ক্লাউড কম্পিউটিং

ক্লাউড কম্পিউটিং

ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিসেবা। এখানে “ক্লাউড” বলতে দূরবর্তী কোন শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে বোঝানো হয়। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের মাধ্যমে “ক্লাউড” প্রদত্ত সেবাসমূহ ভোগ করা যায়।

“ক্লাউড কম্পিউটিং” কম্পিউটিং শক্তি, অনলাইন পরিসেবা, ডেটা এক্সেস, ডেটা স্পেস প্রদান করে। ক্লাউড কম্পিউটিং আজকের দিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, অনলাইন ব্যাকআপ সার্ভিস, সামাজিক যোগাযোগ সার্ভিস এবং পার্সোনাল ডেটা সার্ভিস। ক্লাউড কম্পিউটিং এর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ অপরিহার্য। তবে কখনো কোন কারণে ক্লাউড বা সার্ভারে সমস্যা হলে কাজের ক্ষতি হয়।

ক্লাউড লোকেশনের ভিত্তিতে ক্লাউড কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ

১. পাবলিক ক্লাউডঃ ক্লাউড সেবা প্রতিষ্ঠানকে যে কোন জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে পারলে তা হবে পাবলিক ক্লাউড। মোবাইল সেবা প্রতিষ্ঠান (mail.yahoo.com, mail.google.com ইত্যাদি) পাবলিক ক্লাউডের উদাহরণ।

২. প্রাইভেট ক্লাউডঃ ক্লাউড সেবা যদি কেবল কোন গ্রুপ অথবা প্রতিষ্ঠানের জন্য হয়ে থাকে তবে তা প্রাইভেট ক্লাউড। এতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়। প্রাইভেট ক্লাউড আবার দুই ধরণের হতে পারে। একটি হচ্ছে একান্তভাবে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত। অন্যটি হচ্ছে গ্রুপভিত্তিক। নির্দিষ্ট গ্রুপ ছাড়া অন্য কেউ সেখানে ঢুকতে পারবে না।

৩. কমুনিটি ক্লাউডঃ কোন কমুনিটির অন্তর্গত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাদের একই ধরণের ক্লাউড সুবিধা প্রয়োজন, যদি একটি নির্দিষ্ট ক্লাউড ব্যবহার করে থাকে তবে তাকে কমুনিটি ক্লাউড বলে। যেমনঃ সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত কোন সুবিধা যদি ক্লাউডের অধীনে নেওয়া হয় তবে দেশের সকল নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান সেই ক্লাউডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে উক্ত সুবিধা পেতে পারে।

৪. হাইব্রিড ক্লাউডঃ যে ক্লাউডে পাবলিক, প্রাইভেট এবং কমুনিটি ক্লাউডের মধ্যে যে কোন দুটি বা তিনটির সংমিশ্রণ থাকে তাকে হাইব্রিড ক্লাউড বলা হয়।

কাজঃ বিভিন্ন প্রকার টপোলজির মধ্যে তুলনামূলক একটি চার্ট তৈরি করা।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধাঃ

১. ক্লাউড কম্পিউটিং পদ্ধতি সম্ভবত সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে কম্পিউটার দ্বারা প্রক্রিয়াকরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি। প্রচলিত সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য পৃথক পৃথকভাবে লাইসেন্স কপি ক্রয় করতে হয়। এক্ষেত্রে তা প্রয়োজন পড়ে না।

২. ক্লাউড কম্পিউটিং পদ্ধতিতে স্মৃতির ধারণক্ষমতা অনেকটা অসীম। এই পদ্ধতির ব্যবহারকারীকে স্মৃতির ধারণক্ষমতা নিয়ে ভাবতে হয়না।

৩. যেহেতু সকল ডেটা সার্ভারে জমা হয় এবং সার্ভার হতে উত্তোলন হয় তাই ডেটার রিস্টোর নিয়ে চিন্তা করতে হয়না।

৪. ক্লাউড কম্পিউটিং পদ্ধতিতে সফটওয়্যার সমন্বয় করা যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনে সবচেয়ে ভালো অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে পারে।

৫. এই পদ্ধতিতে ক্লাউড কম্পিউটিং এ রেজিস্টার করার পর, ব্যবহারকারী যে কোন স্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য অ্যাকসেস করতে পারে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধাঃ

১. ডেটা, তথ্য, প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশনের উপরে কারো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। একবার ক্লাউডে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়ার পর তা কোথায় সংরক্ষণ হচ্ছে বা কিভাবে প্রসেস হচ্ছে তা ব্যবহারকারীদের জানার উপায় থাকে না।

২. ক্লাউডে তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে এবং তথ্য পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

 

 

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]