মহাসাগর ,

মহাসাগর

প্রশান্ত মহাসাগর

প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর।এটি  দেখতে অনেকটা বৃহদাকার ত্রিভূজের মত। এর দক্ষিণে অ্যান্টার্কটিকা পর্যন্ত বিস্তৃত; পশ্চিমে এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া ঘেরা; এবং এর পূর্বে রয়েছে দুই আমেরিকা মহাদেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের আয়তন ১৬৯.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার (৬৫.৩ মিলিয়ন বর্গমাইল), যা পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রায় ৩২শতাংশ, সমস্ত জলভাগের ৪৬% এবং পৃথিবীর সমস্ত ভূমি পৃষ্ঠের চেয়ে আয়তনে বেশি। ভু-মধ্যরেখা একে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ভাগ করেছে। মারিয়ানা ট্রেঞ্চ প্রশান্ত মহাসাগরের এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম এলাকা। এর গভীরতা প্রায় ১০ হাজার ৯১১ মিটার। তুলনা করলে এর গভীরতা মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার চেয়ে বেশি। নাম প্রশান্ত হলেও বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ আগ্নেয়গিরি এই মহাসাগরে অবস্থিত। গ্রেট বেরিয়ার রিফ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরাল রিফ, যা প্রশান্ত মহাসাগরের অন্তর্গত।ঢাকার প্রতিপাদ স্থান চিলির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। 

 

ভারত মহাসাগর 

মহাসাগর হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। পৃথিবীর মোট জলভাগের ২০ শতাংশ এই মহাসাগর অধিকার করে আছে। এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা; পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া; এবং দক্ষিণে রয়েছে দক্ষিণ মহাসাগর (সংজ্ঞান্তরে অ্যান্টার্কটিকা)।  ভারত মহাসাগরই একমাত্র মহাসাগর যেটির নামকরণ কোনো দেশের  নামানুসারে হয়েছে।

আটলান্টিক মহাসাগর 

আটলান্টিক  মহাসাগর বা অতলান্ত মহাসাগর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এর আয়তন ১০৬.৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার (৪১.১ মিলিয়ন বর্গমাইল); এটি পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রায় এক পঞ্চমাংশ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ এবং পূর্বে ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ অবস্থিত।এর উত্তরে উত্তর মহাসাগর ও দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগর অবস্থিত।উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের প্রান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্রোত প্রবাহের ফলে পানির আবর্তের মধ্যে কোন স্রোত থাকে না।স্রোতহীন এই পানিতে ভাসমান আগাছা ও শৈবাল সঞ্চিত হয়।তাই একে শৈবাল সাগর বলা হয়।   

উত্তর মহাসাগর 

উত্তর গোলার্ধের সুমেরু  অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর । এটি পৃথিবীর পাঁচটি প্রধান মহাসাগরের অন্যতম।ইন্টার্নেশনাল হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশন (আইএইচও) এটিকে মহাসাগরের স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে কোনো কোনো সমুদ্রবিদ এটিকে সুমেরু ভূমধ্যসাগর (Arctic Mediterranean Sea) বা সুমেরু সাগর (Arctic Sea)। তাঁদের মতে এটি আটলান্টিক মহাসাগরের একটি ভূমধ্যসাগর। 

উত্তর মহাসাগরের প্রায় সমগ্র অংশই ইউরেশিয়া ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশ দ্বারা বেষ্টিত। বছরের অধিকাংশ সময় এই মহাসাগরের অংশ বিশেষ সামুদ্রিক বরফে  ঢাকা থাকে।শীতকালে সম্পূর্ণ মহাসাগরটিই বরফে ঢাকা পড়ে যায়। উত্তর মহাসাগরের তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা ঋতু অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। সমুদ্রের বরফের আবরণীর গলন ও জমাট বাঁধার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। পাঁচটি প্রধান মহাসাগরের তুলনায় এই মহাসাগরের জলের লবণাক্ততা কম। এর কারণ, বাষ্পীভবনের নিম্ন হার, বিভিন্ন বড়ো ও ছোটো নদী থেকে এসে মেশা মিষ্টি জলের প্রবাহ এবং পার্শ্ববর্তী উচ্চ লবণাক্ততাযুক্ত মহাসাগরগুলির সঙ্গে সীমাবদ্ধ সংযোগ ও বহির্গমন স্রোত। গ্রীষ্মকালে প্রায় ৫০% বরফ গলে যায়।

দক্ষিণ মহাসাগর 

দক্ষিণ মহাসাগর  বা অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর হল পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষিণের জলরাশি যার অবস্থান অক্ষাংশ ৬০° দক্ষিণ।ইন্টার্নেশনাল হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশন (আইএইচও) অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে বিশাল জলরাশিকে দক্ষিণ মহাসাগর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

অনেক সময় আমরা ডেড সি নামটি শুনে থাকি।নামে 'সি' শব্দটি থাকলেও এটি কোন সাগর নয়।এটি  একটি লবণ হ্রদ,যা ইসরাইল,জর্দান ও পশ্চিম তীরের সীমান্তে অবস্থিত।এছাড়া বারিমন্ডলের ক্ষেত্রে হিমবাহ শব্দটি গুরুত্ব বহন করে।বিশাল আকারের চলন্ত বরফ খণ্ডকে 'হিমবাহ' বলা হয়।এ রকম একটি হিমহাহের সাথে ধাক্কা খেয়েই ১৯১২ সালে টাইটানিক জাহাজ সাগর গর্বে নিমজ্জিত হয়। 

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]