প্রযুক্তি, গ্রিন হাউস

প্রযুক্তি

সভ্যতার যত অগ্রগতি হচ্ছে ততই আমরা নতুন নতুন প্রযুক্তি দেখতে পাচ্ছি। সময়ের সাথে প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে ও বিকশিত হচ্ছে। আগে পৃথিবীতে জনসংখ্যা কম ছিল। মানুষ তখন কুঁড়ে ঘরে বাস করত । পায়ে হেঁটে ,গরুর গাড়ি বা ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে পথ চলত। কিন্তু এখন একসঙ্গে বহুলোক শহরে বাস করে ।তাদের চলাচলের জন্য প্রয়োজন বাস ও ট্রেন। বসবাসের জন্য প্রয়োজন বহুতল ভবন। ভেবে দেখ, বহুতল দালান তৈরির এবং বাস ও ট্রেন তৈরির প্রযুক্তি ছাড়া শহরে কি বসবাস করা সম্ভব?

 

আধুনিক সভ্যতায় সময় মেনে চলা অনেক জরুরি। ঠিক সময়ে স্কুলে যাওয়া,নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে উপস্থিত হওয়া, ট্রেন ধরতে ঠিক সময়ে স্টেশনে পৌঁছান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘড়ি উদ্ভাবিত না হলে সময় মেনে চলা সম্ভব হত না। আধুনিক অনেক প্রযুক্তির কথা বলা যেতে যা  দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে গত কয়েকশ বছরে। প্রধানত গত একশ বছরে। এর মধ্যে রয়েছে রেডিও, টেলিভিশন,টেলিফোন, কম্পিউটার, অভিনব সব কৃষিযন্ত্র, চিকিৎসাযন্ত্র ও গবেষণা যন্ত্র। প্রশ্ন করতে পার এসব নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হবার পেছনে কী কারণ কারণ কাজ করেছে? এর সহজ উত্তর হল প্রয়োজনবোধ। সমস্যা সমাধান ও পরিবেশের নিয়ন্ত্রণের  জন্য প্রেরণা কাজ করেছে, তাই বলা হয় প্রয়োজনবোধই উদ্ভাবনের উৎস।

গ্রিন হাউস

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে  কলকারখানা  ও যানবাহনে কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস  পোড়ানো হচ্ছে। এসব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। একই সাথে, বন উজাড় করে ফেলার কারণে  গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড  শোষণ করেছে কম। ফলে  বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাচ্ছে।

শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীতে গাছপালা টিকতে পারে না। সেখানে কাঁচের বা প্লাস্টিকের ঘর বানিয়ে সবুজ শাকসবজি চাষ করা হয়।  এই ঘরের বিশেষত্ব হল তাপ প্রবেশ করে বের হতে পারে না। এরকম ঘরকে গ্রিন হাউস বা সবুজ ঘর বলা হয়। কাঁচের ঘরের ভিতরে এভাবে তাপ থেকে যাওয়ার বিষয়টিকে গ্রিন হাউস প্রভাব বলে।

পৃথিবীটাকে একটি গ্রিন হাউসের মত ধরা হয়। পৃথিবীর চারিদিকে ঘিরে আসে বায়ুমন্ডল। এ বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্পসহ অন্যান্য গ্যাস। কার্বন ডাই অক্সাইড , মিথেন ও জলীয় বাষ্প গ্রীন হাউসের কাঁচের বা প্লাস্টিকের মত কাজ করে। এরা সূর্যের তাপ পৃথিবীতে আসতে কোন বাধা দেয় না। ফলে সূর্যের তাপে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়। কিন্তু এ গ্যাসগুলো উত্তপ্ত পৃথিবী থেকে তাপ চলে যেতে বাধা দেয়। ফলে পৃথিবী রাতের বেলায় গরম থাকতে পারে। এসব গ্যাসকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলে। কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন,জলীয় বাষ্প বায়ুমন্ডলে থাকা মানব সভ্যতার জন্য আশীর্বাদ।কারন এসব গ্যাস না থাকলে পৃথিবী থেকে তাপ মহাশূন্যে চলে যেত । আর পৃথিবী রাতের বেলা ভীষণ ঠান্ডা হয়ে পড়ত।

এখন প্রশ্ন হল, আশীর্বাদ আবার কীভাবে সমস্যা হল? সমস্যা হল বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি থাকায় এরা বেশি তাপ ধরে রাখতে পারছে। তাই পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারন হল পৃথিবীতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। আর কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ার প্রধান কারণ বনভূমি উজাড় করা ও জ্বালানি পোড়ানো। 

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]