ড্রাই সেল একধরনের গ্যালভানিক কোষ । প্রচলিতভাবে ড্রাই সেলকে আমরা ব্যাটারী বলে থাকি । ড্রাই সেলের মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা হয় ।সেলের ব্যবচ্ছেদ করলে আমরা দেখতে পাই,এর এর কেন্দ্রে কার্বন দন্ড,তার উপর ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইডের আবরণ,এর পর পানি দিয়ে তৈরি স্টার্চ,অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও জিংক ক্লোরাইডের ঘন কাইএবং সর্ববাইরে ধাতব জিংকের কাই দেখতে পাই। সর্বাধিক পরিচিত ড্রাই সেল হলো - লেকলেন্স সেল । আমরা ড্রাইসেল সাধারনত টর্চ জ্বালাতে , রেডিও বাজাতে, টিভির রিমোট চালাতে, বাচ্চাদের খেলনা চালাতে প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করি । গ্যালভানিক কোষের ন্যায় ড্রাই সেলও আ্যনোড ও ক্যাথোড দ্বারা গঠিত । তফাৎ হলো ড্রাই সেল গঠনে কোন তরল তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রব থাকে না ।
পানির অণু ২টি হাইড্রোজেন ও একটি অক্সিজেন মৌলের পরমাণু দ্বারা গঠিত ।
পানির অণুকে ভাঙলে বিপরীত বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস ও অক্সিজেন গ্যাস পাওয়া যায় ।
তড়িৎ রাসায়নিক কোষের মাথ্যমে পানিকে ভাঙা যায় । সাধারণত ধাতব প্লাটিনামের পাত আ্যনোড ও ক্যাথোড হিসাবে ব্যবহৃত হয় ।
তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আকরিক থেকে বিভিন্ন ধাতু যেমন - সোডিয়াম, আ্যলুমিনিয়াম, তামা, দস্তা, লোহা, সীসা ইত্যাদি নিষ্কাশন করা হয় । আধুনিক বিশ্বে এসব ধাতুর ব্যবহার অপরিসীম । লোহার বাণিজ্যিক ব্যবহার সবখানেই বিস্তৃত । তামা দিয়ে তৈরী বৈদ্যুতিক তার বহুল ব্যবহৃত হয় । স্বল্প বিদ্যুৎরোধী হওয়ার জন্য তামার তার বাণিজ্যিক ভাবে বেশ সমাদৃত । আ্যলুমিনিয়াম ধাতু ওজনে হালকা হওয়ায় বিমান তৈরীতে ব্যবহৃত হয় । তাছাড়া রান্না বান্নার জন্য ব্যবহৃত হাড়ি-পাতিল আ্যলুমিনিয়াম দিয়ে তৈরী ।
বাণিজিকভাবে ইলেক্ট্রোপ্লেটিং এর মাধ্যমে লোহার উপর অন্য ধাতুর বিশেষ করে দস্তা ও ম্যাগনেসিয়াম এর মরিচারোধী প্রলেপ দেওয়া হয় । এতে লোহার স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায় । ইলেক্ট্রোপ্লেটিং এর মা্ধ্যমে কোনো ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ দিলে তা অত্যন্ত মসৃণ হয় । সহজলভ্য কোনো ধাতুর উপর অন্য মূল্যবান ধাতুর প্রলেপ দিয়ে আকর্ষণীয় অলংকার তৈরী করা হয় । যেমন- রূপার তৈরি অলংকারের উপর সোনার প্রলেপ দিয়ে অলংকারের উজ্জল্য বৃদ্ধি করা হয় ।লোহার উপর দস্তা/জিঙ্কের প্রলেপ দেয়াকে গেলভানাইজিং বলা হয়।এই প্রকৃয়ায় লোহাকে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করা হয়।
পানির তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে উৎপন্ন হাইড্রোজেন গ্যাস মূল্যবান ও পরিবেশবান্ধব গ্বালানি । হাইড্রোজেনকে পোড়ালে পরিবেশের জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও তাপ উৎপন্ন হয় । সমুদ্রের তড়িৎ বিশ্লেষণে প্রাপ্ত ক্লোরিন গ্যাস জীবাণুনাশক হীসাবে ব্যবহার করা হয় এবং বিভিন্ন কারখানার কাঁচামাল হিসাবে সোডিয়অম হাইড্রক্সাইড ক্ষার প্রচুর ব্যবহৃত হয় ।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ