ভূমিকম্প

বাংলাদেশের বড় ভূমিকম্পের বিপর্যয় মোকাবিলার ন্যূনতম প্রস্তুতি নেই। নাজুক তৎপরতার কারণে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পেই ঢাকায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। অসহায়ভাবে মৃত্যুর শিকার হতে পারে লাখ লাখ মানুষ। আমরা একটু গুরুত্বের সাথে লক্ষ করলে দেখতে পাব যে, আমাদের দেশে যদি ৩০ থেকে ৩৫ সেকেন্ডের কোণে ভূমিকম্প হয় এবং ভূমিকম্পের যে প্রানহাণী ঘটবে তার চেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটবে উদ্ধার কাজের ব্যর্থতার জন্য। 

বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প বলয়ে অবস্থিত। বাংলাদেশে ভূমিকম্প হয়ে থাকে টেকনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে। ভূস্তরের ভূমিকম্প প্রবণ ইণ্ডিয়ান প্লেট ও মায়ানমার সাব-প্লেটের মাঝখানে বাংলাদেশ অবস্থিত। ভূতাত্তিকদের মতে আসাম থেকে শুরু করে ঢাকার পাগলা পর্যন্ত রয়েছে লিনিয়ামোট। এই লিনিয়ামোট পূর্ব পশ্চিমে আসাম ভাউকি ডেঞ্জার ফল্টের সাথে যুক্ত। এই ডেঞ্জার ফল্ট লাইনে অবস্থান করছে বাংলাদেশের সিলেট জেলা। 

ভূমিকম্পের ফলাফল

ভূমিকম্পের ফলে অসংখ্য চ্যুতি ও ফাটলের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের ফলে কখনো সমুদ্রতলের অনেক স্থান উপরে ভেসে উঠে। আবার কখনো স্থল্ভাগের অনেক স্থান সমুদ্রতলে ডুবে যায়। অনেক সময় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত বা বন্ধ হয়ে যায়। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে পর্বতগাত্র হতে বৃহৎ বরফখণ্ড হঠাৎ নিচে পতিত হয় এবং পর্বতের পাদদেশে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ভূমিকম্পের ধাক্কায় সমুদ্রের পানি তীর থেকে নিচে নেমে যায় এবং পরক্ষণেই ভীষণ গর্জন সহকারে ১৫-২০ মিটার উঁচু হয়ে ঢেউয়ের আকারে উপকূলে এসে আছড়ে পড়ে। এ ধরণের জলোচ্ছ্বাসকে সুনামি বলে। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভুকম্পনের ফলে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভারত প্রভৃতি দেশে ব্যাপক জান মালের ক্ষতি হয়। ভূমিকম্পের ফলে কখনো উচ্চভূমি সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত হয়।

্কারণ

বিজ্ঞানীদের মতে পর্বত্মালার ভিত্তিশিলার চ্যুতি বা ফাটল বরাবর আকস্মিক ভূ-আলোড়ণ হলে ভূমিকম্প হয় - এ কথা সত্য। কিন্তু বিজ্ঞানীগণ এটি ছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণের ক্থা উল্লেখ করেছেন। যামন আগ্নেয়গিরির লাভা প্রচন্ড শক্তিতে ভূ-অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে আশার সময়ও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।এছাড়া পাশাপাশি অবস্থানরত দুটী প্লেটের একটি অপরটির সীমানা বরাবর তলদেশে ঢুকে পড়ে অথবা আনুভূমিকভাবে আগেপিছে সরে যায়। এ ধরণের সংগতিপূর্ণ পরিবেশে ভূমিকম্প সংগঠিত হয়। তাছাড়া বিজ্ঞানীগণ আরো বলেন, প্লেটসমূহের সংঘর্ষের ফলে ভূত্বকে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় তা ভূমিকম্পন ঘটিয়ে থাকে।

মোদক্মুয়াল

রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজারও চট্টগ্রাম  জেলার পূর্বাংশ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্তর্গত। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার । বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাজিওডং (বিজয়), যার উচ্চতা ১,২৩১ মিটার । একটি বান্দবান জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ  হচ্ছে কিওক্রাডং যার উচ্চতা ১,২৩০ মিটার । এছাড়াও অঞ্চলের আরও দুটি উচ্চতর পাহাড় চূড়া হচ্ছে মোদকমুয়াল (১০০০ মিটার) এবং পিরামিড (৯১৫ মিটার)। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলো বেলে পাহাড় কর্দম ও  শেল পাথর দ্বারা গঠিত।

্ভারত

 জুন হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত  ভারতে বর্ষাকাল থাকে। জুন মাসের শেষে (২১জুন) সূর্য কর্কটকান্তি রেখার উপর অবস্থান করায় উত্তর ভারতের উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত  বৃদ্ধি পায় ।  দক্ষিণে ক্রমশ তাপমাত্রা  কমতে কমতে শেষপর্যন্ত ২৭ ডিগ্রি সে. এর নিচে নেমে যায়।  অতিরিক্ত তাপে উত্তর ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলে একটি প্রবল শক্তি সম্পন্ন নিম্নচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়।  এসময় দক্ষিণ গোলার্ধে বকরীয় উচ্চচাপবলয় হতে দক্ষিণ, পূর্ব আয়ন বায়ু  নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে প্রবেশ না করে পাঞ্জাবের অধিক শক্তিসম্পন্ন নিম্নচাপের টানে সরাসরি পাঞ্জাবের দিকে অগ্রসর হয়। এ বায় সমুদ্রের উত্তর দিয়ে দীর্ঘ অতিক্রম করে বলে প্রচুর জলীয় বাস্প থাকে। হিমালয় ও অন্যান্য উচ্চ পর্বত গাত্রে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় । ফলে ভারতে মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় ৭৫% বৃষ্টিপাত এ ঋতুতে হয়ে থাকে।

ভারত

 অক্টোবর - নভেম্বর দুই মাস ভারতে শরৎ  ও হেমন্তকাল । এ সময় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দিক পরিবর্তন করে উত্তর - পূর্ব মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হতে থাকে বলে ভারতের  কোনো  কোনো  স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত হয়। এসময় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উড়িষ্যা ও মেদিনীপুর উপকূলে বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমবঙ্গে এ ঝড়কে আশ্বিনা ঝড় বলে।  হেমন্তকালের শেষদিকে ভারতের সর্বত্র তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে ।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]