এই মহাবিশ্বে সূর্য ছাড়াও রয়েছে হাজার হাজার তারকা,গ্রহ,উপগ্রহ,নক্ষত্র,ধূমকেতু(যেমন-হেল-বপ ।এটি ১৯৯৫ সালে আমেরিকান জ্যোতির্বিদ এলান হেপ ও টমাস বপ কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়।) প্রভৃতি।এই সকল কিছুর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে আমাদের এই সুবিশাল এই মহাবিশ্ব।এতে রয়েছে লোহিত দানব,সোপারনোভা(মহাকাশে তারকা বিস্ফোরন।),উল্কা(ধূমকেতুর অংশবিশেষ বা কণা যা কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ঘর্ষণে জ্বলে উঠে।) ব্ল্যাক হোল,কসমিক রে,ছায়াপথ,Ursa Major(Ursa Major বলতে সপ্তর্ষিমন্ডলকে নির্দেশ করা হয়।জ্যামিতি রেখায় যুক্ত করলে প্রশ্নবোধক চিহ্নের মত দেখতে উত্তর আকাশে যে সাতটি উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখা যায় তাকে সপ্তর্ষিমন্ডল বলা হয়।),মিল্কিওয়েসহ(আমরা যে ছায়াপথে বাস করি তা মিল্কিওয়ে নামে পরিচিত।একে সুরগঙ্গা,আকাশগঙ্গা ও স্বর্গগঙ্গা নামেও অভিহিত করা হয়।এটি একটি নীহারিকামন্ডল।) আরও অনেক কিছু।আমরা যে ছায়াপথে বসবাস করি তা মিল্কিওয়ে নামে পরিচিত।একে সুরগঙ্গা,আকাশগঙ্গা ও স্বর্গগঙ্গা নামেও অভিহিত করা হয়।
বৃহদাকার তারকার হাইড্রোজেন জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে এটি লাল আকৃতির দেখায়।তখন একে লোহিত দানব বলা হয়।
সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহানুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলে সৌরজগৎ।সূর্যের চারপাশে সূর্যকে কেন্দ্র করে সকল গ্রহ আবর্তীত হয়।সর্বপ্রথম পোল্যান্ডের গনিতবিদ কোপার্নিকাস(১৪৭৩ -১৫৪৩) তার ‘অন দ্যা রিভোলিশন অব দ্যা সিলেসটিয়্যাল স্ফিয়্যার’ গ্রন্থে ‘পৃথিবী ও গ্রহগুলো সূর্যের চারপাশে ঘুরে’ মতবাদটি তুলে ধরেন। সূর্য হল সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র।এটি একপ্রকার নক্ষত্র(যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো আলো আছে তাদের নক্ষত্র বলা হয়।উল্লেখ্য, আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হচ্ছে লুব্ধক।) সৌরজগতে ৮ টি গ্রহ, ৪৯ টি উপগ্রহ, হাজার হাজার গ্রহাণুপুঞ্জ এবং লক্ষ লক্ষ ধূমকেতু রয়েছে।উল্লেখ্য, পূর্বে প্লুটোকে গ্রহ বলা হলেও ২০০৬ সালে IAU-এর সদস্যপদ বাতিল করে।IAU এর সদরদপ্তর চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে অবস্থিত।
সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ামক হল সূর্য। সূর্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়। পৃথিবী থেকে সূর্য প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর ব্যাস প্রায় ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার।পৃথিবীর আয়তনের তুলনায় সূর্যের আয়তন প্রায় ১০ লক্ষ গুণ। সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা ৫৭০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিরাট দূরত্বের জন্য সূর্যের অতি সামান্য তাপ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সূর্যের কোন কঠিন বা তরল পদার্থ নেই। শতকরা ৫৫ ভাগ হাইড্রোজেন, শতকরা ৪৪ ভাগ হিলিয়াম এবং ১ ভাগ অন্যান্য গ্যাসে সূর্য গঠিত। সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে সৌরকলঙ্ক বলে।সূর্যের অন্যান্য অংশের চেয়ে সৌরকলঙ্কের উত্তাপ কিছুটা কম। আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় সূর্যে অনবরত হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম এবং হিলিয়াম থেকে শক্তি তৈরি হচ্ছে। সূর্য প্রায় ২৫ দিনে নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তন করে এবং বৃহৎ বৃত্তাকার পথে প্রায় ২০ কোটি বছরের ব্যবধানে আপন গ্যালাক্সির চারদিকে পরিক্রমণ করে।
আমরা জানি সকল গ্রহ ও উপগ্রহসমূহ সূর্য এবং নিজেদের পারস্পরিক মহাকর্ষণ শক্তির দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে।এটি কসমিক ইয়ারে ২০ কোটি আলোকবর্ষ দূরত্ব অতিক্রম করে।সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা ১৫০০০০০০০ ডিগ্রি সে. আর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৬০০০ ডিগ্রি সে.।
বুধ সৌরজগতের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ। এর ব্যাস ৪৮৫০ কিলোমিটার এবং ওজন পৃথিবীর ৫০ ভাগের ৩ ভাগের সমান। সূর্যের চারদিক পরিক্রমণ করতে এর ৮৮ দিন সময় লাগে। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ৫.৮ কিলোমিটার । বুধের কোনো উপগ্রহ নেই । সূর্যের নিকটতম গ্রহ বলে এর তাপমাত্রা অত্যাধিক ।
সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকে শুক্রের অবস্থান দ্বিতীয় এবং এটি পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ। সূর্য থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব ১০.৮ কোটি কিলোমিটার এবং পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৪.৩ কোটি কিলোমিটার। শুক্র গ্রহটিকে সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে আমরা সন্ধ্যাতারা রূপে এবং ভোরে পূর্ব আকাশে শুকতারা রূপে দেখতে পাই। সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করতে এর সময় লাগে ২২৫ দিন। শুক্রের কোন উপগ্রহ নেই। পৃথিবীর মত শুক্রের একটি বায়ুমণ্ডল রয়েছে কিন্তু এতে অক্সিজেন নেই। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় শতকরা ৯৬ ভাগ। শুক্র নিজ অক্ষে খুবই ধীর গতিতে আবর্তন করে। ফলে শুক্রের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয় এবং অস্ত যায়। গ্রহটিতে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘন মেঘের কারণে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে। শুক্রের পৃষ্ঠে পৃথিবীর তুলনায় ৯০ গুণ বেশি বাতাসের চাপ রয়েছে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ