নাইট্রোজেন, নাইট্রিক এসিড, ইউরিয়া

নাইট্রোজেন

নাইট্রোজেন একটি মৌল বা মৌলিক পদার্থ যার বাংলা নাম যবক্ষারজান।, এই মৌলিক পদার্থের প্রতীক N ও পারমাণবিক সংখ্যা ৭। বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন স্বাভাবিক অবস্থায় বর্ণহীন, গন্ধহীন ও স্বাদবিহীন। নাইট্রোজেন একটি নিষ্ক্রিয় ধরনের দ্বিপরমাণুক গ্যাস। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আয়তনের হিসাবে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০৯ শতাংশ।

১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে স্কটিশ পদার্থবিদ ড্যানিয়েল রাদারফোর্ড এটিকে বায়ু থেকে আলাদা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি এর নাম দেন নক্সাস এয়ার বা ফিক্সড এয়ার। রাদারফোর্ড বুঝতে পারেন যে এটি বাতাসের একটি উপাদান এবং এটি দহন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না।

বলে অনুমান করা হয়। মানুষের জানা সকল প্রাকৃতিক পদার্থ থেকে হীরা অনেক বেশি শক্ত এবং এটি দিয়ে উচ্চতম তাপমাত্রা পর্যন্ত কাজ সম্ভব। হীরাকে আদর্শ ধরে তৈরি করা Mohs Scale of mineral hardness ১-১০এ অনুযায়ী হীরার কাঠিন্য ১০। ভূ-অভ্যন্তরে প্রায় ১৪০ থেকে ১৯০ কি.মি. নিচে পৃথিবীর কেন্দ্র ও পৃথিবীর আবরণের মাঝে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের কারণে হীরা গঠিত হতে প্রায় ১ থেকে ৩.৩ বিলিয়ন বছর সময় লাগে বলে বৈজ্ঞানিকদের ধারণা। গবেষকদের মতে, সকল হীরাই পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে এমন নয়; পৃথিবীতে এমন অনেক হীরা পাওয়া গেছে যেগুলো পৃথিবীর বাইরে তৈরী।

নাইট্রিক এসিড

নাইট্রিক এসিড যার রাসায়নিক সংকেত HNO3, যা একুয়া ফর্টিস এবং স্পিরিট অফ নাইটার নামে পরিচিত, একটি সক্রিয় খনিজ এসিড। যৌগটি বিশুদ্ধ অবস্থায় বর্ণহীন, পুরাতন এসিড হলুদাভ রঙ ধারণ করে কারণ এটা ভেঙে নাইট্রোজেনের অক্সাইড এবং পানি তৈরি করে। বাণিজ্যিক ভাবে উৎপন্ন নাইট্রিক এসিডের ঘনত্ব ৬৮%। যখন নাইট্রিক এসিডের ঘনত্ব ৮৬% এর বেশী হয় তখন একে "'ধূমায়িত নাইট্রিক এসিড"' বলে। নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতির ভিত্তিতে ধূমায়িত নাইট্রিক এসিড সাদা এবং লাল দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ৯৫% এর বেশী ঘনত্বের নাইট্রিক এসিড নাইট্রেশান বিক্রিয়ার প্রধান রিএজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নাইট্রিক এসিড সাধারণত দৃঢ় জারন উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ইউরিয়া

ওলন্দাজ বিজ্ঞানী হারমান বোওরহাভ সর্বপ্রথম ১৭২৭ সালে মূত্রে বা প্রসাবে ইউরিয়া আবিষ্কার করেন। ফরাসী বিজ্ঞানী হিলাইওে রোয়েলেও ১৭৭৩ সালে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে প্রসাব থেকে ইউরিয়ার স্ফটিক আবিষ্কারের কথা দাবি করেন। এর অনেক পরে ১৮২৮ সালে জার্মান রসায়নবিদ ফেডারিক হোলার কৃত্তিম উপায়ে সিলভার ছায়েনেটের সহিত এ্যামোনিয়াম কোরাইডের বিক্রিয়া ঘটায়ে ইউরিয়া উৎপাদন করেন। অজৈব দ্রব্যের সহিত বিক্রিয়া ঘটিয়ে এটাই প্রথম জৈব উপাদান যা তিনি আবিষ্কার করেছিলেন। এজন্য তাকে জৈব রসায়নের পিতা বলা হয়ে থাকে। বসচ্ছ-মেয়সইনার ইউরিয়া উৎপাদন পদ্ধতি অনুসরণ করে বাণিজ্যিকভাবে ইউরিয়ার উৎপাদন শুরু হয় ১৯২২ সন থেকে। এ পদ্ধতিতে দু’টো প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে ইউরিয়া উৎপন্ন করা হয়। প্রথম প্রক্রিয়ায় এ্যামোনিয়ার সহিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিক্রিয়ায় এ্যামোনিয়াম কার্বামেট তৈরি হয়। দ্বিতীয় প্রক্রিয়ায় পরিক্ষয়ের মাধ্যমে এ্যামোনিয়াম কার্বামেট থেকে ইউরিয়া উৎপন্ন হয়।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]