কম্পাঙ্ক
প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে। কম্পাঙ্কের একক হার্জ (Hz)। স্পন্দনশীল কোনো কণা এক সেকেন্ডে একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন করলে তার কম্পাঙ্ককে ১ Hz বলে। একে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়। কম্পাঙ্ক ও পর্যায়কালের সম্পর্ক হলো: f=1/T
শব্দের বেগ
শব্দ একধরনের তরঙ্গ বিশেষ, যা বস্তুর কম্পনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয় এবং জড় মাধ্যমের সাহায্যে প্রবাহিত হয়ে আমাদের কানে পৌঁছায়। শব্দ প্রতি সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে শব্দের বেগ বলে। কোন শব্দায়মান বস্তু হইতে শ্রোতার কানে শব্দ পৌছাতে কিছু সময় লাগে।
প্রকৄত পক্ষে আলোক তরঙ্গের বেগের তুলনায় শব্দ তরঙ্গের বেগ অনেক কম। শুন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক বায়ুচাপে শব্দের বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩৩২ মিটার। তাপমাত্রা বাড়লে শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়। প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য শব্দের বেগ ০.৬ মিটার/সেকেন্ড বৃদ্ধি পায়। কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ বাতাসের থেকে ১৫ গুন বেশী। বায়ুশুন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য। স্বাভাবিক অবস্থায় লোহাতে শব্দের বেগ ৫২২১ মিটার/ সেকেন্ড।
শ্রাব্যতার সীমা ও এদের ব্যবহার
আমাদের কানে যে শব্দ শোনা যায় তার কম্পাঙ্কের সীমা হলো ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz। কম্পাঙ্কের এই পালাকে শ্রাব্যতার পাল্লা বলে। যদি কম্পাঙ্ক ২০ Hz এর কম হয় তবে তাকে শব্দেতর কম্পন বলে। যদি কম্পাঙ্ক ২০,০০০Hz এর বেশি হয় তবে তাকে শব্দোত্তর
কম্পন বলে।
মানুষের দেহের অভ্যন্তরীণ ছবি এক্স-রে দ্বারা যেমন তোলা যায় তেমন শব্দোত্তর কম্পনের শব্দের সাহায্যে ছবি তুলে রোগ নির্ণয় করা যায়। এই প্রক্রিয়ার নাম আল্ট্রাসনোগ্রফি। শব্দকে দেহ অভ্যন্তরে প্রেরণ করা হয় এবং প্রতিফলিত শব্দ শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত করে টেলিভিশনের পর্দায় ফেলে রোগ সনাক্ত করা যায়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ