১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি 'খসড়া সংবিধান প্রণয়ন' কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি ১২ অক্টোবর খসড়া সংবিধান বিল আকারে গণপরিষদে পেশ করে। ৪ নভেম্বর উক্ত সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হয়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা বলবৎ করা হয়। এ সংবিধানের মূলনীতি হচ্ছে- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ। সংবিধানে সার্বজনীন ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার, ন্যায় বিচারসহ জনগণের সকল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার স্বীকৃত হয়।
১৯৭২ সালের সংবিধান ছিল লিখিত। পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ছিল দুষ্পরিবর্তনীয়। সংবিধানে বাংলাদেশকে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতীয় সংসদ সার্বভৌম আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। এ সংবিধানে বাংলাদেশকে 'গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র' হিসেবে বলা হয়। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস- সংবিধানের এ ঘোষণা দ্বারা জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংবিধানকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ সংবিধানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়। সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ১৮ বছর বয়স্ক যে কোন নাগরিক 'এক ব্যক্তি এক ভোট' এ নীতির ভিত্তিতে সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট হবে। ১৯৭২ সালের সংবিধান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সময়ে এ পর্যন্ত ১৫ বার সংশোধন করেছে। তন্মধ্যে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পঞ্চম সংশোধনী, জেনারেল এরশাদের সপ্তম সংশোধনী এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী সুপ্রীম কোর্ট কতৃক বাতিল হয়েছে।
পাকিস্তান আমলে বাঙ্গালাদেশ ভূখণ্ডে প্রায় ৩৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। এগুলোতে কর্মরত শিক্ষকগণ সরকারের কাছ থেকে যৎসামান্য বেতন-ভাতা পেতেন। বঙ্গবন্ধু সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত এ খুদাকে প্রধান করে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে। এই কমিটি ১৯৭৪ সালে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতির রূপরেখা প্রণয়ন করে।
মুক্তিযুদ্ধের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ যখন ব্যস্ত তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মুল্যবৃদ্ধি, খাদ্য সংকট, ১৯৭৩-৭৪ সালে বন্যায় দেশে খাদ্যোৎপাদন দারুণভাবে ব্যাহত হয়। ফলে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়। দেশের অভ্যন্তরে মওজুদদার, দুর্নীতিবাজ এবং ষড়যন্ত্রকারী গোষ্টী তৎপর হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর সরকার জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন দল নিয়ে কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করে। এটিকে তিনি 'দ্বিতীয় বিপ্লব' বলে অভিহিত করেন।
বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাঙালি নিধনে তৎপর তখন জাতিসংঘ বলতে গেলে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানব অধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে 'ভেটো' ক্ষমতা সম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা ছিল সীমিত।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ