একটি সমন্বিত বর্তনী ( Integrated circuit) অর্ধপরিবাহী (semi conductor) উপাদানের উপরে নির্মিত অত্যন্ত ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রনিক বর্তনী। এটি মাইক্রোচিপ , সিলিকন চিপ , সিলিকন চিলতে, আইসি(IC, অর্থাৎ Integrated Circuit-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) বা কম্পিউটার চিপ নামেও পরিচিত।আমরা জানি,সিলিকনের ব্যবহার ইলেক্ট্রনিক্স শিল্পে সবচেয়ে বেশি।বিভিন্ন ইলেক্টনিক্স ডিভাইসে সিলিকন ব্যবহার করা হয়।আর এক্ষেত্রে আইসি একটি উজ্জ্বল উদাহারণ।
সমন্বিত বর্তনী মনোলিথিক বা এক-ঔপাদানিক এবং হাইব্রিড বা সংকর হতে পারে। একটি হাইব্রিড আইসি হল সার্কিট বোর্ডের উপরে ভিন্ন ভিন্ন অর্ধপরিবাহী বস্তু ও প্যাসিভ উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রনিক সার্কিট।
প্রকারভেদঃ
সমন্বিত বর্তনীর সমন্বয় ক্ষমতা অনুযায়ী চার ভাগে ভাগ করা হয়:-
১ ক্ষুদ্র মাপের সমন্বিত বর্তনী (Small scale integration) : এতে প্রতিটি চিপে ৫০-এর কমসংখ্যক উপাদান থাকে।
২ মাঝারি মাপের সমন্বিত বর্তনী (Medium scale integration) : এতে প্রতিটি চিপে ৫০ হতে ৫০০-র মত উপাদান থাকে।
৩ বৃহৎ মাপের সমন্বিত বর্তনী (Large scale integration): এতে প্রতিটি চিপে ৫শ' থেকে ৩ লক্ষের মত উপাদান থাকে।
৪ অতিবৃহৎ মাপের সমন্বিত বর্তনী (Very large scale integration) : এতে প্রতিটি চিপে ৩ লক্ষের বেশি উপাদান থাকে।
সুবিধাঃ
১ এর সাহায্যে তৈরি বর্তনী আকারে বহুগুণ ছোট হয়।
২ ওজনে হালকা।
৩ একসাথে অনেকগুলো চিপ তৈরি হয় বলে মূল্য খুবই কম।
৪ কম বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
আধুনিক কম্পিউটারের দ্রুত অগ্রগতির মূলে ইনট্রিগ্রেটেড সার্কিট।এটি দিয়েই প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার IBM system 360 প্রস্তুত করা হয়।বর্তমানে প্রায় সব ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে আইসি ব্যাবহৃত হয়।যেমন-কম্পিউটার,টিভি,কৃত্তিম উপগ্রহ, VSAT(ভূপৃষ্ঠ থেকে সেটেলাইটে যোগাযোগ করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।) ইত্যাদি।এছাড়া,এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ক্যালকুলেটরে বা ডিজিটাল ঘড়িতে কালচে অনুজ্জ্বল লেখা ফুটিয়ে তুলা হয়।১৯৭০ সালে মাইক্রোমা এলইডি ঘড়িতে সর্বপ্রথম এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। মূলত বর্তমান বিশ্বে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের যে বিপ্লব সাধিত হয়েছে আইসি আবিষ্কার না হলে তা সম্ভব হত না।
ট্রানজিস্টর (Transistor) একটি অর্ধপরিবাহী কৌশল যা সাধারণত অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।ট্রানজিস্টর প্রস্তুতিতে সেমিকন্ডাক্টর অর্থাৎ অর্ধপরিবাহী প্রয়োজন হয়।এক্ষেত্রে সিলিকন ও জার্মেনিয়াম ব্যবহার করা হয়।১৯৪৮ সালে জ়ে ডব্লিউ ও ডব্লিউ এইচ ব্রাটেইন ট্রানজিস্টর আবিষ্কার করেন।আর এর ফলে ইলেক্ট্রনিক্সের বিপ্লব শুরু হয়।কেননা, কম্পিউটার, সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সঠিক সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্য সাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজিটাল বা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।নির্দিষ্ট ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার(বিবর্ধক),সুইচ,ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক,সংকেত উপযোজন ও ওসিলেটর।আলাদা আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করা যায় আবার সমন্বিত বর্তনীর অভ্যন্তরে অতি ক্ষুদ্র স্থানে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সংযুক্ত করা যায়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ