সাধারণ অর্থে, গণতন্ত্র হচ্ছে মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত সরকার। এর অর্থ এই নয় যে, গণতন্ত্র সংখ্যালঘুর মতামত ও স্বার্থকে উপেক্ষা করবে, বরং গণতন্ত্রে আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান । সুতরাং গণতন্ত্র বিশ শতকের একটি জনপ্রিয় ধারণা, যা বর্তমানে সরকার পরিচালনার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সাধারণ অর্থে, গণতন্ত্র হচ্ছে মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত সরকার। এর অর্থ এই নয় যে, গণতন্ত্র সংখ্যালঘুর মতামত ও স্বার্থকে উপেক্ষা করবে, বরং গণতন্ত্রে আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান । সুতরাং গণতন্ত্র বিশ শতকের একটি জনপ্রিয় ধারণা, যা বর্তমানে সরকার পরিচালনার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গণতন্ত্রের একটি মৌলিক বিষয় হলো নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসন পরিচালনার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদানের মাধ্যমেই জনগণ তার এই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর পাকিস্তানে পার্লামেন্টারি শাসন ব্যবস্থা গৃহীত হয়। বাংলাদেশ তখন পূর্ব পাকিস্তান নামে পাকিস্তানের অংশ ছিল। পাকিস্তান গণপরিষদ দেশের সংবিধান প্রণয়ন করতে ৯ বছর সময় লাগে। এ সময় পার্লামেন্টারি শাসনের নামে বস্তুত গভর্নর জেনারেল এবং আমলারাই দেশ শাসন করত। প্রধানমন্ত্রী অথবা আইনসভার মতামতের তোয়াক্কা না করে গভর্নর জেনারেল নিজের পছন্দ অনুযায়ী মন্ত্রিসভা গঠন করতেন। সংবিধান প্রণয়নের আড়াই বছরের মাথায় জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি করেন।এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান ঘটে।
বস্তুত পরবর্তীতে রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি সোচ্চার হয়েছে। অবিভক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রে প্রথম জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে এবং সেটিই ছিল শেষ নির্বাচন। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর আক্রমণে ঝাপিয়ে পড়ে। এর চূড়ান্ত পরিণতি পাকিস্তানের ভাঙণ। ১৯৭১ সালে ৯ মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে তিনটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে। এগুলো হলোঃ আওয়ামী লীগ, বি.এন.পি ও জাতীয় পার্টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সময় কেটেছে সেনা শাসনের অধীনে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রথম সরকার গঠন করে।পাকিস্তানি অপশাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে বাঙালিরা তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই গণতন্ত্র লাভ করেছিল। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের পুনর্গঠন, অবকাঠামো নির্মাণ দেশের বিভিন্ন শিল্পের পুনরুজ্জীবিতকরণ এবং জাতীয়করণ,প্রসাশনিক ব্যবস্থার উন্নয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে আওয়ামী লীগ সরকার।গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যেমনঃ পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন, স্বাধীনতার ১০ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য একটি গনতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংবিধান প্রনয়ন (নভেম্বর, ১৯৭২), নতুন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্য ১৪০ টি দেশের স্বীকৃতি লাভ, জাতিসংঘ এবং ওআইসি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনের সদস্যপদ প্রাপ্তি এবং নতুন সংবিধান অনুসারে ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ