হরগোবিন্দ খোরানা

হরগোবিন্দ খোরানা

১৯৬০ সাল। আমেরিকার উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এনজাইম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর একজন নামকরা গবেষক ছিলেন খোরানা। তিনি একটা ডি.এন DNA=(Deoxyribose muclcicacid ) কে খুব ছোট ছোট করে কাটলেন। কাটবার জন্য এক রকমের এনজাইম ব্যবহার করা হয়, যার নাম নিউক্লিয়েজ। ছোট ছোট টুকরাগুলোকে বলা হয় অলিগো নিউ ক্লিও টাইড। তিনি কতগুলো অলি গো নিউ ক্লিও টাইড নিয়েছিলেন। এদের শরীরে পর পর কী নিউ ক্লিও টাইড রয়েছে, তা জানা ছিল। এদের এবার “লাইগেজ” দিয়ে জুড়ে দিলেন খোরানা। লাইগেজ হল নিউক্লিও টাইড জুড়তে পারে এমন এনজাইম। একে আবার আপন হাওয়ায় বাড়তে দিলে তৈরি হয়ে যায় একটি প্রোটিন। ঐ প্রোটিনের পরপর অ্যামিনো এসিডের পরিচয়, সিকোয়েন্স থেকে জানা যায়। এরপর কোন নিউ ক্লিওটাইড ক্রয়ী(কোডন) কোন অ্যামিনো এসিড তৈরি করছে তাও জানতে পারা যায়। কাজটা খুবই উঁচু মানের এবং তার তাৎপর্য আমাদের কাছে গভীর। ইস্ট কোষের ডি.এন.এ থেকে একটা অংশ নিয়ে খোরানা এই কাজ করেছিলেন। আগে ইস্টের একটা ছোট অংশ নিয়ে কাজ করেছিলেন খোরানা। মাথায় জেদ চাপল, ইস্টের পুরো ডি.এন.এ নিয়ে কাজ করবেন। পরে মনে হল, তাঁর এই ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করা বোধ হয় কখনই সম্ভব নয়। তাই তিনি ভাবলেন এই কাজটা যখন সাধ্যের বাইরে, ই-কোলাই নিয়ে কাজ করলে ক্ষতি কী! ই-কোলাই হল পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরিচিত ব্যাক্টেরিয়া। অণুজীব বিদ্যায় এর চেয়ে বড় গিনি পিগ আর নেই। দুনিয়া জোড়া বহু বিজ্ঞানীই ই-কোলা ছাড়া নিজেদের গবেষণার কথা কল্পনাই করতে পারে না। ই-কোলাইয়ের পুরো জিনের গঠন তখন জানা ছিল। পরীক্ষা নলে খোরানা তা একটু একটু করে তৈরি করলেন। দু’শো সাত খানা জিনের টুকরো তিনি তৈরি করলেন। এরপর তিনি এনজাইম দিয়ে জুড়লেন। piece by piece ,they built up the 207 genes of this bactcria. এই নকল জিন বসানো হল ই-কোলাইয়ের শরীরে। দেখা গেল, ই-কোলাইয়েরা নকল জিন শরীরে নিয়ে আসল জিনদের মতো সকল কাজ করছে। এ প্রায় অবিশ্বাস্য! বিজ্ঞানীরা রোমাঞ্চিত। তখন কিন্তু আমেরিকার জন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন খোরানা। সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল এম.আই.টি।

উক্ত প্রতিষ্ঠানে চব্বিশজন ডাক সাইটে গবেষক টানা নয় বছর কাজ করে এই সফলতা এনেছিলেন। গবেষক দলের মধ্যমনি ছিলেন হরগোবিন্দ খোরানা। এই কাজের উপকারিতা কি? এক কথায় বলা যাবে না। জিন মিউটেশন কথাটা আমরা শুনেছি। বাইরের নানা চাপে পড়ে অনেক সময় কিছু কিছু জিনের মাঝে মাঝে দু-একটা নিউক্লিওটাইড পালটে যায়। ফলে দেখা দিতে পারে নানা রকম ভয়ঙ্কর অসুখ। সেই ত্রুটিগুলো যদি বের করা যায়, নকল সুস্থ জিন বানিয়ে রোগের মোকাবেলা করা সম্ভব। ক্যান্সার হয় যাদের, এদের শরীরেও মিউটেশনওয়ালা জিন থাকে। খোরানার কাজ প্রয়োগ করে ক্যান্সার নির্মুক্তির কথাও হয়তো ভাবতে পারা যেতে পারে ভবিষ্যতে। সারা দুনিয়ার বিজ্ঞানীরা মনে করেন খোরানার জিন আবিষ্কার ক্যান্সারের কারণ নির্ণয় করা সহজ হবে।

Dr. khulana's studies may give us the cause of defeets of genetic and It may also become possible to know about the Cause of cancer, in the near future.

নকল জিন আবিষ্কারের জন্য ১৯৬৮ সালে নীরেন বার্ণ ও হোলির সাথে খোরানাকে নোবেল পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। কিন্তু কে এই খোরানা? কি তার পরিচয়? ১৯২২ সালে ১৯ শে জানুয়ারি তারিখে পাঞ্জাবের (বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ) রায়পুরা গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে এই মহান বিজ্ঞানী জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকাল কেটেছে নিজ গ্রামেই। তবে গ্রামে কোন স্কুল ছিল না। একমাত্র স্কুল ছিল তাও আবার নিজ গ্রাম রায়পুর থেকে বহুদূরে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা হেঁটে হেঁটে যেতে হত সেই স্কুলে। ঘর নেই, বাড়ি নেই, চেয়ার টেবিল কিছুই নেই। একটা বড় গাছতলায় বসত সেই স্কুল। He started his Education in his village school. class were held in the shade of 1945 . লাহোরের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৫ সালে তিনি রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৪৮ সালে লিভারপুলের ম্যাস্কেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দে.ঊ ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৫২ সালে একজন সুইস সংসদ সদস্যের কন্যাকে বিবাহ করেন। নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর সারা দুনিয়ায় তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জৈবিক গবেষণার উপর প্রায় তিনশত গবেষণা প্রবন্ধ রচনা করেন। ১৯৬৯ সালে ড. খোরানা ভারতে আসেন এবং ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় পুরস্কার ‘ভারত ভূষণ’ দিয়ে সম্মানিত করেন। চন্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডিএসসি ডিগ্রী দিয়ে সম্মানিত করেন। ইহা ছাড়াও ১৯৬০ সালে  Professional instutute of Canidian public service থেকে স্বর্ণপদক পুরস্কার এবং আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেন। বর্তমানেও তিনি গবেষণা করে যাচ্ছেন। তাঁর কর্মময় জীবন আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় দুঃখ-দারিদ্র্যের কাছে নতি স্বীকার না করে তুমি সত্যিকারের মানুষ হও। তখন দেখতে পাবে পায়ে জড়িয়ে আসা কাটাগুলো ফুল হয়ে হাস্‌ছে।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]