টিএসপি সারের পরিচিতিঃ টিএসপি বা ট্রিপল সুপার ফসফেট সর্বাধিক ব্যবহৃত ফসফেট সার। রক ফসফেট নামক খনিজ পদার্থের সাথে ফসফরিক এসিডের বিক্রিয়ার মাধ্যমে টিএসপি সার প্রস্তুত হয়। টিএসপি সারে নূন্যতম শতকরা ৪৬ ভাগ মোট ফসফেট (P2O2), শতকরা ৪০ ভাগ পানিতে দ্রবনীয় ফসফেট (P2O2) থাকে। রক ফসফেটের গুণগত মানের উপর ফসফেটের পরিমাণ নির্ভর করে। এ সারের রং সাধারণত ধূসর থেকে গাঢ় ধূসর এবং অম্ল স্বাদযুক্ত ঝাঁঝালো গন্ধ আছে। এ সার দানাদার এবং দানার আকার ডিম্বাকৃতি হতে গোলকার এবং সংরক্ষিত অবস্থায় সাধারণত জমাট বাঁধে না।
টিয়ার গ্যাস বা কাঁদানে গ্যাস কয়েক ধরনের রাসায়নিক যৌগের একীভূত নামকরণ। প্রকৃতপক্ষে এটি কোন গ্যাস নয়। মিহি গুড়ো পাউডার কিংবা তরলের অতি ক্ষুদ্রকণার সমষ্টি নিয়ে এ গ্যাস গঠিত। গুড়োয় ক্ষারজাতীয় রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে। এর প্রভাবে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা-যন্ত্রণার উপস্থিতি ঘটায়। সাময়িকভাবে টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চোখ অন্ধত্বের পর্যায়ে উপনীত হয়। অন্যতম রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে পরিচিত টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে মনুষ্য চক্ষুর কর্নিয়ার স্নায়ুগুলো আক্রান্ত হয়। এরফলে অঝোর ধারায় কান্না, ব্যথা, এমনকি অন্ধ হয়ে যাবারও সমূহ সম্ভাবনা থাকে। ওসি, সিএস, সিআর, সিএন বা ফিনাসিল ক্লোরাইড, ননিভ্যামাইড, ব্রোমোয়াসিটন, জাইলিল ব্রোমিড, পেঁয়াজ থেকে সংগৃহীত সাইন-প্রোপ্যানেথিয়াল-এস-অক্সাইড যৌগের সম্বন্বয়ে টিয়ার গ্যাস তৈরী করা হয়।
ক্যাটিনেশন [Catenation]:- যে ধর্মের জন্য কার্বন পরমাণুগুলি পরস্পর সমযোজী বন্ধনের (এক-বন্ধন, দ্বি-বন্ধন, ত্রি-বন্ধন) সাহায্যে পরস্পর যুক্ত হয়ে সুস্থিত কার্বন শৃঙ্খল গঠন করে, কার্বন পরমাণুর সেই বিশেষ ধর্মকে ক্যাটিনেশন বলে ।
একাধিক কার্বন পরমাণু এক-বন্ধন (-) (single bond), দ্বি-বন্ধন (=) (double bond) বা ত্রি-বন্ধন (≡) (triple bond) দ্বারা পরস্পর যুক্ত হয়ে বিভিন্ন জৈব যৌগ গঠন করতে পারে ।
[i] এক-বন্ধন (-) (singl bond):- যেমন, ইথেন অণুতে
এবং একই রূপে ইথাইল অ্যালকোহলে কার্বন-কার্বন পরমাণুর মধ্যে এক-বন্ধন সৃষ্টি হয়ছে ।
[ii] দ্বি-বন্ধন (=) (double bond):- যেমন ইথিলিন অণুতে দ্বি-বন্ধন দেখা যায় অর্থাৎ কার্বন-কার্বন পরমাণুর মধ্যে দ্বি-বন্ধন সৃষ্টি হয়ছে ।
[iii] ত্রি-বন্ধন (≡) (triple bond):- যেমন অ্যাসিটিলিন অণুতে ত্রি-বন্ধন অর্থাৎ কার্বন-কার্বন পরমাণুর মধ্যে ত্রি-বন্ধন সৃষ্টি হয়ছে । H - C ≡ C - H
কিন্তু অজৈব যৌগের মধ্যে বন্ধন আয়নীয় ও সমযোজী দুটিই হতে পারে । অজৈব যৌগ সাধারণত আয়ানীয় বন্ধন দ্বারা যুক্ত : যেমন-NaCl, KCl, MgBr2, CaCl2 ইত্যাদি । কিন্তু কিছু কিছু অজৈব যৌগ আছে যারা সমযোজ্যতার দ্বারা যুক্ত হলেও আয়োনীয় যৌগের মতো ব্যবহার করে : যেমন- NH3, HCl, H2O, CO2 ইত্যাদি ।
আকরিক হতে মূল্যবান ধাতু নিষ্কাশন করতে ধাতু-নিষ্কাশন বিদ্যা-র প্রয়োজন হয়। এতে তিনটি বিষয় রয়েছে। ১. আকরিক সংগ্রহ করা ২. ধাতু নিষ্কাশন করা ৩. অবশিষ্ট অপদ্রব্য অপসারণ করা। প্রথমে আকরিক সংগ্রহ করে তাকে গুড়ো করা হয়, যাতে করে প্রয়োজনীয় ধাতু যথাসম্ভব অপদ্রব্য থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর কাজ হল অপদ্রব্য আর ধাতুর মিশ্রণ হতে প্রয়োজনীয় ধাতুকে পৃথক করে ফেলা। এজন্য অনেক সময় এমন কিছু রাসায়নিক দ্রবণ ব্যবহার করা হয়, যাতে আকরিক চূর্ণ মেশালে তা থেকে প্রয়োজনীয় ধাতু দ্রবনে চলে যায় এবং বাকি অপদ্রব্য অদ্রবনীয় অবস্থায় তেকে যায়। এরপর দ্রবনটিকে অন্যস্থানে সরিয়ে নেবার পর তা থেকে ধাতুটি নিষ্কাশন করা হয়। এছাড়া ইলেক্টোপ্লেটিং এর মাধ্যমেও ধাতু নিষ্কাশন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় একই আকরিকে একাধিক মূল্যবান ধাতু থাকে। সেক্ষেত্রে প্রথমে একটি ধাতু নিষ্কাশনের পর যে অপদ্রব্য থেকে যায়, তা ব্যবহৃত হয় দ্বিতীয় ধাতুটি নিষ্কাশনের কাঁচামাল হিসেবে। এভাবে পরপর ধাতু নিষ্কাশন চলতে থাকে।
গাড়ির ব্যাটারিকে লেড অ্যাসিড ব্যাটারি বলে। এই ব্যাটারি তৈরি হয় প্লেট, সীসা এবং লেড অক্সাইড এর সাথে ৩৫% সালফিউরিক এসিড ও ৬৫% পানির মিশ্রন থেকে। ব্যাটারি টেস্টের জন্য হাইড্রোমিটার দিয়ে ইলেকট্রোলাইটে সালফিউরিক এসিডের পরিমাণ মাপা হয়।
লেড অ্যাসিড ব্যাটারি বলতে সীসা ও অ্যাসিড সমৃদ্ধ ব্যাটারি বোঝায়।
এ গুলো মূলত গাড়ির ব্যাটারি। গাড়ি বা ইঞ্জিন স্টার্ট করতে বেশ শক্তিশালি একটি স্টার্টিং মোটর [যাকে সেলফ বলা হয়] থাকে এটিকে ১৫-৩০ সেকেন্ড চালু রাখলেই ইঞ্জিন স্টার্ট নিয়ে নেয়, অর্থাৎ খুব অল্প সময়ের জন্য ২৫-১৫০ এমপিয়ার কারেন্ট প্রবাহের প্রয়েজন হয় ঐ সেলফ চালাতে এর পরে আর ব্যাটারির তেমন শক্তির কোন কাজ করতে হয় না বরং ইঞ্জিন এর অলটারনেটর হতে ব্যাটারি পুনরায় চার্জ হতে থাকে। এগুলোতে থাকে পাতলা প্লেট যা অনেক বেশি কারেন্ট বা এমপিয়ার তৈরি করতে পারে।
লেড অ্যাসিড ব্যাটারি ২ ধরনের: ডিপ সাইকেল ও গাড়ির ব্যাটারি। গাড়ির ব্যাটারিতে প্লেটগুলি পাতলা থাকে যাতে পৃষ্ঠ তড়িৎপ্রবাহ বেশি হয়। অন্যদিকে ডিপ সাইকেল ব্যাটারিতে দীর্ঘক্ষণ তড়িৎ সরবরাহ করার জন্য মোটা প্লেট ব্যবহার করা হয়।
আইপিএস-এ ডিপ সাইকেল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। এই ব্যাটারি পুনঃআধানীকরণযোগ্য (রিচার্জেবল) ব্যাটারি; এটি অসংখ্যবার চার্জ ও ডিসচার্জ হয়।
অন্যদিকে গাড়ির ব্যাটারি অল্প সময়ের জন্য (৩০ সেকেন্ড) উচ্চ অ্যাম্পিয়ার (৩০-১০০ অ্যামপিয়ার) মানবিশিষ্ট তড়িৎ সরবরাহ করে গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট করে দেয়; এর পর গাড়ির অলটারনেটর গাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। একই সঙ্গে গাড়ির ব্যাটারিকেও চার্জ করতে থাকে পুনরায় হাই এমপ এ ইঞ্জিন স্টার্ট করার জন্য এর ফলে গাড়ির ব্যাটারি তার শক্তির ২০% খরচ করে একাধিক বছর সার্ভিস দিতে পারে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ