কৃমি হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে ক্ষতিকর ও বৃহত্ পরজীবী ৷ এটি মানুষের দেহে বাস করে এবং শরীর থেকে খাবার গ্রহণ করে বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি করে৷ তবে শিশু কিশোরদের মাঝে কৃমির সংক্রমণ বেশি দেখা যায়৷ অবশ্য ছোট শিশু যেমন – পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত, যখন শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধই পান করে, তখন সাধারণত কৃমি হয় না৷ সাউথ এশিয়ান দেশের মানুষের সুতা কৃমি, কেঁচো ও হুক কৃমির সংক্রমণ বেশি দেখা যায় – তার মুল কারন পরিবেষ এবং জলবায়ু ।
যে সব কৃমি মানুষের খাদ্যনালীতে পরজীবী হিসেবে বাস করে সেগুলোর মধ্যে প্রধান হল—কেঁচো বা গোল কৃমি (round worm), বক্র কৃমি (hook worm), সুতো কৃমি (thread worm), চাবুক কৃমি (whip worm), ফিতে কৃমি (tape worm)।
কেঁচো বা গোল কৃমি গোল কৃমি Round worms or nematodes :
এরা সাধারণত মানুষের অন্ত্রে বসবাস করে এবং দেখতে কেঁচোর মতো এবং এই কৃমির রঙ হালকা হলুদ হয়ে থাকে যা পরিণত অবস্থায় ৬ থেকে ১৪ ইঞ্চি লম্বা হতে দেখা যায় ।
বক্র কৃমি (hook worm),ঃ- ( আমি ব্যাক্তি গত ভাবে একে রক্ত চোষা পেরাসাইট বলি )
এ জাতীয় কৃমির মুখে হুক বা বড়শির মতো চারটি দঁাত রয়েছে এবং ২ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা সবুজাভ-সাদা রঙের হয়ে থাকে৷ বক্রকৃমির ডিম মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে পরে আর্দ্র, ভেজা মাটিতে লার্ভায় পরিণত হয় এবং সংক্রমণ করার উপযুক্ত হয়৷
মাটিতে বা ঘাসে লেগে থাকা বাচ্চা কৃমি ( লার্ভা ) সাধারণত পায়ের তলার চামড়া ফুটো করে শরীরে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসে থেকে শ্বাসনালী হয়ে অন্ননালীর ক্ষুদ্রান্ত্রে এসে পূর্ণতা পায় এবং অনবরত ডিম পাড়ে৷এতে ৪-৫ দিন সময় লাগে ।
ফিতা কৃমি tape worm :
ইহা দেখতে ফিতার মতো দীর্ঘ আকারের, ৫ থেকে ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়৷ ছোট মাথার সঙ্গে অসংখ্য চেপ্টা খণ্ড (শসার বীচির মতো) একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত হয়ে এ কৃমির দেহ গঠিত হয়৷ সাধারণত পেটে একটি মাত্র ফিতাকৃমি থাকে তবে বেশিও থাকতে পারে৷ ফিতা কৃমি ক্ষুদ্রান্ত্রে ডিম পাড়ে৷ মানুষের মলের সঙ্গে বেরিয়ে ফিতাকৃমির ডিম মাটিতে পড়ে থাকে কিংবা ঘাসে লেগে থাকে৷ গরু, মহিষ, শুকর মাঠে চরার সময় এ ডিমগুলো খেলে গরু,শুকরের ও মহিষের দেহে লার্ভা প্রবেশ করে এবং সিস্ট হয়ে মাংস পেশিতে বেঁচে থাকে৷
মানুষ কে আক্রমণ করে ৬ ধরণের ফিতা কৃমি । এর মধ্যে প্রধান কারঙ্গলো হল , কম সিদ্ধ বা অর্ধ সিদ্ধ গরুর মাংস , শোয়রের মাংস এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কম সিদ্ধ মাছ থেকে এই জিবানু নস্ট না হয়ে সরা সরি ক্ষুদ্রান্ত্রে বাসা বাঁধতে দেখা যায় এবং সেখানে মাথায় থাকা দাঁত দিয়ে কৃমি অন্ত্রের দেওয়াল কামড়ে ঝোলে থাকে। । কিন্তু সবচেয়ে বিপদ জনক বা মারাত্মক শোয়রের মাংস থেকে আগত ফিতা কৃমি । ( মুলত সব ধরণের পিতা কৃমি মানুষের মল থেকে ফেলা ফিতা কৃমির লাভা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে মানুষ তা খেয়ে ও আক্রান্ত হয় ) অথবা ফিতা কৃমির লাভা বা ডিম অনেক সময় মানুষের মলের সাথে যখন বেরিয়ে যায় এবং যে কোন কারণে ঐ পানি বা তরিতরকারি ও অন্যান্য খাবার গ্রহন করে ও মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে । অন্ত্রের ফিতাকৃমি দেখতে অনেকটা শসার বিচির মতো মনে হয় যা মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে৷
লক্ষণ হিসাবে প্রথমে তেমন কিছু বুজা যায়না বা ফিতা কৃমি দ্বারা আক্রান্ত্রের অনুভব অনেক বুজতে অনেক সময় ১/২ বছর পর ও ধরা পরে ঃ- তার পর ও খুভ হালকা ভাবে যা দেখা যায় যেমনঃ- – বমি বমি ভাব–দুর্বলতা–ডায়রিয়া–পেটে ব্যথা- ক্ষুধা বা ক্ষুধামান্দ্য–ক্লান্তি–ওজন কমে যাওয়া–শরীরের ভিটামিন এবং খনিজ ঘাটতি ইত্যাদি দেখা দিয়ে থাকে । খুভ কম ক্ষেত্রে পিতা কৃমি অন্ত্রে ব্লক সহ গুরুতর জটিলতার সৃষ্টি করে.। তবে শুয়োরের মাংস ফিতাক্রিমি ডিম খুভ তাড়া তাড়ি শরীরের অন্যান্য অংশের স্থানান্তর এবং লিভার, চোখ, হৃদয়, এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে. এই সংক্রমণ জীবন হানীর হুমকি হতে পারে । এ ছাড়া ও সিস্ট হয়ে মাংস পেশিতে বেঁচে থাকা ফিতা কৃমি অনেক ধরণের জটিলতার সৃষ্টি করে বা কোন কোন সময় রক্ত প্রবাহের সাথে মস্তিষ্কে ভিতরে গিয়ে ও আক্রমণ করতে পারে , ফলে মাথাব্যথা, খিঁচুনি, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন এমনকি মৃতু্যর কারণ হতে পারে৷
সাধারণত খুভ কম ক্ষেত্রেই পিতা কৃমির ঠুকরা বাহির না হওয়া পর্যন্ত ধরা পরে কম এবং তখন চিকিৎসকরা তিন মাস পর্যন্ত পায়খানার নমুনা পরীক্ষা করে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত এর শেষ অংশ বাহির না হয় । সেই সাথে মলের ফিতা কৃমির ডিম উপস্থিতির জন্য কালচার বা স্কিন বায়োস্ককোপি পরীক্ষা করে থাকেন ।
( CBC, including differential count- Stool exam for eggs of T. solium or T. saginata, or bodies of the parasite )
ফিতার কৃমির চিকিৎসা সাধারণত praziquantel (Biltricide) গ্রোফের একটা সিঙ্গেল ডোজ ই যথেষ্ট বলে মনে করেন চিকিৎসকরা । সেই সাথে আনুসাঙ্গিক অন্যান্য অসুবিধার জন্য ব্যাবস্তা গ্রহন করা হয়ে থাকে ( যেমন রক্ত শুন্যতা, বা ভিটামিনের অভাব থাকলে তা দূর করা )
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ