আন্তর্জাল বা ইন্টারনেট হল সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্যাটা আদান-প্রদান করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অনেকে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে সমার্থক শব্দ হিসেবে গণ্য করলেও প্রকৃতপক্ষে শব্দদ্বয় ভিন্ন বিষয় নির্দেশ করে। ইন্টারনেটের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার পরিকাঠামো কম্পিউটারসমূহের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। বিপরীতে, ওয়েব ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত পরিসেবাগুলির একটি। এটা পরস্পরসংযুক্ত কাগজপত্র এবং অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহের, হাইপারলিংক এবং URL-দ্বারা সংযুক্ত।
ইন্টারনেট হচ্ছে International Network এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে-অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে।
১৯৬৯ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট্স এজেন্সি বা আরপা (ARPA) পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা এই নেটওয়ার্ক আরপানেট (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল। ইন্টারনেট ১৯৮৯ সালে আইএসপি দ্বারা সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষ দেশ চীন, দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র এবং তৃতীয় ভারত।
>
যে পদ্ধতির মাধ্যমে কমিউনিকেশন সিস্টেমে কম্পিউটার এবং বিভিন্ন ডিভাইস বা ডেটা ট্রান্সমিট পদ্ধতি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে প্রোটোকল বলে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরণের প্রোটোকল তৈরি করেছে। যেমনঃ FTP (File Transferr Protocol), NETBUEI, AppleTalk,TCP/IP ইত্যাদি। এদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহৃত প্রোটোকল হচ্ছে TCP/IP (Transmission Control Protocol / Internet Protocol).
১. কম্পিউটার
ইন্টারনেট সংযুক্তির জন্য ন্যূনতম ৮০৩০৬ প্রসেসরযুক্ত কোন কম্পিউটার, ৪ মেগাবাইট র্যাম এবং অপারেটিং সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার প্রয়োজন।
২. মডেম
মডেম (মড্যুলেটর-ডিমডুলেটর) হল একটি যন্ত্র যা একটি প্রেরিত এনালগ সংকেতকে ডিজিটাল তথ্যে রূপান্তর করে এবং ডিজিটাল তথ্যকে পাঠানোর সময় এনকোড করে এনালগ সংকেত হিসেবে প্রেরণ করে। এর উদ্দেশ্য হল সহজে সংকেত পাঠানো এবং তা আবার একই রকমভাবে অন্য প্রান্তে পাওয়া। ট্রান্সমিশন বা প্ররণের অর্থে যেকোন কাজে মডেম ব্যবহার করা যায় রেডিও থেকে ডাইওড পর্যন্ত।
সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হল ভয়েসব্যান্ড মডেম যেটা পারসোনাল কম্পিউটারের ডিজিটাল ডেটাকে ইলেট্রিকাল সিগনালে পরিনত করে টেলিফোনের ভয়েস ফ্রিকোয়েন্সি রেন্জ চ্যানেলে পাঠায়, অন্য প্রান্তে আরেকটি মডেম দ্বারা ডিজিটালে পরিনত হয়। মডেমগুলো সাধারণত ভাগ করা হয় কত পরিমান ডেটা তারা পাঠাতে পারে একক সময়ে তার উপর। সাধারণত মাপা হয় সেকেন্ড প্রতি বিট(bps) হিসেবে। এগুলো এক একক সেকেন্ডে কত পরিমান সংকেত পাঠাতে পারে তার ভিত্তিতে ভাগ করা যায়।
৩. টেলিফোন বা মোবাইল বা অন্য কোন নেটওয়ার্ক
৪. আইএসপি (ISP)
এটি হল Internet Service Provider বা ইন্টারনেট সেবাদানকারী কোন সংস্থা। সাধারণ গ্রাহককে ইন্টারনেট সংযোগ এবং এ সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান করাই এর কাজ।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ