১৯৭০ সালের এই দিনে মার্কিন সিনেটরগেলর্ড নেলসন ধরিত্রী দিবসের প্রচলন করেন। পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারিভাবে দিবসটি পালন করে। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে শরতে ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। ১৯৭০ সালে এই পরিবেশ আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এনভায়রণমেন্টাল টিচ-ইন’। ওই বছর আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো সিটিতে প্রথম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ তাদের বাৎসরিক পঞ্জিকায় দিবসটিকে স্থান দেয় এবং জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে তা প্রতিপালনের জন্য উৎসাহ প্রদান করা শুরু করে। ফলে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই দিবসটি ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ নামে আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে প্রকৃতি যখন বিরূপ হয় মানুষ তখন অসহায় হয়ে পড়ে। প্রকৃতিকে কাবু করার চেষ্টা মানুষের মধ্যে অনেকদিন থেকেই। সবক্ষেত্রে সফল হয়েছে এমন কথা বলা যাবে না। আবার উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে এমনও বলা যাবে না। তেমনি একটা অবস্থায় আবার এসেছে ধরিত্রী দিবস। মানুষকে নতুন করে ভাবতে হবে আমরা প্রকৃতির সন্তান। তাই মাতৃশ্রদ্ধা যেন পায় প্রকৃতি। সিনেটর গেলর্ড নেলসন এ আন্দোলনের প্রথম সম্মেলনে প্রায় ২০ মিলিয়ন লোককে যুক্ত করেছিলেন। কিন্তু দিবস উদযাপন, সভা-সেমিনার আয়োজন, আন্দোলনে অংশগ্রহণের ফল বিশ্ববাসী কী পেয়েছে? দিনে দিনে এ ধরিত্রীর আরো বিপর্যয় হচ্ছে! বিশ্বের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি কার্বনের নিঃসরণ না কমে বরং বাড়ছে। ফলে বিপর্যয় আরো ঘনীভূত হচ্ছে। হাইতিতে ভূমিকম্পে মারা গেল দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ। তার পরপরই চিলি, ফিলিপাইন আর সবশেষ চীনে ভূমিকম্পে মারা যায় কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাপান এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এখন পরিবেশ সম্মেলনসহ বেশ কিছু সম্মেলনে মানুষ সবুজ পৃথিবীর সন্ধানে নেমেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানীর জন্য বিনিয়োগের পরিকল্পনাও উল্লেখযোগ্য। আসুন আমরা প্রত্যেকে অন্তত একটি গাছ লাগাই। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অপচয় বন্ধ করি। পরিবেশ বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধে এগিয়ে আসি। সবুজ পৃথিবীর সন্ধানে এগিয়ে আসা পণ্যসমুহ (যেমন পাটজাত দ্রব্য ইত্যাদি) ব্যবহার করি। এ বিষয়ে সরকারকে আরও সচেতন হতে হবে। আর বিশ্বের প্রতি ভালোবাসা থেকে ব্যক্তিজীবনে আমাদের অবস্থান থেকে আমরাও ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে ধরিত্রীর জন্য অবদান রাখতে পারি। এবারের ধরিত্রী দিবসে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
উল্লেখ্য যে ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে যে বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঠিক তার পাঁচ বছর পর জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ২৩ থেকে ২৭ জুন নিউইয়ার্কে দ্বিতীয় ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ