মাইক্রোসফট
মাইক্রোসফট
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এটি বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইসের জন্য সফটওয়্যার তৈরি, লাইসেন্স দেওয়া এবং পৃষ্টপোষকতা করে থাকে।এটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের রেডমন্ড শহরে অবস্থিত। এদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলো হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং মাইক্রোসফট অফিস। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও সহ প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালান ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত করেন।বর্তমানে মাইক্রোসফটের সিইও হলেন সত্য নাদেলা ।
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ মাইক্রোসফট কর্পোরেশন দ্বারা তৈরি এবং বিক্রিত গ্রাফিকাল অপারেটিং সিস্টেমের পরিবার।
গ্রাফিকাল অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রেক্ষিতে ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে মাইক্রোসফট তার ডস (ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম) এর বাড়তি সুবিধা হিসেবে উইন্ডোজ বাজারে আনে। এর পর এখন পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।মাইক্রোসফটের সর্বশেষ উইন্ডোজ প্রোগ্রামটি হল উইন্ডোজ ১০।
কয়েকটি বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ
- MS DOS-এটি প্রথম বাজারে আসে ১৬ বিট বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে । পরে এর ৩২ বিট সংস্করণও বের হয় ।এটি ছিল সিঙ্গেল টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম।
- Windows 95-এটি বাজারে আসে ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে এবং এর অব্জেক্ট ওরিয়েন্টেড গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস(GUI) এর জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে যা DOS-এ ছিল না।এটি একটি মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম। ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট এটি মুক্তি পায়। মাইক্রোসফটের আগের অপারেটিং সিস্টেম থেকে ইউন্ডোজ ৯৫ অনেক ব্যতিক্রমী ছিল এবং মুক্তির পর এটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। অপারেটিং সিস্টেমটি নির্মানের সময় এর নাম দেয়া হয়েছিল উইন্ডোজ ৪.০ বা "শিকাগো"। উইন্ডোজ ৯৫ মূলত মাইক্রোসফটের আগের এমএস-ডস এবং উইন্ডোজকে একীভূত করা হয় এবং ডসের উন্নত সংস্করন হিসাবে নির্মান করা হয় যার নাম রাখা হয়েছিল এমএস ডস ৭.০।
- Windows 98-এটি মাইক্রোসফটের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) সম্বলিত অপারেটিং সিস্টেম। এটি বাজারে ছাড়া হয় ১৫ মে, ১৯৯৮ সালে। উইন্ডোজ ৯৫ এর পরবর্তী সংস্করণ উইন্ডোজ ৯৮। এটি ১৬ বিট ও ৩২ বিটের হাইব্রিড সংস্করণ,এমএস-ডস ভিত্তিক চালু হওয়া সিস্টেম।
- windows xp-এটি মাইক্রোসফটের গ্রাফিক্যাল ব্যবহার বান্ধব ইউজার ইন্টারফেস সম্বলিত মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম অ। এটি বাজারে ছাড়া হয় 2৫ অক্টোবর , ২০০১ সালে। উইন্ডোজ ৯৮ এর পরবর্তী সংস্করণ উইন্ডোজ এক্সপি। এটি ৩২ বিট ও ৬৪ বিটের হাইব্রিড সংস্করণ,এমএস-ডস ভিত্তিক চালু হওয়া সিস্টেম।
- windows Vista-উইন্ডোজ ভিস্তা পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য মাইক্রোসফটের নির্মিত গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম। ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি এবং মিডিয়া সেন্টার কম্পিউটারে ভিস্তা ব্যবহার করা যায়।এটি বাজারে ছাড়া হয় ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি। এক্সপির উইন্ডোজ এর পরবর্তী সংস্করণ উইন্ডোজ ভিস্তা । এটি ৩২ বিট ও ৬৪ বিটের হাইব্রিড সংস্করণ,এমএস-ডস ভিত্তিক চালু হওয়া সিস্টেম।
- windows 7- উইন্ডোজ ৭ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের একটি অন্যতম সংস্করণ। এর ৩২ বিট ও ৬৪ বিট, দুই রকমের সংস্করণই রয়েছে। অক্টোবর ২২, ২০০৯ এটি সারাবিশ্বে প্রকাশিত হয় । শুরুতে মাইক্রোসফট এর কোড নাম দিয়েছিল ভিয়েনা যাকে ব্ল্যাকবম্ব বলেও অবহিত করা হয়। উইন্ডোজ সেভেনকে উইন্ডোজ ভিস্তার আপডেট সংস্করণ হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
- windows 8 & 8.1-উইন্ডোজ ৮ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর পরবর্তী সংস্করণ, যা উইন্ডোজ ৭ কে অনুসরণ করে। এই সংস্করণে পূর্ববর্তী সংস্করণ গুলো থেকে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে । বিষেশত এটাতে পূর্বের ইন্টেল ও এএমডি এর x৮৬ মাইক্রো প্রসেসর সাপোর্ট ছাড়াও এআরএম মাইক্রো প্রসেসর সাপোর্ট যোগ করা হয়েছে। এতে টাচ স্ক্রিন ইনপুট এর জন্য ডিজাইনকৃত নতুন একটি ষ্টার্ট স্ক্রিন যোগ করা হয়েছে।উইন্ডোজ ৮.১ হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উইন্ডোজ ৮ এর পরবর্তী সংস্করণ, যা উইন্ডোজ ৭ ও ৮ কে অনুসরণ করে। এটি ২০১৩ সালে রিলিজ হয়। এটির বৈশিষ্ট হচ্ছে উইন্ডোজ ৮ এর সাথে উইন্ডোজ ৭ এর স্টার মেনু সংযোজন।
- windows 10-এটি হচ্ছে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ। এটি উন্মোচিত হয় ২০১৪ সালের ১৪-ই সেপ্টেম্বর এবং ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই এটি মুক্তি পায়।
উইন্ডোজ ১০-এর কথা প্রথম আভাস দেয়া হয় সফটওয়্যার ও ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য ২০১৪ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত মাইক্রোসফটের বার্ষিক বিল্ড সম্মেলনে। উইন্ডোজ ১০ এর লক্ষ্য মূলত ব্যবহারকারীর নিজস্ব পছন্দনীয় শর্টকামিংগুলি সঠিক ব্যবস্থা করা, যা প্রথম উইন্ডোজ ৮-এর মাধ্যমে পরিচয় করানো হয়েছিলো। এটির সাথে অতিরিক্ত মেশিন যোগ করার মাধ্যমে ডেস্কটপ কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মত টাচস্ক্রিন নয় এমন ডিভাইসে ব্যাবহারকারী অভিজ্ঞতা উন্নয়ন করা হয়েছে। এতে আরও রয়েছে উইন্ডোজ স্টোরের অ্যাপ রান করার ক্ষমতা।
ডেভেলপারদের জন্য মাইক্রোসফ্ট ভিজুয়াল স্টুডিও এবং মাইক্রোসফ্ট এসকিউএল সার্ভার বেশ জনপ্রিয়। এদের প্রত্যেকটি সফটওয়ারই ডেস্কটপ কম্পিউটার বাজারে প্রায় সর্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। এছাড়াও মাইক্রোসফট এমএসএনবিসি কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, এমএসএন ইন্টারনেট পোর্টাল, মাইক্রোসফট এনকার্টা মালটিমিডিয়া বিশ্বকোষের মালিক। মাইক্রোসফট কম্পিউটার হার্ডওয়ার যেমন মাইক্রোসফট মাউস এবং হোম এন্টারটেইনমেন্ট যেমন এক্সবক্স, এক্সবক্স ৩৬০ এবং মাইক্রোসফট মিডিয়ারুম সেট-টপ বক্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
মাইক্রোসফট-এর জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ্লিকেশন -
- MS Word - এটি একটি Word Processing সফটওয়্যার।
- MS-Access - এটি একটি ডাটাবেস প্যাকেজ ।
- MS-power point- এটি মাইক্রোসফট এর তৈরি একটি স্লাইডশো ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার।
- MS-Excel - এটি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ।এটি কম্পিউটারে হিসাব নিকাশ করার জন্য উপযোগী সফটওয়্যার ।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ
Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email:
[email protected]