সাগর প্রাণী , মশা

সাগর প্রাণী

সাগর হল লবনাক্ত জলের একটি অতি বৃহৎ জলাশয়। শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত "সাগর" বলতে বোঝায় মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বৃহৎ লবনাক্ত জলাশয়। কখনও কখনও মহাসাগর বোঝাতেই এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। আবার বিরাটাকার লবনাক্ত জলের হ্রদ বোঝাতেও "সাগর" শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উদাহরণ, কাস্পিয়ান সাগর।

এই পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের ন্যায় সাগর আর মহাসাগরের বিশাল জলরাশির বুকে বাস করছে চেনা অচেনা হাজারো প্রজাতির প্রাণী। এ সকল প্রানীদের অনেকেই স্থলে বসবাস করা প্রানীদের মত শান্ত প্রকৃতির আবার কতকগুলো হিংস্র। হিংস্রের স্বভাব হচ্ছে বর্বরতা ও বিভীষিকাময় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করা। আর শান্ত প্রকৃতির প্রাণীটি ঠিক তার উল্টো। অথচ এই সাগর - মহাসাগরে এমনও কিছু প্রাণী আছে যাদেরকে শান্ত ও কোমল প্রকৃতির প্রাণী বলে মনে হলেও অবস্থার প্রতিকূলে এরাও হয়ে উঠে ভয়ংকর এবং আত্মরক্ষা করতে সৃষ্টিকরে প্রাণঘাতী প্রতিরোধ। কখনো কখনো এদের ভয়ানক আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড ডাঙ্গার বিপজ্জনক প্রাণীর চরিত্রকেও হার মানায়। সামুদ্রিক প্রাণী বরফ আচ্ছন্ন পানিতে বেঁচে থাকে, কারণ-নিচের পানি কখনো জমাট বাঁধে না।

মশা

মশা এক প্রকারের পতঙ্গ। অধিকাংশ প্রজাতির স্ত্রীমশা স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত পান করে থাকে। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর প্রভৃতি রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে।

ম্যালেরিয়া ঃ- স্ত্রী এনোফিলিস (Anopheles) মশার মাধ্যমে ম্যলেরিয়া জীবাণু (Plasmodium Parasite) ছড়ায়। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কোন লোককে যখন মশা কামড়ায় তখন এটি নিজের মধ্যে এক ধরণের জীবাণু (Gametocytes) গ্রহণ করে এবং এই মশা পরবর্তীতে যখন অন্য কাউকে কামড়ায় তখন তার রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়ায় এবং সে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। গর্ভবতী মহিলা যদি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন তাহলে তার গর্ভের সন্তানের মধ্যেও এর জীবাণু ছড়ায়। ( আর ও বিস্তারিত জানতে হলে ম্যালেরিয়া অধ্যায়ে ক্লিক করুন )
ডেঙ্গুজ্বর (ব্রেকবোন ফিভার ) ঃ.( A. aegypti ) Flavivirus জিনের Flaviviridaeপরিবারের একটি RNA ভাইরাস। ) ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ যা -শ্রী এডিস- ( A. aegypti ) ও এল্বপিসাস ( Aedes albopictus ) মশার দ্বারা এই ডেঙ্গু ভাইরাস টি ছড়ায় । প্রায় কালো বর্ণের এই মশার সারা শরীরের বিভিন্ন অংশে রুপালি সাদা আঁশ এবং ঈষ্‌ৎ হলুদ রঙের ডোরা দাগ আছে। এই মশা আমরা শীতকালে যে ধূসর বর্ণের কিউলেক্স মশা দেখি তার তুলনায় আকারে ছোট। এডিস মশা দ্রুত বিচরনশীল। কিউলেক্স মশার তুলনায় এডিস মশা সংখ্যায় অনেক কম থাকে কিন্তু ক্ষতি করার ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশ । এডিস মশা মূলত গৃহবাসী এবং এরা দিনের বেলায় (বিশেষ করে সকাল ও বিকালের দিকে) কামড়ায়। পূর্নবয়স্ক স্ত্রী এডিস মশা যখন কোন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে (ভাইরেমিক অবস্থায়) কামড়ায় তখন ডেঙ্গু ভাইরাস মশার দেহে প্রবেশ করে। আট থেকে বার দিন ডেঙ্গু ভাইরাস মশার মধ্যে বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই সব মশারা সংক্রমন করতে সক্ষম হয় (infective) এবং যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন তারা রোগ সংক্রমন করতে থাকে। পূর্নবয়স্ক এডিস মশা একমাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। রোগ সংক্রমন-সক্ষম এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস এক মানবদেহ থেকে আরেক মানব দেহে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে সাধারনত বর্ষা প্রারম্ভে (মে – জুন) এডিস মশার সংখ্যা বাড়তে থাকে । এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোন টীকা আবিষ্কৃত হয়নি। কেবলমাত্র এডিস মশা সফলভাবে নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমেই ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে বিজ্ঞানিরা জানিয়েছেন ( বিস্থারিত জানতে হলে ডেঙ্গু জ্বরের অধ্যায়ে দেখুন )
ফাইলেরিয়াঃ

গ্রীষ্ম প্রধান দেশে এ অসুখ বেশি হয়। মূলত কিউলেক্স মশার কামড়ে ফাইলেরিয়া হয়। গোদ রোগের জীবাণুর নাম উচেরেরিয়া ব্যানক্রফটি। শুধু যে কিউলেক্স মশার কামড়েই এ অসুখ হয় তা নয়। অ্যানোফিলিস এবং এডিস মশার কামড়েও এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে।লক্ষণ : গোদ রোগে প্রথমে অল্পমাত্রার জ্বর থাকে। লিম্ফনালীতে ব্যথা থাকে এবং ফুলে যায় এবং আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। সাধারণত পা, অ-কোষ, স্তনসহ অন্যান্য অঙ্গ আক্রান্ত হয়। অনেক সময় হাতির মত বিশাল এবং হাতির চামড়ার মত হয়ে যায় বলে এ অসুখকে এলিফ্যানটিয়াসিসও বলা হয়।পরীক্ষা : রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিতভাবে এ রোগ নির্ণয় করা যায়। স্লাইডে নিয়ে জিমসা স্টেইন করলে জীবাণু দেখা যায়। তবে রক্ত রাতের বেলা নেয়া উচিত। কারণ এ সময় জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় লিম্ফ নোড পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া পিসিআর, আইসিটি, এক্সরে করা হয় ডায়াগনসিসের জন্য।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]