(সংকেত: ভূমিকা, ভাষার পটভূমি, বাংলাভাষা, মাতৃভাষা কী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা, প্রস্তাবের অনুমোদন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক দক্ষতা, বাংলাদেশের প্রস্তাবনা, ৭ ডিসেম্বর ও বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিকতা, জাতীয় চেতনা, একুশের পটভূমি ও প্রতিক্রিয়া, উপসংহার)
ভূমিকা
বাঙালির বীর সন্তানেরা মহাকালের বুকে একটি দিনকে উজ্জ্বল করেছে নিজ মহিমায় সে একুশে ফেব্রুয়ারি। একবিংশ শতকের প্রথম পাদে দাঁড়িয়ে সে এখন ঘরকুনো কুমারী কন্যা নয়। ভাষার অভিযাত্রায় যে নতুন বিশ্ব পথিক। বিশ্বের ১৮৮ টি দেশে এ পথিকের প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে একুশতম দিনটিতে চালাবে সশব্দ পদচারণা। শুনাবে সে আমাদের দামাল ছেলেদের গৌরবময় ইতিকথা।
ভাষার পটভূমি
ভাষা নিয়ে বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে যায় পৃথিবীর বুকে। এজন্যেই সাধারণত একটি প্রশ্ন জাগে ভাষা কী? যার অন্তর্নিহিত শক্তি এত ব্যাপক যার জন্যে নিজ প্রাণ উৎসর্গ করতে এগিয়ে আসে বরকত সালামেরা। ভাষা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষা হল এমন এক প্রক্রিয়া যা জড় থেকে মানুষকে সহজভাবে আলাদা করে। জড়ের পরে রয়েছে প্রাণের স্থান প্রাণের পরে মনের। এই মনের বিকাশেই মানুষের জন্ম। চিন্তা (Thinking) সংকল্প (willing) অনুভব (feeling)-তিনটি মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই তিনের সাধনায় মানুষ চায় তার নিজের আবেগ অনুভূতি অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে। ভাষা তার মাধ্যম। ভাষা বিজ্ঞানী হুইটনীর মতে–‘Language is a social institution, সাটেভান্টের মতে ‘A Languageis a system of arbitrary vocal symbols by which member of a social group co-operate and interaet. বৈদিক ঋষিদের মতে-‘ভাষাকে কেউ দেখেও দেখে না কেউ শুনেও শুনে না কিন্তু সে অন্যের জন্য নিজের দেহ প্রকাশ করে পতির জন্য সুসজ্জিতা প্রেমময়ী জায়ার মতো।’
বাংলাভাষা
সবকিছু মিলে ভাষার সংজ্ঞা হলো-‘মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারণরিত ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন এমন শব্দ সমষ্টি যা স্বতন্ত্রভাবে জনসমাজে ব্যবহৃত। এই সংজ্ঞা অনুসরণ করে বলা চলে-যে ভাষায় কথা বলি সমাজে প্রচলিত তাই বাংলা ভাষা। যে ভাষা আমরা সকলে জানি, শুনি ও বুঝি, যে ভাষায় আমরা ভাবনা চিন্তা, সুখ-দুঃখ বিনা আয়াসে, বিনা ক্লেশে বহুকাল হতে প্রকাশ করে আসছি এবং সম্ভবত আরো বহুকাল পর্যন্ত প্রকাশ করব, সেই ভাষাই বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষার অস্তিত্ব প্রকৃতিবাদ অভিধানের ভিতরে নয় বাঙালির মুখে।
মাতৃভাষা কী
পৃথিবীর প্রত্যেক দেশ জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষা থাকে। শিশু মায়ের কাছ থেকে শুনে বড় হয়, যে ভাষার মাধ্যমে চিন্তা ইচ্ছা অনুভব প্রকাশ পায়, সে ভাষাই মাতৃভাষা। শিশুর যে সমাজ থাকে সেই সমাজও একইভাবে চিন্তা করে থাকে। ভাষাবিদ ড. ডেভিড ড্যালবি আফ্রিকার নাইজেরিয়া ও ক্যামেরুনের সীমান্তে ৮৭ বছরের এক বৃদ্ধার দেখা পান, যার কথা বোঝার মতো কোনো লোকই আর ছিল না। যিনি নিজের সঙ্গে আপন ভাষায় বিড় বিড় করতেন। সব দেশ সব জাতির মাতৃভাষাই প্রাথমিক ভাষা হিসেবে চিহ্নিত হয়। দ্বিতীয় ভাষাকে বলা হয় বিকল্প ভাষা। সারা বিশ্বের ১০০ কোটি লোক আজ মাতৃভাষা বা দ্বিতীয় বা বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করছে। ১৯৪৩ সালে অধ্যাপক আই এ রি চার্ড তার বেসিক ইংলিশ অ্যান্ড ইটম ইউসেস প্রবন্ধে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বিশ্বের অসংখ্য যোগবিন্দুতে ইংরেজি বা একধরনের ইংরেজি হবে সর্বচেয়ে ব্যবহারযোগ্য ভাষা। দিনের ২৪ ঘণ্টার পরিক্রমার মধ্যে কোনো ভাষায় সবচেয়ে বেশিলোক কথা বলে তা নির্ধারণ করলে দেখা যাবে সূর্য যখন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসগরে তখন সবচেয়ে ব্যবহৃত ভাষা হচ্ছে মান্দারিন এবং সূর্য যখন আটলান্টিকের ওপর তখন সবক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষা হচ্ছে ইংরেজি।
মান্দারিন ভাষা হচ্ছে চীনা ভাষার সবচেয়ে বোধগম্য লিখিত ভাষা পু-তুং হুয়া। এই ভাষা চীনের সরকারি ভাষা এবং ১১২ কোটি ৩০ লাখ লোক তা ব্যবহার করে।
যুগল ভাষা হিসেবে চিহ্নিত হিন্দি, উর্দু, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, মালয় ও ইন্দোনেশিয়ান ভাষা পৃথিবীর বহু লোক ব্যবহার করছে। হিন্দি ও উর্দুর শ্রোতা প্রায় ১০০ কোটি হবে। ২০ কোটির ওপর সংখ্যা হবে যারা আরবি, বাংলা ও রুশভাষা ব্যবহার করেন।
মাতৃভাষা আজ বিশ্ব মহাভাষায় রূপান্তর হয়েছে ১২টি ভাষা। যেমন: ইংরেজি, মান্দারিন, আরবি, বাংলা, হিন্দি, উর্দু, রুশ, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, মালয়, ইন্দোনেশিয়ান, জাপানি ও জার্মান। ক্ষুদে ভাষার সংখ্যা প্রায় ৮০।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অভাবনীয় দিন। এ দিন বাঙালির অমর একুশে শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকে ২১ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউনেস্কোর সদস্য ১৮৮টি রাষ্ট্র এ দিন যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করবে।
আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা
২৬ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেকের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের জন্য সদস্য দেশসমূহের সমর্থন চান।
বাংলাদেশের প্রস্তাবের পক্ষে পাকিস্তান সহ ২৮টি দেশ লিখিতভাবে সর্মথন জানায়। প্রস্তাব সমর্থনকারী অন্য ২৭টি দেশ হলো-সৌদি আরব, ওমান, বেনিন, শ্রীলংকা, মিশর, রাশিয়া, বাহামা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, বেলারুশ, ফিলিপাইন, আইভরিকোস্ট, ভারত, হুন্ডুরাস, গাম্বিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, ভানুয়াতু, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, কমোরস, ইরান, লিথুয়ানিয়া, ইতালি, সিরিয়া, মালয়েশিয়া, স্লোভাকিয়া এবং প্যারাগুয়ে।
প্রস্তাবের অনুমোদন
ইউনোস্কোর সর্বাধিক ক্ষমতাশালী সংস্থা কমিশন-২ এ বাংলাদেশের প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয় ১২ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রস্তাব নং ৩০/সি/ডি আর ৩৫ উত্থাপিত হলে বিনা আপত্তিতে তা গৃহীত হয় এবং অনুমোদিত হয়। ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মাতৃভাষার জন্য অভূতপূর্ব আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ এবং সেদিন যারা প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব করা হচ্ছে। প্রস্তাব গৃহীত হবার পর দিবসটি পালনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলা হয়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভাষা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। মাতৃভাষার প্রচলন কেবল ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুভাষাভিত্তিক শিক্ষাকেই উৎসাহিত করবে না, তা ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহনশীলতা ও সংলাপের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব সংহতি আরো জোরদার হবে। প্রস্তাবে আরো বলা হয়-‘মাতৃভাষার উন্নয়ন ও বিস্তারের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলো এবং ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক দক্ষতা
ইউনেস্কোর কমিশন-২ এ বাংলাদেশের প্রস্তাবটি আলোচনা কালে কয়েকটি পশ্চিমাদেশ নতুন একটি দিবস উদ্যাপনের ক্ষেত্রে অর্থ যোগানের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে। তাঁদের মতে একটি দিবস উদ্যাপনের জন্য কমপক্ষে ১ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশের কূটনৈতিক দক্ষতা এক্ষেত্রে ছিল প্রশংসনীয়। এ ব্যাপারে ফ্রান্সে নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের ভূমিকা ছিল অনন্য। ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের বিশেষ উপদেষ্টা তোজাম্মেল হক টনির অবদানও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আরো যাদের নাম এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তাঁরা হলেন ড. সাদাত হোসেন ও সাইদুর রহমান খান। বাংলাদেশের কূটনৈতিক দৃঢ়তা ও অখণ্ডনীয় যুক্তির পর দিবসটি পালনের ব্যাপারে আর কোনো মত বিরোধ দেখা দেয় নি। তাঁরা ইউনেস্কোর সম্মেলনে উপস্থিত দেশ সমূহের প্রতিনিধিদের বোঝাতে সক্ষম হন যে, এই প্রস্তাবটি পাস হলে ইউনেস্কোর বর্তমান বাজেটের উপর কোনো বাড়তি চাপ পড়বে না। সদস্য রাষ্ট্রগুলো যার যার সাধ্যমতো দিবসটি নিজ নিজ দেশে পালন করবে।
বাংলাদেশের প্রস্তাবনা
একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল কানাডা প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অব দি ওর্য়াল্ড’। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রদত্ত সংক্রান্ত বিষয়টি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিলে শেখ হাসিনা তা অনুমোদন করেন। ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ইউনেস্কো সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। প্রস্তাবনায় বলা হয়, আমরা আশা করব ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর ছোট ছোট দেশ ও জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা লাভ করবে। আমাদের মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় শহীদদের আত্মত্যাগকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় অভিষিক্ত করে জাতিসংঘের এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আমাদের চির ঋণী করেছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই ইউনেস্কো ধন্যবাদ পেতে পারে। বিশ্বের ১৮৮ টি দেশে প্রতিবছর বাংলাদেশের শহীদ দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি কেবল ঢাকার শহীদ মিনারেই নয়, বরং পৃথিবী জুড়ে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে। সে সব দেশের জনগণ নতুন করে জানতে পারবে কীভাবে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার নিজেদের অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছেন।
কানাডাং বাংলার নতুন রফিক সালাম (রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম) সেদেশের ভ্যাঙ্কুবারে বসে দুনিয়ার মাতৃভাষার উন্নতিকল্পে এই সমিতিটি গঠন করেন। মূলত তাঁদের উদ্যোগেই বাংলাদেশ পেল পৃথিবীতে এমন বিরল সম্মান।
৭ ডিসেম্বর ও বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিকতা
বাঙালির রক্তস্নাত ভাষা সংগ্রামের ইতিহাসের পথপরিক্রমায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষিত হওয়ায় ৭ ডিসেম্বর সারাদেশে উজ্জ্বল আনন্দ, আর আবেগঘন পরিবেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব পালন করা হয়। ভাষা উৎসব দেশবাসীকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিল। অনেক দিন বাঙালি এমন দলমত নির্বিশেষে উৎসবের আমেজ পায় নি। সেই উৎসবমুখর বাঙালিদের দেখে কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর মতো যেন সকলের বাময়তা ফুটে উঠেছে-
ফেব্রুয়ারি কোনো মাস নয়, কোনো দিন নয়
কোনো গ্রাম নয়, কোনো পথ নয়
কোনো ফুল নয়, কোনো গাছ নয়
আকাশও নয় নদীও নয়
পঞ্চান্ন হাজার বর্গ মাইলে
অবিরাম কথা বলা।
জাতীয় চেতনা
একুশে ফেব্রুয়ারিতে সালাম বরকত, রফিকের বুকের রক্ত বৃথা যায় নি। ইতিহাস তার মূল্য দিয়েছে। শুধু বাংলা ভাষাকেই আমরা মাতৃভাষা হিসেবে পাই নি বরং একুশের চেতনার যে বীজ সেদিন রোপণ করা হয়েছিল তার বিশাল মহীরুহ পরবর্তীতে মহান স্বাধীনতার স্নিগ্ধ ছায়ায় বেড়ে উঠেছে। কবি শামসুর রহমানের ভাষায়-
আবার ফুটেছে দ্যাখ কৃষ্ণচূড়া থরে থরে শহরের পথে
কেবল নিবিড় হয়ে কখনও মিছিলে কখনও বা
একা হেঁটে যেতে মনে হয়, ফুল নয় ওরা
শহীদের ঝলকিত রক্তের বুদ্বুদ, স্মৃতিগল্পে ভরপুর
একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রঙ।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ