যেসব পদার্থ জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন দেয় তাদের এসিড বলা হয়।এগুলো নীল লিটমাসকে লাল করে।এসিড চিহ্নিতকরণে বিভিন্ন নির্দেশক ব্যবহার করা হয়।এদের মধ্যে ব্রোমোফেলনল একটি, যা অম্লীয় মাধ্যমে হলুদ বর্ণ প্রদর্শন করে।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্নভাবে এসিডের সান্নিধ্যে আসি। যেমন, সফট ড্রিংকসগুলো (কার্বনিক এসিড), লেবু বা কমলা (সাইট্রিক এসিড), তেঁতুলে (টারটারিক এসিড), ভিনেগার(ইথানয়িক এসিড),ব্যাটারি (সালফিউরিক এসিড) গয়না তৈরি( নাইট্রিক এসিড ব্যবহার),আমলকি( অক্সালিক এসিড ),দুধে (ল্যাকট্রিক এসিড),আঙুর ( টারটারিক এসিড) ,টমেটো(ম্যালিক এসিড) । এছাড়া খাদ্য পরিপাকে,ভিটামিন সি এর চাহিদা মেটাতে এবং রোগ প্রতিরোধে এটি সহায়তা আমাদের করে ।
যে সকল পদার্থ এসিডকে প্রশমিত করে এর বৈশিষ্ট্যসূচক ধর্ম বিলুপ্ত করে তাদের ক্ষার বলা হয়।ক্ষার কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।যেমন- এটি পানিতে হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন করে। তাই ক্ষারের জলীয় দ্রবণ বিদ্যুৎ পরিবহন করে।আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে বেকিং সোডা ব্যবহার করি তাও এক প্রকার ক্ষার।কেক ফোলাতে এবং পাকস্থলির এসিডিটি কমাতে এটি ব্যবহার করা হয়।
কোন দ্রবণ ক্ষারীয় না অম্লীয় তা দ্রবণের pH থেকে বুঝা যায়।কেননা ক্ষারীয় মাধ্যমের pH ৭ এর বেশি হয়।অম্লীয় মাধ্যমের pH ৭ এর কম হয়।আবার নিরপেক্ষ মাধ্যমের pH ৭ হয়। এছাড়া ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন রকম লবণের ব্যবহার করি।যেমন আমরা খাদ্যে সোডিয়াম ক্লোরাইড লবণ ব্যবহার করি।এটি পানিতে দ্রবীভূত হয়।আবার কিছু লবণ আছে যা পানিতে দ্রবীভূত হয় না যেমন-ক্যালসিয়াম কার্বনেট।অ্যামোনিয়াম সালফেটও এক প্রকার লবণ বংলায় যা ফিটকিরি নামে পরিচিত।আবার পাকা কলায় যে অ্যামাইল অ্যাসিটেট থাকে তাও এক প্রকার লবণ।
প্রশমন বিক্রিয়া : এই বিক্রিয়াকে এসিড-ক্ষার বিক্রিয়া বলা হয়। এসিডের জলীয় দ্রবণের কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন, এই দ্রবণে ভেজা লাল লিটমাস কাগজ প্রবেশ করালে নীলবর্ণে পরিণত হয়। দ্রবণের pH 7 -এর কম থাকে। অনুরূপভাবে ক্ষারের জলীয় দ্রবণের কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন, এই দ্রবণে ভেজা নীল লিটমাস কাগজ প্রবেশ করালে লালবর্ণে পরিণত হয়। দ্রবণের pH 7-এর বেশি থাকে। এসিড ও ক্ষারের জলীয় দ্রবণকে একত্রে মিশ্রিত করলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
এসিড + ক্ষার লবণ + পানি
জলীয় দ্রবণে এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন হওয়ার সময় দ্রবণের pH 7 -এর নিকটবর্তী হয়। প্রশমন বিক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে pH -এর মান 7 হয়।
সংযোজন বিক্রিয়াঃযে বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগ যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ তৈরি করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলা হয়।আর সংযোজন বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌল যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ তৈরি করলে তাকে সংশ্লেষন বিক্রিয়া বলা হয়।যেমন-হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়।যা একটি সংশ্লেষন বিক্রিয়ার উদাহরণ।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ