ভৌত বিজ্ঞানের উন্নয়নে বিজ্ঞানীদের অবদান
থেলিস(খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৮-৫৬৯ ) সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত ভবিষৎবাণীর জন্য বিখ্যাত। তিনি লোডস্টোনের চৌম্বকধর্ম সম্পর্কে জানতেন।
পিথাগোরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৫২৭-৪৯৭ ) বিভিন্ন জ্যামিতিক উপপাদ্য ছাড়াও কম্পমান তারের উপর তাঁর কাজ রয়েছে। বর্তমান বাদ্যযন্ত্র এবং সংগীত বিষয়ক অগ্রগতির পিছনে তাঁর অবদান আছে।
গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬০-৩৭০) পরমাণু সম্পর্কে প্রথমে ধারণা দেন।
গ্রিক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস(খ্রিষ্টপূর্ব ২৮৭-২১২ ) লিভারের নীতি ও তরলে নিমজ্জিত বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল ঊর্ধ্বমুখী বলের সূত্র আবিষ্কার করে ধাতুর ভেজাল নির্ণয়ে সক্ষম হন। তিনি গোলীয় দর্পণের সাহায্যে সূর্যের রশ্মি কেন্দ্রীভূত করে আগুন ধরানোর কৌশল জানতেন।
আলোক তত্ত্বের উপর ইবনে আল হাইথাম(৯৬৫-১০৩৯) এবং আল হাজেন(৯৬৫-১০৩৮) এর অবদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। টলেমী(১২৭-১৫১) ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন যে কোন বস্তু দেখার জন্য চোখ নিজে আলোক রশ্মি পাঠায়। আল হাজেন এই মতের বিরোধিতা করেন এবং বলেন যে বস্তু থেকে চোখে আলো আসে বলেই আমরা বস্তু দেখতে পাই। আতশি কাজ নিয়ে পরীক্ষা তাকে উত্তল লেন্সের আধুনিকতত্ত্বের কাছাকাছি নিয়ে আসে।
আল মাসুদী(৮৯৬-৯৫৬) প্রকৃতির ইতিহাস সম্পর্কে একটি এনসাইক্লোপিডিয়া লেখেন। এই বইয়ে বায়ুকলের উল্লেখ পাওয়া যায়।
রজার বেকন(১২১৪-১২৯৪) পরীক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রবক্তা। তাঁর মতে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমেই বিজ্ঞানের সব সত্য যাচাই করা উচিত।
লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি(১৪৫২-১৫১৯) পাখি ওড়া পর্যবেক্ষণ করে উড়োজাহাজের একটি মডেল তৈরি করেছিলেন। তিনি মূলত চিত্রশিল্পি হলেও বলবিদ্যা সম্পর্কে তাঁর উল্লেখযোগ্য জ্ঞান ছিল। ফলে তিনি বহু যন্ত্র দক্ষতার সাথে উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন।
ডা গিলবার্ট(১৫৪০-১৬০৩) চুম্বকত্ব নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা এবং তত্ত্ব প্রদানের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
জার্মানির স্নেল(১৫৯১-১৬২৬) আলোর প্রতিসরণের সূত্র আবিষ্কার করেন।
হাইগেন(১৬২৬-১৬৯৫) দোলকীয় গতি পর্যালোচনা করে ঘড়ির যান্ত্রিক কৌশলের বিকাশ ঘটান এবং আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন।
রবার্ট হুক(১৬৩৫-১৭০৩) পদার্থের স্থিতিস্থাপক ধর্মের অনুসন্ধান করেন।
বিভিন্ন গ্যাসের ধর্ম বের করার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান রবার্ট বয়েল(১৬২৭-১৬৯১)।
ভন গুয়েরিক(১৬০২-১৬৮৬) বায়ু পাম্প আবিষ্কার করেন।
রোমার(১৬৪৪-১৭১০) বৃহস্পতির একটি উপগ্রহের গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে আলোর বেগ পরিমাপ করেন।
কেপলার(১৫৭১-১৬৩০) কোপার্নিকাস যে সৌরকেন্দ্রিক তত্ত্বের ধারণা উপস্থিত করেন তাঁর গাণিতিক বর্ণনা দেন তিনটি সুত্রের সাহায্যে। কেপলার গ্রহদের প্রচলিত বৃত্তাকার কক্ষের পরিবর্তে উপবৃত্তাকার কক্ষপথের ধারণা দেন। গ্রহদের গতিপথ সম্পর্কে তাঁর গাণিতিক সূত্রগুলোর সত্যতা তিনি যাচাই করলেন টাইকোব্রাহের(১৫৪৬-১৬০১) পর্যবেক্ষণ লব্ধ তথ্যের দ্বারা।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ