প্রদানের ঘটনার
গ বৃদ্ধার কবর প্রাপ্তির ঘটনার
ঝ বৃদ্ধার কাফন প্রত্যাশার ঘটনার
১৮৮ উক্ত মিলের আলোকে বৃদ্ধার মানসিক বৈশিষ্ট্য হলোÑ
র. মৃত্যুচিন্তা রর. স্নেহকাতরতা
ররর. শেষ ইচ্ছা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৮৯ ও ১৯০ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
রহিমা খালার আদর সোহান-হাসানকে মায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়া।
১৮৯ উদ্দীপকের রিতুর পরিস্থিতি ‘আহŸান’ গল্পের কার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
চ লেখকের ক্ষেত্রে খ চক্কোত্তীর ক্ষেত্রে
গ বৃদ্ধার ক্ষেত্রে ঘ হাজরার বৌ এর
১৯০ উক্ত পরিস্থিতির আলোকে গল্পে লক্ষ করা যায়Ñ
র. আবেগের আতিশয্য
রর. øেহের প্রতি আকুতি
ররর. ভালোবাসার আকাক্সক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
জ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৯১ ও ১৯২ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
হাজেরার নানু হাজেরার জন্য একটি ঈদের জামা কিনে আনে। কিন্তু রাতে জামাটা ইঁদুরে কেটে ফেলে।
১৯১ উদ্দীপকের হাজেরার নানু ও ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার মধ্যে দেখা যায়Ñ
র. প্রতীক্ষার মনোভাব
রর. কারুশিল্প নিপুণতা
ররর. সচেতনতার অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
চ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯২ উদ্দীপকের জামা ও গল্পের পাটি নষ্ট হওয়া যে প্রসঙ্গকে তুলে ধরে তা হলোÑ
ক গুরুত্বহীনতা খ অনভিজ্ঞতা
জ সময়ের প্রবাহ ঘ অসংরক্ষিত
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৯৩ ও ১৯৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
রাম-রহিম এক ক্লাসে পড়ে। রাম দুর্ঘটনায় আহত হলে রক্তের প্রয়োজন পড়ে। রহিম তাকে রক্ত দান করে।
১৯৩ উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘আহŸান’ গল্পের কোন দিককে ইঙ্গিত করে?
ক ভ্রাতৃত্ববোধ খ সহমর্মিতা
জ অসাম্প্রদায়িকতা ঘ স্বজাত্যবোধ
১৯৪ উক্ত ইঙ্গিতের আলোকে গল্পের বিষয়বস্তুতে প্রকাশ পেয়েছেÑ
ক সমাজভাবনা ও শ্রেণিচেতনা
খ মানুষের আত্মচিন্তা ও সরলতা
গ মানুষের ধর্মীয় চিন্তা ও ধারণা
ঝ মানুষের ধর্মীয়বোধ ও উদারতা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৯৫ ও ১৯৬ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
অনেক দিন পরে বাড়িতে এল নদী। তাকে দেখে খুশীতে নেচে ওঠেন বেলাল চাচা।
১৯৫ উদ্দীপকের নদী ‘আহŸান’ গল্পের যে চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেÑ
ক নসর ছ লেখক গ আবদুল ঘ শুকুর
১৯৬ উদ্দীপকের বেলাল চাচার সঙ্গে “আহŸান” গল্পের যে চরিত্রের মিল পাওয়া যায়Ñ
ক জমির খ পরশু জ চক্কোত্তি ঘ হাজরা
রিভিশন অংশ (জবারংরড়হ)
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলেখ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বাড়ির কাজ
আহŸান গল্পের বুড়ির স্নেহশীল চরিত্র বিশ্লেষণ কর।
আহŸান গল্পের মর্মবাণী ব্যাখ্যা কর।
আহŸান গল্পে গোপালের মানবিকতার দিক ব্যাখ্যা কর।
গোপাল বৃদ্ধার চরিত্রের মাঝে মানবিকতা ও অসা¤প্রদায়িকতার চেতনা মূর্ত হয়েছে। উক্তিটি আলোচনা কর।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
“আহŸান” গল্পে লেখকের জীবনের একটা হৃদয়স্পর্শী ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
দীর্ঘদিন বাড়ি না থাকার পর হঠাৎ একবার পৈত্রিক বাড়িতে এসে গোপাল এক বুড়ির সাথে পরিচিত হয়।
গোপালের সাথে বৃদ্ধার সম্পর্ক সৃষ্টির ক্ষেত্রে বৃদ্ধার মাতৃত্বের আবেদন সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।
বুড়ি গোপালকে কাফনের কাপড় কিনে দেয়ার অনুরোধ করে, যা মাতৃত্বের আবদার হিসেবে গণ্য করা যায়।
বুড়ি যেদিন মারা যায়, গোপাল সেদিন এ সংবাদ না জেনেই কলকাতা থেকে গ্রামে আসে। এ কাকতালীয় সম্পর্কের মাধ্যমে গোপালের সাথে বুড়ির হৃদ্যতার গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে।
অন্ধের খড়ি বলতে একমাত্র অবলম্বনকে বোঝায়।
যারা করাত দিয়ে কাঠ চেরাই করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদেরকে ‘করাতি' বলা হয়।
‘আহŸান' গল্পটি বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাবলি থেকে সংকলন করা হয়েছে।
‘আহŸান' গল্প মূলত মানুষের মধ্যকার বিরাজমান বৈষম্য, যেমনঅর্থ-বৈষম্য, শ্রেণি-বৈষম্য ইত্যাদিকে রোধ করার প্রেরণাস্বরূপ।
পরেশ ও বুড়ির সম্পর্কের মাধ্যমে “আহŸান” গল্পে মানুষকে ভালোবাসার আহŸান করা হয়েছে।
টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পাস করেন কত সালে?
উত্তর : বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯১৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন।
২ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কোন বিভাগে উত্তীর্ণ হন?
উত্তর : বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
৩ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন কোন জেলায়?
উত্তর : বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় চব্বিশ পরগনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
৪ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশা কী ছিল?
উত্তর : বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশা ছিল শিক্ষকতা।
৫ ‘পথের পাঁচালী' উপন্যাসের লেখক কে?
উত্তর : ‘পথের পাঁচালী' উপন্যাসের লেখক বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬ “আহŸান” গল্পের গল্পকথকের পৈতৃক বাড়ির ভিটিতে কী গজিয়েছে?
উত্তর : “আহŸান” গল্পের গল্পকথকের পৈতৃক বাড়ির ভিটিতে জঙ্গল গজিয়েছে।
৭ ‘আহŸান' গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর : ‘আহŸান' গল্পটি ‘বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের' রচনাবলি থেকে।
৮ বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৯ ঘর করবার জন্য গল্পকথকের বাবার বন্ধু কোন জিনিস দিয়েছিল?
উত্তর : ঘর করবার জন্য গল্পকথকের বাবার বন্ধু খড়, বাঁশ দিয়েছিল।
১০ গল্পলেখকের বাবার বন্ধু গল্পকথককে কেমন ঘর তুলতে বললেন?
উত্তর : গল্পলেখকের বাবার বন্ধু গল্পকথককে চালাঘর তুলতে বললেন।
১১ “আহŸান” গল্পের গল্পকথক চক্কোত্তি মশাইকে দেখে কী করলেন?
উত্তর : “আহŸান” গল্পের গল্পকথক চক্কোত্তি মশাইকে দেখে প্রণাম করলেন।
১২ চক্কোত্তি মশাই গল্পকথককে গ্রামে কোন জিনিস করার কথা বললেন?
উত্তর : চক্কোত্তি মশাই গল্পকথককে গ্রামে বাড়িঘর করার কথা বললেন।
১৩ গল্পলেখক কীসের বাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে গেল?
উত্তর : গল্পলেখক আম বাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে গেল।
১৪ বাজারে যাবার সময় গল্পকথক বৃদ্ধাকে কোথায় দেখতে পেলেন?
উত্তর : বাজারে যাবার সময় গল্পকথক বৃদ্ধাকে আমগাছের ছায়ায় দেখতে পেলেন।
১৫ কে থাকতে বুড়ির গোলাভরা ধান ও গোয়াল ভরা গরু ছিল?
উত্তর : স্বামী থাকতে বুড়ির গোলাভরা ধান ও গোয়াল ভরা গরু ছিল।
১৬ বৃদ্ধা নড়ি ঠকঠক করতে করতে কোথায় যাচ্ছিল?
উত্তর: বৃদ্ধা নড়ি ঠকঠক করতে করতে বাজারে যাচ্ছিল।
১৭ বৃদ্ধা বুড়িকে দেখা মাত্রই গল্পলেখক কী করলেন?
উত্তর: বৃদ্ধা বুড়িকে দেখামাত্রই গল্পলেখক দাঁড়িয়ে গেলেন।
১৮ ‘তিনি থাকতে অভাব ছিল না কোন জিনিসের'Ñ“আহŸান” গল্পে এ উক্তিটির ‘তিনি’ কে?
উত্তর: “আহŸান” গল্পে এই ‘তিনি’ হলেন বুড়ির স্বামী।
১৯ “আহŸান” গল্পের বুড়ির স্বামী পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর: “আহŸান” গল্পের বুড়ির স্বামী পেশায় করাতি ছিলেন।
২০ স্বামী মারা যাবার পর আপন বলতে জগতে বুড়ির কে বর্তমান আছে?
উত্তর: স্বামী মারা যাবার পর আপন বলতে জগতে বুড়ির বর্তমান আছে এক নাতজামাই।
২১ বুড়ি কাকে উঠোনের কাঁঠালতলায় আপন মনে বকে গেল?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথককে উঠোনের কাঁঠালতলায় আপন মনে বকে গেল।
২২ বুড়ি গল্পকথকের জন্য ময়লা ছেঁড়া কাপড়ের প্রান্তে বেঁধে কী নিয়ে এসেছিল?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথকের জন্য ময়লা ছেঁড়া কাপড়ের প্রান্তে বেঁধে আম নিয়ে এসেছিল।
২৩ “আহŸান” গল্পের গল্পকথকের সামনে কে দন্তহীন মুখে হাসবার চেষ্টা করল?
উত্তর: “আহŸান” গল্পের গল্পকথকের সামনে বুড়ি দন্তহীন মুখে হাসবার চেষ্টা করল।
২৪ গল্পকথক গ্রামে কার বাড়িতে থাকেন?
উত্তর: গল্পকথক গ্রামে এক জ্ঞাতি খুড়োর বাড়িতে থাকেন।
২৫ “আহŸান” গল্পের বুড়ির স্বামীর নাম কী?
উত্তর: “আহŸান” গল্পের বুড়ির স্বামীর নাম জমির।
২৬ কে গল্পকথককে বুড়ির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন?
উত্তর: গল্পকথকের খুড়ো মশায় গল্পকথককে বুড়ির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
২৭ বুড়ির আনা আমগুলোকে কী রকম বলে উলেখ করেছেন?
উত্তর: বুড়ির আনা আমগুলোকে কড়া মিষ্টি বলে উলেখ করেছেন।
২৮ “আহŸান” গল্পের বুড়িকে কে দুধ দিয়েছিল?
উত্তর: “আহŸান” গল্পের বুড়িকে হাজরার বউ দুধ দিয়েছিল।
২৯ “আহŸান” গল্পের হাজরার বউ বুড়িকে কী বলে ডাকে?
উত্তর: “আহŸান” গল্পের হাজরার বউ বুড়িকে মা বলে ডাকে।
৩০ কে বুড়িকে খাবার না দিয়ে খায় না?
উত্তর: হাজরার বউ বুড়িকে খাবার না দিয়ে খায় না।
৩১ হাজরার বউয়ের পেশা কী ছিল?
উত্তর: হাজরার বউয়ের পেশা ছিল ধান ভানা।
৩২ বুড়ি কথিত গোপালকে কী দেখতে যেতে বলে?
উত্তর: বুড়ি কথিত গোপালকে ঘরখানা দেখতে যেতে বলে।
৩৩ বুড়ি গল্পকথকের বসবার জন্য ঘরে কী তৈরি করেছিল?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথকের বসবার জন্য ঘরে খেজুর পাতার চাটাই তৈরি করেছিল।
৩৪ গল্পকথক গ্রামে থাকা অবস্থায় কে রোজ সকালে আসতে ভোলে না?
উত্তর: গল্পকথক গ্রামে থাকা অবস্থায় বুড়ি রোজ সকালে আসতে ভোলে না।
৩৫ গল্পকথকের খাবার দুধ কোথা থেকে আসে?
উত্তর: গল্পকথকের খাবার দুধ ঘুঁটি গোয়ালিনীর কাছ থেকে আসে।
৩৬ বুড়ির দৃষ্টিতে ঘুঁটি গোয়ালিনীর দুধে অর্ধেক কী?
উত্তর: বুড়ির দৃষ্টিতে ঘুঁটি গোয়ালিনীর দুধে অর্ধেক জল থাকে।
৩৭ “আহŸান” গল্পের বুড়ি গল্পকথককে কী নামে ডাকে?
উত্তর: “আহŸান” গল্পের বুড়ি গল্পকথককে ‘গোপাল’ নামে ডাকে।
৩৮ অসুস্থ বুড়িকে গল্পকথক কখন দেখতে গেলেন?
উত্তর: অসুস্থ বুড়িকে গল্পকথক বিকেলে দেখতে গেলেন।
৩৯ “আহŸান” গল্পের বুড়ি কীসের উপর শুয়েছিল?
উত্তর: “আহŸান” গল্পের বুড়ি মাদুরের উপর শুয়েছিল।
৪০ বুড়ি কাকে দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেল?
উত্তর: বুড়ি গোপালকে দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেল।
৪১ “আহŸান” গল্পে কার দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে?
উত্তর: “আহŸান” গল্পে বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
৪২ শেষবারে গ্রামে ঢুকতেই গল্পলেখকের কার সাথে দেখা হয়?
উত্তর: শেষবারে গ্রামে ঢুকতেই গল্পলেখকের দিগম্বরীর সাথে দেখা হয়।
৪৩ দিগম্বরী কে?
উত্তর: দিগম্বরী পরশু সর্দারের বৌ।
৪৪ গল্পকথক কার কাছ থেকে প্রথমে বুড়ির মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পায়?
উত্তর: গল্পকথক দিগম্বরীর কাছে থেকে প্রথমে বুড়ির মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পায়।
৪৫ ‘ওর স্নেহাতুর আÍা বহু দূর থেকে আমায় আহŸান করে এনেছে।’“আহŸান” গল্পে কার আÍার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: “আহŸান” গল্পে বুড়ির কথা বলা হয়েছে।
৪৬ “আহŸান” গল্পে আবদুল, শুকুর, নসরÑএরা লেখকের কী হতেন?
উত্তর: “আহŸান” গল্পে আবদুল, শুকুর, নসরÑএরা লেখকের স্কুল জীবনের বন্ধু হতেন।
৪৭ কারা বুড়ির কবর খুঁড়েছে?
উত্তর: দুজন জোয়ান ছেলে বুড়ির কবর খুঁড়েছে।
৪৮ বুড়ি কার জন্য খেজুর পাতার চাটাই বুনে রেখেছিল?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথকের জন্য খেজুর পাতার চাটাই বুনে রেখেছিল।
৪৯ বুড়ি কথিত গোপালের জন্য ঘটিতে কী এনেছিল?
উত্তর: বুড়ি কথিত গোপালের জন্য ঘটিতে দুধ এনেছিল।
৫০ “আহŸান” গল্পের কার মন বুড়ির ডাক তাচ্ছিল্য করতে পারেনি?
উত্তর: “আহŸান” গল্পের গল্পলেখকের মন বুড়ির ডাক তাচ্ছিল্য করতে পারেনি।
৫১ গল্পকথক কাপড় কিনতে কার কাছে টাকা দিল?
উত্তর: গল্পকথক কাপড় কিনতে বুড়ির নাতজামাইয়ের কাছে টাকা দিল।
৫২ বুড়িকে আনুমানিক কয়টায় দাফন করা হয়েছিল?
উত্তর: বুড়িকে আনুমানিক বেলা বারোটায় দাফন করা হয়েছিল।
৫৩ বুড়িকে কোথায় কবর দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: বুড়িকে একটা প্রাচীন গাছের তলায় কবর দেয়া হয়েছিল।
৫৪ গল্পকথক পকেট থেকে বুড়িকে কী বের করে দিয়েছিল?
উত্তর: গল্পকথক পকেট থেকে বুড়িকে পয়সা বের করে দিয়েছিল।
৫৫ বাল্যকালে কার মা-পিসি মারা গিয়েছে?
উত্তর: বাল্যকালে গল্পকথকের মা-পিসি মারা গিয়েছে।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১ চক্রবর্তী মহাশয় গল্পলেখককে কেন চালাঘর তুলতে বললেন?
উত্তর : গ্রামের ছেলে গ্রামে বাস করবেÑচক্রবর্তী মহাশয় এই অভিপ্রায়ে গল্পলেখককে চালাঘর তুলতে বললেন।
গল্পলেখক ছিলেন চক্রবর্তী মহাশয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর একমাত্র ছেলে। বন্ধুটি মারা যাবার অনেকদিন পর তার একমাত্র ছেলেকে দেখে সে অত্যন্ত খুশি হয় এবং বন্ধুর ছেলেটিকে গ্রামে মাঝে-মধ্যে আসার জন্য বাবার ভিটায় অন্তত একটি চালাঘর তোলার পরামর্শ দেয়।
২ ‘সেও তো গরিব লোক।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর: “আহŸান” গল্পে গল্পকথক দারিদ্র্যপীড়িত এক অসহায় বৃদ্ধাকে আলোচ্য উক্তিটি করে।
বুড়ি ভালোবেসে তার কথিত গোপালের জন্য তার পাতানো মেয়ের কাছ থেকে খাঁটি দুধ নিয়ে যায়। গোপাল দারিদ্র্যের কারণে বুড়িকে দুধের মূল্য দিতে গেলে বুড়ি ইতস্তত করে। গোপাল বোঝে বুড়ি অর্থের জন্য নয়, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার জন্যই তার জন্য দুধ নিয়ে আসে। তাই গোপাল বুড়িকে টাকা দিয়ে বলে সেও তো গরিব লোক। বুড়িকে বোঝাতেই গোপাল প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে।
৩ বুড়ি গোপালের জন্য কেন দুধ নিয়ে এসেছিল?
উত্তর: গোপাল যে দুধ খেত তার মধ্যে ভেজাল থাকার কারণে বুড়ি গোপালের জন্য এক ঘটি দুধ নিয়ে এসেছিল।
বুড়ি লেখক তথা গোপালকে বড় বেশি ভালোবাসতো। তাই সে গোপালের খোঁজ খবর নিতে আসতো। গোপাল ঘুঁটি গোয়ালিনীর ভেজাল দুধ খাচ্ছে শুনে বুড়ি ব্যথিত হয়েছিল। তাই পাতানো মেয়ের কাছ থেকে চেয়ে দুধ নিয়ে এসেছিল গোপালের জন্য।
৪ বুড়ি ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখে ধরলেন কেন?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথককে ভালোভাবে দেখতে ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখে ধরলেন।
গল্পকথক বাজারে থাকার সময় আম গাছের ছায়ায় এক বৃদ্ধাকে দেখতে পায়। গল্পকথক বৃদ্ধার গ্রামেরই ছেলে। কিন্তু বৃদ্ধা তাকে ভালোভাবে চেনে না। কথোপকথনের এক পর্যায়ে বুড়ি নিজের ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখের ওপর ধরে গল্পকথককে চেনার চেষ্টা করে।
৫ গল্পকথককে বুড়ি চিনতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বয়সের কারণে চোখের দৃষ্টি কমে আসায় বুড়ি গল্পকথককে চিনতে পারে না।
অনেকদিন পর হঠাৎ গ্রামে এসে গল্পলেখক গ্রামের বাজারে যেতে আম গাছের ছায়ায় তারই গ্রামের এক বুড়ির সাথে সাক্ষাৎ হয়। বুড়িকে দেখে গল্পলেখক দাঁড়ালেও বুড়ির দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় এবং লেখক দীর্ঘদিন বাড়িতে না থাকায় তাকে চিনতে পারে না।
৬ ‘দুধ খেতে পাচ্ছ না ভালো, সে বুঝেছি।’Ñকথাটির ভাবার্থ লেখ।
উত্তর: বিভ‚তিভ‚ষণের “আহŸান” গল্পের বুড়ি দুধের বিশুদ্ধতা নিয়ে গল্পলেখককে এ কথাটি বলেছে।
গ্রামে থাকাবস্থায় গল্পলেখককে ঘুঁটি গোয়ালিনী দুধ দেয়। কিন্তু গোয়ালিনী সম্পর্কে গল্পকথক ভালোভাবে জানে না যে, তার দুধে পানি মেশানো থাকে। গ্রামের বুড়ির সাথে গল্পকথকের বেশ ভাব হয়েছে। তাই বুড়ি দুধের ভেজালের কথা আলোচ্য বাক্যটির মাধ্যমে লেখককে বুঝিয়েছেন।
৭ হাজরার বউ বুড়িকে খেতে দেয় কেন?
উত্তর: হাজরার বউ আন্তরিকতার জন্য বুড়িকে খেতে দেয়।
হাজরার বই ছা-পোষা একজন নারী। সে বুড়িকে ভালোবেসে মা ডেকেছে। তাই উদার মানবিকতার জন্যই সে তার সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের দুমুঠো চাল বুড়ির সাথে একসঙ্গে রান্না করে খায়। এতে হাজরার উদার দৃষ্টিভঙ্গিরই পরিচয় মেলে।
৮ ‘ওই যারে মেয়ে বলি, ও বড় ভাল' কথাটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: হাজরার বৌ-এর প্রতি বুড়ির কৃতজ্ঞতাবোধের পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে এখানে।
বুড়ির আপনজন বলতে এই পৃথিবীতে তার এক নাতজামাই ছাড়া কেউ নেই। কিন্তু সেই নাতজামাই বুড়িকে দেখে না। পাতানো এক মেয়ে কষ্ট হলেও তাকে ভরণপোষণ দেয়। তাই গল্পকথক যখন বলে খাওয়া-দাওয়া কোথায় হয়, তখন বুড়ি হাজরার বৌ-এর কথা বলে তার কৃতজ্ঞতাবোধ স্বীকার করে।
৯ বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অনেক প্রতীক্ষার পর গোপাল অসুস্থ বুড়িকে দেখতে আসে বলে বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
বুড়ি গোপালকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। তাই তার বিশ্বাস তার এই দুর্দিনে তার øেহের গোপাল হৃদয়ে টানে তার কাছে আসবেই। বুড়ির টানেই শেষ পর্যন্ত গল্পকথক বুড়িকে দেখতে যায়। তাইতো আনন্দে বুড়ির চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
১০ গল্পকথকের গ্রাম ছাড়ার পর বুড়িকে স্মরণ না থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গ্রাম থেকে ফিরে গল্পকথক আবারও কলকাতায় গিয়ে নিজ কাজে ব্যস্ত থাকায় বুড়িকে ভুলে যান।
গল্পকথক গ্রামে আসার পর বুড়ি যেভাবে তাকে ভালোবেসে আপন করে কাছে টেনেছে, সেভাবে গল্পকথক বুড়িকে আপন ভাবতে পারেনি। তবে বুড়ির প্রতি তার যে মায়ামমতা ছিল না তা কিন্তু নয়। কর্মব্যস্ততার কারণেই বুড়িকে তার স্মরণে আসেনি।
১১ গল্পকথক বুড়িকে পকেট থেকে পয়সা বের করে দিলেন কেন?
উত্তর: বুড়ির অভাব-অভিযোগ আর কষ্টের কথা শুনে গল্পকথক বুড়িকে পকেট থেকে পয়সা বের করে দিলেন।
স্বামী বেঁচে থাকতে বুড়ির কোনো অভাব না থাকলেও বর্তমানে বুড়ির এক নাতজামাই থাকা সত্তে¡ও তার খাবারের কষ্ট। বয়সের ভারে কাজ করার সামর্থ্য নেই। বুড়ির এই কষ্টের কথা শুনে গল্পলেখক নিজ পকেট থেকে মানবতার খাতিরে পয়সা বের করে দিলেন।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ (অংংবংসবহঃ)
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-১ : উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এ্যান্টনির আপনজনরা তাকে ত্যাগ করেছে। খানিকটা দুঃখ তার মনে থাকলেও সুবোধের আগমনে তার মুখে হাসি ফোটে। দাবা খেলায় সুবোধ মাতিয়ে রাখে এ্যান্টনিকে। প্রতিদিন সুবোধের জন্য প্রতীক্ষা করে এ্যান্টনি।
ক. গল্পলেখক বুড়িকে পকেট থেকে কী বের করে দিয়েছিলেন?
খ. বুড়ি রোজ সকালে গল্পলেখকের কাছে আসতে ভোলেন না কেন?
গ. ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ির চরিত্র উদ্দীপকের কোন চরিত্রের প্রতিরূপ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটির মূলভাব ‘আহŸান’ গল্পের বিন্যাসকে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করেছে। মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. গল্পলেখক বুড়িকে পকেট থেকে পয়সা বের করে দিয়েছিলেন।
খ. বুড়ি গল্পলেখককে অন্তর থেকে ভালোবাসেন। সকাল হলেই গল্পলেখকের কাছে আসতে ভোলেন না।
আত্মিক সম্পর্কই সবচেয়ে বড় সম্পর্ক ‘আহŸান’ গল্পে লেখক ও বুড়ির সম্পর্কও সেরূপ। বুড়ি তাই ধর্মীয় বন্ধন, সামাজিক বর্ণভেদের দূরত্ব ও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের ব্যবধান ভুলে গিয়ে গল্পলেখককে হৃদয়ের অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়েছে। তাইতো লেখকের খোঁজ-খবর নিতে প্রতিদিন সকাল না হতেই লেখকের কাছে ছুটে আসতে ভোলেন না তিনি।
টিপস্
গ. ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ির স্নেহশীল চরিত্র ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘আহŸান’ গল্পের বর্ণিত লেখক ও বুড়ির মধ্যকার সম্পর্কের গভীরতা বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্ন-২ : উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গাহি সাম্যের গানÑ
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশ্চান।
ক. গল্পলেখক কোন মাসে ঘরে এসে উঠেছিলেন?
খ. গল্পলেখক বুড়িকে কেন দুধের দাম দিতে চেয়েছিলেন?
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের তাৎপর্য ‘আহŸান’ গল্পের ঘটনার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের তাৎপর্য ‘আহŸান’ গল্পের সামগ্রিক চেতনাকে ধারণ করে কি? বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. গল্পলেখক জ্যৈষ্ঠ মাসে ঘরে এসে উঠেছিলেন।
খ. বুড়ির দরিদ্র্যতার কারণে গল্পলেখক তার আনা দুধের দাম দিতে চেয়েছিলেন।
বুড়ি লেখককে প্রচণ্ড স্নেহ করতো। খুুঁটি গোয়ালিনীর ভেজাল দুধের পরিবর্তে খাঁটি দুধ খাওয়ানোর জন্য বুড়ি তার পাতানো মেয়ের কাছ থেকে দুধ নিয়ে আসে। কিন্তু গল্পলেখক বুড়ির কষ্ট ও দারিদ্র্যের কথা চিন্তা করে দুধের দাম দিতে চেয়েছিলেন।
টিপস্
গ. ‘আহŸান’ গল্পে সাম্যের যে আহŸান রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘আহŸান’ গল্পে মানুষের প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ করার আহŸান জানানো হয়েছে। বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্ন-৩ : উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিচু জাতির হাতে জল খেলে পাপ হবে। এ কথা মানতে নারাজ সৈকত। তার মতে, জাত-পাত অপসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়।
ক. গল্পলেখককে বুড়ি কী দিয়ে কচি শর্সা খেতে বলেছে?
খ. গল্পলেখকের পৈতৃক বাড়ির ভিটিতে জঙ্গল গজিয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের ভাবনার সঙ্গে ‘আহŸান’ গল্পের ভাবনার সমন¦য় সাধন কর।
ঘ. উদ্দীপকের বিষয়ের আলোকে ‘আহŸান’ গল্পের প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্রগুলো কী সার্থক? বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. গল্পলেখককে বুড়ি নুন দিয়ে কচি শসা খেতে বলেছে।
খ. স্বজনহারা গল্পকথকের গ্রামের পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিচর্যা করার কেউ না থাকায় ভিটিতে জঙ্গল গজিয়েছিল।
লেখাপড়া শেষ করার পর চাকরির কারণে পৈতৃক বাড়িতে গল্পলেখকের যাতায়াত তেমন ছিল না। আগেই তারা মা-বাবা, পিসিমা মারা গেছেন। লোক-জন কেউ বসবাস করে না বলেই পরিত্যক্ত ভিটিতে গাছপালায় আচ্ছাদিত হয়ে একটা জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল।
টিপস্
গ. ‘আহŸান’ গল্পে প্রকাশিত অসা¤প্রদায়িকতার ভাবনার দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ি ও গোপালের চরিত্রের ধর্মীয় বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মমতার বন্ধনে আবদ্ধ হবার বিষয়টি আলোচনা করো।
প্রশ্ন-৪: উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দুস্থ মানুষকে সাহায্যের জন্য নিজের কিছুটা ক্ষতি স্বীকার করেও লিমন তাদের পাশে দাঁড়ায়। তার পরিচিত অনেকেই একে বাড়াবাড়ি বলে মনে করে।
ক. বুড়ি কার বাড়ি থেকে দুধ নিয়ে এসেছিলেন?
খ. বুড়ির বড্ড কষ্ট কেন?
গ. উদ্দীপকের লিমন ‘আহŸান’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের লিমনের প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্রটি “আহŸান” গল্পের বিশেষ তাৎপর্যকে ধারণ করেছেÑবিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. বুড়ি মেয়ের বাড়ি থেকে দুধ নিয়ে এসেছিলেন।
খ. বুড়ির স্বামী মারা যাবার পর দেখার মতো আপন কেউ না থাকায় বুড়ির বড্ড কষ্ট।
‘আহŸান’ গল্পের বুড়ির স্বামী মারা যাবার পর এক নাতজামাই থাকলেও বুড়িকে সে ভাত-কাপড় দেয় না। পাতানো এক মেয়ে সারাদিন মানুষের বাড়িতে ধান ভানে এবং যা চাল পায় তাই বুড়ির সাথে ভাগ করে খায়। কোনোদিন বুড়ির এই ভাতটুকুও কপালে জোটে না। তাই বুড়ির এ বয়সে বড্ড কষ্ট।
টিপস্
গ. ‘আহŸান’ গল্পের গল্পলেখকের চরিত্র ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘আহŸান’ গল্পে গোপালের চরিত্রে যে মানবতা প্রকাশ পেয়েছে সে বিষয়টি আলোচনা করো।
Quality Can Do Soft - এর মোবাইল এপস পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুণ