মানুষের কংকাল বিষয়ে হাজার বছরের প্রচলিত বিশ্বাস এর বিপরীতে ভেসালিয়াসের এই আবিষ্কার সারা ইউরোপে দারুণ সাড়া ফেলে দিলো। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে বক্তৃতা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেতে লাগলেন। বিভিন্ন জায়গায় দেয়া বক্তব্যে ভেসালিয়াস সেই অপরাধীর কংকাল আবিষ্কার এর বিষয়টি উল্লেখ করে বলতেন- আমি যদি গভীর রাতে কংকাল দেখে আধিভৌতিকতাকে বিশ্বাস করে ভয় পেতাম তাহলে আজ সত্যকে চিনতে পারতামনা। যদি মহান গ্যালেনকে ধ্রুবসত্য বলে বিশ্বাস করতাম তাহলে আজ জানা হতো না বৈজ্ঞানিক সত্যটি। বন্ধু ক্যালকার এর আঁকা ছবি ও নিজের পর্যবেক্ষণজাত তথ্য-উপাত্ত, নমুনা উপস্থাপন করে ভেসালিয়াস তাঁর নিজের বক্তব্যের পক্ষে একটি শক্তিশালী জনমত গড়ে তুললেন। নিখুঁত চিত্র ও বিস্তারিত তথ্যে বেশিরভাগ জনগণ নিজেদের বিশ্বাসের সাথে বৈজ্ঞানিক সত্যের পার্থক্য বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু গ্যালেনপন্থীরা নিজেদেরকে বোকা ভাবতে চাইলেন না। তাই বাড়িতে ঢিল, রাস্তায় হুমকী, মারধর ইত্যাদি সহিংস পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে ভেসালিয়াসকে বিরক্ত করতে লাগলেন। বাধ্য হয়ে মনের দুঃখে ভেসালিয়াস প্যারিস ছেড়ে ইটালিতে চলে এলেন। ইটালির একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সমস্ত ইউরোপের মধ্যে ইটালি অনেকটা উদার ও সহনশীল সমাজ তৈরি করতে পেরেছিলো। রক্ষণশীলতার বন্ধ কপাট ইটালিতে অনেকাংশেই খোলা ছিলো। সেখানকার কর্তৃপক্ষ প্রাচীন পুস্তককেই একমাত্র সত্যি কথা বলে বিশ্বাস করতে নারাজ ছিলেন বলেই মেধাবী গবেষকদের কাছে ইটালি দেশটির একটি আলাদা মর্যাদা ছিলো। পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমির অধ্যাপক পদে ভেসালিয়াস নিযুক্ত হন মাত্র ২৩ বৎসর বয়সে, ১৫৩৭ সালের ডিসেম্বর মাসে।
সরীসৃপ Reptilia শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণীর। প্রাণিজগতে এদের অবস্থান উভচর ও পাখিদের মধ্যবর্তী। কাছিম ও কাউঠা, টিকটিকি, সাপ, কুমির এবং টুয়াটারা (Sphenodon) সরীসৃপ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এরা প্রধানত চতুষ্পদী, কিন্তু সাপ ও কিছু টিকটিকি উপাঙ্গহীন। এদের ত্বকের বহির্ভাগ বহিস্ত্বকীয় অাঁশে ঢাকা, যা ত্বককে আঘাত ও শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। কাউঠায় অন্তস্ত্বকীয় অাঁশ (ত্বকের নিম্নস্তরে) সর্বাধিক বিকশিত, যেগুলি পরস্পরের সঙ্গে ও পাঁজরের সঙ্গে মিশে গিয়ে খোলসের সৃষ্টি করে। কুমির, টুয়াটারা এবং কিছু টিকটিকিরও অন্তস্ত্বকীয় অাঁশ থাকে। র্যাটল সাপের ঘর্ঘর শব্দ উৎপাদক ‘র্যাটল’ আসলে পরিবর্তিত বহিস্ত্বকীয় অাঁশ। সরীসৃপের ফুসফুস থাকে। কতগুলি কাছিম বেশি সময় পানির নিচে থাকার জন্যে গলবিলীয় শ্বসনের মাধ্যমে সম্পূরক অক্সিজেন সংগ্রহ করে। সরীসৃপের হূৎপিন্ড ৩টি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত, ব্যতিক্রম কুমির, তাদের হূৎপিন্ড চার প্রকোষ্ঠের। বহু সরীসৃপ আত্মরক্ষার্থে দুর্গন্ধ নিঃসরণ করে বা যৌন আকর্ষণার্থে সুগন্ধ ছড়ায়। একদল টিকটিকি ও কয়েক দল সাপের উপরের চোয়ালে বিষগ্রন্থি থাকে।
সম্ভবত ৩০ কোটি বছর আগে সরীসৃপের উদ্ভব ঘটেছিল। ডাইনোসরও সরীসৃপ, প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে সর্বমোট সরীসৃপ প্রজাতির সংখ্যা ১২৬। এসব সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে আছে ২ প্রজাতির কুমির, ২১ প্রজাতির কাছিম ও কাইট্টা, ১৮ প্রজাতির টিকটিকি ও ৬৭ প্রজাতির সাপ এবং সামুদ্রিক সরীসৃপের মধ্যে ১২ প্রজাতির সাপ ও ৫ প্রজাতির কাছিম। স্বাদুপানির কুমির (Crocodylus palustris) এখন আর প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা যায় না। অন্তর্দেশীয় সরীসৃপের ৫৮ প্রজাতি বিভিন্ন ধরনের হুমকির মুখে, ১২ প্রজাতি (২ কুমিরজাতীয়, ৭ কাছিম ও কাউঠা, ২ টিকটিকি ও ২ সাপ) অতি বিপন্ন, ২৪ প্রজাতি (১১ কাছিম ও কাইট্টা, ২ টিকটিকি ও ১১ সাপ) বিপন্ন এবং ২২ প্রজাতি (২ কাছিম ও কাউঠা, ৫ টিকটিকি ও ১৫ সাপ) বিপন্নপ্রায়। তথ্যাভাবে সামুদ্রিক সরীসৃপ সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে অবস্থাটি মূল্যায়ন করা যায় নি। তবে, বাংলাদেশের জলসীমায় প্রাপ্ত ৫ প্রজাতির কাছিম কেবল বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীব্যাপীই হুমকির সম্মুখীন। বাজচঞ্চু কাছিম (Hawksbill Turtle, Eretmochelys imbricata) অতি বিপন্ন এবং লগারহেড কাছিম (Loggerhead Turtle, Caretta caretta), সবুজ কাছিম (Green Turtle, Chelonia mydas), অলিভ রিডলে কাছিম (Olive Ridley Turtle, Lepidochelys olivacea), লেদারব্যাক কাছিম (Leatherback Turtle, Dermochelys coriacea) বিপন্ন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ