(সংকেত: ভূমিকা, প্রকাশিত বিষয়সমূহ, ইতিহাস, শ্রেণিকরণ, জাতীয়তাবোধ ও সংবাদপত্র, জনমত গঠনে সংবাদপত্র, শিক্ষার পরিপূরক, উপসংহার)
ভূমিকা
দেশ-কালের সীমায় আর বাঁধা নেই মানুষ। নিখিল বিশ্বের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ নাড়ির যোগ। বিশ্ব-মানবের সুখদুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষার নিত্য শরিক সে। তাদের প্রতিদিনকার খবরাখবর না পেলে তার মন ভরে না, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয় না। সংবাদপত্র মেটায় মানুষের এই কৌতূহলকে, তার জানার বাসনাকে। সংবাদপত্র তাই মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য বন্ধু। সভ্য নাগরিক সংবাদপত্রহীন জীবন কল্পনাই করতে পারে না।
প্রকাশিত বিষয়সমূহ
সংবাদপত্র দেশবিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক খবর পরিবেশন করে। প্রকাশ করে বিশ্বরাজনীতি ও তার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতির আলোচনা, বিবিধ সমস্যা ও তাদের সমাধানের উপায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। বহুবিধ সচিত্র বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। খেলাধুলা, সিনেমা-থিয়েটার, অর্থনীতি, ইতিহাস, ভূগোল, দর্শন, বিজ্ঞান প্রভৃতির খবরাখবর ও বিষয়কভিত্তিক প্রবন্ধাবলি প্রকাশিত হয়। শিশু ও মহিলাদের জন্য পৃথক বিভাগ থাকে। বেতার-টেলিভিশনের অনুষ্ঠানসূচি, আবহাওয়া সংবাদ, কৃষিশিল্পের পর্যালোচনা কর্মপ্রার্থী ও কর্মখালির খবরাখবর মুদ্রিত হয়। বিবিধ দ্রব্যের বাজারদরের গতিপ্রকৃতি জানিয়ে দেয়। পৃথিবীর কোথায় মানুষ দুর্ভিক্ষ, মহামারী, রাষ্ট্রীয় বিপর্যয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলভুক্ত সংবাদপত্র সে খবর পৌঁছিয়ে দেয় অচিরে। প্রয়োজন বিশেষে তাদের ত্রাণ ও সেবার জন্যে আবেদন প্রচার করে।
ইতিহাস
যুগের প্রয়োজনে সংবাদপত্রের আবির্ভাব। কাগজ ও মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কারের মতো সংবাদপত্র আবিষ্কারের জন্য চীনদেশ গৌরবের অধিকারী। ভারতবর্ষে মৌর্য রাজত্বকালে অশোকের শিলালিপি সংবাদপত্রের আংশিক ভূমিকা পালন করেছিল। মোগল যুগে হাতেলেখা সংবাদপত্রের প্রচলন হলেও কেবল রাজকর্মচারীদের মধ্যে তার প্রচার ছিল সীমাবদ্ধ। কাগজ ও মুদ্রণযন্ত্রের প্রচলনের পর সংবাদপত্রের প্রচার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। অষ্টাদশ শতকের প্রথম দশকে শ্রীরামপুর খ্রিস্টান মিশনারির উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় বাংলা ভাষায় সংবাদপত্রের আবির্ভাব। ‘দিগদর্শন’ ও তার কয়েক মাস পরে ‘সমাচার দর্পণ’-এর আবির্ভাব হয়। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত ‘সংবাদ প্রভাকর’ বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাসে নতুন যুগের ভূমিকা করে। বাংলা ভাষায় বর্তমানে পত্রপত্রিকার সংখ্যা ৫৮৫ এর অধিক।
শ্রেণিকরণ
মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে সংবাদপত্র নানা প্রকারের। প্রতিদিন প্রকাশিত পত্রিকা হল দৈনিক পত্রিকা। এর প্রচারসংখ্যা, বিষয়-বৈচিত্র্য, পাঠক সংখ্যা ও জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। সংবাদ পরিবেশন হল মুখ্য। জরুরি সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রকাশিত হয় টেলিগ্রাম বা সান্ধ্য-সংখ্যা। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ছাপা হয় ক্রোড়পত্র।
জাতীয়তাবোধ ও সংবাদপত্র
স্বাধীনতা আন্দোলনে ও জাতীয়তাবোধের জাগরণে সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদপত্র দেশবাসীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে। সংবাদপত্র আন্দোলনের ঐতিহাসিক উপাদান ও সূত্রকে গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে সংগ্রহ করে রেখেছে। সংবাদপত্র স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস প্রণয়নের বহু মূল্যবান উপাদান দিয়েছে।
জনমত গঠনে সংবাদপত্র
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নাগরিকের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ন্যস্ত। তারা প্রতিনিধি নির্বাচন করে, আর নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক গঠিত সরকার দেশ শাসন করে। এজন্যই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নাগরিকের রাজনৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতা অপরিহার্য। সরকারি নীতি ও গৃহীত ব্যবস্থাদি বিষয়ে জনমত গঠনও একান্ত দরকার, কারণ জনসমর্থনের উপর সরকারের ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নির্ভর করে। জনমত গঠনে অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম হল সংবাদপত্র। সরকারি নীতি ও সরকার অনুসৃত ব্যবস্থাদি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। পক্ষে ও বিপক্ষে সমালোচনামূলক বিভিন্ন অভিমত মুদ্রিত হয়। বহু পাঠকের মতামত সংবলিত চিঠিপত্রাদি পাঠ করে জনগণ প্রকৃত বিষয়টি জেনে একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে। এভাবে জনমত গঠনে সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শিক্ষার পরিপূরক
স্কুল-কলেজের গ্রন্থকেন্দ্রিক শিক্ষার পরিপূরক হল সংবাদপত্র। নির্দিষ্ট পাঠক্রমের মধ্যে শিক্ষার্থীর জ্ঞান পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। তার অর্জিত জ্ঞানের সঙ্গে সংবাদপত্র থেকে লব্ধজ্ঞান সংযোজিত হলে তবেই জ্ঞানের অনেকটা পরিপূর্ণতা আসে। তরুণ বয়স থেকে সংবাদপত্র পাঠের অভ্যাস গড়তে হয়। ফলে ভাষাজ্ঞান বাড়ে, চিত্তের বিকাশ ঘটে, দুঃখদুর্দশাগ্রস্ত মানুষের প্রতি মমত্ববোধ জাগে, জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়।
অপকারিতা
যে সংবাদপত্র এতগুণে গুণান্বিত, বিভ্রান্ত হলে তাই আবার চরম অনিষ্ট সাধন করতে পারে। জাতীয় জীবনে সংবাদপত্রের ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, উদ্দেশ্যমূলক, দুর্নীতিপূর্ণ, অভিসন্ধিমূলক সাংবাদিকতা জনগণকে বিভ্রান্ত করে। স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার রূপে সংবাদপত্রকে ব্যবহার করে অনেক সময় জনগণকে বিপথগামী করা হয়। কোনো কোনো সংবাদপত্র কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থনে বা চাপে পড়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। কোনো দেশপ্রেমিক বা জনদরদী নেতাকে অপদস্থ করার উদাহরণও সংবাদপত্রের প্রচুর। এতে করে জাতীয় ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরে। ধর্মান্ধতাকে উৎসাহিত করে অন্য ধর্মের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করে অনেক সময় সংবাদপত্র দেশে সাম্প্রদায়িতকতার বিষ ছড়ায়, সামাজিক সম্প্রতি নষ্ট করে। বাংলাদেশের মতো অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত দেশে এ ধরনের সাংবাদিকতা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। নির্ভীক ও দলনিরপেক্ষ পত্রিকা প্রকাশনা সর্বাপেক্ষা উত্তম।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
সংবাদপত্র জনমত প্রকাশের মাধ্যম। জনগণের মতামত সংগঠন এবং তা প্রকাশের যন্ত্র সংবাদপত্র। তাই এর পূর্ণ স্বাধীনতা না থাকলে জনমত গড়ে উঠতে পারে না। আর এ জনমত গড়ে না উঠলে সংবাদপত্র প্রকাশের অর্থই ব্যাহত হয়ে পড়ে। সংবাদপত্র গণতন্ত্রের অপরিহার্য অঙ্গ। গণতন্ত্র যদি প্রকৃতই গণতন্ত্র হয় তবে স্বাধীন জনমতের একান্ত প্রয়োজন। সুতরাং যেখানে সংবাদপত্র স্বাধীন নয়, বুঝতে হবে সেখানে রাষ্ট্রও স্বাধীন নয়। গণমানুষ সেখানে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। সংবাদপত্র সেখানে স্বৈরশাসনের তাবেদার।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানে শুধু মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাই নয়। সংবাদপত্রে সরকারি বিজ্ঞাপন বণ্টন এবং নিউজপ্রিন্ট কাগজ সরবরাহে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারকে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রস্তুত করতে হবে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, কিছু সংবাদপত্র যাদের প্রচারসংখ্যা খুবই নগণ্য এবং কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা দলের স্বার্থে সংবাদ প্রচার করছে, সে সব পত্রিকা সরকারি বিজ্ঞাপনে ঠাসা এবং চাহিদার বহুগুণ বেশি নানা সুবিধা পাচ্ছে। অথচ প্রচারসংখ্যায় অনেক গুণ বেশি এবং নির্ভীক দল নিরপেক্ষ কিছু সংবাদপত্রকে বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য সুবিধা খুব একটা পাচ্ছে না। এটাও সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় একধরনের হস্তক্ষেপ। যা সংবাদপত্রের সুষ্ঠু বিকাশে অন্তরায়। বিজ্ঞাপন বণ্টন ও সুবিধা বন্টনে গণতান্ত্রিক মনোভাব থাকা একান্ত প্রয়োজন।
জনগণের কণ্ঠস্বর সংবাদপত্রকে স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠতে না দিলে জনগণের মতামত চাপা পড়ে যায় এবং ব্যাহত হয় গণতন্ত্র। তাই সুসাহিত্যিক আবুল ফজল বলেছেন -‘জাতীয় সংবাদপত্র জাতির কণ্ঠস্বর-সে কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেওয়া মানে জাতিকে বোকা বানিয়ে দেওয়া।’
সংবাদপত্রের আদর্শ কী হওয়া উচিত
সংবাদপত্রকে হতে হবে জনসাধারণের স্বার্থরক্ষায় অতন্ত্রপ্রহরী। জনগণের স্বার্থে সে যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, ঠিক তেমনি আবার ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যেও করবে সংগ্রাম। তাকে নির্ভীক ও অকপট হতে হবে; ক্ষুদ্র স্বার্থচিন্তা বিসর্জন দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সংবাদপত্রের ন্যায়-নীতিকে আজ গ্রাস করতে উদ্যত। লক্ষ্য করবার বিষয় সংবাদপত্রের সিংহভাগ জুড়ে থাকে রাজনীতি, পারিবারিক কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গ। এটা সংবাদপত্রের আদর্শ হওয়া উচিত নয়। দেশের প্রকৃত জ্ঞানীগুণীদের চিন্তা-ভাবনার ফসল সংবাদপত্রে থাকতে হবে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সংবাদপত্রের ভূমিকা
আজ সারা পৃথিবী জুড়ে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত, সংবাদপত্র শোষিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পক্ষ সমর্থন করে। গণতন্ত্রের মর্যাদা ধূলিলুণ্ঠিত হলে সংবাদপত্রের নির্ভীক কণ্ঠ সেখানে সোচ্চার হয়ে ওঠে। তখন তার কালোকালো অক্ষরগুলো অগ্নিশিখার মতো জ্বলে ওঠে, সুবিন্যস্ত বাক্যাবলি গণতন্ত্রের শত্রুদের হৃদয় লক্ষ্য করে বুলেটের মতো ছুটে চলে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করে সে ফিরে আসে বিজয় গর্বে। ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় জনগণের, জয় হয় গণতন্ত্রের। লেখনী যে তরবারির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, তা সংবাদপত্রের মধ্যস্থতায় নতুন করে প্রমাণিত হয়। সংবাদপত্র তাই জনগণের পবিত্র গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণের সদা জাগ্রত প্রহরী। সংবাদপত্র জনগণের সংসদ।
সংবাদপত্রে সংবাদের গুরুত্ব
সাহিত্য পরিবেশনে অনেক সংবাদপত্রই আজ অগ্রণী। এই প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে যে সাহিত্য পরিবেশন নয়, সাহিত্যের খবর পরিবেশনই সংবাদপত্রের দায়িত্ব। কৃষি শিল্পের জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ নয়, কৃষি-শিল্প বিষয়ক প্রকৃত সংবাদ প্রদানই বড় কথা। পাশ্চাত্যের দেশসহ পৃথিবীর উন্নত দেশের বহু সংবাদপত্র এসব ব্যাপারে আমাদের তুলনায় অনেক অগ্রসর। অবশ্য একথা ঠিক যে; তাদের সুযোগ-সুবিধা বেশি; সংবাদপত্রের পৃষ্ঠাসংখ্যাও অনেক বেশি; তাই দায়িত্ব পালনের দিক দিয়ে বাধা-বিপত্তি তাদের অনেক কম। কিন্তু পৃষ্ঠাসংখ্যা বাড়ালেই কি আমরা দায়িত্ব সচেতন হতে পারব? সমাজের বিভিন্ন ধরনের সংবাদকে যথোপযুক্ত মর্যাদা দিয়ে প্রকাশ করতে পারব? সংবাদপত্রের বর্তমান গতি-প্রকৃতি দেখে এ ধরনের আশা পোষণ করতে মনে বাধে। মনে হয় হাতের কাছে বড় কাগজ এগিয়ে দিলেই যেমন সংবাদপত্রের নামকরা সাংবাদিক হওয়া যায় না, খবরের কাগজের পৃষ্ঠাসংখ্যা বাড়িয়ে দিলেও তেমনি সে কাগজ বড় হয় না। আসল বড়ত্বের পরিচয় গুণে। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা থাকলে স্বল্প পরিসরের মধ্যেও তা প্রতিবিম্বিত করা যায়। তাই সংবাদের গুরুত্ব অনুযায়ী যথোপযুক্ত মর্যাদা দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা উচিত।
উপসংহার
আধুনিক যুগে মানুষ সংবাদপত্রের অস্তিত্বহীনতার কথা কল্পনাও করতে পারে না। সংবাদপত্র মানুষের কর্মজীবনের গতিকে অসাধারণভাবে প্রসারিত করেছে। আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্র মানবজীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ। সংবাদপত্র কর্মমুখর, ঘটনাবহুল পৃথিবীর দর্পণস্বরূপ। একদিন সংবাদপত্র হাতে না এলে তাই নিজেকে সমাজ ও সভ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন নিরর্থক জীবনযাপনকারী এক জীব বলে মনে হয়। সংবাদপত্র আধুনিক মানুষের জীবনে এক জরুরি বিষয়। এটি ব্যতীত বিশ্ব সভ্যতা অচল। রাষ্ট্রের বিধিব্যবস্থা প্রচারক্ষেত্রে ও জাতি গঠনের কাজে এর দান অসামান্য। দল নিরপেক্ষ ন্যায় ও সত্য প্রচারে নির্ভীক সংবাদপত্র দেশ ও সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। ন্যায়-সত্য-সুন্দরকে পাথেয় করে সংবাদপত্র জনগণকে নানা বিষয়ে শিক্ষার আলোকবর্তিকা হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করে। তাই হেনরি ওয়ার্ড যথার্থই বলেছেন-সংবাদপত্র হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্কুল শিক্ষক, এই সমাপ্তি বিহীন পুস্তক প্রতিটি দেশের গৌরব।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ