সামাজিক পরিবর্তন বলতে সমাজ কাঠামো ও এর কার্যাবলিত পরিবর্তনকে বোঝায়। প্রতিটি সমাজের মৌল কাঠামো গড়ে উঠে সে সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থা এবং উক্ত ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন পেশার মানুষের সম্পর্কের মাধ্যমে আবার এই কাঠামোর সাথে গড়ে উঠে কতোগুলো উপরি কাঠামো। যেমন, আইন-কানুন,রাজনীতি, সংস্কৃতি প্রভৃতি। সুতরাং সমাজের মৌল ও উপরি কাঠামোর পরিবর্তনই সামাজিক পরিবর্তন।
সামাজিক পরিবর্তন বলতে সমাজ কাঠামো ও এর কার্যাবলিত পরিবর্তনকে বোঝায়। প্রতিটি সমাজের মৌল কাঠামো গড়ে উঠে সে সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থা এবং উক্ত ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন পেশার মানুষের সম্পর্কের মাধ্যমে আবার এই কাঠামোর সাথে গড়ে উঠে কতোগুলো উপরি কাঠামো। যেমন, আইন-কানুন,রাজনীতি, সংস্কৃতি প্রভৃতি। সুতরাং সমাজের মৌল ও উপরি কাঠামোর পরিবর্তনই সামাজিক পরিবর্তন।
বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তন দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, ধর্ম অ সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রতিভাত হয়। সমাজের এ ক্ষেত্রসমূহে পরিবর্তনের মূলে রয়েছে সুনির্দিষ্ট কতকগুলো উপাদান। উপাদানগুলো হলঃ প্রাকৃতিক উপাদান,জৈবিক উপাদান, সাংস্কৃতিক উপাদান, শিক্ষা, প্রযুক্তি, যোগাযোগ, শিল্পায়ন ও নগরায়ণ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ শিল্পের ক্রমোন্নতি নারীর সামাজিক জীবন ও মর্যাদার ক্ষেত্রকে প্রভূত পরিবর্তন সাধন করেছে। শিল্পের প্রসার নারীকে গৃহের সীমিত পরিবেশ থেকে বাইরের কর্মমুখর জগতে টেনে এনেছে। তাছাড়া নারী সমাজের চাকরি, বাড়তি অর্থোপার্জনের সুযোগ সম্প্রসারিত করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে নারী আগের চেয়ে অনেক অগ্রসর হয়েছে।
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতিগত অবস্থান সামাজিক পরিবর্তনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।ধীর এবং আকস্মিক ভৌগোলিক পরিবর্তন, জলবায়ু সংক্রান্ত পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রভৃতি বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার উপর প্রভাব ফেলে এবং সমাজের ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে। মানুষ এসব সমস্যা মোকাবিলায় নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করে সমাজের পরিবর্তন সাধন করে।
জৈবিক উপাদান বৃদ্ধি বা হ্রাস, স্থানান্তর অথবা ঘনত্বের পরিবর্তন সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বেকারত্ব, শিশুশ্রম ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিযোগিতার মতো নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক পরিবর্তনের একটি উপাদান হল সংস্কৃতি। সমাজের দিকে তাকালেই দেখা যাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, মানুষের মূল্যবোধের পার্থক্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শের ভিন্নতা প্রভৃতি। এরই ফলে সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন সংস্কৃতি লালিত প্রতিষ্ঠান, যা সমাজের মধ্যে নানা রকমের পরিবর্তন সৃষ্টি করে।
শিক্ষা হলো এক ধরনের সংস্কার সাধন ও বিরামহীন প্রক্রিয়া। সমাজে সদস্যদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার আত্মবিশ্বাস ও বিচার বিবেচনার ক্ষমতা জাগ্রত করে। শিক্ষার যাবতীয় অন্ধত্ব, অজ্ঞতা, কুসংস্কার প্রভৃতি থেকে মুক্তি দেয়।
যে দেশের যোগাযোগ মাধ্যম যত উন্নত সে দেশের অর্থনীতিও তত উন্নত। যোগাযোগ সামাজিক পরিবর্তনের একটি অন্যতম উপাদান। জল,স্থল ও আকাশপথে যোগাযোগ, টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ই-মেইল, ডিস এন্টেনা, মোবাইল ফোন, রেডিও, টেলিভিশন, বিভিন্ন ধরণের পত্র-পত্রিকা প্রভৃতি সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
শিল্পায়ন অর্থনৈতিক জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটায়।শিল্প এলাকায় মানুষের কর্মক্ষেত্র তৈরী হয়। ফলে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়। নগরায়ণের মাধ্যমে মানুষের কর্মের ক্ষেত্র তৈরী, আর্থিক সচ্ছলতা আনয়ন,বেকারত্ব দূর করা যায়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ