(সংকেত: ভূমিকা;স্বাধীনতা দিবস; বিজয় দিবস ও কালরাত;স্বাধীনতার পটভূমি; স্বাধীনতার ইতিহাস; স্বাধীনতার তাৎপর্য; স্বাধীনতা উদযাপন;উপসংহার)
ভূমিকা
স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। যেকোনো জাতির প্রগতি, উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য স্বাধীনতা অপরিহার্য। বাঙালিকে বিজাতিরা বল প্রয়োগে, কৌশলে, প্রলোভনে পরাধীন করে রেখেছিল। এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে।
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও কালরাত
দীর্ঘ ৯ মাস (২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১) রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয় বলে এই দিনকে ‘স্বাধীনতা দিবস’ আর ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে বলে এই দিনকে ‘বিজয় দিবস’ বলা হয়। যে রাতে পাকবাহিনী হাজার হাজার নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করে সেই রাতকেই কালরাত বলে। ২৫ মার্চের রাতে আকস্মিকভাবে পাকসেনারা হাজার হাজার মানুষকে খুন করে।
স্বাধীনতার পটভূমি
ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হয়। এরপর বাংলাদেশকে পূর্বপাকিস্তান নাম দিয়ে শাসনভার নেয় পাকিস্তান। কিন্তু বাঙালিরা স্বাধীনতা পায়নি। তাই বাঙালিরা ১৯৪৮, ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৬৬ ও ১৯৬৯ সালে বারবার প্রতিবাদ করে অধিকার না পেলে পাকিস্তান শাসকদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেয়।
স্বাধীনতার ইতিহাস
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাতে বাঙালি নিধন যজ্ঞ শুরু করে। বাঙালি রুখে দাঁড়ায়। সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ চলে। পাকসেনারা জ্বালিয়ে দেয়া এদেশের কারখানা, অফিস-আদালত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-জনতা এক হয়ে নিজেদের যা কিছু ছিল তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করে। শহিদ হয়েছে ত্রিশ লক্ষ প্রাণ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়।
স্বাধীনতার তাৎপর্য
স্বাধীনতা দিবস যে কোনো জাতির জন্য অতি মহান ও তাৎপর্যপূর্ণ দিবস। এ দিবসে কোনো জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির আনন্দ লাভ করে বলে দিবসটি সেই জাতির জন্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
স্বাধীনতা উদযাপন
স্বাধীনতা দিবস সরকারি ছুটির দিন। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নির্দিষ্টবার তোপধ্বনি সহকারে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে দিবসটি শুরু হয়। এই দিনে শহিদমিনারে ফুল দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সরকারি ও বেসরকারি ভবন, দোকানপাট, বাসগৃহ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। হাসপাতাল, এতিমখানা ও জেলখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও মঠে বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়। সংবাদপত্রগুলোয় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। রেডিও ও টেলিভিশন থেকে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজয়দিবস পালন করা হয়।
উপসংহার
আমাদের কষ্টে অর্জিত বিজয় দিবস আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। এ দিবস আমাদের সংগ্রামী চেতনার উৎস, আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আমরা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালন করব।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ