বাংলাদেশে বিসিএস ভাইভা VIVA বোর্ড প্রতিযোগীর কাছ থেকে যা চায়


প্রাথমিক নির্দেশিকা
মৌখিক পরীক্ষা হল স্বশরীরে পরীক্ষকদের সামনে নিজের যোগ্যতা উপস্থাপন। ইংরেজিতে একে Oral test বা Viva বলা হয়। এর পূর্ণরূপ হল Viva Voce । লিখিত পরীক্ষায় একজন ছাত্রের পঠিত বিষয়সমূহের সীমা সম্বন্ধে জানা যায়। একজন ছাত্র যদি খুব বেশি লেখাপড়া করে তবে লিখিত পরীক্ষায় সে খুব ভাল করতে পারে। কিন্তু সে শারীরিকভাবে বা মানসিকভাবে যোগ্য নাও হতে পারে। একজন ছাত্রের রুচি, বুদ্ধি, চালচলন, আচার-আচরণ ইত্যাদি প্রকাশ পায় তার মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে। আবার কোন ছাত্র শারীরিকভাবে বা আচরণে যদিও যোগ্য হয় তবে সে মানসিকভাবে যোগ্য নাও হতে পারে। এইজন্য বলা হয়, মানসিক বুদ্ধিমত্তাই মৌখিক পরীক্ষার প্রথম শর্ত । লিখিত পরীক্ষায় একজন ছাত্রের জানার গভীরতা জানা যায় না, তা জানা যায় মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে।
বাংলাদেশে বিসিএস পরীক্ষা একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরীক্ষা এবং এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ২৭তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষায় ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল । আবার ৩০তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করা হয়েছে। এতে করে ভাইভার গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। কেউ যদি লিখিত পরীক্ষায় মোটামুটি ভাল করে থাকে, সে যদি মৌখিক পরীক্ষায় ভাল করে তবে তার বিসিএস-এ সাফল্য লাভের সুযোগ থাকে। অন্যদিকে যদি কেউ লিখিত পরীক্ষায় ভাল করে এবং মৌখিক পরীক্ষায় খারাপ করে তবে তার বিসিএস-এ সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এজন্য মৌখিক পরীক্ষার গুরুত্ব অনেক। নিম্নে মৌখিক পরীক্ষার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হল ।
VIVA বোর্ড প্রতিযোগীর কাছ থেকে যা চায়
BCS VIVA বোর্ড সবসময় এমন প্রতিযোগীদের চাকরির জন্য বেছে নেন যারা সবদিক থেকে Fit, সব কিছু সম্পর্কে কিছু কিছু জানা প্রতিযোগীদের তারা Prefer করেন।
বোর্ড প্রথমেই কাউকে বিব্রত করতে চায় না । এজন্যই প্রথমে প্রতিযোগীদের নাম, ঠিকানা, পিতা মাতার নাম, পেশা জিজ্ঞাসা করে সহজ করে নেন। একজন প্রতিযোগী Easy হওয়ার পরই বোর্ড ধীরে ধীরে প্রশ্নের গভীরে প্রবেশ করেন। মোটকথা, একজন VIVA পরীক্ষার্থী বোর্ডের সামনে সব কিছু সম্পর্কে নিঃসংকোচে Total Presentation করুক এটাই তাঁরা চান । এর ফাঁকে তাঁরা পরীক্ষার্থীর quality, মেধা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেন ।
বোর্ড দেখে চাকরিপ্রার্থীর স্বদেশ সচেতনতা আছে কিনা বা দেশে বিরাজমান সমস্যা ও তার সমাধান সম্পর্কে কতটুকু স্বচ্ছ ধারণা রাখে। একজন Administrator হিসেবে তার সামনে আসা দেশের নানা সমস্যা সমাধানে সে কতটুকু পারঙ্গমতা দেখানোর যোগ্যতা রাখে তাও যাচাই করেন বোর্ড সদস্যরা।
প্রার্থীর প্রতিযোগিতার মানসিকতা বা জটিল পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক থাকার মানসিকতা আছে কিনা, তাও প্রশ্নের মাধ্যমে বোর্ড জেনে নেয়ার চেষ্টা করে।
চাকরিপ্রার্থীর স্মার্টনেস ও স্মাইলিং ফেস থাকতে হবে। বোর্ড মনে করে, Administrator এমন বৈশিষ্ট্যের হলে যে কোন সাধারণ সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যায়।
Academic good record অবশ্যই একজনের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এমন রেকর্ডধারীর অন্যান্য স্বাভাবিক সার্বিক জ্ঞান কম থাকলে বোর্ড তাকে পছন্দ করে না; বরং তার চেয়ে অপেক্ষাকৃত খারাপ Academic recordধারী যদি Jack of all trade হয় তবে বোর্ড তাকেই বেশি Prefer করে।
যে কোন ব্যাপারে যার Innovative Knowledge বা সৃষ্টিশীল চিন্তাধারা থাকে অর্থাৎ যে কোন ব্যাপারে যদি কোন চাকরিপ্রার্থী নতুন কোন ইতিবাচক চিন্তাধারা ধারণ করে এবং তা বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে তবে বোর্ড তাকে Prefer করে।
চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রার্থীকে More Informative হতে হবে যাতে বুঝা যায় তার পড়ার/জানার একটি ernest egerness আছে। দেশ-বিদেশের বেশিরভাগ ইস্যুতে একেবারে গভীর জ্ঞান দরকার নেই, হালকা জ্ঞান রাখলেই চলবে। মোটকথা, প্রার্থীর কাছে প্রায় সবকিছু সম্পর্কে Upgrade information আছে কিনা এমনটি বোর্ড যাচাই করেন। যাদের এমন বৈশিষ্ট্য আছে তারা বোর্ডের সুনজরে পড়তে পারেন সহজেই।
প্রার্থীকে অবশ্যই নিজ সম্পর্কে জানতে হবে এবং বোর্ডকে তা অবহিত করতে হবে। ৫/১০ মিনিট নিজের সম্পর্কে ইংরেজিতে কথা বলার সামর্থ্য থাকা দরকার। এ ব্যাপারে ইংরেজিতে যাদের Fluency আছে তাদের বোর্ড পছন্দ করে ।
যে চাকরিপ্রার্থীর কোন Vision আছে বোর্ড তাকে পছন্দ করে। প্রার্থীকে চাকরিটা দেয়া হলে চাকরিটা নিয়ে তার কি পরিকল্পনা আছে তা যদি বোর্ডের পছন্দ হয় তবে বোর্ড তাকে সিলেক্ট করতে দ্বিধা করে না ।
আবার চাকরিপ্রার্থী কেন তার প্রার্থিত Choice মোতাবেক চাকরি চায় বা সে চাকরিটি পাওয়ার যোগ্য কিনা তার ইতিবাচক উত্তর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে বোর্ডকে উপর্যুক্ত সব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে হবে ।
বোর্ড সবসময় আত্মবিশ্বাসী প্রার্থীদের পছন্দ করে। কারণ আত্মবিশ্বাস ছাড়া কেউই তার স্ব স্ব কাজে সফল হতে পারবে না, আর BCS কর্মকর্তাদের সাফল্যের জন্য বেশি আত্মবিশ্বাস থাকা দরকার । আবার 1st class চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই Honest হতে হবে। তবে সেটা মুখের কথার মাধ্যমে বোর্ডকে বুঝাতে হবে। বোর্ড Honest প্রার্থীদের Prefer করে।
-
চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই তার প্রার্থিত পদের কাজের ধরন, বৈশিষ্ট্য, উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে। আবার তার অফিস কোন মন্ত্রণালয়ের/বিভাগের অধীন বা ঐ মন্ত্রণালয় এর মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী কে তা অবশ্যই জানতে হবে। এসব তথ্য সম্পর্কে যার ভাল ধারণা আছে বোর্ড তাকে পছন্দ করে।
চাকরিপ্রার্থীকে তার অনার্স/মাস্টার্সে পঠিত বিষয় ইস্যুতে সন্তোষজনক জবাবদানকারীরা সহজেই বোর্ডের সুদৃষ্টি পেতে সমর্থ হয়।
প্রার্থী যে বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স করেছে সে বিষয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম জানতে হবে। নিজ ডিপার্টমেন্টে থাকা বিখ্যাত শিক্ষকের নাম ও কৃতিত্ব স্মরণ রাখতে হবে। বোর্ড এ সম্পর্কে অনেক সময়ই জানতে চায় ।
বোর্ডের সামনে প্রার্থীর নিজেকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তবে প্রার্থী ‘যা' তাই প্রকাশ বা উপস্থাপন করতে হবে সেজন্য অতিরিক্ত স্মার্টনেস দেখানোর কোন দরকার নেই এবং সেটা বোর্ডও পছন্দ করে না ।
বোর্ড চায় চাকরিপ্রার্থী সাধারণ ইতিহাস, Basic ভূগোল ও বিজ্ঞান সম্পর্কে At least জ্ঞান রাখবে। আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে স্বাভাবিক/সত্য তথ্য দিতে হবে, বিতর্কিত কিছু বলার দরকার নেই। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে কোন রেখা গেছে, দেশের কোন থানা, বিভাগ, জেলা বড় বা কোন বিভাগে কতটি জেলা আছে তাও একজন চাকরিপ্রার্থীর জানা থাকুক তা বোর্ড চায়।
বোর্ডের সামনে সত্য কথা বলার ব্যাপারে প্রাণীর সাহস দেখাতে হবে। যখন ভারত- বাংলাদেশ এর সম্পর্ক নিয়ে বোর্ডে কথা উঠবে তখন অবশ্যই দৃঢ়ভাবে কথা বলতে হবে। আবার ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে সমন্বয়যুক্ত বা কূটনীতিক কথা না বলে সরাসরি বলতে হবে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে বোর্ডের সামনে পরাশক্তির বিভিন্ন নেতিবাচক পদক্ষেপ সম্পর্কে সাহসী মন্তব্য করতে হবে। এসব ব্যাপারে কথা বলার সময় শক্ত অবস্থান না নেয়াটা বোর্ড পছন্দ করে না। মোটকথা, বোর্ড সবসময় চাকরি দেয়ার ব্যাপারে Complet প্রার্থীকে পছন্দ করে।
তবে এটি ঠিক যে, BCS চাকরির Viva খুবই জটিল একটি পরীক্ষা। এমন পরীক্ষায় ভাল করার জন্য সব ধরনের ইস্যুতে অধিক পড়ালেখা দরকার। আবার এ পরীক্ষায় ভাল করার জন্য দরকার Wide Spread Campign, এমন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া কারো ভাল Infrastructure গড়ে উঠবে না। এজন্য প্রতিটি অনার্স-মাস্টার্স পড়া ছাত্রদের উচিত সব বিষয়ে ভাল অবকাঠামো তৈরি করা। তা গড়ার জন্য পড়ার বিকল্প নেই বা জানার বিকল্প নেই। আবার শুধু এলোপাথাড়ি পড়লেই চলবে না, পরিকল্পনামাফিক পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে ইংরেজির উপর দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস থাকলে তা ভাইভা বোর্ডে সাফল্যের জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
যে যে কারণে VIVA বোর্ড বিরক্ত হয়
VIVA বোর্ড BCS পরীক্ষার্থীর ওপর নানা কারণে বিরক্ত হতে পারে। তাই বোর্ডের বিরক্তি যাতে উদ্রেক না হয় সেদিকে পরীক্ষার্থীকে নজর রাখতে হবে। মোটকথা, বোর্ডকে সন্তুষ্ট করেই চাকরি অর্জন করতে হবে। বেশ কিছু কারণে VIVA বোর্ড বিরক্ত হতে পারে। তার কিছু উদাহরণ দেয়া হল ।
নিজের পরিচয় দেয়া : বোর্ড সাক্ষাৎকারের সময় সব পরীক্ষার্থীর কাছ থেকেই তাদের স্ব স্ব পরিচয় দেয়ার আহ্বান জানান। পরিচয় দেয়ার সময় একজন পরীক্ষার্থী যদি ঠিকমত নিজের পরিচয় উপস্থাপন করতে না পারেন তখন বোর্ড বিরক্ত হয়। আবার বোর্ড খেয়াল করে একজন যখন নিজের পরিচয় দিচ্ছে তখন সে সিরিয়াল মেইনটেইন করছে কিনা। সে সময় যে ইস্যুটা প্রথমে হাইলাইট করা দরকার সেটা যদি কেউ পরে বা পরের ইস্যু আগে হাইলাইট করে তাতেও বোর্ড বিরক্ত হয়। এজন্য নিজের পরিচয় সঠিক উপস্থাপন করার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি থাকতে হবে ।
সিদ্ধান্তহীনতা : সাক্ষাৎকারের সময় যদি কেউ বোর্ডের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে ইতঃস্তত বা সিদ্ধান্তহীনতা প্রদর্শন করেন তবে বোর্ড বিরক্ত হয়। সবার বুঝা উচিত যে, বোর্ড বিরক্ত হলে চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। প্রশ্নটি এমন হতে পারে যেমন - পরীক্ষক বললেন যে, কোন বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বৈধ কারণে গ্রেফতার করার ব্যাপারে একজন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনি কতটা পারঙ্গমতা দেখাবেন? উত্তর দিতে যদি পরীক্ষার্থী কারণ ছাড়াই সময় নেন বা ইতঃস্তত বোধ করেন অথবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন সেক্ষেত্রে বোর্ড আপনার প্রতি বিরক্ত হতেই পারে। এছাড়া একজন Administrator হিসেবে যদি কোন ব্যাপারে কাউকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে দায়িত্ব ছেড়ে দেন তখনও যদি তিনি ইতঃস্তত করেন তবে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
মুদ্রা দোষ কোন কোন BCS VIVA পরীক্ষার্থীর মুদ্রাদোষ থাকে যা বোর্ডের বিরক্তি উদ্রেকের কারণ হতে পারে। অনেকে কথা বলার সময় তোতলামি করেন যা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে Negative Approach -এর অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করতে পারে। কেউ কেউ কথা বলার সময় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করেন চোখ, হাত, মুখের দ্বারা; আবার কেউ পা নাড়ানো বা কিছুক্ষণ পর পর মাথায় চুলে হাত দিয়ে চুল ঠিক করা বা নাকে মুখে হাত দেয়া, নখ কাটাসহ অনেক অবাঞ্চিত আচরণ করেন যা করা একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার শোভা পায় না। মোটকথা, VIVA বোর্ডে আপনার Aproachটা হবে একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তার মত। আর সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে যেতে হয়। অফিশিয়াল Duty -এর অংশ হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা বিদেশিদের সাথে কথা বলতে হয়, তাই তাদের জন্য উপরিউক্ত আচরণ শোভা পায় না। বোর্ড সদস্যরা সার্বিকভাবে আপনার মাঝে একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নয়; বরং আরো বড় কোন কর্মকর্তার অবয়ব দেখতে চান। যদি কারো মধ্যে সেটি ফুটে উঠে তখন বোর্ড তাকেই চাকরি দেয়ার ব্যাপারে দৃশ্যত: পছন্দ করে ফেলেন। তাই মুদ্রাদোষ ত্যাগ করে বোর্ডের বিরক্তি উদ্রেকের পথ আগে থেকেই বন্ধ করা উচিত।
পারিপার্শ্বিক জ্ঞান : যদি কোন পরীক্ষার্থীর পারিপার্শ্বিক জ্ঞান না থাকে তবে বোর্ড বিরক্ত হয়। কথার এক পর্যায়ে পরীক্ষার্থীর নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান করা হলের নাম বা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক বা অনার্স/মাস্টার্সে পঠিত বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন উঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এসব সাধারণ বিষয়ে যদি পরীক্ষার্থী অপারগতা প্রকাশ করেন তখন বোর্ড খুব বিরক্ত হন। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলে অবস্থান করে ৪/৫ বছরের বেশি সময়, অথচ সে যদি বলতে না পারে যে তার হলের বিল্ডিং কততলাবিশিষ্ট, কিংবা একজন ছাত্র ডিপার্টমেন্টে অবস্থান করে ৬/৭ বছর অথচ সে যদি তার বিভাগের বিখ্যাত কোন শিক্ষকের নাম তাৎক্ষণিক না বলতে পারে তবে একে পরীক্ষার্থীর দুর্ভাগ্য বলতে হবে। এমন আরো পারিপার্শ্বিক সাধারণ বিষয় সম্পর্কে উত্তর দিতে না পারলে বোর্ড বিরক্ত হয় । BCS কর্মকর্তারা হবেন সবদিকে সচেতন ও চোখ-কান খোলা রাখা একজন পরিপূর্ণ মানুষ।
রাজনৈতিক বিষয়ে সমন্বয়হীনতা : বোর্ড একজন পরীক্ষার্থীকে রাজনৈতিক ইস্যুতে প্রশ্ন করে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে তাকে জাজ করার চেষ্টা করতে পারে। তেমন ক্ষেত্রে যদি কেউ পরিবেশ জ্ঞান না রেখে উত্তর দেয়ার সময় সমন্বয়হীনতার পরিচয় দেন তখন বোর্ড বিরক্ত হন। এর মধ্য দিয়ে একজনের তথ্যের স্বচ্ছতা সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে চেষ্টা করেন। এমন ধরনের ইস্যুতে যদি কেউ মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে সমন্বয়যুক্ত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন তবে বোর্ড তাকে পছন্দ করবে। আবার উত্তর দেয়ার সময় যদি পরীক্ষার্থীর যাকে হিট করা দরকার তাকে হিট না করে অন্য কাউকে হিট করে তবে সেটাও অযোগ্যতার উদাহরণ। মোটকথা, একজন BCS কর্মকর্তার রাজনৈতিক ইস্যুতে স্বচ্ছ ধারণা রাখা উচিত, যেটা না পাওয়া গেলে বোর্ড বিরক্ত হয়।
প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর না দেয়া / To the Point উত্তর না দেয়া :
বোর্ড সবসময় চায় পরীক্ষার্থী প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর দেবে To The Point-এ। কেউ যদি উত্তরে যা চাওয়া হয়েছে তার অতিরিক্ত বলে বা কম বলে তবে বোর্ড বিরক্ত হয়। আর উত্তর না জানা থাকলেও জানার ভান করা উচিত নয়। এমনটি করলেও বোর্ড বিরক্ত হয়। আবার উত্তরটাকে বড় করার জন্য যদি কেউ একই বিষয় ঘুরে ফিরে পুনরুক্তি করে বা বোর্ড উত্তরে যা চায় নি তা একা বলে যায় তবেও বোর্ড বিরক্ত হয়। তাই পরীক্ষার্থীদের কম শব্দে কম কথায় To The Point -এ উত্তর দেয়ার অভ্যাস করা উচিত।
অনার্স/মাস্টার্স পাস করা ব্যক্তির যা জানা উচিত তা না জানা : বোর্ড সবসময় খেয়াল করে যে, একজন পরীক্ষার্থীর সব জানা উচিত নয় কিন্তু সব ইস্যুতে কিছু কিছু জানা উচিত। অর্থাৎ Jack of All trade but master of None হওয়া উচিত। বহু স্টেজ পেরিয়ে এতদূর আসা একজন ছাত্রের এদেশের সাধারণ ইতিহাস, সংবিধান, অর্থনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, ধর্ম সম্পর্কে অবশ্যই কিছু কিছু জানা উচিত। যদি কেউ তা না জানে তবে বোর্ড বিরক্ত হয়। একটি ছেলে যদি মাধ্যমিক ক্লাসে পঠিত কোন শ্রেণীর অংক, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ধারণ না করে তবে বোর্ড চরম বিরক্ত হয়। কারণ বোর্ড মনে করে, এসব সম্পর্কে না জানা একটি ছেলে ভাল Administrator হতে পারবে না। BCS - এ ভাল করা যেহেতু একদিনের কোন Process নয় তাই সবার উচিত নিজ নিজ স্টেজ পেরিয়ে আসার সময় স্ব স্ব স্টেজে পঠিত বিষয় সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখা ।
দেশ বিদেশ সম্পর্কে ABC জ্ঞান না রাখা : কোন পরীক্ষার্থী যদি দেশ বিদেশের বর্তমান হালহকিকত সম্পর্কে জ্ঞান না রাখে তবে বোর্ড বিরক্ত হয়। দেশ বিদেশের রাজনীতিতে কি ঘটছে, কেন 'ঘটছে সে সম্পর্কে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর স্বচ্ছ ধারণা রাখা উচিত। মোটকথা, দেশ বিদেশের রাজনীতি সম্পর্কে Follow up কারো যদি না থাকে বা সর্বশেষ তথ্য না জানা থাকে তবে বোর্ড বিরক্ত হয়। কারণ একজন পরীক্ষার্থী ক্যাডার সার্ভিসের চাকরি চাইবেন কিন্তু দেশ বিদেশের রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকবে না তা হতে পারে না ।
অন্যান্য কারণ : আবার অনেকে প্রশ্নকারী কি প্রশ্ন করছেন তা না খেয়াল করে চুপ করে বসে থাকে শুনতে না পাওয়ার অজুহাতে, এতেও বোর্ড বিরক্ত হন। বোর্ড মনে করে এ পরীক্ষার্থী মনোযোগী নন তাই ক্যাডার সার্ভিসে সে সাফল্য পাবে না। সেজন্য প্রার্থীর সবসময় চোখ কান খোলা রাখা উচিত ।
অনেক BCS চাকরিপ্রার্থী VIVA বোর্ডের সদস্যদের নাম জানে না। এটাও বোর্ডের বিরক্তির কারণ হতে পারে ।
কিছু কিছু চাকরিপ্রার্থী বোর্ডকে তার ভাল রেজাল্টের কথা শুনিয়ে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করতে চেষ্টা করেন যেটা বিরক্তি উদ্রেকের অন্যতম কারণ। সবার এটি জানা উচিত যে, কেউ ভাল রেজাল্ট করলেই তাকে বোর্ড পছন্দ করবে না। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, ভাল রেজাল্ট অর্জনকারীরা ভাল Administrator হতে পারেন না। তাই এমন Tendency পরিবর্তন করা উচিত পরীক্ষার্থীদের।
VIVA বোর্ডে অনেক পরীক্ষার্থী চাকরির জন্য কাকুতি মিনতি করে চাকরি দাবি করে বসে, আবার অনেকে কোন চাকরিতে চাকরিরত থাকলে নিজেকে বোর্ডের সামনে Dashingly উপস্থাপন করেন, মোটকথা বোর্ডকে তারা কিছুই মনে করেন না, এমন দুই আচরণই বোর্ডের চরম বিরক্তির কারণ। এ ব্যাপারে বোর্ডের সামনে পরীক্ষার্থীদের কথা বলার সময় সতর্ক থাকা উচিত ।
অনেক চাকরিপ্রার্থী বোর্ডের প্রশ্নের উত্তরে বলে বসেন, স্যার আমি ‘টিউশনী করি’ অথবা Private Teacher -এর কাজ করি। এতে বোর্ড ক্ষুব্ধ হয়। কারণ টিউশনী বলে কোন শব্দ ডিকশনারীতে নেই। সেটা Tution. আবার সে Private Teacher শব্দকে যে অর্থে বুঝিয়েছে উত্তর সে অর্থে হয় নি। এদিকেও চাকরিপ্রার্থীদের সতর্ক থাকা উচিত ।
বোর্ডে VIVA দেয়ার সময় দেখা যায়, অনেক মাস্টার্স পাস করা ছেলে/মেয়ে নিজ নিজ সাবজেক্টের ওপর প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দিতে পারে না । তখন বোর্ড চরম বিরক্ত হয় । কারণ ৫/৬ বছর পড়া নিজ সাবজেক্টের ওপর যদি কারো দখল না থাকে তবে সে অন্য বিষয়েও ভাল জানবে না, এটাই স্বাভাবিক । মোটকথা, নিজ পঠিত বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই BCS পরীক্ষার্থীকে ভাল ধারণা রাখতে হবে।
VIVA ভাল করতে দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা দরকার
BCS VIVA অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যা পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ পরিবর্তনে বিরাট ভূমিকা রাখে। এজন্যই এর প্রস্তুতিটা সাদামাটা হওয়া উচিত নয়। অবশ্যই এর জন্য চাই দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি । BCS VIVA তে ভাল করতে অবশ্যই বেশি বেশি পড়া ছাড়া গত্যন্তর নেই ।
চলতি পথে আমরা ব্যক্তিজীবনে বহু বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যায় নিপতিত হই, সেইসব সমস্যা তৎক্ষণাৎ (ভুলে যাওয়ার আগেই) সর্বউপায় অবলম্বন করে হলেও তার সমাধান করা বা জানা উচিত । BCS VIVA বোর্ড দৈবক্রমে কোন প্রশ্ন করে না। যেসব প্রশ্ন করা হবে তা আমাদেরই আশেপাশের প্রশ্ন। মোটকথা, আমাদের সবসময় চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
একজন মানুষের জীবন পরিকল্পিত হলে যেমন সে জীবন বস্তুনিষ্ঠ আনন্দের, প্রতিশ্রুতিশীল হয়। তেমনি BCS পরীক্ষার্থীর যদি পূর্বপরিকল্পনা থাকে BCS সম্পর্কে তবে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। VIVA'র জন্য উপযোগী বিষয়গুলো আগে থেকেই বেশি বেশি পড়া উচিত BCS পরীক্ষার্থীর।
রেডিও, TV তে BBC, CNN দেখা বা শোনাটা যদি নিয়মিত হয়, হোক তা প্রতিদিন ৫ মিনিট তবে তা এক সময় হয়ে উঠে মহামূল্যবান সম্পদ। দেশ বিদেশের সর্বশেষ খবরের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে, শুধু নজর নয় এর প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহও তৈরি করতে হবে। খবরের Follow hp একজনের জন্য যে কতটা প্রয়োজনীয় তা VIVA বোর্ডে গিয়ে অনেকে হাড়ে হাড়ে টের পান, কিন্তু তখন করার কিছুই থাকে না, প্রিয় চাকরিটা হাতছাড়া করা ছাড়া।
যেকোন ইস্যুর গভীরে প্রবেশের চেষ্টা থাকতে হবে BCS পরীক্ষার্থীর। এজন্য পত্রিকার খবর পড়ার সাথে সাথে কলাম পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তবে পরিকল্পিতভাবে সব কিছু পড়া উচিত, আর সে পড়ার মধ্যে, মনোযোগ/একাগ্রতাকে Engage করতে হবে সর্বোতভাবে। কোন ইস্যুর ভেতর/নেপথ্যের ইতিহাস জানা উচিত পরীক্ষার্থীদের ।
সব কাজের ফাঁকে ফাঁকে BCS এবং VIVA'র প্রস্তুতি নেয়ার জন্য একটি Trend তৈরি করা জরুরি। পড়ার অভ্যাস যার আছে সে VIVA পরীক্ষায় ভাল করবেই।
একজন ছাত্র-ছাত্রীর জীবনে সব ক্লাসে পড়ালেখা করা সমান হয় না। যেটা একটি পরিষ্কার অবকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে । তাই যখনই আপনি মনে করলেন যে, কোন এক ক্লাসে নির্দিষ্ট বিষয়টা ভালোভাবে পড়া হয় নি তখনই তা Fulfil করা উচিত, অবকাঠামোতে খুঁত থাকা উচিত নয়। যে করেই হোক পেছনের কোন ক্লাসে পঠিত কোন বিষয়ের ওপর দুর্বলতা নিজ উদ্যোগে কাটাতে হবে। মোটকথা, পড়ালেখার Follow upটা হতে হয় নিরবচ্ছিন্ন।
BCS VIVA বোর্ডে ইংরেজিতে কথা বলতে পারা প্রতিযোগীদের এখন জয়জয়কার । তাই পরীক্ষার্থীকে ইংরেজিতে Fluencyটা বাড়াতে হবে । ইংরেজিতে কথা বলার Power বৃদ্ধির জন্য বন্ধু বাছাই করে তার সাথে নিয়মিত ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করা যেতে পারে । আবার TV/ রেডিওতে BBC ইংরেজি সংবাদ শোনা/দেখার অভ্যাসও এক্ষেত্রে খুবই ইতিবাচক হতে পারে। BCS VIVA পরীক্ষার্থীদের সবসময় মনে রাখা উচিত এ পরীক্ষা একদিনের কোন প্রচেষ্টার বিষয় নয়, এর জন্য চাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাভিত্তিক পড়ালেখা ।
প্রার্থীদের যে ধারায় প্রশ্ন করা হয়
VIVA বোর্ড সদস্যরা সাধারণত প্রশ্ন করার ব্যাপারে খুবই অভিজ্ঞ, দক্ষ তা বলার অপেক্ষা রাখে না । প্রার্থীকে সহজ ও সপ্রতিভ করার জন্য প্রথমেই কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা না করে খুবই সহজ প্রশ্ন ধরবে। প্রার্থীকে তার পিতা-মাতার নাম, গ্রাম, থানা, জেলা জিজ্ঞাসা করে easy করে নেবে বোর্ড । প্রশ্ন ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর হবে, এক্ষেত্রে প্রার্থীর পারঙ্গমতাই মুখ্য ব্যাপার । প্রার্থী প্রশ্নের যতই গভীরে যেতে পারবেন বোর্ড ততই গভীরে যাবেন।
কখনোই এলোপাথাড়ি প্রশ্ন করা হবে না । যেমন - বলুন তো বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের নাম এবং এর পরক্ষণেই আচ্ছা বলুন তো যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ডে কবে পালিত হয়?
প্রশ্নের প্রয়োজনেই প্রশ্ন আসবে, এলোপাথাড়ি হবে না। এক্ষেত্রে প্রায়শ প্রার্থীর দেয়া উত্তর হতে শব্দ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
**************
প্রশ্নের গভীরে গিয়ে বোর্ড প্রার্থীর জানার গভীরতা সম্পর্কে ধারণা নিতে চেষ্টা করেন। বোর্ডের টার্গেট হল আপনি কতটুকু জানেন তা জানা আর এটা বের করে আনতেই তারা একটার পর একটা প্রশ্ন করবেন। যেমন - তার ধারাটি সংখ্যায় দেখালে বলা যায়, তা হবে ১ 2-9-8 ---। প্রশ্ন করার ধারা অবশ্যই (সংখ্যায়) ১৫- ৮ - ৭-১৫ হবে না। অর্থাৎ প্রশ্নের পাশাপাশি বা প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন করা হবে, যা খুবই সঙ্গত ও প্রাসঙ্গিক।
মোটকথা, একটি প্রশ্নের সাথে সংযুক্ত, সংশ্লিষ্ট, প্রাসঙ্গিক পরবর্তী প্রশ্নটি আপনাকে করা হবে। তাই ঘাবড়ানোর কারণ নেই, VIVA বোর্ডের প্রশ্নের ধারা গোছালো, সংযুক্ত, প্রাসঙ্গিক হবে নিশ্চিত।
VIVA বোর্ড প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে আনা যায় যেভাবে
এটি নিশ্চিত যে যেভাবেই হোক বোর্ড সার্বিকভাবে সব প্রশ্নই টাচ্ করবে। আপনাকে রাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সাহিত্য হতে শুরু করে সারা বিশ্ব ঘুরিয়ে আনবে।
একটি প্রশ্ন না পারলে আরেক প্রশ্ন করা হবে আপনাকে, এভাবে তারা দেখতে চাইবেন সব বিষয়ে কিছু ধারণা রাখেন কিনা ।
VIVA বোর্ড সদস্যরা খুবই অভিজ্ঞ, তাদের নিজ নিজ পেশায় দক্ষ । তাই উত্তর দেয়ার সময় দৃশ্যত: তাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা অবশ্যই খুব জটিল ব্যাপার। তবে চেষ্টা করতে দোষ কি?
বোর্ড যেহেতু প্রায় সব বিষয়ে প্রশ্ন করবেন বলেই সেই বিষয়গুলোর মধ্যে আপনার পছন্দের বিষয় এসেই যাবে। সেটা আপনার নিজের অনার্স-মাস্টার্স করা সাবজেক্ট হতে পারে ।
আপনি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কথা বলতে বেশি আগ্রহী হতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে আপনাকে হতে হবে খুবই কৌশলী। যখনই আপনার পছন্দের বিষয় প্রশ্নে চলে আসবে তখনই ধরে নিবেন আপনি বোর্ড নিয়ন্ত্রণের একটি সুযোগ পেয়ে গেছেন ।
এমন সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে আপনার চাকরিটাও হাতছাড়া হতে পারে তাই তখনই আপনাকে যে কৌশলটি অবলম্বন করতে হবে তা হল বোর্ডকে আপনার পছন্দের বিষয়ে extra ordinary তথ্য দিয়ে বোর্ডকে সন্তুষ্ট করতে হবে, তখন বোর্ড আপনার কাছ থেকে ঐ বিষয়ের গূঢ় তথ্য জানতে ঐ বিষয়েই বেশি প্রশ্ন করতে থাকবে। আপনি লক্ষ্য রাখবেন আপনাকে খুব ভাল তথ্য দিতে হবে, তবেই বোর্ড আপনাকে ঐ বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে কমই প্রশ্ন করবে এবং প্রশ্ন করতে করতে এক সময় দেখা যাবে ১৫-২০ মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেছে। তখন তারা অন্য বিষয়ে না গিয়েই আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার চাকরির সম্ভাবনা ৫০% এর উপর উঠতে পারে।
এ কৌশল অবলম্বন করে আপনি আপনার চাকরির সম্ভাবনাকে নিশ্চিতভাবে নিজেই বাড়াতে পারেন ।
যেসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে
এটি মনে রাখবেন, কয়েকটি বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে VIVA বোর্ডে প্রশ্ন করা হবে, তা হল নিজের পড়ার সাবজেক্ট ও যে চাকরিটা চাচ্ছেন সে চাকরি বিষয়ে।
অবশ্যই আপনি আপনার নিজ সাবজেক্টে কতটুকু পারঙ্গম, দক্ষ তা বোর্ড দেখবে। মনে রাখবেন, VIVA বোর্ডে এমন একজন আছেন যিনি আপনার সাবজেক্ট সম্পর্কে জানেন। তাই মনে করবেন না যে, নিজ সাবজেক্টে ভুল তথ্য দিয়ে পার পাওয়া যাবে, কেউ তা ধরতে পারবে না । এমনটি করলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা শূন্যেতে গিয়ে ঠেকবে। নিজের পড়া সাবজেক্টে যদি আপনি ততটা পারঙ্গমতা না দেখান তাহলে আপনার সম্পর্কে বোর্ডের ধারণা খারাপ হবে। কারণ আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ৪ বছর অনার্স করেছেন, ১ বছর মাস্টার্স করেছেন সে সম্পর্কে অন্য কারো চেয়ে আপনার বেশি জানাটাই স্বাভাবিক।

এছাড়া আপনি BCS ফর্ম পূরণের সময় 1st যে Choice দিয়েছেন, সে চাকরি সম্পর্কে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে । সে চাকরির ক্যাডারের পদ সোপানসহ খুঁটিনাটি সব বিষয়েই আপনাকে জানতে হবে। আপনার দেয়া প্রথম ৩টি Choice সম্পর্কে প্রশ্ন হতে পারে বলে আগে থেকেই প্রভৃতি নিয়ে রাখতে হবে। আবার কেন সেই চাকরিটা আপনি চান তার সদুত্তর আপনাকে দিতে হবে। ঐ চাকরির কাজের বৈশিষ্ট্য, উদ্দেশ্যসহ সব ব্যাপারে সম্যক ধারণা থাকতে হবে, হালকা ২/১ টা কথা বলেই শেষ করা যাবে না। যে মন্ত্রণালয় আপনাকে চাকরি দিচ্ছে সে সম্পর্কে আপনার কাছে তথ্য থাকতে হবে, সে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতি-উপমন্ত্রীদের নামও জানতে হবে আপনাকে। আপনার চাকরি কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সে সম্পর্কে তো জানতেই হবে।
অনেক সময় দ্বিতীয় ও তৃতীয় চয়েজ থেকেও প্রশ্ন করা হতে পারে। পরীক্ষকরা প্রথম Choice শেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় Choice সম্পর্কে প্রার্থীর কাছ থেকে তথ্য জানতে চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রেও প্রার্থীকে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষাস্থলে যেতে হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় Choice দেয়া চাকরি/মন্ত্রণালয়/চাকরির কাজকর্ম সম্পর্ক তাই আপনাকে পূর্বে জেনেই পরীক্ষা বোর্ডে যেতে হবে 1st Choice -এর মতই ।
মোদ্দা কথা, BCS চাকরি প্রার্থীকে অবশ্যই তার নিজ সাবজেক্ট এবং প্রথম থেকে তৃতীয় পর্যন্ত দেয়া Choice সম্পর্কে ভাল ধারণা দিয়েই VIVA বোর্ডে যেতে হবে। নইলে আপনার একটু অসতর্কতার কারণে BCS -এর মত একটি লোভনীয় চাকরি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে ।
এ কারণে পরামর্শ, প্রত্যেক সাবজেক্টে পড়া পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ সাবজেক্ট সম্পর্কে অবশ্যই পূর্বের চেয়ে বেশি যত্নবান হবেন। এক্ষেত্রে অনার্স-মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা একটু সচেতন হলেই নিজ নিজ সাবজেক্টে ভাল করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, BCS VIVA পরীক্ষার্থীদের একই সাথে নিজ নিজ Choice করা (১ম থেকে তৃতীয় বা ৪র্থ পর্যন্ত) চাকরি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে হবে।
১. প্রথমেই প্রার্থীর কনফিডেন্স নিয়ে আলোচনা করা যায়। বোর্ডে যে সকল পরীক্ষকগণ থাকেন তাদেরকে বোকা বানানো সম্ভব নয়। এজন্য প্রার্থী যতটুকু জানে ততটুকু কনফিডেন্স নিয়ে বলা উচিত । অপ্রয়োজনীয় বা যুক্তিহীন আলোচনা করা ঠিক নয় । অনেকে যুক্তিসঙ্গত কথা বলে কথা দীর্ঘ করার চেষ্টা করে থাকে । অপ্রয়োজনীয় ১০টি কথার চেয়ে দরকারী একটি কথাই বুদ্ধিমানের লক্ষণ ।
২. প্রশ্নোত্তরে ভাষাটা বড় কোন বিষয় নয়। ইংরেজি বা বাংলা যাই হোক না কেন সঠিক উত্তর দেয়াটাই মুখ্য বিষয়। অনেকের ইংরেজিতে বলতে পারাটা স্মার্টনেসের লক্ষণ। ইংরেজিতে বলতে গিয়ে ভুল বলার দরকার নেই। তাছাড়া পরীক্ষকগণ যদি ইংরেজিতে প্রশ্ন করে থাকেন তবুও বাংলায় উত্তর দেয়া যায়। তবে বিসিএস পররাষ্ট্রতে ইংরেজিতে বলার দরকার হয় । সেজন্য যাদের প্রথম চয়েজ পররাষ্ট্র তাকে ইংরেজিতে কথা বলার Practice থাকা উচিত। অবশ্য অন্যান্য ক্যাডারেও ইংরেজিতে দু একটা প্রশ্ন করা হতে পারে । এক্ষেত্রে ইংরেজিতে বললে ভাল । একটি বিশেষ ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে, সুন্দর করে বলাটা বিশেষ জরুরি। সবসময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন কথাবার্তায় স্পষ্টতা, গভীরতা থাকে।
৩. দু একটা প্রশ্নের উত্তর না পারলে ভাববেন না যেন, আপনি অকৃতকার্য হচ্ছেন। দেখা গেছে সব উত্তর দিয়েও অকৃতকার্য হতে, আবার অর্ধেক উত্তর দিয়েও কৃতকার্য হতে। সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে বোর্ডকে খুশি রাখা। যতটুকুই পারা যায় ততটুকুই সুন্দরভাবে গুছিয়ে বলা ভাল। তা না হলে বা না পারলে I am sorry, Sir. বলা অনেক ভাল। আর একটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, কোন বিষয়ে প্রার্থীর যেন সুস্পষ্ট ও গভীর ধারণা থাকে। বোর্ডের সদস্যগণ প্রার্থীকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ও প্রশ্নের রেফারেন্স ধরে প্রশ্ন করতে পারে। কোন উত্তরের যে কোন টার্মের উপর পুনরায় প্রশ্ন হলে যেন উত্তর দেয়া যায় সেজন্য যেগুলো জানা নেই সেসব টার্ম নিয়ে উত্তর না দেয়াই ভাল। কারণ সরাসরি না বলার চেয়ে মাঝপথে আটকে যাওয়া খারাপ। যেমন- ইকনমিক্যাল পলিসির' কোন উত্তরে আপনি গ্লোবালাইজেশন শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তখন সদস্যগণ আপনাকে 'গ্লোবালাইজেশন কি?' জিজ্ঞেস করতে পারেন। এজন্য যতটুকু জানেন তাই যেন গভীর হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ সদস্যগণ চাইবেন আপনাকে ভালভাবে যাচাই করতে।
৪. অনেক সময় তারা আপনার Confidence টেস্ট করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনাকে বলা হল Theory of Relativity' কে প্রদান করেছে? আপনি বললেন আইনস্টাইন। তখন তারা আপনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রশ্ন করতে পারেন। তখন আপনি খেয়াল রাখবেন আপনি যেন দ্বিধায় না পড়ে যান। Confidently আপনাকে আইনস্টাইন বলতে হবে। এক্ষেত্রে নার্ভাস হবেন না। কারণ নার্ভাস হলে অনেক সহজ উত্তর দিতে ভুল হয়ে যায়। আপনাকে Confident হতে হবে এবং কোন প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে আত্মসমর্পণ করবেন। তাও ভাল।
ভাইভার পূর্ব প্রস্তুতি
১. সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো যেমন বিভিন্ন সম্মেলন, চুক্তি, পুরস্কার, খেলাধুলা সংক্রান্ত রেকর্ড ইত্যাদি বিষয়গুলো ভালভাবে জেনে নিবেন ।
২. নিজ জেলা, নিজ থানা, আয়তন, জনসংখ্যা, শিক্ষার হার, বিখ্যাত ব্যক্তি, জেলাটি কি জন্য বিখ্যাত, কোন নদীর তীরে অবস্থিত ইত্যাদি বিষয়গুলো Rivision দিয়ে নিবেন ।
৩. ফরমে উল্লিখিত অন্তত প্রথম ৩টি ক্যাডার সম্পর্কে জেনে নিবেন এবং এই ক্যাডারগুলো পর্যায়ক্রমে আপনি কেন পছন্দ করেন তার সংক্ষিপ্ত উত্তর নিজে তৈরি করে নিবেন ।
৪. আপনার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর -এর পাঠ্য/পঠিত বিষয়সমূহ এবং প্রত্যেক বিষয়ের ২/৩টি বই ও লেখকের নাম নির্ভুলভাবে জেনে নিবেন ।
৫. আপনার পছন্দের খেলা, প্রিয় খেলোয়াড়, প্রিয় হওয়ার কারণ, প্রিয় ব্যক্তি, প্রিয় লেখক, প্রিয় লেখকের বই, দেশী বিদেশী বিখ্যাত লেখকের বিখ্যাত বইগুলো সম্পর্কে ধারণা নিবেন ।
৬. দেশী-বিদেশী দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা, পত্রিকার সম্পাদক ইত্যাদি বিষয়গুলো জেনে নিবেন ।
৭. পূর্বে কোথাও কোন চাকরি করলে সে সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিবেন
৮. দেশের মন্ত্রিপরিষদ, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর নাম ও পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য ভালভাবে জেনে নিবেন ।
৯. দেশের ইতিহাস ও অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিবেন ।
১০. দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আয়তন, জনসংখ্যা, নারী-পুরুষ অনুপাত ইত্যাদি বিষয়গুলো জেনে নিবেন।
১১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসংক্রান্ত ফাইল গুছিয়ে রাখবেন।
ভাইভা দিনের প্রস্তুতি :
১. ঐ দিনের দৈনিক পত্রিকার বিশেষ বিশেষ খবরগুলো পড়ে নিবেন।
২. বাংলা মাসের সন ও তারিখ জেনে নিবেন।
৩. মার্জিত সাধারণ পোশাক ছেলের ক্ষেত্রে ফুল শার্ট, প্যান্ট, জুতা, টাই বাঁধা ঐচ্ছিক ব্যাপার, মহিলারা শাড়ি পরতে পারেন।
৪. ঠাণ্ডা মাথায় প্রফুল্ল মনে, ঘর থেকে বের হবেন। কোন প্রকার টেনশন মাথায় রাখবেন না । ৫. ভাইভা বোর্ডে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত ৩০ মিনিট আগে পৌঁছাবেন । ভাইভা বোর্ডে যতদূর সম্ভব অন্য পরীক্ষার্থীদের সাথে কম কথা বলবেন। বোর্ডে সার্বক্ষণিক মানসিক প্রস্তুতি রাখবেন
যে কোন সময় আপনার ডাক আসতে পারে।
ভাইভা বোর্ডে যা করণীয় :
First impression is the best Impression এজন্য আপনার পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন। পরীক্ষকের নিকট আপনার First impression -এর ধারণা যেন খারাপ না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ করবেন।
প্রবেশের সময় ও বিদায় নেবার সময়
১. প্রবেশের সময় ও বিদায় নেবার সময় সালাম দিবেন দাঁড়িয়ে। প্রবেশের পর নিজে থেকে চেয়ারে বসবেন না। বসতে বললে বসবেন তা না হলে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
২. উত্তর দেয়ার সময় অমায়িক থাকার চেষ্টা করবেন। তবে বোকার ভাব প্রকাশ করবেন না। নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করবেন না। সুন্দর ও ভদ্রভাবে উত্তর দিবেন।
৩. কোন বিষয়ে তর্ক করবেন না। তবে দৃঢ়তা নিয়ে উত্তর দিবেন যেন পরে আর কথা
ঘোরাতে না হয় ৷
৪. বদ অভ্যাস রাখবেন না। যেমন - মুখ দিয়ে নখকাটা, নখ দিয়ে টেবিল খোঁচানো, নাকের ভেতর আঙ্গুল প্রবেশ করানো ইত্যাদি ।
৫. এদিক সেদিক তাকাবেন না বা প্রশ্নকর্তাকে অবহেলা করবেন না। ধীরে ধীরে উত্তর দিবেন এবং কথায় ছন্দ হারাবেন না ।
৬. পরীক্ষকগণকে প্রশ্ন করার সময় বাধা দিবেন না এবং উত্তরে বেশি সময় নিবেন না। সংক্ষেপে সুন্দরভাবে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন। পরীক্ষকগণের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিবেন।
৭. নিজের উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগাবেন । তারা আপনাকে অনেক সময় বোকা বানাতে পারেন। তখন বিচলিত না হয়ে বুদ্ধি দিয়ে উত্তর দিবেন।
৮. সবজান্তার ভাব দেখাবেন না এবং কথা বলার সময় সতর্কভাবে আঞ্চলিকতার দিকে খেয়াল রাখবেন। সাধু বা চলিত ভাষার মিশ্রণ যেন না হয়, তবে প্রয়োজনে ইংরেজি টার্ম
ব্যবহার করুন ।
বোর্ডে প্রবেশের পূর্বে কয়েকটি ব্যাপার জেনে যাবেন

১. কমপক্ষে প্রথম তিনটি ক্যাডারের পছন্দক্রম যা ফরমে উল্লেখ করেছেন ।
২. নিজ জেলার ও থানার আয়তন, লোকসংখ্যা, বিখ্যাত ব্যক্তি, নামকরণ, জেলা, বিখ্যাত
হবার কারণ, নারী শিক্ষার হার, জেলায় থানার সংখ্যা ইত্যাদি।
৩. আপনি কোন চাকরিতে নিয়োজিত থাকলে তার সম্পর্কিত তথ্য ।
৪. আপনার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর -এর পাঠ্য বিষয়সমূহ, আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও ইতিহাস, বিষয়ের ওপর তথ্য জানা থাকতে হবে।
৫. আপনার শখ, আপনার প্রিয় বিষয় ইত্যাদি ।
৬. বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক পত্রিকার নাম, দেশীয় বিখ্যাত দৈনিকের সম্পাদকের নাম। ৭. দেশ ও বিদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]