শুরু থেকে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মোবাইল প্রযুক্তিকে চারটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়। যথাঃ
ক. প্রথম প্রজন্মঃ
১৯৮৩ সালে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয়। এই প্রজন্মে মূলত অ্যানালগ মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হতো। প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে-
১. রেডিও সিগন্যাল হিসেবে অ্যানালগ সিস্টেম ব্যবহৃত হয়।
২. সেমিকন্ডাক্টর এবং মাইক্রোপ্রসেসর প্রযুক্তির ব্যবহার।
৩. সেল সিগন্যাল এনকোডিং পদ্ধতি হলো FDMA.
৪. মোবাইল টেলিফোনি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে মোবাইল রেডিও টেলিফোন এর ব্যবহার।
৫. একই এলাকায় অন্য মোবাইল ট্রান্সমিটারের দ্বারা সৃষ্ট রেডিও ইন্টারফারেন্স নেই।
উদাহরণঃ Advance Mobile Phone System (AMPS), Nordic Mobile Telephone (NMT), Total Access Communication System (TACS) ইত্যাদি।
খ. দ্বিতীয় প্রজন্মঃ
দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে ইউরোপে জিএসএম প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে। দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে-
১. ওয়্যারলেস প্রযুক্তির ব্যবহার।
২. ভয়েসকে নয়েজ মুক্ত করা হয়।
৩. রেডিও সিগন্যাল হিসেবে ডিজিটাল সিস্টেমের প্রবর্তন
৪. টেক্সট মেসেজের প্রচলন শুরু হয়।
৫. সেল সিগন্যাল এনকোডিং পদ্ধতি হলো FDMA, TDMA এবং CDMA
৬. সর্বপ্রথম প্রিপেইড পদ্ধতি চালু হয়।
৭. মোবাইল ডেটা পরিচালনার জন্য কোর সুইচ নেটওয়ার্ক পদ্ধতির ব্যবহার।
উদাহরণঃ Code Division Multiple Access (CDMA), Time Division Multiple Access (TDMA), Frequency Division Multiple Access (FDMA), Global System for Mobil Communication (GSM) ইত্যাদি।
গ. তৃতীয় প্রজন্মঃ
তৃতীয় প্রজন্মের যাত্রা শুরু হয় ২০০১ সালে W-CDMA প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে। তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে-
১. আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা চালু হয়।
২. GSM, UMTS, CDMA 2000, EDGE প্রযুক্তির সমন্বয় ও সফল ব্যবহার
৩. উচ্চ স্পেকট্রাম দক্ষতা।
৪. ভিডিও কলের সুবিধা।
৫. ডেটা ট্রান্সমিশনে প্যাকেট সুইচিং প্রযুক্তির ব্যবহার।
৬. ইউএসবি মডেম সংযোগের সুবিধা।
৭. ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুবিধা।
৮. সিগন্যাল চারদিকে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ার ব্যবস্থা।
ঘ. চতুর্থ প্রজন্মঃ
সর্বাধুনিক মোবাইল ফোন প্রযুক্তি হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্ম প্রযুক্তি। এই ২০০৯ সালে চালু হয়। এর বৈশিষ্ট্য –
১. 4G এর গতি 3G এর চেয়ে ৫০ গুণ বেশী।
২. প্রায় ১০০ Mbps গতিতে ডেটা ট্রান্সফার।
৩. ত্রিমাত্রিক ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা।
৪. টেলিভিশনে অপেক্ষাকৃত উন্নত মানের ছবি এবং ভিডিও লিঙ্ক প্রদান করবে।
৫. উন্নত মানের এন্টেনা সিস্টেমের ব্যবহার।
৬. সেলুলার ওয়্যারলেস স্ট্যান্ডার্ডের ব্যবহার।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ