কাঁচ হচ্ছে ভঙ্গুর, অকেলাসিত কঠিন পদার্থ যা দৃশ্যমান আলোকে স্বচ্ছ। এর বহুল ব্যবহার লক্ষ করা যায়। কাঁচের প্রধান উপাদান হচ্ছে বালি বা সিলিকা। কাঁচ তৈরি পদ্ধতিতে মূল তিনটি উপাদান প্রয়োজন হয় সেগুলি হল কোয়ার্টজ(সিলিকা), সোডা, এবং চুন। যখন এগুলির মিশ্রণকে ১২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে উত্তপ্ত করা হয়, তখন এগুলি গলতে শুরু করে এবং তৎক্ষণাৎ যদি ঠাণ্ডা করা যায় তাহলে কাঁচের জন্ম হয়।
ইট ইমারত তৈরির একটি অতি আবশ্যকীয় ও মৌলিক উপাদানবিশেষ। মাটিকে আয়তঘনক আকারের ছাঁচে ঢেলে ভিজিয়ে কাঁচা ইঁট তৈরি হয, তারপর এক রোদে শুকানো হয়। কাঁচা ইঁটকে আগুনে পোড়ালে পাকা ইঁট তৈরি হ্য়। বহু প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রোদে শুকানো বা আগুনে পোড়ানো ইট ব্যবহার হয়ে আসছে। যদিও ইট পাথরের মত দীর্ঘস্থায়ী এবং মজবুত নয়; তারপরও সহজলভ্যতা, অল্প খরচ এবং স্বল্প ওজনের জন্য এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার সর্বাধিক। ইঁট বানানোর সময় কিছু ইঁট বেশী পুড়ে যায় ও কেকের মত ফুলে উঠে এক ফোপা শক্ত কালচে খয়েরী আঁকা-বাঁকা আকৃতির ইঁট তৈরি করে, যাকে বলে ঝামা বা ঝামা ইট। ঝামা শক্ত ও এবরোখেবড়ো বলে ঘষামাজার কাজে ব্যবহৃত হয়।
সালফিউরিক এসিড একটি শক্তিশালী খনিজ এসিড বা অম্ল। কাঠামোগতভাবে এটি একটি রাসায়নিক যৌগ যার নাম হাইড্রোজেন সালফেট। এটির সংকেত H2SO4। সালফিউরিক এসিড পানিতে দ্রবণীয়। সালফিউরিক এসিড পূর্বে অয়েল অফ ভিট্রিয়ল নামে অভিহিত ছিল।
== প্রস্তুত প্রণালী == H2 + SO4 -> H2SO4 এখনে হাইড্রজেন ও সালফাইট এর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সালফিউরিক এসিড তৈরি হয়।এখানে হাইড্রজেন প্রতিস্থাপনিও বলে এটি এসিড।
আয়োডিন হচ্ছে একটি মৌলিক পদার্থ যার সংকেত I এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৫৩।এটি একটি গ্রীক শব্দ ἰοειδής ioeidēs থেকে এসেছে যার অর্থ বেগুনি বা রক্তবেগুনী।মৌল আয়োডিন বাষ্পের রঙ বেগুনি বা রক্তবেগুনী।
আয়োডিন এবং তার যৌগসমূহ প্রাথমিকভাবে পুষ্টির জন্য এবং শিল্পে এসিটিক এসিড এবং নির্দিষ্ট পলিমার উত্পাদন করতে ব্যবহার করা হয়।আয়োডিন এর অপেক্ষাকৃত উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যা, কম বিষাক্ততার এবং জৈব যৌগসমূহের সাথে সহজে সংযুক্তির কারণে এক্স-রে এর বিপরীত উপকরণ হিসাবে আধুনিক ঔষধ বিজ্ঞানে একটি অংশে পরিণত হয়েছে।আয়োডিন শুধুমাত্র একটি স্থিতিশীল আইসোটোপ আছে।আয়োডিনের কিছু সংখ্যক রেডিওআইসোটোপ চিকিৎসাবিদ্যায় ব্যবহৃত হয়।
পৃথিবীতে আয়োডিন প্রধানত পাওয়া যায় মহাসাগর এবং সমুদ্রের পানিতে দ্রবণীয় অবস্থায় আয়োডিন আয়ন I− রূপে।অন্যান হ্যালোজেনের ন্যায় মুক্ত আয়োডিন দ্বিপরমাণুক(I2)।মহাবিশ্ব তথা পৃথিবীতে আয়োডিন এর উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যা জন্য এটি একটি অপেক্ষাকৃত বিরল মৌল।তবে সমুদ্রের পানিতে উপস্থিতির জন্য এটি জীববিদ্যায়ও একটি ভূমিকা পালন করে।প্রাথমিক ভূত্বক-উপাদান হিসাবে আয়োডিনের কম প্রাচুর্য এবং বৃষ্টির পানি মাটিতে আয়োডিনের অভাব তৈরি করে যা পৃথিবীর মানুষ তথা পশুপাখির জন্য নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করে।পৃথিবীতে আয়োডিনের অভাবে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রভাবিত এবং মানষিক প্রতিবন্ধী ও বিকলাঙ্গতা রোগ সৃষ্টি করে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ