যে খাদ্যের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান পরিমাণমত বর্তমান থাকে, তাকেই এক কথায় সুষম খাদ্য (Balance diet) বলা হয়। অর্থাৎ মানবদেহের প্রয়োজণীয় ও পরিমাণমত ছয়টি উপাদানযুক্ত খাবারকেই সুষম খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। সুষম খাদ্য দেহের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের যোগান দেয়। এটা ব্যক্তির দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অভাব মেটায়। তাই প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের বয়স, চাহিদা ও পরিশ্রম অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। সুষম খাদ্যের মধ্যে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ছয়টি খাদ্য উপাদান যেমনঃ আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি বিদ্যমান থাকে। এ সুষম খাদ্যের মাধ্যমে দেহের ক্ষয়পূরণ, বুদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়ে থাকে।এতে শর্করা,আমিষ ও স্নেহের অনুপাত হল ৪ঃ১ঃ১।
কার্বন,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন সমন্বয়ে গঠিত খাবার উপযুগী দানাদার শষ্যকে শর্করা জাতীয় খাবার বলা হয়ে থাকে।এতে এদের অনুপাত ১ঃ২ঃ১।প্রতি গ্রাম সগর্করা জাতীয় খাবার থেকে ৪ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
ডাল জাতীয় খাবার শর্করাবহুল। মসুর ডালে ৫৫ ভাগ, ছোলা ডালে ৫৪ ভাগ,মটরে ৫৮.৫ ও খেসারীর ডালে ৪৬ ভাগ শর্করা পাওয়া যায়।
শর্করার কাজ
১ জীবদেহের শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে।
২ উদ্ভিদের সাপোর্টিং টিস্যুর গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
৩ উদ্ভিদের দেহ গঠনকারী পদার্থগুলোর কার্বন কাঠামো প্রদান করে।
৪ হাড়ের সন্ধিস্থলে লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে।
৫ উদ্ভিদের ফুলে ও দলে মধু এবং কাণ্ড ও মূলে সুক্রোজ থাকে।
৬ উদ্ভিদে অল্প পরিমাণে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ সঞ্চিত খাদ্য হিসেবে থাকে।
বাংলাদেশ মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।আর এর অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালে পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।গঠন করা হয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর (যার প্রধান একজন মহাপরিচালক) এবং জাতীয় জনসংখ্যা কাউন্সিল(যার প্রধান প্রধানমন্ত্রী)।১৯৭৬ সালে গৃহীত হয় জাতীয় জনসংখ্যা নীতি।যার স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে- দুটি সন্তানের বেশি নয়,একটি হলে ভাল হয়।এছাড়া শিশুদের রোগ প্রতিরুধে ১৯৯৫ সালে গ্রহন করা হয়েছিল বিনামূল্যে জাতীয় টিকা দিবস কর্মসূচি।এ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে বিনামূল্যে শিশুদের ৯ টি টিকা প্রদান করা হয়।এছাড়া নবজাতকের ধনুষ্টংকার রোগ হওয়ার আশংঙ্কা রোধ করতে গর্ভাবস্থায় মায়েদের টিটি টিকা দেয়া হয়।
এছাড়া স্বাস্থ্য সেবাকে জনপ্রিয় করতে বেছে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন লোগো ও প্রতীক।যেমন- সবুজ ছাতাকে বেছে নেয়া হয়েছে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুবিধার প্রচারাভিযান লোগো হিসেবে এবং রংধনুকে চিহ্নিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য সেবার প্রতীক হিসেবে।মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশে ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।যেখানে ইংল্যান্ডে মেয়েদের ১৬ বছরের আগে বিয়ে নিষিদ্ধ।সেখানে বাংলাদেশের আইন নিশন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।তবে,স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু খরচের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে।কেননা, মালদ্বীপে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু খরচ ৩৫৫ ডলার(যা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ)।ভুটানে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু খরচ ৯১ ডলার।সেখানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু খরচ মাত্র ২১ ডলার।তাই,স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বাড়িয়ে দেশের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও আন্তরিক হতে হবে।
ছত্রাক হল এককোষী বা বহুকোষী সুকেন্দ্রিক জীব, যারা অসবুজ ।আর তাই সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে শর্করা তৈরি করতে পারে না।এদের দৃঢ় কোষ প্রাচীর আছে।যেমন-ব্যাঙের ছাতা।
আকৃতি
বহুকোষী ছত্রাক অসংখ্য সরু সরু সুতোর মত অংশ নিয়ে গঠিত। এগুলিকে Hypha বলে। এগুলি একত্রিত হয়ে Mycelium গঠন করে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
পেনিসিলিনসহ বহু মূল্যবান ঔষধ ছত্রাক থেকে থেকে তৈরি করা হয়।পাউরুটি তৈরিতে ইস্ট নামক ছত্রাক ব্যবহার করা হয়।ইস্ট ভিটামিন সমৃদ্ধ বলে ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।এগারিকাস নামক একধরণের মাশরুম সৌখিন খাদ্য বলে বিবেচিত।বর্তমানে বাংলাদেশদেশসহ বহু দেশে চাষ করা হয়।আবর্জনা পচিয়ে মাটিতে মেশাতে ছত্রাকের ভূমিক রয়েছে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ