ম্যালেরিয়া(malaria) ইতালিয়ান শব্দ। mala অর্থ খারাপ এবং ariaঅর্থ বাতাস। সুতরাং ম্যালেরিয়া অর্থ খারাপ বাতাস।এটি মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের একটি মশা বাহিত সংক্রামক রোগ, যার মূলে রয়েছে প্লাসমোডিয়াম গোত্রের প্রোটিস্ট(এক ধরণের অণুজীব)।এটি Apicomplexa পর্বের অন্তর্ভূক্ত। এটি একটি সংক্রমিত স্ত্রী মশার (অ্যানোফিলিস মশকীর) কামড়ের মাধ্যমে শুরু হয় এবং মশকীর লালার মাধ্যমে প্রোটিস্টর সংবহন তন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং শেষে যকৃতে পৌছায়, যেখানে তারা পরিপক্ক হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে।এ রোগের জীবাণু মানুষের রক্তের লোহিত কণিকায় বাস করে।সাধারণ রোগের লক্ষণসমূহ হল জ্বর এবং মাথা ব্যথা, যা খুব গুরুতর ক্ষেত্রে কোমা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
কুইনাইন অথবা আর্টিমেসিনিন গ্রুপের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
১৮৮৯ সাল নাগাদ অালফনসে ল্যাভেরান ম্যালেরিয়ার কারণ হিসেবে একটিমাত্র কোষবিশিষ্ট পরজীবী প্রোটোজোয়াকে চিহ্নিত করেন। ১৮৯৭ সালে রোনাল্ড রস প্রমান করেন যে অ্যানোফিলিস মশা এই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে।১৭৫৩ সালে বিজ্ঞানী টটি ম্যালেরিয়া রোগের নামকরণ করতেন।
ম্যালেরিয়ার দিক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহ-
ঝুঁকিবিহীনঃম্যালেরিয়ার দিক দিয়ে মালদ্বীপসহ ১১৭ টি দেশ ঝুঁকিবিহীন।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণঃম্যালেরিয়ার দিক দিয়ে বাংলাদেশসহ ৪৩ টি দেশ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।
মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণঃম্যালেরিয়ার দিক দিয়ে ভারতসহ ১০ টি দেশ মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ।
সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণঃম্যালেরিয়ার দিক দিয়ে মায়ানমারসহ ১৪ টি দেশ সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ।
প্রতিরোধ
মশারি বা কীটনাষকে ডোবানো মশারি কিংবা অন্যান্য মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করে, মশার কামড় প্রতিরোধ করার মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ হ্রাস করা সম্ভব।এছাড়া এর প্রতিরুধে কীটনাশক প্রয়োগ এবং যেসর জমা জলে মশা ডিম পাড়ে সেখানকার জল বের করা দেওয়া উচিত ।
বার্ড ফ্লু একটি সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ। সাধারণত পোলট্রি শিল্পের পশুপাখি যেমন মুরগি, হাঁস, কোয়েল ইত্যাদির নিবিড় সংস্পর্শে এলে এ রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকে। আবার আক্রান্ত রোগীর থেকেও স্বাভাবিক লোকের মধ্যে এ রোগ ছড়াতে পারে। সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি হয়, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য এ রোগকে জুনোটিক ডিজিজ বলা হয়। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে এ রোগের উৎপত্তি।এ ভাইরাস সাধারণত সর্দি, কাশি সৃষ্টি ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের মহামারী যেমন সোয়াইন ফ্লু বা বার্ড ফ্লু আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যেভাবে সংক্রমণ হয় :
১. আক্রান্ত পশুপাখির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এলে বা বর্জ্য থেকে বার্ড ফ্লু হতে পারে।
২. আক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এলে অন্য লোকদের বার্ড ফ্লু হতে পারে।
৩.আক্রান্ত পাখির ডিম/মাংস সঠিকভাবে সিদ্ধ না করে খেলে বার্ড ফ্লু হতে পারে।
বার্ড ফ্লুর লক্ষণ : সাধারণত সংক্রমণের ১-৩ দিন পর রোগীর ঠাণ্ডার লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন- জ্বর, গা ব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ করা, মাথাব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা, কাশি ইত্যাদি। বার্ড ফ্লু ভাইরাস শ্বাসনালীর সঙ্গে বাধার পর ভাইরাল নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ করে এবং ক্ষেত্র বিশেষে রোগী রেসপিরেটরি ফেইলারে চলে যায়। যেখানে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুদূরপ্রসারী জটিলতা হিসেবে মস্তিষ্কের সংক্রমণ বা এনসেফালাইটিস, হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ বা মায়োকার্ডাটাই, মাংসপেশিতে সংক্রমণ বা মায়োসাইটিস ইত্যাদি হতে পারে।
রোগ নির্ণয় : সাধারণত ভাইরাস কালচার অথবা ভাইরাস এনটিজেন, আর এন এ আর টি পি সি আর দিয়ে নাক এবং মুখগহ্বর থেকে লালার নমুনা নিয়ে এই রোগ নির্ণয় করা হয়।
চিকিৎসা : এর কোনো প্রত্যক্ষ চিকিৎসা নেই।
প্রতিরোধ : বার্ড ফ্লু প্রতিরোধই সর্বোত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থা। এজন্য যারা পোলট্রি ফার্মে কাজ করেন তাদের মাস্ক গাউন পরে কাজ করতে হবে। কোনো পশুপাখি সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণ প্রকাশ করলে পশু ডাক্তারের কাছে নিতে হবে এবং চিকিৎসা করাতে হবে। যদি বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত হয় তাহলে সব পশুপাখিকে ইনসিনারেশন বা পুড়িয়ে গর্তে পুঁতে ফেলতে হবে। পশুপাখি ভালোমতো সেদ্ধ করে খেতে হবে। পাখির ডিম ভালোমতো সেদ্ধ করে খেতে হবে। পোলট্রি ফার্মের কর্মচারীদের বার্ষিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভেকসিন নিতে হবে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ