সমাজের মোট ব্যয় হিসাবে মোট জাতীয় উৎপাদন

সমাজের মোট ব্যয়ের ভিত্তিতেও মোট জাতীয় উৎপাদন নির্ণয় করা যায়। এই পদ্ধতি অনুসারে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে দেশের সমস্ত ধরনের ব্যয় যোগ করলে মোট জাতীয় উৎপাদনের আর্থিক মূল্য পাওয়া যায়। কোনো দেশের মোট আয় দু'ভাবে ব্যয়িত হয়- (i)ভোগদ্রব্য ও সেবা কেনার জন্য এবং (ii) বিনিয়োগ করার জন্য। ব্যয়কারীদের প্রধানত তিন শ্রেনিতে বিন্যাস করা যায়ঃ দেশের সরকার, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জনগণ। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং বেসরকারি ভোগ ব্যয় ও বিনিয়োগের ব্যয়ের সমষ্টি ঐ সময়ে ঐ দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন।

মাথাপিছু আয়

মাথাপিছু আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়। মাথাপিছু আয় দুইটি পৃথক মান দ্বারা নির্ধারিত হয়ঃ (১) মোট জাতীয় আয় এবং (২) মোট জনসংখ্যা। 

কয়েকটি দেশের জিএনপি, জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ের তুলনা

আমরা জানি, যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক সে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয়। তবে একটি দেশ উন্নত, অনুন্নত নাকি উন্নয়নশীল, তা নির্ধারনের জন্য মাথাপিছু জাতীয় আয় বা মাথাপিছু আয় ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন, অর্থনীতির প্রকৃতি অর্থাৎ অর্থনীতি কৃষি প্রধান না কি শিল্পায়ন ঘটেছে, স্বাক্ষরতা, শিক্ষার হার, জনগণের স্বাস্থ্য সেবার প্রাপ্যতা, অর্থনৈতিক অবকাঠামোর ঊর্ধ্বমূখী উন্নয়ন ঘটেছে কিনা অর্থাৎ পরিবহন, যোগাযোগ সুবিধা এবং মূলধন গঠন ও বিনিয়োগের হার ঊর্ধমুখী কিনা এসবও বিবেচ্য বিষয়। 

তবে বিশ্বব্যাংক মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর দেশগুলোকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছে। এগুলো হচ্ছেঃ উচ্চ আয়ের দেশ, মধ্য আয়ের দেশ এবং নিম্ন আয়ের দেশ। মধ্য আয়ের দেশগুলোকে আবার দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ এবং নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন

কোনো দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধির সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মাথাপিছু প্রকৃত আয়ের বৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলে। এই অব্যাহত প্রকৃত আয় তখনই সম্ভব যখন কোনো দেশের অর্থনীতির কাঠামোগত এবং প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে। অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর পরিবর্তন এবং উৎপাদন ও বন্টন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন। আবার প্রকৃতিগত পরিবর্তন বলতে কৃষিপ্রধান অবস্থা থেকে শিল্পপ্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হওয়াকে বোঝায়। এর ফলে দেশ গ্রামীণ অর্থনীতি থেকে শহরভিত্তিক অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়। জনগণের আয় বৃদ্ধি পায়। সঞ্চয় ও মূলধন গঠনের হার এবং বিনিয়োগও বৃদ্ধি পায়। ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়, বেকারত্ব হ্রাস পায় এবং উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পায়। জীবনযাত্রার মানে ক্রমাগত উন্নতি হতে থাকে। এই সার্বিক উন্নত অবস্থাকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলে।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]