বাংলাদেশে প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

দেশে উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান রয়েছে। দেশে বেসরকারি খাত ক্রমশঃ সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে উদ্যোক্তা বা উৎপাদনকারী যে কোনো দ্রব্য যে কোনো পরিমাণে উৎপাদন করতে পারে। এই উৎপাদন কার্য অবশ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়।

উৎপাদনের উপাদান

ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন- উৎপাদনের এই চারটি উপাদানের আয় যথাক্রমে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা। এক বছরে কোনো দেশের জাতীয় আয় ঐ বছরে উৎপাদনের উপাদানসমূহের অর্জিত মোট  খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফার সমষ্টির সমান।

বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বণ্টন পরিস্থিতি

বাংলাদেশে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক  ব্যবস্থার প্রায় সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো বাংলাদেশেও শ্রমিকদের মজুরির নিম্নহার এবং উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্ছার লক্ষণীয়। সুদ এবং খাজনা উচ্চহারে পরিশোধ করা হয়। সরকারি খাতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকায় শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি তুলনামূলকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। তবে অর্থনীতির খাতসমূহের অধিকাংশই বেসরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকায় বাংলাদেশে আয় বৈষম্য বেশ প্রকট। ফলে শ্রমিক শ্রেণির জীবনযাত্রার নিম্নমান দীর্ঘসময় ধরেই বিরাজ করছে।

বাংলাদেশে প্রচলিত অর্থনীতি

বেসরকারি খাত ও ব্যক্তি উদ্যোগ সম্প্রসারণের ধারা নব্বই এর দশক পেরিয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত চালু আছে। এই ধারায় স্বাধীনতার অব্যাহতি পরে রাষ্ট্রীয়করণকৃত কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান বিরাষ্ট্রীয়করন করা শুরু হয়। বর্তমান বিশ্বে বিরাজমান অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সমতালে চলার লক্ষ্যে মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যেশ্যে অর্থনীতিকে পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে অর্থনীতির কিছু খাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালনা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জাতীয় সম্পদের ধারণা

আমরা সাধারণত অর্থ, জমিজমা, বাড়িঘর, নানারকম প্রয়োজনীয় ও স্থায়িত্বসম্পন্ন দ্রব্যসামগ্রী, স্বর্ণ-রৌপ্য এগুলোকে সম্পদ বলে থাকি। প্রকৃত অর্থে কোনো বস্তু বা দ্রব্যকে সম্পদ বলতে হলে সে বস্তুর উপযোগ,অপ্রাচুর্য,বাহ্যিকতা এবং হস্তান্তরযোগ্যতা থাকতে হবে। উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতা। অপ্রাচুর্য বলতে বোঝায় চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধতা। বাহ্যিকতা বলতে বোঝায় বস্তুটির দৃশ্যমানত্য হস্তান্তরযোগ্যতা হচ্ছে একজনের নিকট হতে বস্তুটি আরেকজনের পাওয়ার সম্ভাব্যতা। তবে এই পাওয়ার জন্য মূল্য বা দাম দিতে হবে।

জাতীয় সম্পদের সংরক্ষণ ও অপচয়রোধ

সংরক্ষণের অর্থ বিশেষভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান। আমরা জানি, একটি দেশের সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমষ্টিগত সম্পদ একত্রে জাতীয় সম্পদ। সমষ্টিগত সম্পদের মধ্যে সকল জনগণ সম্মিলিতভাবে যেসব সম্পদের মালিক সেগুলো এবং রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক ও উৎপাদিত সম্পদ অন্তর্ভুক্ত। তাই জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণ বলতে ব্যক্তিগত সম্পদ ও সমষ্টিগত সম্পদ উভয়েরই সংরক্ষণ বোঝায়।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]