অ্যামিবা প্রোটোজোয়া পর্বের এককোষী মুক্তজীবী প্রাণী। অ্যামিবা এককোষী প্রাণী হলেও একটি মাত্র কোষ দিয়ে এটি যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে থাকে। এক কোষে রেচন, পুষ্টি, বৃদ্ধি, উদ্দীপনা, প্রজনন প্রভৃতি জৈবিক কার্য সম্পন্ন হয়। প্রজনন জীবের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। অ্যামিবা অযৌন প্রক্রিয়ায় বংশ বৃদ্ধি করে। অযৌন প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্যতম দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়া।
Anatomy of an amoeba.
খাদ্য গ্রহণ ও দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার জন্য অ্যামিবার মুখ নেই। এরা ক্ষণপদের মাধ্যমে বা অপর কোনো উপায়ে খাদ্য গ্রহণ করে। অ্যামিবা প্রধানত পাঁচ উপায়ে খাদ্য গ্রহণ করে। ১। সারকামভ্যালেশন ২। সারকামফুয়েন্স ৩। ইমপোর্ট ৪। ইনভ্যাজিনেশন ৫। পিনোসাইটোসিস
কীট বা পোকা বা পতঙ্গ বা কীটপতঙ্গ (Insect) হল আর্থ্রোপোডা পর্বের অন্তর্গত অমেরুদন্ডীদের একটি শ্রেণী যাদের একটি করে কাইটিনযুক্ত বহিঃকঙ্কাল, একটি তিন খন্ডের দেহ (মস্তক, ধড় ও উদর), তিন জোড়া করে সংযুক্ত পা, জটিল পুঞ্জাক্ষি, এবং এক জোড়া করে শুঙ্গ বা এ্যান্টেনা রয়েছে। এরা হল পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে সবচাইতে বৈচিত্রময় যাদের দশ লাখেরও বেশি বর্ণনাকৃত প্রজাতি রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত জানা জীবন্ত জীবকূলের অর্ধেকেরও বেশির প্রতিনিধিত্ব এরাই করে। এখন পর্যন্ত বিদ্যমান প্রজাতির সংখ্যা ৬০ লক্ষ থেকে ১ কোটির মধ্যে। এরা সম্ভবত পৃথিবীর ৯০ শতাংশেরও বেশি বিসদৃশ প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায় সব ধরণের পরিবেশেই এদেরকে পাওয়া যায়।
কীটের জীবনচক্রের মাঝে ভিন্নতা রয়েছে, কিন্তু অধিকাংশ কীটই ডিম থেকে ফুটে বের হয়। অনমনীয় বহিঃকঙ্কাল থাকার ফলে কীটের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং এর ক্রমবিকাশের সাথে বেশ কয়েকটি মোচন সংশ্লিষ্ট থাকে। অপরিণত পর্যায়ের সাথে প্রাপ্তবয়স্ক কীটের গঠন, অভ্যাস ও আবাসের মধ্যে তফাৎ থাকতে পারে এবং যেসব উপদল সম্পূর্ণ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যায় তাদের মধ্যে একটি নিষ্ক্রিয় পিউপা পর্যায় দেখা যায়। যেসব কীট অসম্পূর্ণ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যায় তাদের মাঝে পিউপা পর্যায় অনুপস্থিত থাকে, এবং প্রাপ্তবয়স্করা ক্রমাণ্বয়ে নিম্ফ পর্যায়ের মধ্য দিয়ে ক্রমবিকাশ লাভ করে। সবচাইতে বৈচিত্রময় পতঙ্গের দল সপুষ্পক উদ্ভিদের সাথে সহবিবর্তনের মাধ্যমে আবির্ভূত হয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্ক পতঙ্গ সাধারণত হাঁটা, উড়া, অথবা মাঝে মাঝে সাতারের মাধ্যমে চলাচল করে। দ্রুত অথচ স্থির চলাচলের সুবিধার জন্য অনেক কীট ত্রিপদি চলনভঙ্গি পরিগ্রহণ করে থাকে যেখানে তারা একান্তর ত্রিভূজে মাটির সাথে পা স্পর্শ করে হাঁটাহাঁটি করে। কীট হল একমাত্র অমেরুদন্ডী যারা বিবর্তনের মাধ্যমে উডডয়ন আয়ত্ব করেছে। শূক বা লার্ভার কানকো অভিযোজনের ফলে অনেক পোকা জীবনের অন্তত একটি অধ্যায়ে পানির নিচে বসবাস করে। কিছু প্রাপ্তবয়স্ক কীট জলজ এবং সাতারের জন্য অভিযোজিত। কয়েকটি প্রজাতি, যেমন ওয়াটার স্ট্রাইডার, পানির উপরিতলে হাঁটতে সক্ষম। পোকারা প্রধানত একাকী, কিন্তু কিছু কিছু, যেমন মৌমাছি, পিঁপড়া, এবং উইপোকা, সামাজিক এবং এরা বৃহৎ, সুসংগঠিত বসতিতে বসবাস করে। কতিপয় কীটে, যেমন ইয়ারউইগ বা কেন্নোপোকা, মাতৃযত্ন দেখা যায় যারা তাদের ডিম এবং বাচ্চাকে প্রহরা দেয়। পুরুষ মথেরা স্ত্রী মথের ফেরোমোনের ঘ্রাণ অনেক দূর থেকেও আঁচ করতে পারে। অন্যান্য প্রজাতিরা শব্দের মাধ্যমে যোগাযোগ করেঃ ঝিঁঝিঁ পোকারা তাদের ডানাকে একসাথে ঘসে শব্দ উৎপন্ন করে যা সঙ্গীকে আকর্ষণ করে এবং পুরুষকে বিকর্ষণ করে। জোনাকিপোকা আলোর সাহায্যে যোগাযোগ সম্পন্ন করে।
মানুষ, কিছু নির্দিষ্ট পতঙ্গকে বালাই হিসেবে বিবেচনা করে, এবং কীটনাশক ও অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা চালায়। কতিপয় পোকা প্রাণরস, পাতা ও ফল ভোজন করে শস্যের ক্ষতি করে থাকে। অল্পসংখ্যক পরজীবীয় প্রজাতি রোগসৃষ্টিকারি বা প্যাথজেনিক। কয়েক ধরণের কীটের রয়েছে জটিল বাস্তুগত ভূমিকা। যেমন, ব্লো ফ্লাই, পূতিমাংস বা ক্যারিয়ন ভক্ষণে সহায়তা করে আবার রোগও ছড়ায়। পতঙ্গ পরাগবহনকারীরা বহুসংখ্যক সপুষ্পক উদ্ভিদ প্রজাতির জীবন-চক্রের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। মানুষসহ অধিকাংশ জীবসত্তা এদের উপর কোনো না কোনোভাবে নির্ভরশীল। এসব পতঙ্গ ছাড়া জীবমন্ডলের (মানুষসহ) স্থলজ অংশ বিধ্বস্ত হয়ে যেত। অন্যান্য বহুসংখ্যক কীট পরিবেশগতভাবে উপকারি, যেমন, শিকারি পোকা এবং অল্পসংখ্যক অন্যান্য পোকা সরাসরি অর্থনৈতিক উপকার সাধন করে। রেশম পোকা এবং মৌমাছিকে যথাক্রমে রেশম এবং মধু উৎপাদনের জন্য মানুষ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে। কতিপয় সংস্কৃতিতে, নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির শূক অথবা প্রাপ্তবয়স্ক পোকা মানুষের খাদ্যের উৎস যোগায়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ