এপিকালচার(Apiculture) বলতে মৌমাছি পালনকে বুঝিয়ে থাকে।মৌমাছি বা মধুমক্ষিকা বা মধুকর মধু সংগ্রহকারী একপ্রকার প্রতঙ্গবিশেষ।একে প্রকৃতির মুক্তা নামে অভিহিত করা হয়।মধু ও মোম উৎপাদন এবংফুলের পরাগায়নে এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমুকা রাখে।পৃথিবীতে ৯টি স্বীকৃত গোত্রের অধীনে প্রায় বিশ হাজার মৌমাছি প্রজাতি আছে।বাংলাদেশে সচরাচর যে মৌমাছি দেখা যায় তার বৈজ্ঞানিক নাম Apis cerana (এপিস সেরানা) এই অঞ্চলে আরো তিন প্রজাতির মৌমাছি দেখা যায় যথা এপিস মেলিফেরা, এপিস ডরসাটা ওএপিস ফ্লোরিয়া।
একটি চাকে তিন ধরণের মৌমাছি দেখা যায়-রাণী মৌমাছি,রাজা মৌমাছি ও কর্মী মৌমাছি।রাণী মৌমাছি আকারে সবচেয়ে বড়।ডিম পাড়াই এদের একমাত্র কাজ।এরা দিনে প্রায় ১৫০০ টি ডিম পাড়তে পারে।একটি চাকে কেবল একটি রানী মৌমাছি থাকে।চাকে নতুন মৌমাছি জন্মালে পুরাতন মৌমাছি তাকে হুল ফুটিয়ে মেরে ফেলে।কর্মী মৌমাছি ফুল থেকে পুষ্পসার বা নেক্টার নামক রস সংগ্রহ করে এবং পরাগায়নে সহায়তা করে।রাজ়া মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে না।একমাত্র কাজ প্রজননে অংশ নেয়া।
উপকারিতাঃ
পরাগায়ন
ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানোর সময় মৌমাছিরা তাদের পা এবং বুকের লোমের ফুলের অসংখ্য পরাগরেণু বয়ে বেড়ায়। এক ফুলের পরাগরেণু অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে পরলেপরাগায়ণ ঘটে, যার ফলশ্রুতিতে উৎপন্ন হয় ফল। এভাবে মৌমাছিরা পরাগায়ণের মাধ্যমে হিসাবে কাজ করে ফল ও ফসলের উৎপাদন বাড়ায়।
মধু ও মোম
মৌচাক হলো মৌমাছির আবাসস্থল।মৌচাকে ক্ষদ্র ক্ষুদ্র ষড়ভূজ প্রকোষ্ঠ থাকে।মৌমাছি এসব প্রকোষ্ঠে মধু সঞ্চয় করে।তাই মৌচাক থেকে আমরা মধু সংগ্রহ করতে পারি।এছাড়া আমারা প্রকৃতি থেকে যে মোম আহরণ করি তা মূলত মৌচাক থেকেই আসে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ