নদীবন্দর নদীর তীরে গড়ে ওঠা স্থান বা স্থাপনা, যেখানে নৌযানে চলাচলকারী যাত্রী ও পণ্য ওঠানামা করা হয়। নদীবহুল দেশ বলে আবহমান কাল থেকেই বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থায় নৌপথ ও নদীবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের প্রায় সব বড় শহর ও বাণিজ্যকেন্দ্রই গড়ে উঠেছে নদী বন্দরকে কেন্দ্র করে।
বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথসমূহে নৌযান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) নামে দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২২টি পুর্ণাঙ্গ নদীবন্দর রয়েছে। এগুলি হলো: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, চাঁদপুর, খুলনা, বাঘাবাড়ী, পটুয়াখালী, নরসিংদী, আরিচা, নগরবাড়ী, দৌলতদিয়া, টঙ্গী, মাওয়া, চর-জান্নাত, আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার, ভোলা, বরগুনা, নোয়াপাড়া, মুন্সিগঞ্জ, ছাতক, মেঘনাঘাট ও কক্সবাজার। এ সব বন্দরে যন্ত্রচালিত নৌযান অবতরণ এবং যাত্রী ও পণ্য ওঠানামার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ-এর উদ্যোগে আরো ৪৪৮টি ছোটখাটো বন্দরে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বা উন্নয়ন করা হয়েছে, যেগুলিকে বলা হয় সেকেন্ডারি রিভারাইন স্টেশন। বিআইডব্লিউটিএ-এর হিসেবে এর বাইরেও সারা দেশে আরো অন্তত ৩৭৪টি স্থানে নৌযান থেকে পণ্য ওঠানামা করা হয়, যেগুলিতে ওই সংস্থাটির কোনো রকম স্থাপনা নেই। এছাড়াও আছে আটটি ফেরিঘাট, যেগুলি দিয়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করা হয়। সারা দেশের মোট ২৪টি বন্দরে সংস্থাটি পাইলট স্টেশন স্থাপন করেছে। এগুলি হলো: চট্টগ্রাম, রামগতি, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, নাটুয়াপাড়া, মাদারিপুর, কাউখালী, মংলা, খুলনা, আঙটিহারা, মাওয়া, আরিচা, কাউলিয়া, সিরাজগঞ্জ, কাজিপুর, বাহাদুরাবাদ, চিলমারি, দই-খাওয়া, পটুয়াখালী, ভৈরববাজার, লিপসা, পাটুরিয়া ও বৈদ্যেরবাজার।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ