ভৌত বিজ্ঞানের উন্নয়নে বিজ্ঞানীদের অবদান ২

ভৌত বিজ্ঞানের উন্নয়নে বিজ্ঞানীদের অবদান ২

আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সূচনা ঘটে ইতালির বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর(১৫৬৪-১৬৪২) হাতে। তিনি প্রথম দেখান যে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ এবং সুশৃঙ্খল ভৌত রাশির সংজ্ঞা প্রদান এবং এদের সম্পর্ক নির্ধারণ বৈজ্ঞানিক কর্মের মূল ভিত্তি। গাণিতিক তত্ত্ব নির্মাণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে সে তত্ত্বের সত্যতা যাচাইয়ের বৈজ্ঞানিক ধারার সূচনা করেন গ্যালিলিও। তিনি সরণ, গতি, ত্বরণ, সময় ইত্যাদির সংজ্ঞা প্রদান ও তাদের মধ্যের সম্পর্ক নির্ধারণ করেন। ফলে তিনি বস্তুর পতনের নিয়ম আবিষ্কার ও সৃতিবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করেন।

নিউটন(১৬৪২-১৭২৭) তাঁর বিস্ময়কর প্রতিভার সাহায্যে আবিষ্কার করেন বলবিদ্যা ও বলবিদ্যার বিখ্যাত তিনটি সূত্র এবং বিশ্বজনীন মহাকর্ষ সূত্র। আলোক, তাপ ও শব্দবিজ্ঞানেও তাঁর অবদান আছে। গণিতের নতুন শাখা ক্যালকুলাসও তাঁর আবিষ্কার।

জেমস ওয়াটের(১৭৩৬-১৮১৯) আবিস্কৃত বাষ্পীয় ইঞ্জিন শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান ওয়েরস্টেড(১৭৭৭-১৮৫১) দেখান যে তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া আছে।

মাইকেল ফ্যারাডে(১৭৯১-১৮৬৭), হেনরী (১৭৯৭-১৮৭৯) ও লেঞ্জ (১৮০৪-১৮৬৫) চৌম্বক ক্রিয়া তড়িৎপ্রবাহ উৎপাদন করে এই ঘটনা আবিষ্কার করেন। এর ফলে যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব হয়।

১৮৬৪ সালে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল(১৮৩১-১৮৭৯) দেখান যে আলোক এক প্রকার তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ। তিনি তড়িৎক্ষেত্র এবং চৌম্বকক্ষেত্রকে একীভূত করে তাড়িত চৌম্বক তত্ত্বের বিকাশ ঘটান।

১৮৮৮ সালে হেনরিখ হার্জও(১৮৫৭-১৮৯৮) একই রকম বিকিরণ উৎপাদন ও উদঘাটন করেন।

১৮৯৬ সালে মার্কনী(১৮৭৪-১৯৩৭) তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ ব্যবহার করে অধিক দূরত্বে মোর্সকোডে সংকেত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাঁর আগে বাঙালী বিজ্ঞান জগদীশ চন্দ্র বসু(১৮৫৮-১৯৩৭)  তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করেন। এভাবে বেতার যোগাযোগ জন্ম লাভ করে।

উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে রনজেন(১৮৪৫-১৯২৩) এক্স রে এবং বেকেরেল(১৮৫২-১৯০৮) ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন।

ম্যাক্স প্লাংক(১৮৫৮-১৯৪৭) আবিস্কার করেন বিকিরণ সংক্রান্ত কোয়ান্টাম তত্ত্ব।  

আলবার্ট আইনস্টাইন(১৮৭৯-১৯৫৫) প্রদান করেন আপেক্ষিক তত্ত্ব।

আর্নেস্ট রাদারফোর্ডের(১৮৭১-১৯৩৭) পরমাণু বিষয়ক নিউক্লিয় তত্ত্ব ও নীলস বোরের(১৮৮৫-১৯৬২) হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন স্তরের ধারণা পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল।

১৯৩৮ সালে অটো হান(১৮৭৯-১৯৬৮) ও স্ট্রেসম্যান(১৯০২-১৯৮০) বের করেন নিউক্লিয়াস ফিশনযোগ্য। এর ফলে জন্ম নেয় নিউক্লিয় বোমা এবং নিউক্লিয় চুল্লী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের প্রফেসর সত্যেন্দ্রনাথ বসু (১৮৯৪-১৯৭৪) তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ম্যাক্স প্লাংকের কোয়ান্টাম তত্ত্বের একটি শুদ্ধতর প্রমাণ উপস্থাপন করেন। তাঁর তত্ত্ব বোস – আইনস্টাইন সংখ্যায়ন নামে পরিচিত। তাঁর অবদানের স্বীকৃতি সরূপ এক শ্রেণীর মৌলিক কণাকে তাঁর নামানুসারে বোসন বলা হয়।

তিনজন নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী পাকিস্তানের আবদুস সালাম (১৯২৬-১৯৯৬), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেলডন গ্ল্যাশো(১৯৩২- ) এবং স্টিভেন ওয়াইনবার্গ(১৯৩৩- ) একীভূত ক্ষেত্রতত্ত্বের বেলায় মৌলিক বলগুলোকে একীকরণের ক্ষেত্রে তাড়িত দুর্বল বল আবিষ্কার করে অসামান্য অবদান রাখেন।

নোবেল বিজয়ী ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর রমন(১৮৮৮-১৯৭০) রমন প্রভাব আবিষ্কার করেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে পদার্থবিজ্ঞান যথেষ্ট অবদান রাখেন। এর ফলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিভিন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিজ্ঞানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ  অগ্রগতি মহাশুন্য অভিযান।

কৃত্রিম উপগ্রহ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দানে এবং যোগাযোগকে সহজ করে দিয়েছে।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]