বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়। এর মূল কাজ হচ্ছে পরিবেশ ও বন সংক্রান্ত সরকারের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা, প্রচারণা, সমন্বয় এবং দেখভাল করা। এই মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের পরিবেশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের দেখভাল করার জন্য প্রতিষ্ঠিত, এবং এই মন্ত্রণালয় জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল-এর নির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য। এই মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ পরিবেশ কার্যক্রম (UNEP)-এ অংশগ্রহণকারী। মন্ত্রণালয়ের মূল কাজের মধ্যে রয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ, বন ও পরিবেশের উপাদানসমূহের সমীক্ষা, পরিবেশের অবক্ষয় প্রতিরোধ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বৃক্ষায়ন-বনায়ন এবং অবক্ষিপ্ত অঞ্চলগুলো পূণরুদ্ধার এবং সর্বোপরি পরিবেশের রক্ষণ নিশ্চিত করা।
ইতিহাস
১৯৪৭ থেকে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অঞ্চলভিত্তিক বন বিভাগ ছিল বনরক্ষক-এর অধীনে, এবং পরবর্তিতে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রধান বনরক্ষকের অধীনে ছিল। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেলে সংরক্ষিত ও প্রস্তাবিত সংরক্ষিত বনগুলো বাংলাদেশ বন বিভাগের আওতাধীন হয়ে যায়। ১৯৭১ থেকে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ বন বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন ছিল। ১৯৮৭-৮৯ সময়কালে ফরেস্ট্রি ছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ, যা ছিল একজন সেক্রেটারির অধীন। পরিবেশ বিভাগ (DoE) ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে প্রচলিত পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৭৭ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশেষে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। একইসাথে বাংলাদেশ বন বিভাগ-কে এই মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখা হিসেবে এর অধীন করা হয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ কার্যকর করতে দায়বদ্ধ হয়।
অন্তর্ভুক্ত সংগঠনসমূহ
বাংলাদেশ বন বিভাগ ও বাংলাদেশ পরিবেশ বিভাগ পরিচালনা ছাড়াও বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (BFIDC), বাংলাদেশ বন গবেষনা ইন্সটিটিউট (BFRI) এবং বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়াম (BNH) পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে বোটানিক্যাল গার্ডেনও।
উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম
বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের বন মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে সুন্দরবনের উভয় অংশে বাঘ সমীক্ষা পরিচালনা করে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়
খাদ্য মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়। সকল সময়ে দেশের সকল মানুষের জন্য নির্ভরযোগ্য খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরার উদ্দেশ্যে এই সংস্থাটি গঠিত ও পরিচালিত হয়ে থাকে।
ইতিহাস
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে এ মন্ত্রণালয় খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ইত্যাদির অধীনে খাদ্য বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হতে থাকে। সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ খ্রিঃ তারিখের ০৪.৪২৩.০২২.০২.০১.০০২. ২০১২.৯৬ নং পত্র সংখ্যা দ্বারা খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠিত করে (১) খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং (২) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নামে ২টি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হলে খাদ্য মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
লক্ষ্য
দেশের সকল মানুষের জন্য নির্ভরযোগ্য খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
উদ্দেশ্য
স্পারসো
স্পারসো (Space Research and Remote Sensing Organisation-SPARRSO) মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান এবং দূর অনুধাবন প্রযুক্তি গবেষণার সঙ্গে জড়িত। একটি পরিচালনা পরিষদ স্পারসো পরিচালনা করে। মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান এই পরিষদের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-র ক্যাম্পাসে ১৯৬৮ সালে একটি অটোমেটিক পিকচার ট্রান্সমিশন-এপিটি (Automatic Picture Transmission-APT) গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ মহাকাশ প্রযুক্তির জগতে প্রবেশ করে। এই গ্রাউন্ড স্টেশনের মাধ্যমে আবহাওয়া উপগ্রহ থেকে সরাসরি প্রকৃত আবহাওয়া চিত্র লাভ করা হতো। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন-এ মহাকাশ ও বায়ুমন্ডলীয় গবেষণা কেন্দ্র-এসএআরসি (Space and Atmospheric Research Centre-SARC) স্থাপন করা হয় এবং এপিটি গ্রাউন্ড স্টেশনটিকে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়। ভূমি সম্পদ প্রযুক্তি উপগ্রহ-ইআরটিএস (Earth Resource Technology Satellite-ERTS) আবির্ভাবের পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ইআরটিএস প্রোগ্রাম নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে। ইআরটিএস-কে পরবর্তীতে ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট হিসেবে নামকরণ করা হলে বাংলাদেশের ইআরটিএস প্রোগ্রামকেও বাংলাদেশ ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট প্রোগাম-বিএলপি (Bangladesh Landsat Programme-BLP) নামে পুনর্নামকরণ করা হয়। ১৯৮০ সালে এক নির্বাহী আদেশ বলে এসএআরসি এবং বিএলপি উভয়কে একীভূত করে স্পারসো প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (সংক্ষেপেঃবিএমডি) বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত একটি সংস্থা, যা দেশে আবহাওয়া বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। আবহাওয়া উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস পদ্ধতির মান-উন্নয়নসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য অধিকতর নির্ভুল তথ্য প্রদান এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারসমূহের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা এবং রাডার, উপগ্রহ কেন্দ্র ও কৃষি আবহাওয়া-সংক্রান্ত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক কৃষি-ব্যবস্থাপনার বিকাশে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে থাকে।
ইতিহাস
১৮৬৭ সালে সর্বপ্রথম দেশের আবহাওয়া কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরায় একটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তিতে ১৯৪৭ সালে এ সংস্থাটি নাম পরবর্তন করে পাকিস্তান আবহাওয়া সার্ভিস করা হয় এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার পর এটি বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ হয়ে ওঠে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ