(সংকেত: ভূমিকা, মৃৎশিল্প, মৃৎসামগ্রী, মৃৎশিল্প তৈরির উপকরণ ও তৈরির কৌশল, ঐতিহ্যময় মৃৎশিল্প, মৃৎশিল্পের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত, মৃৎশিল্পের ব্যবহার, উপসংহার)
ভূমিকা
যুগযুগ ধরে কুমোর কাদামাটি দিয়ে নিত্যদিনের ব্যবহার উপযোগী মাটির দ্রব্য তৈরি করে সমাজকে সহযোগিতা করে আসছে। মৃতশিল্পকে কুমোররা বাঁচিয়ে রেখেছে। তারা তাদের জীবন ও জীবিকার অবলম্বন হিসেবে যুগযুগ ধরে মৃৎসামগ্রী তৈরি করছে। তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েও একাজ করে থাকে।
মৃৎশিল্পী
মৃৎ বা মাটি দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মকে মৃৎশিল্প বলে। মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে বলা হয় মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প। মৃতশিল্প তৈরি করতে মাটি ও বিভিন্ন আকৃতির তৈজসপত্র লাগে।
মৃৎসামগ্রী
মাটির কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির ছাঁচ, বিভিন্নরকম খেলনা ইত্যাদি মৃৎসামগ্রী যুগ যুগ ধরে আমাদের গৃহকার্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাছাড়া মৃৎসামগ্রী আমাদের গৃহের সৌন্দর্য বর্ধন রূপেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব জিনিস আজকাল বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে ঘরে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।
মৃৎশিল্প তৈরির উপকরণ ও তৈরির কৌশল
মৃৎশিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। তবে সব মাটি দিয়ে এ কাজ হয় না। মৃৎশিল্প তৈরির জন্য দরকার পরিষ্কার এঁটেল মাটি ও পানি, লাগে ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম। সবকিছুর আগে যেটা দরকার তা হলো একটা কাঠের চাকা। এর জন্য অনেক যতœ আর শ্রম দরকার। দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান। কুমোর একটি ঘুরন্ত চাকার মাঝে পরিমাণ মতো নরম মাটি নিয়ে হাতে দক্ষতায় মৃৎসামগ্রী তৈরি করে থাকেন। এরপর তারা দ্রব্যকে শুকিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে ব্যবহার উপযোগী করেন।
ঐতিহ্যময় মৃৎশিল্প
হাঁড়ি, কলসি ছাড়াও আমাদের দেশে একসময় গড়ে উঠেছিল সুন্দর টেরাকোটা। এটি বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে এই টেরাকোটার কাজ রয়েছে। সম্প্রতি নরসিংদীর ওয়ারিবটেশ্বরে পাওয়া গেছে প্রায় হাজার বছর আগের সভ্যতার নিদর্শন। মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে নানা ধরনের সুন্দর মাটির পাত্র আর ফলক।
মৃৎশিল্পের ব্যবহার
মৃৎশিল্প বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য, প্রাচীন শিল্প। অতীতে তৈজসপত্র হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হতো। আজকাল পোড়ামাটির নকশার কদর বেড়েছে। বড়বড় সরকারি ও বেসরকারি ভবনে আজকাল সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য নানারকম নকশাকরা মাটির ফলক ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে তৈজসপত্র হিসেবে কম ব্যবহৃত হয়।
মৃৎশিল্পের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত
মৃৎশিল্পের অতীত খুব শক্তিশালী ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় ঐতিহ্যময় মৃৎশিল্প দেখে। তবে বর্তমানে এর অবস্থা করুণ থেকে করুণতর হয়ে পড়েছে। আমাদের অসচেতনতার কারণে মৃৎশিল্পের জায়গা করে নিচ্ছে ঝুকিপূর্ণ প্ল¬াস্টিক, মেলামাইন, কাঁচ ও চিনামাটির শিল্প। তবে বর্তমানে মানুষ তাদের বাড়িঘর, অপিস-আদালত নকশাকরা মৃৎশিল্প দিয়ে সাজাতে যেমন গর্ববোধ করেন তেমনি স্বচ্ছন্দবোধ করে। এতে মনে হচ্ছে মৃৎশিল্পের ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল।
উপসংহার
এদেশের মানুষের মন যে শিল্পীর মন, এগুলো তার পরিচয় বহন করে। আবহমানকাল ধরে প্রচলিত মৃৎশিল্প আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব তাই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখে আরও উন্নত ও আধুনিকায়ন করা আমাদের কর্তব্য। মৃৎশিল্প বাঁচিয়ে রাখলে বাঁচবে আমাদের ঐতিহ্য, বাঁচবে এর সাথে যারা জড়িত তারা।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ